
ইরি-বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাইবান্ধার কৃষকরা। বর্তমানে ৮০ শতাংশ জমিতে ধান রোপণ শেষ হয়েছে। কৃষকরা আশাবাদী, আবহাওয়া ভালো থাকলে এবারের ফলন ভালো হবে। তবে তাদের অভিযোগ, সারের দাম ও শ্রমিকের খরচ বেড়েছে। এতে সার্বিকভাবে ধান উৎপাদনের খরচ বেড়েছে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার সাত উপজেলায় ১ লাখ ২৯ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ মৌসুমে সম্ভাব্য উৎপাদন ৫ লাখ ৯৪ হাজার ১৬১ টন ধান। গত বছর জেলায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ হয়েছিল। তবে এবার কৃষি বিভাগ ভালো ফলনের আশা করছে।
কুমারগাড়ী গ্রামের কৃষক রিমন খন্দকার বলেন, ‘এবার আবহাওয়া ভালো, আশা করছি আবাদ ভালো হবে। বাজারে ধানের দামও ভালো। আমি প্রায় ৫ বিঘা জমিতে হিরা-২, ব্রি-২৮ ও কাটারি জাতের ধান রোপণ করেছি।’ তবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামে সার পাওয়া যাচ্ছে না, অতিরিক্ত দামে সার কিনতে হচ্ছে।’
তবে শুধু রিমনই নয়, অন্য কৃষকরাও একই অভিযোগ করছেন। কুমারগাড়ী গ্রামের বাদশা খন্দকার, বাটু মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া ও মিলন মিয়ার মতো কৃষকরা জানান, ইরি চাষে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। সারের দাম বেড়েছে, শ্রমিকেরও খরচ বেড়েছে। কৃষকরা আরও বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামে ইউরিয়া, ডিএপি, টিএসপি, মিউরেট অব পটাশের দাম থাকলেও বাজারে এগুলো ৫ থেকে ১৫ টাকা বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম জানান, সরকার নির্ধারিত দামে ডিলাররা সারের সরবরাহ করছেন। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন অভিযান চলছে। তবে সারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কৃষকরা উদ্বিগ্ন। আমরা কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছি।
এবারের মৌসুমে ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা খরচে ১ বিঘা জমিতে ধান চাষ হয়। তবে কৃষকরা আশা করছেন, ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ হবে। জানুয়ারি শেষ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ইরি-বোরো ধান রোপণ করা হয়।