ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সংগ্রহশালা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার দাবি এস এম সুলতানের জন্মশতবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৬ এএম
এস এম সুলতানের জন্মশতবার্ষিকী আজ
নড়াইলে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের সংগ্রহশালা। ছবি: খবরের কাগজ

চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জন্মস্থানে অবস্থিত নড়াইলে শিল্পীর সংগ্রহশালাটি আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তোলার দাবি সুলতান ভক্তানুরাগীদের। এস এম সুলতান ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর মৃত্যুর পর তার নিজের হাতে আঁকা আন্তর্জাতিক মানের অনেক চিত্রকর্ম হারিয়ে যায়।

সেগুলো জেলার বিভিন্ন ব্যক্তিদের বাড়িতে ছিল। পরে এস এম সুলতান সংগ্রহশালা তৈরির পর শিল্পীর আঁকা চিত্রকর্ম বিভিন্নজনের বাড়িতে ও সংগ্রহ থেকে সেগুলো সংগ্রহশালায় সংরক্ষণ করা হয়। এ ছাড়া তার ব্যবহৃত রং-তুলি, বোর্ড, হারমোনিয়াম, লাঠি, পাঞ্জাবি, জুতাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রও সংগ্রহশালায় রয়েছে। তবে শিল্পী এস এম সুলতান শত শত ছবি আঁকালেও সংগ্রহশালায় রয়েছে তার মাত্র ২৩টি চিত্রকর্ম।

সংগ্রহশালা সূত্র জানায়, সংগ্রহশালায় শিল্পী এস এম সুলতানের আঁকা মোট ৭৬টি চিত্রকর্ম রয়েছে। এর মধ্যে শিল্পীর আঁকা ছবি রয়েছে ২৩টি। এ ছাড়া রেপ্লিকা রয়েছে ৫৩টি।

এদিকে অযত্নে শিল্পীর আঁকা ছবিসহ ব্যবহৃত জিনিসপত্র নষ্ট হতে যাচ্ছে। তাই দেশের বরেণ্য চিত্রশিল্পীদের দাবি, নড়াইলে আন্তর্জাতিক মানের সংগ্রহশালা গড়ে তোলা হোক। তা না হলে এস এম সুলতানের আঁকা চিত্রকর্ম বা ব্যবহৃত জিসিনপত্র নষ্ট হয়ে গেলে তা অপূরণীয় ক্ষতি হবে।

এস এম সুলতান শিশুস্বর্গের প্রধান শিক্ষক বলদেব অধিকারী বলেন, ‘এস এম সুলতানের আঁকা চিত্রকর্মগুলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে কিছু ছবি সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। সুলতানের আঁকা চিত্রকর্মগুলো একবার নষ্ট হয়ে গেলে এসব অমূল্য ছবি আর কোথাও পাওয়া যাবে না। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ছবিগুলো সংরক্ষণ করে একটি উন্নতমানের সংগ্রহশালা করে সংরক্ষণ করার দাবি জানান।

এস এম সুলতান বেঙ্গল আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ (অব.) অনাদীবালা বৈরাগী বলেন, ‘এস এম সুলতান ছিলেন বিশ্বমানের চিত্রশিল্পী। তার আঁকা চিত্রকর্মগুলো প্রতিনিয়ত দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সুলতানভক্তরা আসেন। এস এম সুলতানের যে সংগ্রহশালা রয়েছে, তা সংকীর্ণ। এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি সংগ্রহশালা করা হলে সুলতানের ব্যবহৃত জিনিসপত্রসহ আঁকা ছবিগুলো সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।’

নড়াইল এস এম সুলতান সংগ্রহশালার কিউরেটর তন্দ্রা মুখার্জি বলেন, ‘সুলতানের আঁকা ছবি ২০১৪-১৫ সালে পেইন্ট রেস্টুরেশন (দীর্ঘস্থায়ী) করা হয়। ২৩টি ছবির মধ্যে দুটি ছবি পেইন্ট রেস্টুরেশন করা হয়নি। একবার পেইন্ট রেস্টুরেশন করা হলে প্রায় ১৫-২০ বছর পর্যন্তু ভালো থাকে। আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালাটিকে ঘিরে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের সংগ্রহশালা হলে ভালো হবে।’

এদিকে শিল্পী এস এম সুলতানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার কোরআনখানি, শিল্পীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মাজার জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ০২:০০ পিএম
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ও তার চিত্রকর্ম

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৮ মে। ১৯৭৬ সালের আজকের দিনে তিনি মারা যান। 

কিশোরগঞ্জ জেলায় ১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন জয়নুল আবেদিন। তার ডাক নাম ছিল টুনু। ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকির প্রতি ছিল তার দারুণ ঝোঁক। পাখি, পাখির বাসা, মাছ, গরু-ছাগল, ফুল-ফলসহ অনেক কিছুই অনায়াসে এঁকে ফেলতেন নিখুঁতভাবে। শিল্পশিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে তিনি ভর্তি হন কলকাতার আর্ট স্কুলে। পূর্ববঙ্গ থেকে কলকাতার আর্ট স্কুলে পড়তে যাওয়া প্রথম বাঙালি মুসলিম ছাত্র জয়নুল আবেদিন। সেখানে তিনি ড্রইং ও পেইন্টিং বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষাজীবনের শেষবর্ষে সেখানেই শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। 

১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ ভাগ হয়ে যাওয়ার পর জয়নুল আবেদিন ঢাকায় চলে আসেন। আরমানিটোলা নর্মাল স্কুলে শিল্পশিক্ষক হিসেবে চাকরি নেন। 

জয়নুল ১৯৪৮ সালে পুরান ঢাকার জনসন রোডের ন্যাশনাল মেডিকেল স্কুলের একটি জীর্ণ বাড়িতে ১৮ জন ছাত্র নিয়ে ‘গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব আর্টস্’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম শিক্ষক। ১৯৫৬ সালে এটি পূর্ব পাকিস্তান চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে চারুকলা ইনস্টিটিউট এবং বর্তমানে চারুকলা অনুষদ হিসেবে অধিষ্ঠিত রয়েছে। ১৯৭৫ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে লোকশিল্প জাদুঘর এবং ময়মনসিংহে জয়নুল সংগ্রহশালা গড়ে তোলেন।

জয়নুল আবেদিনই বাংলাদেশের অন্যতম অগ্রণী খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী। তার বিখ্যাত ছবিগুলো হচ্ছে দুর্ভিক্ষ-চিত্রমালা, সংগ্রাম, সাঁওতাল রমণী, ঝড় ইত্যাদি। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ নিয়ে আঁকেন তেতাল্লিশের মন্বন্তর। ১৯৬৯ সালে গ্রামবাংলার উৎসব নিয়ে আঁকেন ৬৫ ফুট দীর্ঘ ছবি ‘নবান্ন’। ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে লাখো উপকূলবাসীর মৃত্যুতে ৩০ ফুট দীর্ঘ ‘মনপুরা’র মতো হৃদয়স্পর্শী চিত্র, ফিলিস্তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের দৃশ্যাবলি, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্কেচের কালজয়ী শিল্পী তিনি। ১৯৭২ সালে তাকে বাংলা একাডেমির সভাপতি করা হয়। 

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার ‘কংগ্রেস ফর ওয়ার্ল্ড ইউনিটি’র সদস্য নির্বাচিত হন। চিত্রকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৫৯ সালে পাকিস্তানের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ‘প্রাইড অব পারফরম্যান্স’ পান। ১৯৭৪ সালে তার প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজধানী ঢাকার বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে তার ৭০০ ছবির বিশাল সংগ্রহশালার নাম রাখা হয়েছে ‘জয়নুল আবেদিন গ্যালারি’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদেও (পূর্বতন চারুকলা ইনস্টিটিউট) তার নামে একটি গ্যালারি রয়েছে। 

কলকাতায় মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে নজরুলের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
আপডেট: ২৭ মে ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম
কলকাতায় মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে নজরুলের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
কলকাতার মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ মে) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান ও পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান।

অনুষ্ঠানে ছায়ানট (কলকাতা)-এর পক্ষ থেকে নজরুলের ছবি ও তথ্য সম্বলিত স্মারক মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রাণের কবি নজরুলকে ছায়ানটের শিল্পীরা স্মরণ করেন তাঁর গান ও কবিতায়।

ছায়ানটের সভাপতি সোমঋতার পরিচালনায় সমবেত সঙ্গীতে অংশগ্রহণ করেন - সোমা রায় বর্মন, গৌরী ধর, বিচিত্রা ঘোষ, প্রিয়াঙ্কা পাল, শ্রমণা বিশ্বাস, গোপা মজুমদার, কুহু সেনগুপ্ত, চম্পা মিত্র ও সুরূপা মল্লিক।

তাঁরা পরিবেশন করেন নজরুলের জাগরণমূলক গান।

কবিতা কোলাজ ‘সাম্যবাদী নজরুল’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন তিস্তা দে, দেবযানী বিশ্বাস, সুকন্যা রায়, ইন্দ্রাণী লাহিড়ী, অনিন্দিতা ঘোষ এবং দেবলীনা চৌধুরী।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিয়ালী পাঠক।

১৯৩৪ সালে মহামেডান স্পোটিং ক্লাব লীগ চ্যাম্পিয়ান হওয়ায় ক্রীড়াপ্রেমী কাজী নজরুল ইসলাম ‘মোবারকবাদ’ কবিতাটি রচনা করেছিলেন। এই কবিতা শুধুমাত্র তাঁর ফুটবল-প্রীতির বহিঃপ্রকাশ নয়, তৎকালীন ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তরুণ সমাজকে উজ্জীবিত করেছিলেন নজরুল। নজরুলের ‘মোবারকবাদ’ কবিতাটিতে তারই ইঙ্গিত রয়েছে। এরপর মহামেডান ক্লাব পর পর ৫ বার লীগ জয় করে রেকর্ড তৈরি করে। নজরুল লিখলেন-

এই ভারতের অবনত শিরে তোমরা পরালে তাজ, সুযোগ পাইলে শক্তিতে মোরা অজেয়, দেখালে আজ!
এ কি অভিনব কীর্তি রাখিলে নিরাশাবাদীর দেশে, আঁধার গগনে আশার ঈদের চাঁদ উঠিল যে হেসে!

সওগাত সম্পাদক নাসিরুদ্দীন সাহেব মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সব খেলোয়াড়দের ফটো তুলে, খেলার বিবরণ ও ছবি সহযোগে সওগাতের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করলেন। তখন মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের খেলোয়াড়রা কতটুকু জনপ্রিয় ছিলেন, তা জানা যায় তাঁর স্মৃতিকথায় -

‘বড় সাইজের আর্ট পেপারে সকল খেলোয়াড়ের ছবি ছাপালাম দেয়ালে রাখবার মত করে এবং তা দশ হাজার ছেপে বাজারে ছাড়লাম। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই সব বিক্রি হয়ে গেল। পুনরায় মুদ্রণ করলাম। হাজার হাজার লোকের গৃহসজ্জা হলো মহামেডান দলের এই দেয়াল ছবি। কিছুকাল পরে দেখলাম, আমার উক্ত ছবি হুবহু নকল করে রুমালের ওপর ছাপা হয়ে কলকাতায় এসেছে জাপান থেকে। জাপানে ছাপা এই রুমালগুলিও অসংখ্য পরিমাণে বিক্রি হয়েছিল।’ 

টানা বেশ কয়েক বছর এই দলের বিজয়ী হওয়ার ঘটনা মুসলমান সমাজে নবপ্রাণের সঞ্চার করল।

অমিয়/

ত্রিশালে বৃষ্টিতেও উৎসবমুখর নজরুলের জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
আপডেট: ২৭ মে ২০২৫, ১০:৪৬ এএম
ত্রিশালে বৃষ্টিতেও উৎসবমুখর নজরুলের জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ময়মনসিংহের ত্রিশালের দরিরামপুরে তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজনের দ্বিতীয় দিন সোমবার (২৬ মে) বৃষ্টিতে বিড়ম্বনা উপেক্ষা করে শ্রোতা-দর্শনার্থীরা ভিড় করেন । খবরের কাগজ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ময়মনসিংহের ত্রিশালের দরিরামপুরে তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ মে) বিকেলে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে দরিরামপুর নজরুল মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হায়দার আলী, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) তাহমিনা আক্তার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জিয়া আহমেদ সুমন ও ত্রিশাল সরকারি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। 

এদিকে একই জায়গায় উন্মুক্ত মাঠে বসেছে মেলা। অনুষ্ঠান ও মেলা শুরুর প্রথম দিন বিকেলে মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টির ঘটনা ঘটে। এতে অনুষ্ঠানস্থলে পানি জমে যাওয়ায় দর্শনার্থী ও অতিথিদের মধ্যে কিছুটা বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। তারপরও বিড়ম্বনা উপেক্ষা করেই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলমান থাকে। মেলার মাঠে পানি জমার কারণেও দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ীদের কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তবে ধীরে ধীরে পানি সরে যাওয়ায় আবারও বেচাকেনার ধুম পড়ে।

শেরপুর থেকে এসে মেলায় প্লাস্টিকের ফুলের দোকান দিয়েছেন জহির মিয়া। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘মেলার প্রথম দিন বৃষ্টিপাতে বেচাকেনা তুলনামূলক কম হয়েছে। তবে দ্বিতীয় দিন সোমবার বেচাকেনা বেড়েছে। তিন দিনব্যাপী মেলা হবে। মেলার সময় বাড়িয়ে পাঁচ দিনব্যাপী করা হলে আমাদের জন্য ভালো হতো।’

পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে মেলায় এসেছেন মামুনুর রশীদ। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘কবি নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত এলাকা ত্রিশাল। এ জন্য নজরুলকে নিয়ে আমরা আরও বেশি গর্ববোধ করি। প্রতিবছর এ দিনটির জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকি। অনুষ্ঠান আর মেলা উপভোগ করেন সব শ্রেণি-পেশার লোকজন। পরিবারের সবাই পছন্দের জিনিস কেনাকাটা করবে। তাই মেলায় নিয়ে এসেছি।’

ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান ও মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন কিছুটা বিড়ম্বনার সৃষ্টি হলেও অনুষ্ঠান চলমান ছিল। দ্বিতীয় দিনেও অনুষ্ঠান দেখতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এসেছেন। মেলায়ও দর্শনার্থী বাড়ছে।’

এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার’। গত রবিবার ২৫ মে থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান ও মেলা ২৭ মে পর্যন্ত চলবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

জমকালো আয়োজনে আমরা কুঁড়ি’র ৩৪ বছর উদযাপন

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০৮:৪৫ এএম
জমকালো আয়োজনে আমরা কুঁড়ি’র ৩৪ বছর উদযাপন
আমরা কুঁড়ি’র ৩৪ বছর পূর্তি উদযাপন

শিশুদের কলকাকলি ও আনন্দঘন পরিবেশে জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন আমরা কুঁড়ি’র ৩৪ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।

গত শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।

আমরা কুঁড়ি’র পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান এএসএম কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম।

প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ আলমগীর।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ ও জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি রাশেদা ওয়াহিদ মুক্তা।

বক্তব্য রাখেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মুশতাক আহম্মদ লিটন ও মহাসচিব ফেরদৌস আরা বন্যা।

মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মানস করের পরিচালনায় আমরা কুঁড়ি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার গীতিনৃত্য নাট্য ‘তুষার মালা’ ও জাতীয় নৃত্য প্রতিযোগিতা বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণের মধ্যে দিয়ে চমৎকার এ আয়োজন শেষ হয়।

কিশোরগঞ্জের প্রতিযোগী নুসাইবা অনাদি তিসমি সাধারণ, লোক ও দলীয় নৃত্যে প্রথম স্থান লাভ করে।

অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন তাছলিমা জাহান রিবা ও নূর ই নাজনীন তৃপ্তি।

অমিয়/

ফরিদপুরে কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মোৎসব উদযাপন

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ০৩:৫৭ পিএম
আপডেট: ২৫ মে ২০২৫, ০৪:০৯ পিএম
ফরিদপুরে কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মোৎসব উদযাপন
ফরিদপুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মোৎসব পালিত হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মোৎসব উদযাপন হয়েছে। এ সময় তার জীবনী ও লেখা নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

শনিবার (২৪ মে) বিকেলে সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে ফরিদপুর জেলা পরিষদের হল রুমে নজরুল জন্মোৎসব পালিত হয়। 

উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। 

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সমাজে একান্ত নজরুল আবশ্যক, কারণ নজরুল বৈশ্বিক মানবিকতার কথা বলেছেন। বর্তমান বিশ্ব বিবেকের উপস্থিতি নেই। গাজায় যে অমানবিকতা চলছে, বিনা কারণে মানুষ হত্যা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কথা না বলে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ব্যবসার প্রসার করছে। অস্ত্র ও আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র কেনা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। বিশ্ব ভয়ানক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে সময় পার করছে। পারমাণবিক বোমার ভয়াবহতার শঙ্কা প্রকাশ করছে। এজন্য আমাদের নজরুলকে প্রয়োজন। কারণ নজরুল দেশ ও আন্তর্জাতিক মানবিকতার কথা বলেছেন।’ 

ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম এ সামাদ, সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন ও সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক তালুকদার আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল ইসলামের রচিত কবিতা ও গান দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। 

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

সঞ্জিব দাস/সুমন/