
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় সম্প্রতি বেড়েছে ভুট্টার চাষ। আগের বছরের তুলনায় এই বছর কৃষকরা ভুট্টার চাষে ঝুঁকছেন। এর মূল কারণ ভুট্টার দাম ভালো হওয়া এবং সরকারি সহায়তা। কৃষকরা আশা করছেন, ভুট্টার বাম্পার ফলনে কৃষি অর্থনীতি নতুনভাবে শক্তিশালী হবে।
এ মৌসুমে সৈয়দপুর উপজেলায় প্রায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ দশমিক ৫ টন নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, বর্তমানে দেশে মুরগি, মাছ এবং গবাদিপশু পালন বেড়েছে, যার কারণে ভুট্টার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য কৃষকরা ভুট্টার চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, এক সময় যেসব জমিতে ধান, আলু, গম, তামাক চাষ করা হতো, সেখানে এখন ভুট্টার চাষ হচ্ছে। সরকারি কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষকরা সার, বীজ ও পরামর্শ পাচ্ছেন। গত বছর প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছিল ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। কৃষকরা আশা করছেন, এ বছর প্রতি বিঘায় ৩০ থেকে ৩৫ মণ ভুট্টা উৎপাদিত হবে। প্রতি মণ ভুট্টার দাম গত বছর ছিল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। এ বছর দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
কামারপুকুর ইউনিয়নের হুমায়ুন রশিদ জানান, তিনি প্রতি বছর আলুর চাষ করতেন। কিন্তু আলুর বীজের দাম বেশি হওয়ায় এবার এক একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। বাঙালিপুর ইউনিয়নের মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘ভুট্টা চাষে খরচ কম। এতে লাভ ভালো হবে।’ বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, গত বছর দুই বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলেন। ভালো লাভ হয়েছে, তাই এবার ১০ বিঘায় চাষ করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মমিনুর রহমান মমিন জানান, কৃষকরা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ ও প্রণোদনা পেয়েছেন। তারা খুব ভালো ফলন পাচ্ছেন। দামে লাভবান হচ্ছেন।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় জমির পরিমাণ বেড়েছে। এ বছর ৪৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ দশমিক ৫ টন।’ তিনি আরও জানান, ভুট্টা দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায়, তাই কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।