
ফরিদপুরের পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর চরাঞ্চলে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। চরভদ্রাসন, সদর, ও সদরপুর উপজেলায় সরিষার ফসলের মাঠে দেখা যাচ্ছে হলুদ ফুলের সমারোহ। কৃষকরা বলছেন, এবার আগের তুলনায় অনেক বেশি ফলন হয়েছে। বাজারে দামও ভালো।
চর হরিরামপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর এলাকায় সরিষা ফুলের গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে। মাঠজুড়ে হলুদ ফুলে ঢেকে গেছে। গাছগুলোতে মধু আহরণ করছে মৌমাছিরা। কৃষকরা জানাচ্ছেন, এবারের ফলন দেখে তারা আনন্দিত। কৃষক রব শেখ বলেন ‘চরের মাটি উর্বর, তাই ফলন ভালো হয়েছে।
ফরিদপুর কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চরাঞ্চলের কৃষকরা এবার বারি সরিষা ১৪, ১৫, ১৭ ও বিনা সরিষা ৯ জাতের বীজ ব্যবহার করেছেন। জেলার মোট ১৩ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ২৩ হাজার ১৪৯ টন। কৃষি বিভাগের সহায়তায় সরিষার ভালো ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
চরাঞ্চলের কৃষকরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় তারা অনেক বেশি ফলনের আশা করছেন। কৃষক আতর আলী বলেন, ‘অতীতের তুলনায় এবার সরিষার ফলন বেশ ভালো হবে।’ তবে তিনি সরকারের কাছে সার, বীজ ও কৃষি উপকরণের দাম কমানোর অনুরোধ করেছেন।
সরিষার বাম্পার ফলন ফরিদপুরের গ্রামীণ অর্থনীতিতে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। চাষিরা তাদের উর্বর জমির দিকে তাকিয়ে ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলনের আশা করছেন। কৃষক রব শেখ বলেন ‘সরিষার ভালো দাম পাচ্ছি, আগামীতে আরও ভালো ফলন পাব।’
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শাহাদুজ্জামান জানিয়েছেন, গত বছর সরিষার ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরা এই মৌসুমে সরিষা আবাদে আগ্রহী হয়েছেন। কৃষি বিভাগ তাদের জন্য উন্নত জাতের বীজ এবং সারের সরবরাহ নিশ্চিত করেছে।
সরিষার মাঠে ফুলের সৌন্দর্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ঘুরতে আসছেন। কৃষকরা দাবি করেছেন, সরকার যদি সহজ শর্তে কৃষি ঋণ এবং কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে, তবে চরাঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটবে।