ঢাকা ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
English

আগাম আমনের দামে খুশি কৃষক

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ এএম
আগাম আমনের দামে খুশি কৃষক
খেতের ধান কেটে মাড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করছেন কৃষক। ছবি:খবরের কাগজ

মেহেদী হাসান মঞ্জু এবার এক একর জমিতে আগাম জাতের রোপা আমন ধানের চাষ করেছেন। প্রতি শতাংশে ধান হয়েছে চার মণের বেশি। এই ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। কয়েক মণ ধান বিক্রিও করেছেন। ভালো দাম পাওয়ায় তিনি খুশি।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের রামগোপালপুর গ্রামের কৃষক মঞ্জুর মতো অনেক কৃষক স্বল্পমেয়াদি উচ্চফলনশীল জাতের আমন ধানের চাষ করেছেন। ফলন ও দাম ভালো পেয়ে খুশি অন্য কৃষকরা। শ্রমিকরাও পাচ্ছেন ন্যায্য মজুরি। তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। কারণ সম্প্রতি বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে রামগোপালপুর গ্রামে দেখা যায় পাকা ধানের সোনালি শিসে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক কাঁচি দিয়ে ধান কাটছেন। আবার যন্ত্রের সাহায্যেও ধান কাটা হচ্ছে। অনেকে জমিতেই পলিথিন বিছিয়ে তার ওপর মেশিন দিয়ে ধান মাড়াই করার কাজ সেরে নিচ্ছেন। নারীরা মাড়াই করা ধান বাতাসে উড়িয়ে পরিষ্কার করাসহ শুকানোর কাজে ব্যস্ত। অনেক জমির ধান আধা-পাকা অবস্থায় রয়েছে। এগুলোও কয়েক দিনের মধ্যেই পেকে যাবে।

কৃষকরা জানান, আগাম আমন ধান কাটার ধুম পড়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। দামও ভালো। এতে খুশি কৃষকরা। শ্রমিকরাও পাচ্ছেন ন্যায্য মজুরি। এই ধান কাটার পরই একই জমিতে আলু, সরিষা, পেঁয়াজসহ অন্যান্য ফসল ফলিয়েও লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। 

কৃষক মেহেদী হাসান মঞ্জু জানান, এবার এক একর জমিতে ব্রিধান-৪৯ জাতের আগাম ধান চাষ করে ধান পেয়েছেন ৪৫ মণ। চাষ করে খরচ হয়েছে ২৭ হাজার টাকা। প্রতি মণ ধান ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করতে পারছেন। এরপর একই জমিতে সরিষা চাষ করা হবে।

একই গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘তিন একর জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ করেছি। ইতোমধ্যে দুই একর জমির ধান কেটে বাড়িতে নিয়েছি। প্রতি শতাংশে ফলন হয়েছে প্রায় চার মণ। আরও এক একর জমির ধান কয়েক দিনের মধ্যেই পেকে যাবে। আগাম ধান চাষ করে প্রায় সব কৃষকই লাভবান হয়েছেন।’

হরিপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদির ৪০ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এবার পোকার আক্রমণ ছিল না। তাই খরচও হয়েছে কম। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রমিক নিয়ে ধান কাটাসহ মাড়াইয়ের কাজ করছি। এরপর একই জমিতে আলু চাষ করা হবে।’

ধান কাটার শ্রমিক জয়নাল, আজিজ, কালাম, মঈদুল নামের কয়েকজন জানান, অল্প সময়ে ভালো ফলন পাওয়ায় কৃষকরা আগাম জাতের ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এতে কৃষকদের পাশাপাশি শ্রমিকরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এই বিভাগে চলতি মৌসুমে ৬ লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার টন। সম্প্রতি বন্যায় অনেক কৃষকের জমির ধান নষ্ট হয়েছে। বন্যার ফলে ৭৫ হাজার ৪২৯ হেক্টর জমিতে চাষ করা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। চলতি মৌসুমে শুধু ময়মনসিংহ জেলায় ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক সালমা আক্তার বলেন, ‘সম্প্রতি অক্টোবরে পাহাড়ি ঢল এবং অতিবৃষ্টিজনিত কারণে বন্যায় অনেক কৃষকের চাষ করা রোপা আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আমন নষ্ট হওয়া জমিগুলো ছাড়া অন্য সব জমিতে ফলন ভালো হওয়ায় আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা আছে তার খুব কাছাকাছি আমরা অর্জন করতে পারব বলে আশা করছি। এ অঞ্চলে খাদ্যের জন্য কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।’

 

যশোরে কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে খামারি অ্যাপ ও ক্রপ জোনিং

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১১:৪২ এএম
আপডেট: ০২ জুন ২০২৫, ১১:৪৩ এএম
যশোরে কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে খামারি অ্যাপ ও ক্রপ জোনিং
‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’ এবং ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’ নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা।রবিবার (১ জেুন) যশোরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) কার্যালয়ে।খবরের কাগজ

‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’ এবং ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’ হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিগুলো কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে একদিকে যেমন উৎপাদন বহু গুণ বাড়বে, অন্যদিকে দেশের খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।

রবিবার (১ জুন) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) যশোর অঞ্চলের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। 
কর্মশালায় বলা হয়, ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’ হচ্ছে একটি আধুনিক কৃষি পরিকল্পনা পদ্ধতি। যার মাধ্যমে মাটি, আবহাওয়া, পানির প্রাপ্যতা এবং স্থানীয় কৃষি বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে কোন অঞ্চল কোন ফসল চাষে উপযুক্ত, তা নির্ধারণ করা যায়। এতে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হয় এবং কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হন।

অন্যদিকে ‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’ একটি স্মার্টফোনভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন, যা কৃষকদের সরাসরি কৃষি তথ্য, রোগবালাই ব্যবস্থাপনা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, সারের সুপারিশ, ফসল বিমা ও নিকটবর্তী বাজারমূল্যের তথ্য দেয়। এ অ্যাপ কৃষকদের সিদ্ধান্ত নিতে বাস্তব সময়ের সহায়তা প্রদান করে। 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণেই কৃষি আজ আধুনিকতার ছোঁয়া পাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সব সময় কৃষকদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) আয়োজিত এই কর্মশালায় ডিএই যশোর অঞ্চলের কর্মকর্তাদের খামারি মোবাইল অ্যাপ ও ক্রপ জোনিং সিস্টেমবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ক্রপ জোনিং প্রকল্প, বিএআরসির সদস্য পরিচালক (শস্য) ও কো-অর্ডিনেটর ড. আবদুছ ছালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএই খামারবাড়ি ঢাকার অতিরিক্ত পরিচালক ড. জামাল উদ্দীন।

কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্রপ জোনিং প্রকল্পের ক্রপ এক্সপার্ট ড. আজিজ জিলানী চৌধুরী। আর ক্রপ জোনিং সিস্টেমের ওপর বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন ক্রপ জোনিং প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার আবিদ হোসেন চৌধুরী। এ ছাড়া খামারি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারের বিস্তারিত তুলে ধরেন ক্রপ জোনিং প্রকল্প পরিচালক (কম্পিউটার ও জিআইএস ইউনিট) হাসান হামিদুর রহমান। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের কৃষিতে টেকসই ও জলবায়ু সহনশীল চাষাবাদ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

যশোরে ধানের ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১০:৩২ এএম
যশোরে ধানের ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক
যশোরের কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া এলাকা খেত ধান কাটছেন কৃষিশ্রমিকরা। খবরের কাগজ

যশোরের ভবদহের জলাবদ্ধ এলাকা কেশবপুর উপজেলায় ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ না হওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩৪ কোটি টাকার ধান উৎপাদন কম হয়েছে। তবে এ উপজেলার শতাধিক জলাবদ্ধ বিলের পানি নিষ্কাশন করে যে বোরো আবাদ করা হয়েছে, সেসব খেতে শেষ মুহূর্তে বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ও দাম ভালো পেয়ে ওইসব কৃষক খুশি। এর মধ্যে ‘ভারতীয় রড মিনিকেট’ নামে ধান আবাদকালে একই সময়ে সব ধানের শীষ বের না হওয়ায় কিছুটা বিপাকে পড়েন কৃষক। আর যারা জলাবদ্ধতার কারণে বোরো ধান চাষ করতে পারেননি, তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। 

কৃষকরা জানান, দেশের মধ্যে ধান-চালসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য উৎপাদনের উদ্বৃত্ত উপজেলা হিসেবে কেশবপুরের খ্যাতি দীর্ঘদিনের। কিন্তু এখানকার প্রধান নদনদী পলিতে ভরাট হওয়ায় ২০ বছর ধরে ৭ ইউনিয়নের শতাধিক বিলে প্রায় প্রতিবছরই বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ বছরও একই অবস্থায় ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা যায়নি। এর মধ্যে বছরের একমাত্র ফসল বোরো আবাদের জন্য কৃষকরা আগেভাগেই কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে শতাধিক বিলের পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নিয়ে আবাদ করেন। বিলের ধানখেতের মাঠগুলো সোনালি রঙের আভায় এক অপরূপ গড়ে ওঠে। সেচ, আগাছা পরিষ্কারসহ সব কাজ সম্পন্ন করে এখন অধিকাংশের ধান ঘরে তোলা হয়েছে। তবে এখনো মাড়াইয়ের কাজ অল্পকিছু বাকি আছে। 

এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো আবাদ মৌসুমে এ উপজেলায় ১৪ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। অর্জিত হয়েছে ১২ হাজার ৭৯০ হেক্টর। জলাবদ্ধতার কারণে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ৫০ হেক্টর কম জমিতে ধানের চাষ হয়। পুরো উপজেলায় এবার হাইব্রিড, উফশী জাতের ব্রি-২৮, ব্রি-৫০, ব্রি-৬৩, ব্রি-৭৪, ব্রি-৮৮ ও ব্রি-ধান-১০০ এবং ভারতীয় রড মিনিকেট ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড-৪ হাজার ২০০ হেক্টর ও উফশী-৮ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমি। 

সূত্র আরও জানায়, উপজেলায় ধানের উৎপাদন ধরা হয়েছিল ৮৫ হাজার ৯৯৮ টন। কিন্তু ২ হাজার ৫০ হেক্টর কম জমিতে চাষ না হওয়ায় ৩৩ কোটি ৫৭ হাজার টাকার ধান উৎপাদন হয়নি। উপজেলার বাগডাঙ্গা, পাঁজিয়া, কালীচরণপুর, বিলখুকশিয়া, কাটাখালী, মনোহরনগর, নারায়ণপুরসহ ৫০ বিলে জলাবদ্ধতার কারণে এবার বোরো আবাদ হয়নি।

জলাবদ্ধ এলাকার ব্যাসডাঙ্গা গ্রামের কৃষক রেজাউল ইসলাম, মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, তাদের গরালিয়া বিলের জমি ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদের কাছে লিজ দেওয়া হয়েছে। ঘেরমালিক মাছ চাষের জন্য প্রতি শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে ঘের ভরাট করে। আবার ইরি-বোরো মৌসুমে শ্যালোমেশিন দিয়ে ঘেরের পানি নিষ্কাশন করলে কৃষকরা ধান আবাদ করে। জলাবদ্ধতার কারণে বিলের দেড় হাজার বিঘা জমিতে এবার বোরো আবাদ হয়নি। দেউলি গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন জানান, তাদের বাগদা-দেউলি বিলের এক হাজার বিঘা জমিতে এবার বোরো আবাদ হয়নি। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কিরণ্ময় সরকার বলেন, ‘নদী ভরাটে সব বিলের পানি নিষ্কাশন সম্ভব হয়নি। যে কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ধানের কম আবাদ হয়। ফলে এবারের ফলন অনুযায়ী ৩৩ কোটি ৫৭ লাখ ৭২ হাজার টাকার ধান কম উৎপাদন হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আবাদ করা এলাকার কৃষকের চাহিদামতো সার ও বীজের কোনো ঘাটতি ছিল না। আবহাওয়াও ছিল অনুকূলে। এ জন্য এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়।’

মাশরুম চাষে শাহীনের সাফল্য

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১০:২৫ এএম
আপডেট: ০১ জুন ২০২৫, ১০:৩২ এএম
মাশরুম চাষে শাহীনের সাফল্য
নিজের খামার অজূফা মাশরুম সেন্টারে শাহীন মোল্লা। খবরের কাগজ

নরসিংদীর সদর উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামের শাহীন মোল্লা মালয়েশিয়া থেকে ফিরে মাশরুম চাষ শুরু করেন। প্রথমে ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েননি তিনি। নিজের মায়ের নামে ‘অজূফা মাশরুম সেন্টার’ গড়ে তোলেন। এখান থেকে দেশ-বিদেশে মাশরুম সরবরাহ করছেন। তৈরি করেছেন অসংখ্য উদ্যোক্তা। নারী-পুরুষ মিলে কাজ করছেন ৩০ থেকে ৩৫ জন। আছে ঢাকায় শোরুমও। শাহীনের সাফল্য দেখে তরুণরা আগ্রহী হচ্ছেন। সরকারি সহায়তা পেলে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে চান তিনি।

শাহীন মোল্লা প্রায় এক যুগ আগে মালয়েশিয়ায় গিয়ে জাপানি এক বন্ধুর কাছ থেকে মাশরুমের চাষ শিখেছিলেন। পাঁচ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে, সংসারের টানাপোড়েন সামলাতে না পেরে খালি হাতে দেশে ফিরে আসেন তিনি। তবে হাল না ছেড়ে, জাপানি বন্ধুর শেখানো দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নরসিংদীতে মাশরুম চাষে  মনোযোগ দেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামে ‘অজূফা মাশরুম সেন্টার’ নামে একটি মাশরুম খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। এখান তৈরি হচ্ছেন অসংখ্য উদ্যোক্তা। তরুণ-তরুণীরা প্রতিদিন এখানে এসে মাশরুম চাষের পরামর্শ নিচ্ছেন।

ওমর ফারুক নামে এক তরুণ জানান, তিনি পেশায় গাড়িচালক ছিলেন। চলতি পথে উদ্যোক্তা শাহীন মোল্লার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি বলেন, ‘শাহীন ভাইয়ের মাশরুম চাষ দেখে আমারও আগ্রহ জন্মায়।’ এর পর তিনি প্রাথমিকভাবে নিজ এলাকা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ৩ হাজার বীজের একটি মাশরুম প্রকল্প শুরু করেন। মাঝে মধ্যে কাঁঠালিয়া গ্রামে গিয়ে ‘অজূফা মাশরুম সেন্টার’ থেকে পরামর্শ নেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার উৎপাদিত মাশরুম বিক্রিতে শাহীন ভাই সব সময় সহায়তা করেন।’

মাধবদী-খড়িয়া সড়কের পাশে, কাঁঠালিয়া গ্রামে অবস্থিত ‘অজূফা মাশরুম সেন্টারে’ বর্তমানে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন কর্মী চুক্তিভিত্তিক কাজ করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নারীকর্মীরা স্পন ও বীজ তৈরি এবং পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকেন বলে জানান স্থানীয় শ্রমিকরা। শাহীনের সহকারী হিসেবে স্ত্রীকেও উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তিনি এখন শ্রমিকদের দিকনির্দেশনা দেওয়াসহ সার্বিক তদারকির পাশাপাশি বীজ রোপণের কাজ করছেন।

শাহীন বলেন, ‘প্রায় পাঁচ বছর আগে বিদেশ থেকে ফিরে মাশরুম চাষ শুরু করি। শুরুতে বিক্রি ও জনবল সংকটে অনেক হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এখন আমার উৎপাদিত মাশরুম দেশ-বিদেশে যাচ্ছে। আমি ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক মাশরুম চাষি তৈরি করেছি। আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ ও বীজ সরবরাহ করে সহযোগিতা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না। 

বছরজুড়ে আমার সেন্টার থেকে মাশরুম বাজারজাত করছি। বাড়ির নিচতলায় অফিস রয়েছে, আর ঢাকায় রয়েছে শোরুম। আমি মাশরুম দিয়ে স্যুপ, আচারসহ নানা ধরনের অর্গানিক পণ্য তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছি।’

কোরবানির পশু বিক্রি না হওয়ায় বিপাকে খামারিরা

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১০:১১ এএম
আপডেট: ০১ জুন ২০২৫, ১০:১১ এএম
কোরবানির পশু বিক্রি না হওয়ায় বিপাকে খামারিরা
ছবি: খবরের কাগজ

সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বিপুলসংখ্যক গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। চাহিদার চেয়ে দ্বিগুণ পশু মজুত থাকলেও বিক্রি না হওয়ায় বিপাকে খামারিরা। গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। পাইকার না আসায় লোকসানের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশাসন ও পুলিশ বলছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলবে। অনুমোদন ছাড়া কোথাও অস্থায়ী হাট বসলে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এম আনোয়ারুল হক জানান, জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০টি ষাঁড়, বলদ ও গাভি, প্রায় ৪ লাখ ছাগল, ৩ হাজার ৮৭৫টি মহিষ ও ৬৭ হাজার ৩০৩টি ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার গবাদিপশুর সংখ্যা ৪৩ হাজার বেশি। তিনি আরও জানান, জেলার কোরবানির চাহিদা ২ লাখ ৫৯ হাজার ২৪১টি। অতিরিক্ত ৩ লাখ ৯৬ হাজার  ৬৬৩টি পশু দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে। এসব পশুর বাজারমূল্য প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।

জানা গেছে, জেলার খামারিরা এখন দুধ উৎপাদনের পাশাপাশি উন্নত জাতের গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজাকরণ করে ভালো আয় করছেন। এতে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রান্তিক খামারিদের পাশাপাশি অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে খামার গড়ে তুলেছেন। জেলার শাহজাদপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়। এখানকার পশুগুলো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়। তবে খামারিরা বলছেন, খাদ্য, ওষুধসহ সব উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তারা কোরবানির হাটে ন্যায্য দাম পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন।

সদর উপজেলার শিলান্দা গ্রামের খামারি মজনু সরকার বলেন, ‘এ বছর তিনটি শাহীওয়াল জাতের গরু পালন করছি। ঈদের বাকি মাত্র কয়েক দিন, কিন্তু এখনো কোনো ক্রেতা পাইনি। বিষয়টি নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছি।’ পাশের এলাকার বিদেশফেরত মনির হোসেন বলেন, ‘অনেক গরু লালন করেছি। কিন্তু বড় হাটে তোলার ব্যবস্থা নেই। এখনো কোনো ব্যাপারী আসেনি। গরুগুলোর পেছনে অনেক টাকা খরচ করেছি। ভালো দামে বিক্রি করতে না পারলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’ রানীগ্রামের খান অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক নিলয় খান বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করেছি। কিন্তু উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বেশি বলতে হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতারা দাম কম বলছে।’

এদিকে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন হাটে কোরবানির পশু উঠতে শুরু করেছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা আসছেন। হাটে পশু আমদানি থাকলেও এখনো বেচাকেনা তেমন জমে ওঠেনি। অনেকে গরু দেখে যাচ্ছেন, তবে কেউ কেউ পরিস্থিতি বুঝে কিনছেন। স্থানীয়রা বলছেন, আরও কয়েক দিন পর বেচাকেনা পুরোদমে শুরু হবে।

হাটে আসা ব্যাপারী আব্দুস সাত্তার, আজগর আলী ও মোতালেব হোসেন বলেন, ‘মহাসড়ক ছাড়া গরু পরিবহনের বিকল্প পথ নেই। মাঝে মাঝে কড্ডা মহাসড়কে ডাকাতি হয়। প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া নিরাপদে গরু পরিবহন করা সম্ভব নয়। আমরা ডাকাতির কবলে পড়তে চাই না।’

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, ‘গত রোজার ঈদে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এবারও যেন ডাকাতি বা চাঁদাবাজি না হয়, সে জন্য জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’ বগুড়া হাইওয়ে পুলিশের সুপার শহিদ উল্লাহ বলেন, ‘পশুবাহী যানবাহনের নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায় বলেন, ‘অনুমোদিত হাট ছাড়া অন্য কোথাও অস্থায়ী হাট বসালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসন থেকে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা সিরাজগঞ্জ সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ১০:০৩ এএম
ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা সিরাজগঞ্জ সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের
সিরাজগঞ্জের মুরগির প্রজনন ও উন্নয়ন খামার। সদরের শিয়ালকোল এলাকা থেকে ছবিটি তোলা। খবরের কাগজ

দীর্ঘদিন লোকসানে থাকা সিরাজগঞ্জের একমাত্র সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কয়েক বছর ধরে কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অনিয়মে খামারটি কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ডিম ও বাচ্চা উৎপাদন তো দূরের কথা, তেমন রাজস্বও আসত না। প্রতি বছর সরকারকে এ খামার রক্ষায় লাখ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। আয় না থাকলেও ব্যয় ছিল অনেক বেশি। খাদ্য, বিদ্যুৎ, বেতনসহ সব খরচ সরকারকেই বহন করতে হয়েছে।

বর্তমানে খামারটিকে স্বাভাবিকভাবে চালানোর চেষ্টা চলছে। খামার কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ডিম ও বাচ্চা বিক্রি করে মাত্র ১০ লাখ টাকা রাজস্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেশি। কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, কয়েক বছরের লোকসান এত দ্রুত কাটানো সম্ভব নয়। জনবল ও অবকাঠামোগত সংকটে কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদর উপজেলার শিয়ালকোল গ্রামে ৩ একর জমিতে ১৯৮২ সালে খামারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত হয়। উদ্দেশ্য ছিল বেকার যুবক, দরিদ্র কৃষক ও দুস্থ নারীদের স্বাবলম্বী করা। স্বল্পমূল্যে ডিম ও বাচ্চা সরবরাহ করে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।

খামারে রয়েছে সাতটি শেড, একটি প্রশাসনিক ভবন, ব্যবস্থাপকের বাসা, অতিথিকক্ষ, বিক্রয়কেন্দ্র এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবন।

ব্যবস্থাপক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খামারে ফাউমি, সোনালি ও আড়াইয়ার জাতের মুরগি পালন করা হয়। চারটি শেডে আছে প্রায় ২ 
হাজার ডিম পাড়া মুরগি। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩ হাজার বাচ্চা উৎপাদিত হয়। প্রান্তিক খামারিরা এখান থেকে বাচ্চা ও ডিম কিনে থাকেন।
একদিন থেকে সাত দিনের বাচ্চা বিক্রি হয় মাত্র ১৫ টাকায়। ৫০ থেকে ৭০ দিনের বাচ্চা ১০০ টাকা, আর ৭০ থেকে ৯০ দিনের বাচ্চা বিক্রি হয় ১১৫ টাকায়। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হয় ৩২ টাকায়, অর্থাৎ প্রতি ডিম ৮ টাকা। গত এক বছরে বিক্রি হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার বাচ্চা। এ বছর উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ডিম। এসব বিক্রি করে রাজস্ব এসেছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

সরেজমিন দেখা যায়, খামারটি চারপাশে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। মূল ফটক দিয়ে ঢুকতেই ডানে প্রশাসনিক ভবন ও বামে বিক্রয় কেন্দ্র। ভিতরে সাতটি টিনশেড। চারটিতে ডিম পাড়া মুরগি এবং বাকি তিনটিতে বিভিন্ন বয়সের বাচ্চা। রয়েছে একটি মেশিনারিজ রুম, যেখানে ডিম থেকে নিয়মিত বাচ্চা উৎপাদিত হচ্ছে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এখানে বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে ডিম ও বাচ্চা পাওয়া যায়। মুরগির জাত দেশি ধরনের হওয়ায় গ্রামের পরিবেশে সহজেই পালনযোগ্য। বাচ্চার মান ভালো হওয়ায় চাহিদাও বেশি। ফলে অনেকেই খালি হাতে ফিরে যান। সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষা করতে হয় এক-দুই সপ্তাহ।

খামারে বাচ্চা কিনতে আসা ইমরান সরকার বলেন, ‘সিরিয়াল দিয়ে গেছি। আশা করি আগামী সপ্তাহে বাচ্চা পাব। এখানে দাম অনেক কম, তাই চাহিদাও বেশি।’ যুবক আলী আহমেদ বলেন, ‘খামারটি আরও উন্নত হলে এলাকার মানুষ সাশ্রয়ী দামে ডিম ও বাচ্চা পেত। বেকার যুবকরা এখান থেকে বাচ্চা নিয়ে কাজ শুরু করতে পারত।’

খামারের ব্যবস্থাপক বাহালুল করিম বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় খামারের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। আমি এসে শেডসহ অনেক কিছু আধুনিকভাবে সংস্কার করেছি। এখন ডিম ও বাচ্চা উৎপাদন অনেক বেড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানকার মুরগির বাচ্চা প্রায় দেশি জাতের মতো। যেকোনো পরিবেশে পালনযোগ্য হওয়ায় চাহিদা ব্যাপক। গ্রামের নারীরাও এসব বাচ্চা লালন-পালন করেন।’ বর্তমানে ১৭ জন জনবলের স্থলে রয়েছে মাত্র ছয়জন। ব্যবস্থাপক বলেন, ‘এত বড় খামার চালাতে এই জনবল খুবই অপ্রতুল। কার্যক্রম ঠিকভাবে চালাতে হলে সরকারি সহায়তা বাড়ানো প্রয়োজন।’