ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রবীন্দ্রময় এক আষাঢ়সন্ধ্যা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
রবীন্দ্রময় এক আষাঢ়সন্ধ্যা
রবীন্দ্রনাথের গান ও গল্পের অনুষ্ঠানে মূল পরিবেশনা। ছবি: মামুন হোসেন

বিকেলটা ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। সন্ধ্যা নামতেই মেঘ গুড়গুড় আষাঢ় স্বরূপে প্রকাশিত। শুরু হলো ঝুম বৃষ্টি। সিলেট মহানগরীর বন্দরবাজারে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে যারাই এসেছিলেন বেশির ভাগের হাতেই ছিল ছাতা। যাদের ছাতা নেই, তাদের গায়ে-কাপড়ে বৃষ্টির ফোঁটা। ঠিক সন্ধ্যা ৭টায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কৈশোর থেকে পাঠ করা শুরু করলেন প্রখ্যাত রবীন্দ্র গবেষক প্রীতম সেনগুপ্ত। ভারতীয় এই সাধক-গবেষকের কথাই ছিল রবীন্দ্রনাথের গানের গল্প। গায়ক রবীন্দ্রনাথকে জানতে পাঠের শুরুতেই তিনি উপস্থিত দর্শকদের বলে দিলেন পাঠের পর বা গানের পর কেউ যেন করতালি না দেন। তালি দিয়ে অনুষ্ঠানের তাল নষ্ট না করার বিনয়ী অনুরোধ জানালেন। শেষ পর্যন্ত তা-ই হয়। রবীন্দ্রনাথের গান ও গল্পকথায় রবীন্দ্রময় আষাঢ়সন্ধ্যা গড়ায় রাত পর্যন্ত। 

গত শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের সূচনা রবীন্দ্রনাথের জীবনালেখ্য বিষয়ে গবেষক প্রীতম সেনগুপ্তের পাঠের মধ্য দিয়ে। ‘কবি তখন তার মধ্য কৈশোরে। ইতোমধ্যেই উপনয়ন হয়ে গিয়েছে। পিতৃদেবের সঙ্গে হিমালয়-যাত্রা সেরে ফিরেও এসেছেন। ফিরে সেন্ট জেভিয়ার্সে ভর্তি হয়ে তিন মাস পর স্কুলের পাট চিরকালের মতো অসমাপ্ত রেখে স্কুল ত্যাগ করেছেন। ততদিনে শিখ-ভজন ভেঙে একটি ব্রহ্মসংগীত রচনা তার ঝুলিতে সঞ্চয় হয়েছে। মাতা সারদা দেবীকে হারিয়েছেন। ম্যাকবেথ, কুমারসম্ভব, শকুন্তলা অনুবাদ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে নতুন দাদার ‘সরোজিনী’ নাটকের জন্য গান রচনা করেছেন। আবার পাশাপাশি এই কালেই পিতার সঙ্গে শিলাইদহে তার প্রথম যাত্রা। শুধু তো যাওয়া নয়, সঙ্গে রয়েছে ‘গীতগোবিন্দ’। নিজেই বলেছিলেন সেই যাত্রাপথের কথা। “একদিন মধ্যাহ্নে খুব মেঘ করিয়াছে। সেই মেঘলাদিনের ছায়াঘন অবকাশের আনন্দে বাড়ির ভিতরে এক ঘরে খাটের উপর উপুড় হইয়া পড়িয়া একটা স্লেট লইয়া লিখিলাম ‘গহন কুসুম-কুঞ্জ-মাঝে’। লিখিয়া ভারি খুশি হইলাম।”

এসব কথামালার ব্যাপ্তি ছিল ৫ মিনিট। পাঠের পর শুরু হয় সংগীত।  বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী জয়ীতা তিথি গান ধরলেন ‘শাওন গগনে ঘোর ঘনঘটা, নিশীথয়ামিনী রে...।’ মিলনায়তনে পিনপতন নীরবতা। গান শেষে আবারও রবীন্দ্র পাঠ। জানা গেল, আমাদের এই দুই বাংলার যত ঋতুবৈচিত্র্য আছে, সব ফুটে উঠেছে রবীন্দ্রনাথের লেখায়। ঋতুভিত্তিক মোট ২৮৩টি আর বর্ষার ১১৫টি গান লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ। ১৬ বছর বয়সে বর্ষার প্রথম গান লেখেন। বর্ষার গান বেশির ভাগ লিখেছেন ৬০ বছর বয়সের পর। 

এমন আরও নানা তথ্য ও গল্প ছিল পাঠে। এসব পাঠের মাধুর্য বাড়ায় সংগীতশিল্পী জয়ীতা তিথির গাওয়া ১৩টি রবীন্দ্রসংগীত। ‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে আঁধার করে আসে’ গানে শেষ হয় ২ ঘণ্টাব্যাপী ‘রবীন্দ্রনাথের প্রিয় ঋতু বর্ষায় গল্প-গানে আষাঢ়সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠান। 

সিলেটকে বলা হয় বৃষ্টির শহর। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ তার অনেক লেখায় সিলেটকে বৃষ্টির শহর বলে আখ্যায়িত করেছেন। তারও অনেক আগে রবীন্দ্রনাথের পদস্পর্শধন্য হয়েছিল সিলেট। তার গান ও গল্পগাঁথার এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আষাঢ়ের সন্ধ্যায় স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের আগমন হৃদয় দিয়ে উপভোগ করেছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত রবীন্দ্রসংগীতপ্রিয় মানুষজন। আয়োজন নিয়ে এভাবেই বলছিলেন অনুষ্ঠান আয়োজক ‘চৈতন্য প্রকাশন’-এর স্বত্বাধিকারী রাজীব চৌধুরী। চৈতন্য প্রকাশন আয়োজিত ‘বহুযুগের ওপার হতে আষাঢ় এল’ শীর্ষক এ আয়োজনের সর্বশেষ ধাপের অনুষ্ঠান ছিল সিলেটে। এর আগে রাজধানী ঢাকায় ও সংস্কৃতির শহরখ্যাত সুনামগঞ্জে দুটো অনুষ্ঠান  হয়েছে। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। মঞ্চসজ্জা করেন অরূপ বাউল। বাংলাদেশ বেতারের সংবাদ পাঠক ও উপস্থাপক জান্নাতুল নাজনীন আশার সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সূচনা পর্বে বক্তৃতায় রাজীব চৌধুরী বলেন, “আমরা মূলত বই প্রকাশনা নিয়ে কাজ করি। এ ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন এবারই প্রথম করেছি। গত ২ জুলাই ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আমরা ‘আমার কণ্ঠ হতে গান কে নিল’ শীর্ষক রবীন্দ্র গল্প-গানের আয়োজন করি। এরপর গত ৫ জুলাই সুনামগঞ্জের শিল্পকলা একাডেমির হাসন রাজা মিলনায়তনে আমাদের দ্বিতীয় আয়োজন ছিল। সিলেটের এই আয়োজনের মাধ্যমে শেষ হলো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের প্রতি আমাদের নিবেদন।”

চিত্রনায়ক উজ্জ্বলের হাতে তুলে দেওয়া হলো বীরাঙ্গনা সখিনা অ্যাওয়ার্ড

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ এএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ এএম
চিত্রনায়ক উজ্জ্বলের হাতে তুলে দেওয়া হলো বীরাঙ্গনা সখিনা অ্যাওয়ার্ড
চিত্রনায়ক উজ্জ্বলের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড

প্রশংসনীয় ও গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের হাতে পদক ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার ( ১৪ সেপ্টেম্বর ) বিকালে রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসভবনে বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকারের হাত থেকে এই অ্যাওয়ার্ড ও সনদ গ্রহণ করেন তিনি।

এ সময় কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান, লেখক ও পেন অ্যাওয়ার্ড অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিনের সম্পাদক প্রফেসর ড. আবু রায়হান (রায়হান শরীফ), গৌরীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হুদা লিটন এবং এসিক ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ শাহ  উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম মেগাস্টার বলা হয় উজ্জ্বলকে। তার পুরো নাম আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল বলেন, আমার বাড়িতে এসে আমার হাতে সম্মাননা তুলে দিলেন এ জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ। চলচ্চিত্র শিল্পের সুখকর সময় ছিল অতীতে। 

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন বীরাঙ্গনা সখিনা সিনেমার নায়ক ও একটা অংশের মালিক ছিলেন তিনি। বর্তমানে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এই সিনেমার একটি কপিও নেই। সব ধ্বংস হয়ে গেছে। 

গত ৩০ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের শহিদ সাহাব উদ্দিন মিলনায়তনে দেশের ১৮ জন গুণীব্যক্তিকে বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তার ব্যাক্তিগত কারণে যোগ দিতে পারেননি অভিনেতা উজ্জ্বল। 

বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ও গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। 

নায়ক  উজ্জ্বল শিল্পকলা, শিক্ষা, ভাষা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও প্রশংসনীয় অবদান রাখায় বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০২০ এর জন্য মনোনীত করেছে দ্য ইলেক্টোরাল কমিটি ফর বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড।

অমিয়/

লেখক-সাংবাদিক উর্মি রহমান আর নেই

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
লেখক-সাংবাদিক উর্মি রহমান আর নেই
উর্মি রহমান

বিবিসির সাবেক সাংবাদিক ও বিশিষ্ট লেখক উর্মি রহমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভারতের কলকাতায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

উর্মি রহমানের জন্ম খুলনায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। শিল্প-সাহিত্যের সঙ্গে মিলেমিশে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন লন্ডন থেকে আন্তর্জাতিক বাংলাভাষীর পরিমণ্ডলে।

উর্মি রহমানের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘যুদ্ধাপরাধ দেশে দেশে’,  ‘ব্রিকলেন : বিলেতের বাঙালিটোলা’, ‘আমাদের সময় নারীমুক্তির প্রশ্নে’, ‘পাশ্চাত্যে নারী আন্দোলন’, ‘সমান্তরাল’, ‘অতিথি’, ‘এদেশে বিদেশে’। সম্প্রতি বিলেতের প্রকাশক ফ্রান্সিস লিঙ্কন প্রকাশ করেছে উর্মি রহমানের শিশুতোষ গ্রন্থ ‘বি ইজ ফর বাংলাদেশ’।

বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকদের মধ্যে অগ্রগণ্য উর্মি রহমান

উর্মি রহমানের সাংবাদিকতার শুরু দৈনিক সংবাদ দিয়ে। এরপর কাজ করেন পিআইবি, উইকলি হলিডে এবং বিবিসি রেডিওতে। দীর্ঘদিন সাপ্তাহিক বিচিত্রায় টেলিভিশনের অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনা লিখেছেন। কলাম লিখেছেন দৈনিক জনকণ্ঠে। প্রায় এক যুগ ধরে স্বামী সাগর চৌধুরীকে নিয়ে কলকাতায় বাস করছিলেন তিনি।

জয়ন্ত সাহা/সালমান/

সিলেটে চারণের ‘দ্রোহকালে বাউল করিম’

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
সিলেটে চারণের ‘দ্রোহকালে বাউল করিম’
বাউল সাধক শাহ আব্দুল করিমের ১৫তম প্রয়াণ দিবস স্মরণে ‘দ্রোহকালে বাউল করিম’

চারণ সিলেট জেলার উদ্যোগে বাউল সাধক শাহ আব্দুল করিমের ১৫তম প্রয়াণ দিবস স্মরণে ‘দ্রোহকালে বাউল করিম’ আয়োজন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে চারণ সিলেট জেলার আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানার সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনাসভা শেষে প্রথমে চারণের শিল্পীরা বাউল সাধক আব্দুল করিমের গান পরিবেশন করেন। পরবর্তীতে অতিথি শিল্পীরা বাউল করিমের গান পরিবেশন করেন।

চারণ সিলেট জেলার সদস্য মাসুদ রানার সঞ্চালনায় সভায় আলোচনা করেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, বাসদ জেলা আহবায়ক আবু জাফর, উদীচী জেলা সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল মিন্টু, বাসদ জেলা সদস্য সচিব ও বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ জেলা আহবায়ক প্রণব জ্যোতি পাল।

‘দ্রোহকালে বাউল করিম’ বিষয়ে আলোচনায় আলোচকরা বলেন, শাহ আব্দুল করিম শোষনমুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনায় মানবমুক্তির জন্য গান লিখেছেন। তিনি যেমন গ্রামীণ মানুষের জীবন সংগ্রাম তুলে ধরেছেন গানে তেমনি সমাজের কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, শোষণের বিরুদ্ধে গান রচনা করেছেন। যা আজও আমাদের লড়াই সংগ্রামের অনুপ্রেরণা যোগায়।

আলোচকরা বলেন, বাউল সাধক আব্দুল করিমের জীবনদশায় মৌলবাদীদের দ্বারা নিগৃহীত হয়েছেন বারবার কিন্তু তিনি গান লেখা বন্ধ করেননি। তিনি মানুষের মুক্তির কথা, সমাজের অসংগতির কথা তুলে ধরেছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। 

বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষে ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৫ বছরের স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। কিন্তু এখনো সব ক্ষেত্রে যে বৈষম্য তা দূর করতে, বিজ্ঞানভিত্তিক শোষণমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক সমাজ নির্মাণে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা জরুরি। চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সব প্রগতিশীল চিন্তার মানুষদের যুক্ত করে সেই লড়াই চালিয়ে যেতে চায়। এ ক্ষেত্রে বাউল আব্দুল করিম হলেন অনুপ্রেরণা।  

শাকিলা ববি/অমিয়/

ভাটি অঞ্চলের প্রবাদ পুরুষ

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৩ এএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৮ এএম
ভাটি অঞ্চলের প্রবাদ পুরুষ
আজ সুনামগঞ্জের প্রবাদ পুরুষ বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ছবি: খবরের কাগজ

চলিতে চরণ চলে না, দিনে দিনে অবশ হই.../ আগের বাহাদুরি এখন গেল কই?
মাথায় চুল পাকিতেছে, মুখের দাঁত নড়ে গেছে / চোখের জ্যোতি কমেছে, মনে মনে ভাবি চশমা লই.../ মন চলে না রঙ তামাশায়, আলস্য এসেছে দেহায় / কথা বলতে ভুল পড়ে যায়, মধ্যে মধ্যে আটক হই.../ আগের বাহাদুরি এখন গেল কই?

মানবজনমের আয়ুরেখার শেষের দিকে এসে মানুষের আত্মোপলব্ধির কঠিন কথাগুলো এভাবেই সহজ-সরল ভাষায় লিখে গেছেন বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম। একইভাবে ‘তুমি মানুষ আমি মানুষ- সবাই এক মায়ের সন্তান- এসব নিয়া দ্বন্দ্ব কেন, কেউ হিন্দু কেউ মুসলমান’। অথবা ‘গাড়ি চলে না চলে না চলে না রে গাড়ি চলে না’। ‘বসন্ত বাতাসে সই হো’। এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের রচয়িতা তিনি।

সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঘুণে ধরা কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজে জন্ম নিলেও আলো জ্বালিয়েছেন গানের মাধ্যমে। গানে গানে তুলে ধরেছেন মেহনতি মানুষের কথা, মানবতার কথা, মানুষে মানুষে প্রেমের কথা। প্রায় এক যুগ আগে এই পৃথিবী থেকে ভাটি বাংলার এই প্রবাদ পুরুষ বিদায় নিলেও তার সৃষ্টিকর্ম আজও দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী আলো ছড়াচ্ছে। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামের কালনী নদীর তীর থেকে তার সুর ভেসে বেড়াচ্ছে ইউরোপ, আমেরিকায়। 

আজ বৃহস্পতিবার সেই প্রবাদ পুরুষ বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

সুনামগঞ্জ একটি হাওরবেষ্টিত জনপদ। এই জনপদে বর্ষায় এক রূপ আবার শীতকালে অন্য রূপ। বর্ষায় সুনামগঞ্জের হাওরের থইথই জলরাশি বাতাসে আছড়ে পড়ার সুর যেমন আছে আবার তেমনি শীতকালে এই একই হাওরে দিগন্তবিস্তৃত ফসলের মাঠে সুর ভাসে, তাল-লয় ভেসে বেড়ায় একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। ভৌগোলিক কারণেই সুনামগঞ্জের আলো, বাতাস, হাওর, ফসলের মাঠ সুর, তাল, লয় সর্বোপরি লোকগানের জন্য উর্বর ভূমি। তাইত এই জনপদে কালে কালে জন্ম নিয়েছেন বৈষ্ণব কবি রাধা রমণ দত্ত, মরমী কবি হাছনরাজা, দুর্বিণ শাহ। শাহ আব্দুল করিম তাদেরই একজন। তবে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম তাদের থেকে স্বতন্ত্র এবং আলাদা তিনি তার সৃষ্টিকর্মে পরিচয় দিয়েছেন। 

উজানধল গ্রামটি বর্ষাকালে চারদিকে থইথই পানি থাকে। দূর থেকে দেখলে অনেকটা দ্বীপের মতো দেখায়। বর্ষাকালে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের বাড়িতে নৌকা ছাড়া যাওয়ার আর কোনো পথ থাকে না। ২০২৩ সালে এসেও দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রাম এখনো অনেকটা দুর্গম এলাকা অথচ প্রায় এক শ বছর আগে জন্ম নেওয়া এই মানুষটি নানান অভাব-অনটন, দুঃখ-দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে উঠলেও নিজের সৃষ্টিকর্ম দিয়ে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে পরিবারের অভাব অনটনের কারণে গ্রামে রাখালের কাজ করতেন। তার বয়স যখন ১২ বছর তিনি রাখালের কাজ ছেড়ে গ্রামের পার্শ্ববর্তী ধলবাজারের এক মুদির দোকানে কাজ করেন। মূলত জীবনের চরম বাস্তবতা থেকে তিনি গান রচনা ও গাওয়ার অনুপ্রেরণা পান। তার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা না থাকলেও তিনি ছিলেন স্বশিক্ষিত। 

 প্রথম জীবনে তিনি গ্রামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এলাকায় এলাকায় ঘুরে বাউলা গান গাইতেন। তার সহজ সরল ভাষার গান, মাটি ও মানুষের মনের কথা খুব সহজে আপামর মানুষের মনে জায়গা করে নেয় এবং পরে পুরো ভাটি অঞ্চলে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তার গানে মুগ্ধ হয়ে জনতা ও বাউলরা তাকে বাউল সম্রাটের উপাধি দেন। 

আব্দুল করিম ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সময় গণসংগীত গেয়ে লাখো তরুণকে উজ্জীবিত ও সংগঠিত করেছেন। একটা সময় এই বাউল সম্রাট গান গাওয়ার জন্য ধর্মান্ধদের হাতে বারবার নির্যাতিত হয়েছিলেন, হয়েছেন গ্রাম ছাড়া, ঘর ছাড়া। 

সুনামগঞ্জের কবি ও গবেষক সুখেন্দু সেন বলেন, ‘আব্দুল করিম ভাটি অঞ্চলের প্রবাদ পুরুষ। তিনি প্রায় এক শ বছর আগে সুনামগঞ্জের একটি দুর্গম এলাকায় জন্মগ্রহণ করলেও তিনি সব প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে তার সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে আলো ছড়াচ্ছেন বিশ্বময়। তবে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে আব্দুল করিমকে পরিচয় করাতে হবে। পরিচয় করাতে হবে তার গানগুলোকে শুদ্ধভাবে। তিনি তার গান, গানের কথা যেভাবে লিখে গেছেন, গেয়ে গেছেন সেগুলো চর্চা করাতে হবে। 

বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের একমাত্র ছেলে শাহ নূর জালাল বলেন, ‘এ বছর বাবার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে। এ উপলক্ষে বাবার মাজারে ফুল দেওয়া, মিলাদ মাহফিল এবং ভক্তরা গানের আয়োজন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাবার জন্মভিটায় প্রতি বছর বাবার ভক্তরা আসেন। সেই সঙ্গে দেশ-বিদেশ থেকে অনেক মানুষ আসেন। কিন্তু পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ঠিকমতো বসতে বা থাকতে দিতে পারি না। বাবার নামে একটি একাডেমি হওয়ার কথা ছিল সেটাও হচ্ছে না। তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, আব্দুল করিম একাডেমি এবং ভক্ত ও পর্যটকদের জন্য থাকার একটি ভবন বানিয়ে দিলে মানুষের উপকার হতো এবং বাবার প্রতি সম্মান জানানো যেত। 

সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জরুল হক চৌধুরী পাভেল বলেন, ‘তার স্মৃতি রক্ষার্থে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি, সরকার চলতি বছরই এ ব্যাপারে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেবে। জেলা শিল্পকলা একাডেমি সুনামগঞ্জ আগামীকাল (আজ) সংগীতের ক্লাসে গানে গানে আব্দুল করিমকে স্মরণ করবে।

জাতীয় সংগীত গেয়ে প্রতিবাদ উদীচীর

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ এএম
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮ এএম
জাতীয় সংগীত গেয়ে প্রতিবাদ উদীচীর
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সাধারণ আবৃত্তিশিল্পীর ব্যানারে জাতীয় সংগীত পরিবেশন। ছবি: মাসুদ মিলন

একই সময়ে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত নিয়ে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানী ছাড়াও জেলায় জেলায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে নিরাপত্তাহীনতায় সিলেট ও বরিশালে এ কর্মসূচি পালিত হয়নি।

ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীত পাশের সড়কে উদীচীর কেন্দ্রীয় শিল্পীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।

এ ছাড়া তারা সমবেত কণ্ঠে একাত্তরের রণাঙ্গনের গান করেন। এ কর্মসূচিতে জাতীয় খেলাঘর আসরসহ বিভিন্ন সংগঠন অংশ নেয়।

এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে অংশ নেন।

গত মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে ‘স্বাধীনতার অস্তিত্বের পরিপন্থি’ আখ্যা দিয়ে তা পরিবর্তনের দাবি জানান জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী। তিনি প্রশ্ন তোলেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের সংখ্যা নিয়েও। বাহাত্তরের সংবিধান ‘বৈধ নয়’ মন্তব্য করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করারও দাবি জানান সেনাবাহিনীর সাবেক এই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। 

এর প্রতিবাদ জানাতে থাকেন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে উদীচী।

শুক্রবার সকালে জেলায় জেলায় ও বিদেশে উদীচীর শাখা সংসদের শিল্পী-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ একসঙ্গে এই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন বলেও জানায় সংগঠনটি। 

ঢাকায় কেন্দ্রীয় আয়োজনে সূচনা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। পরে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

এ ছাড়া শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে একে একে গেয়ে শোনান স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান ‘মাগো ভাবনা কেন’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে’ প্রভৃতি। আবারও জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

উদীচীর সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের অর্জন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যখনই কোনো আঘাত আসবে, আমরা তার প্রতিবাদ করব। আমাদের জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা কারও দানে পাওয়া নয়। লাখো শহিদের রক্তে পাওয়া এ আমাদের অর্জন। এ অর্জনকে কোনোভাবেই কলঙ্কিত করা যাবে না। যখনই কেউ মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সংগীতে আঘাত করবে। আমরা তার প্রতিবাদ করবই।’

নিরাপত্তাহীনতায় সিলেটে গাওয়া হয়নি জাতীয় সংগীত 
সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন সিলেটের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার কারণে এ কর্মসূচি পালন করা হয়নি।

আয়োজকদের একজন নাট্যকর্মী অরূপ বাউল বলেন, ‘গত ৫ সেপ্টেম্বর আমরা শহিদ মিনারে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাইতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওই দিন নিরাপত্তাহীনতার কারণে আয়োজনটি করতে না পেরে ৬ সেপ্টেম্বর (গতকাল) কাজী নজরুল অডিটোরিয়ামে করার উদ্যোগ নিই। কিন্তু আমরা পারিনি।’

অরূপ বাউল আরও বলেন, ‘আমরা কোনো নির্দিষ্ট দলের পক্ষে এই আয়োজনের ঘোষণা দিইনি। অনেক নারী ও শিক্ষার্থী জাতীয় সংগীত গাইতে আসবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ফেসবুকে এই আয়োজনকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের আয়োজন বলে প্রোপাগান্ডা চালায় কিছু মানুষ। আমরা জানতে পারি আমাদের আয়োজনে হামলা করতেও তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আমাদের নিরাপত্তা দিতে অপারগতা ছিল। এসব কারণে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার এ আয়োজন স্থগিত করেছি।’

এদিকে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সিলেটের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল মিন্টু বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের একযোগে সারা দেশে জাতীয় সংগীত গাওয়ার কর্মসূচি পালন করতে আমরাও ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে জাতীয় সংগীতের আয়োজন করতে পারিনি।’

বরিশালে জাতীয় সংগীত গায়নি কোনো সংগঠন
বরিশালের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, জাতীয় সংগীত বদলে ফেলার দাবির প্রতিবাদে বরিশালে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়নি। এর কারণ হিসেবে বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ নিরাপত্তার কথা বলেছে।

উদীচী বরিশাল শাখার সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা সব সময় সমবেত কণ্ঠেই জাতীয় সংগীত গেয়ে থাকি। জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে কে কী বলল, তা বিবেচ্য কোনো বিষয় নয়। তবে জাতীয় সংগীত  পরিবর্তনের দাবির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’   

অপরদিকে বরিশালের সাংস্কৃতিক সংগঠনের মোর্চা বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, ‘গোলাম আযমের ছেলে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি করায় বরিশালে সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’