
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের সিংহেরগাঁও গ্রামে চলতি বোরো মৌসুমে সেচ নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। সেচকলের মালিক রফিকুল ইসলাম মুকুল ও সেচগ্রাহক কৃষকদের মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ দ্বন্দ্বের ফলে ৪৫ একর জমির ধান উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
রফিকুল ইসলাম মুকুল প্রথমে সেচ লাইনের অনুমোদন নিয়ে জমিতে পানি সরবরাহ শুরু করেন। তবে পরবর্তী সময় অভিযোগ উঠেছে, যাদের জমির পরিমাণ বেশি, তাদের সেচে পানি ঠিকভাবে সরবরাহ করছেন না। এ ছাড়া কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা দাবি করছেন বলে জানান সেচগ্রাহকরা।
এতে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সেচের পানি সরবরাহ নিয়ে সমস্যা শুরু হয়। কৃষকরা জানান, রফিকুল ইসলাম মুকুলের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কারণে তাদের জমিতে পানি দিতে না পারলে ধান উৎপাদন ব্যাহত হবে। তারা আরও অভিযোগ করেন, সেচ লাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করতে চান মুকুল।
সেচগ্রাহকরা স্থানীয় কৃষক বাবুল মিয়ার নামে নতুন সেচ লাইনের অনুমোদন নিয়ে সেটি চালু করেন। তবে রফিকুল ইসলাম মুকুল অভিযোগ করেন, বাবুল মিয়ার সেচ লাইনের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। পরে কৃষকরা ডিজেল ইঞ্জিন দিয়ে সেচের ব্যবস্থা করতে থাকেন। কিন্তু এখন মুকুল ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে সেচের পানি দিতে বাধা সৃষ্টি করছেন।
এলাকাবাসী দাবি করছেন, রফিকুল ইসলাম মুকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা। কৃষক এখলাস উদ্দিন জানান, মুকুল তার ক্ষমতা ব্যবহার করে সেচ লাইনের সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষকের ৩৫ একর জমি রয়েছে। মুকুলের ৪ শতক জমি ছাড়া অন্য কোনো জমি নেই। আমাদের জমিতে পানি সরবরাহ না হলে বোরো ধানের চাষ ব্যাহত হবে।’
এই সমস্যা মীমাংসা না হলে কৃষকদের বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। রফিকুল ইসলাম মুকুল দাবি করেছেন, বাবুল মিয়ার সেচ লাইনের অনুমোদন না হওয়া সত্ত্বেও তার লাইনের পাশেই লাইনের স্থাপনা করা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ‘ঘটনাটি অবগত আছি। উভয় পক্ষকে ডেকে এনে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।’