ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

ছায়ানটে ভরতনাট্যম, ওড়িশি, মণিপুরি নৃত্যে স্রষ্টার বন্দনা

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
ছায়ানটে ভরতনাট্যম, ওড়িশি, মণিপুরি নৃত্যে স্রষ্টার বন্দনা
ছায়ানটে শাস্ত্রীয় নৃত্য উৎসবে দলীয় পরিবেশনা। ছবি: খবরের কাগজ

ভরতনাট্যম, ওড়িশি, মণিপুরি, কথক নৃত্যে স্রষ্টার বন্দনায় নিমগ্ন রইলেন শিল্পীরা। পৌরাণিক কাহিনিনির্ভর নৃত্যে শাস্ত্রীয় সংগীতের নানা রাগ, তালে স্রষ্টার স্বরূপ অন্বেষণের পাশাপাশি সামাজিক জীবনের নানা প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে। 

প্রদোষের সময় অর্থাৎ সন্ধ্যাকালে ত্রিশূল ধারণকারী ভগবান শিব প্রচণ্ড তাণ্ডবলীলা শুরু করেন। দেবী গৌরী যিনি তিন জগতের জননী, তিনি অমূল্য রত্ন দিয়ে জড়ানো সোনার আসনে বসেন। নিজে নাচতে প্রস্তুত হন এবং সব দেবতা তার প্রশংসায় গান করেন। পৌরাণিক সেই কাহিনি অবলম্বনে রাগম- পূরবী কল্যাণী, তালাম- আদিতে নির্মিত হয়েছে নৃত্য প্রযোজনা ‘শিব পদম’। ভরতনাট্যমে সে প্রযোজনা পরিবেশন করেন অমিত চৌধুরী। 

রাগ মিশ্র, তাল আদিতে জুয়েইরিয়াহ মৌলি পরিবেশন করেন ‘পঞ্চরাগ তিল্লানা’। তিল্লানা হলো দক্ষিণ ভারতীয় সংগীতের একটি ছন্দময় অংশ, যা সাধারণত ভরতনাট্যম মার্গমের শেষে পরিবেশিত হয়। 

মহাভারতে কৃষ্ণের লীলাময় রূপের দ্বারা কালিয় নাগকে বশ করার আধ্যাত্মিক ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে মণিপুরি নৃত্য ‘কালিয় দমন’। নৃত্যশিল্পী সুইটি দাস চৌধুরী সপতো তালে পরিবেশন করেন এ নৃত্য। মণিপুরি জাতিসত্তার নানা উৎসব মুখরিত জীবন এবং সামাজিক জীবনের এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি মণিপুরি নৃত্য। আদি প্রবাহে বহমান মণিপুরি নৃত্যের ভাবভক্তি উঠে আসে এই প্রযোজনায়। 

নৃত্য-উৎসবের সন্ধ্যায় ওড়িশি নৃত্য পরিবেশন করে চট্টগ্রামের ওড়িশি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার। প্রমা অবন্তীর পরিচালনায় এদিন তারা পরিবেশন করে ওড়িশি নৃত্যের সর্বশেষ ধাপ ‘মোক্ষ্য’। ভারতীয় দর্শন মতে ‘নির্বাণ’ লাভই হলো মনুষ্য জীবনের চরম পথ। সেই উদ্দেশ্যে সারা জীবনের সাধনার মাধ্যমে মনুষ্য জীবন পৌঁছে যেতে পারে সেই কাঙ্ক্ষিত বা অভীষ্ট লক্ষ্যে। বিশুদ্ধ নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে শিল্পী ছন্দ, গতি, লয় ও তাল, এই চতুষ্টয়ের সমন্বয়ে ফুটিয়ে তোলেন মোক্ষ্য বা নির্বাণের আকাঙ্ক্ষা। শিল্পী মুক্তি লাভের চরম পর্যায়ে পৌঁছে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আত্মোৎসর্গ করেন স্রষ্টার চরণে। রাগ বাগেশ্রী, তাল একোতালিতে নির্মিত ‘মোক্ষ্য’ পরিবেশনায় অংশ নেন ময়ূখ সরকার, দিয়া দাশগুপ্তা, অর্জিতা সেন চৌধুরী, ঈশিকা দাশ ও প্রমা অবন্তী। ওড়িশি নৃত্যে ‘মঙ্গলাচরণ’ পরিবেশন করে বেনজীর সালামের দল নৃত্যছন্দের সদস্য জসিম উদ্দিন ও আফিয়া ইবনাত হালিম। রাগ মেঘ, কেদার ও তাল একতালিতে নির্মিত এই প্রযোজনায় তারা উপস্থাপন করেন গণেশ বন্দনা। পরে নৃত্যছন্দ রাগ হংসধ্বনি ও তাল একতালিতে ‘হংসধ্বনি পল্লবী পরিবেশন করে। 

গৌড়ীয় নৃত্যে ‘শিবনামাবলি’ পরিবেশন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক র‍্যাচেল প্রিয়াঙ্কা প্যারিস। বাংলা সাহিত্যের অনন্য মঙ্গলকাব্য ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রচিত ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যগ্রন্থের শিবের বহুনামসংবলিত নামাবলির খণ্ডিত অংশ এ নৃত্যে উপস্থাপিত হয়। রাগ শুদ্ধবঙ্গাল, তাল- বাংলার তাল দাশপাহারিতে পরিবেশিত হয় এ নৃত্য প্রযোজনা। 

পাখোয়াজ অঙ্গের ১৪ মাত্রার তাল ধামারে কথক পরিবেশন করেন হাসান ইশতিয়াক ইমরান। ‘মেলবন্ধন’ শিরোনামে ওই প্রযোজনায় উত্তর ভারতের কথকের জয়পুর ও লক্ষ্ণৌ ঘরানার উভয় শৈলীর বিভিন্ন উপাদান পরিবেশিত হয়। জয়পুর ও লক্ষ্ণৌ ঘরানার বোলের সমন্বয়ে নির্মিত ঠাট, আমদ, টুকরা, তেহাই, পরন, লাড়ি দিয়ে সাজানো হয়েছে এই নৃত্যশৈলী। 

এ যেন ক্ষুদে বই পোকাদের মিলনমেলা

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ এএম
এ যেন ক্ষুদে বই পোকাদের মিলনমেলা
ছবি: খবরের কাগজ

সময়টা শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা। হেমন্তের সকালের সূর্যটা সবেমাত্র প্রখরতা ছড়াতে শুরু করল। তবে মেঘেদের ছোটাছুটি থাকায় আকাশটা ঘোমট বেঁধে ছিল। যেন বৃষ্টি আসবে আসবে ভাব। এরই মধ্যেই চট্টগ্রাম মহানগরের নিউ মার্কেট সংলগ্ন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল এণ্ড কলেজ প্রাঙ্গনে একে একে আসতে শুরু করল শিক্ষার্থীরা। কেউ অভিভাবকের সঙ্গে, কেউবা আবার বন্ধুদের সঙ্গে দলবেঁধে। সবার চোখে মুখে সে কী উচ্ছ্বাস, আনন্দ। সারিবদ্ধভাবে সবাই আসন গ্রহণ করল। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হলো অনুষ্ঠান। এরপর অতিথিদের বক্তব্য। তারপরই শুরু হলো কাঙ্খিত সেই মুহুর্তের পালা। 

এক এক করে শিক্ষার্থীরা ডাক পাচ্ছে মঞ্চে। তাইতো লাইনে দাঁড়িয়ে সবাই কানে কানে কথা বলছে। কার পুরস্কার কী হতে পারে এসব যেন তাদের ভাবনার বিষয় হয়ে পড়েছে। দেশবরেণ্য অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদসহ মঞ্চ অলঙ্কিত করেছেন অতিথিরা। তাদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করছেন শুভেচ্ছা অভিনন্দন ও সেরা পাঠক পুরস্কার। পুরস্কার পেয়েই শিক্ষার্থীরা বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছেন। কেননা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে নানা বিষয়ে পছন্দের সব বই, ক্রেষ্ট আর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সনদ। যেখানে লেখা আছে তাদের বই পড়ে কৃতিত্ব অর্জনের কথা। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন আয়োজিত স্কুল কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ-২০২৪ এ এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। যেখানে সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর মিলন ঘটেছে। পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে নগরের ৯৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মিউনিসিপ্যাল স্কুল এণ্ড কলেজের মাঠ। 

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, সমাজকর্মী ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাষ্টি পারভীন মাহমুদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ মোহাম্মদ আলী, রিহ্যাবের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুল আউয়াল, গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম সার্কেল বিজনেস হেড সামরিন বোখারী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাহেদুল কবির চৌধুরী ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন। 

কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বইপড়া কর্মসূচিতে কৃতিত্বের জন্য চট্টগ্রাম মহানগরের ৫ হাজার ৫০৩ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করেছে  বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ছেচল্লিশ বছর ধরে সারাদেশে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নানাবিধ উৎকর্ষ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।বর্তমানে সারাদেশে এই কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১৭০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ লাখ ৫০ হাজার ছাত্রছাত্রী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বইপড়াকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুরস্কারের ব্যবস্থা। গতবছরও সমসংখ্যক শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সবসময় আলোকিত মানুষ তৈরি করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। 

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, সুন্দর স্বপ্নে ভরা বই আমরা তোমাদের হাতে তুলে দিয়েছি। এসব বই একেকটি জ্ঞানের আধার। উন্নত জাতি গঠনে নতুন নতুন জ্ঞানের প্রয়োজন। জ্ঞান ছাড়া একটি জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। তাই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বই পড়ার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে যাচ্ছে। 

কর্মসূচির নিয়মানুসারে সেরাপাঠক বিজয়ীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে প্রতি ১০ জনে একটি বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রতি পর্বে একজন অভিভাবককে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন। 

এম কে মনির/মাহফুজ/এমএ/

ঠাকুরগাঁওয়ে ঐতিহ্যবাহী ধামের গানের উৎসব

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৯ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ে ঐতিহ্যবাহী ধামের গানের উৎসব
ঠাকুরগাঁওয়ে ঐতিহ্যবাহী ধামের গানের উৎসবে পারফর্মরত দুই শিল্পী। ছবি: খবরের কাগজ

ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রামবাংলার পুরোনো ঐতিহ্যবাহী ধামের গানের উৎসব শুরু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর কার্তিক মাসে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বছরের পর বছর ধরে ধামের গানে সমাজের অসঙ্গতি এবং পরিবারের সুখ দুঃখের গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়। 

এই অনুষ্ঠানে ছেলে শিল্পীরা মেয়ে সেজে অভিনয় করে মজাদার পরিবেশ সৃষ্টি করেন। এতে আনন্দ ও বিনোদনের পাশাপাশি গ্রামীণ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সদরের আকঁচা, ঢোলারহাট, রহিমানপুরসহ বিভিন্ন স্থানে খোলা আকাশের নিচে কিংবা শামিয়ানার নিচে মাটিতে বসে মানুষজন রাতভর উপভোগ করছেন এই ধামের গান।

এক দর্শক গীতা রায় বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হলে এই উৎসবগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ।
 
বৃদ্ধ দর্শক শাহীন হোসেন বলেন, ছেলেবেলা থেকেই ধামের গান দেখে আসছি। এবারও এসে খুব ভালো লাগছে।
 
তবে স্থানীয় শিল্পীরা জানান, আর্থিক সংকটের কারণে এই আয়োজনের পরিসর দিন দিন ছোট হয়ে আসছে।

ধামের গানের শিল্পী ভুপেন চন্দ্র জানান, আমরা ছোটবেলা থেকেই ধামের গানে পারফর্ম করছি। কিন্তু আর্থিক সংকটের জন্যে এখন অনেকেই এর পেছনে সময় দিতে পারছেন না। সরকারি সহযোগিতা পেলে এটি আরও বড় পরিসরে করা সম্ভব।

আরেক শিল্পী সুকুমার বলেন, এই চর্চা টিকিয়ে রাখা খুব কষ্টকর হয়ে পড়ছে। অনেক কষ্ট করে এই উৎসব আয়োজন করি। যদি সহযোগিতা পেতাম, তাহলে আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিটা আরও সমৃদ্ধভাবে উপস্থাপন করতে পারতাম।

এই উৎসব সম্পর্কে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, সুস্থ ধারার এই গ্রামীণ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে এবং ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।

নবীন হাসান/সুমন/অমিয়/

রাজধানীতে সপ্তাহব্যাপী যাত্রা উৎসব

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম
রাজধানীতে সপ্তাহব্যাপী যাত্রা উৎসব
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সপ্তাহব্যাপী চলবে যাত্রা উৎসব। ছবি: সংগৃহীত

‘যদি তুমি ভয় পাও, তবে তুমি শেষ। যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ’-এই প্রতিপাদ্যে রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে হবে সপ্তাহব্যাপী যাত্রা উৎসব। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এ উৎসব আগামী ১ নভেম্বর শুরু হয়ে চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। 

উৎসবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিবন্ধিত ৭টি যাত্রা দল প্রতিদিন একটি করে ‘ঐতিহাসিক ও সামাজিক’ ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত যাত্রাপালা পরিবেশন করবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যাত্রাপালা পরিবেশিত হবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করবেন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ইসরাফিল মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট যাত্রা শিল্পী অনিমা দে। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জাহির।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মহাপরিচালক, নাট্য নির্দেশক ও শিক্ষক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।  

উৎসবের প্রথম দিন সুরুভী অপেরা পরিবেশন করবে ‘নিহত গোলাপ’, শনিবার নিউ শামীম নাট্য সংস্থা পরিবেশন করবে ‘আনার কলি’। ৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) যাত্রাবন্ধু অপেরা পরিবেশন করবে ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’।

শিল্পকলা একাডেমি বলছে, লোক ঐতিহ্যের এক সমৃদ্ধ রূপায়ন যাত্রাপালা। ঐতিহ্য, চিন্তা, মূল্যবোধকে ধারণ করেই যাত্রাপালার বিস্তার। আবহমান বাংলার চিরায়ত লোকসংস্কৃতির অন্যতম শাখা যাত্রাপালা বরাবরই গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত। তৃণমূল মানুষের অন্তরে বাস্তবিক উন্নয়নের এক দর্পণ স্বরূপ কাজ করে যাত্রাপালা।

জয়ন্ত/সালমান/

 

বাংলা একাডেমিতে যোগ দিলেন আবুল কাসেম ফজলুল হক

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম
আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম
বাংলা একাডেমিতে যোগ দিলেন আবুল কাসেম ফজলুল হক
আবুল কাসেম ফজলুল হককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। ছবি : খবরের কাগজ

বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক-গবেষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক আজ বাংলা একাডেমির সভাপতি পদে যোগ দিয়েছেন।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বাংলা একাডেমির সভাপতির কক্ষে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, সচিব মোহা. নায়েব আলী এবং একাডেমির বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকরা।  

অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘বাংলা একাডেমি প্রকৃত অর্থেই জাতির মননের প্রতীক। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের পর জাতীয় অভিপ্রায়ে বাংলা একাডেমির জন্ম হয়। পাকিস্তান রাষ্ট্রের ঘেরাটোপে থেকেও একাডেমি তার স্বাধীন সত্তা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছে এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে গবেষণা ও অনুবাদ কার্যক্রমে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলা একাডেমির সঙ্গে আমার সম্পর্ক বহুযুগের। এখন এ সম্পর্কে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। আমি মহাপরিচালক এবং একাডেমি পরিবারের সবার সহায়তায় আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করে যাব।’ 

উল্লেখ্য, অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক আগামী তিন বছরের জন্য বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। 

জয়ন্ত/সালমান/

আবুল কাসেম ফজলুল হক বাংলা একাডেমির নতুন সভাপতি

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম
আবুল কাসেম ফজলুল হক বাংলা একাডেমির নতুন সভাপতি
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক

বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

রবিবার (২৭ অক্টোবর) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি আইন-২০১৩ অনুযায়ী কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে তিন বছরের জন্য তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হলো।

আবুল কাসেম ফজলুল হক ১৯৪০ সালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ১৯৬১ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিজ্ঞানে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন।

আবুল কাসেম ফজলুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘ চার দশক শিক্ষকতা করেছেন। 

তিনি ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

অমিয়/