খবরের কাগজ বন্ধুজনের উদ্যোগে বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে অর্ধশতাধিক পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয় বন্ধুজন চট্টগ্রাম। বন্যায় বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরে ঘরে গিয়ে পরিবারের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয় খবরের কাগজ বন্ধুজনের পক্ষ থেকে। আজ সকাল থেকে দিনব্যাপী চলে এ কার্যক্রম।
এ সময় খবরের কাগজ চট্টগ্রামের ব্যুরোপ্রধান এস এম ইফতেখারুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার আবদুস সাত্তার, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি শহিদুল আলম, মোহাম্মদ সালাউদ্দীন ও মোহাম্মদ এনাম সঙ্গে ছিলেন।
এ ব্যাপারে খবরের কাগজ চট্টগ্রামের ব্যুরো চিফ এস এম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘ফটিকছড়ির শতাধিক গ্রাম বন্যাকবলিত ছিল। ৫ থেকে ৭ দিন পানিবন্দি হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি পানিতে ধ্বংস হয়েছে। অনেকে স্বজন হারিয়েছেন। আমরা বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক খবরের কাগজ পত্রিকার বন্ধুজনের পক্ষ থেকে অর্ধশতাধিক পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। যাতে তারা ঘরদোয়ার মেরামত করতে পারেন এবং পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করাতে পারেন। আমাদের এই মানবসেবা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। যারা বন্ধুজনের হাতে হাত রেখে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
উপজেলার সুন্দরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম যুবক রমজান আলী (৩০)। তার মাকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তিনি বলেন, ‘আপনারা অনেক দূর থেকে আমাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। আপনাদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। এই বন্যা আমার ছেলেকে কেড়ে নিয়েছে। তার বাবাও মারা গেছেন অনেক দিন আগে। আমার আর বাঁচার কোনো অবলম্বন নেই। আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
সুন্দরপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘বন্যাদুর্গতদের বাড়িঘর মেরামতের জন্য এখন সাহায্য-সহযোগিতা প্রয়োজন। সুন্দরপুরে অনেকেই ঘরে বসবাস করতে পারছেন না। পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে মাটি ও বাঁশ-বেড়ার ঘর।’
শহিদুল আলম বলেন, ‘কয়েকটি এলাকায় গরিব মানুষের ঘরগুলো দেখলে বোঝা যাবে এখানে বন্যায় কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। মানুষের পুনর্বাসনের জন্য অর্থের কোনো বিকল্প নেই। খবরের কাগজ সেই কাজটিই করেছে। এখন বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য যা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এভাবে বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। বন্ধুজন চট্টগ্রামের সব সদস্য বিশেষ করে মানবিক বন্ধুজনকে সুন্দরপুরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’