
ধামরাইয়ের সূতিপাড়া ইউনিয়নের সিন্ধুলিয়া গ্রামে আবুল হোসেন কুল চাষ করে সফল হয়েছেন। ৬০ শতক জমিতে কুল চাষ করে তিনি অল্প খরচে ভালো লাভ পাচ্ছেন। প্রতি কেজি কুল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। আবুল হোসেনকে অনুসরণ করে অনেক যুবক কুল চাষ শুরু করেছেন। কুল চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। স্থানীয় বাজারে কুলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা জানান, ধামরাইয়ে কুল চাষ লাভজনক।
আবুল হোসেন বলেন, ‘যখন কুল চাষ শুরু করি, তখন চিন্তা ছিল, ফলন কেমন হবে? তবে এখন বুঝতে পারছি, এটি খুবই লাভজনক।’ তিনি কুলের আপেল জাত ও কাশ্মীরি জাতের গাছ লাগিয়েছেন। তবে বেশির ভাগই আপেল কুল গাছ। প্রতিটি গাছে প্রচুর কুল ধরেছে। তা দেখে তিনি অনেক খুশি। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন কিছু কুল বাজারে বিক্রি করছি, দামও ভালো পাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউটিউব দেখে কুল চাষের অনেক কিছু শিখেছি। ৬০ শতক জমিতে কুল চাষ করতে ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যদি আবহাওয়া ভালো থাকে। তবে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা লাভ হবে।’
স্থানীয় বাসিন্দা রুস্তম আলী বলেন, ‘আমাদের গ্রামের অনেক শিক্ষিত যুবক কুল চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। তারাও কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।’
কুল ব্যবসায়ী কালু মিয়া বলেন, ‘একটি কুল বাগান কিনে বছরে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় করা যায়। আবুল হোসেনের বাগান দেখে অন্যান্য গ্রামের অনেকেই কুল চাষ শুরু করেছেন। কুল চাষে খরচ কম এবং লাভ অনেক বেশি।’
ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কুল লাভজনক ফল। কুল চাষে খরচ কম এবং ফলন ভালো। এটি শীতের ফল হিসেবে বাজারে চাহিদা অনেক। ধামরাইর কৃষকরা সহজেই কুল ঢাকার বিভিন্ন বাজারে পাঠাতে পারেন।’