জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে উজ্জীবিত জনগোষ্ঠীর গণতান্ত্রিক ও মানবিক আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর সাংস্কৃতিক ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘সংস্কৃতিবাংলা’র ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) কমিটির সদস্যসচিব ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে বিরাজমান বিভেদ দূর করে প্রতিশ্রুতিশীল ও প্রতিভাবান শিল্পী-সাহিত্যিকদের মধ্যে সমন্বয়ের চেষ্টা চলছে। আমরা চাই একটি প্রাণবন্ত ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ। চাই সব জাতি ও ভাষাগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কার্যক্রম প্রসারের মাধ্যমে বহুত্ববাদী সংস্কৃতিনির্ভর সমাজ গড়ে তুলতে। এসব কাজের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে একটি সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মাসউদ ইমরানকে আহ্বায়ক করে গঠিত এই কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আছেন কবি ও কথাসাহিত্যিক চঞ্চল আশরাফ, কবি ও সমালোচক সোহেল হাসান গালিব, কবি ও সাংবাদিক হিজল জোবায়ের।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক কুমার চক্রবর্তী, কবি ও প্রাবন্ধিক রাজু আলাউদ্দিন, কবি ও গবেষক মাহবুব কবির, কবি ও নাট্যকার জেনিস মাহমুন, কবি ও চলচ্চিত্রকার টোকন ঠাকুর, থিয়েটারশিল্পী নাসরিন, চিকিৎসক ও গবেষক শাহনাজ পারভীন, কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষক জেসমিন মুননী, সাংবাদিক নাসরিন আখতার, লেখক ও গবেষক নূরুননবী শান্ত, লেখক ও অনুবাদক সৈয়দ ফায়েজ আহমেদ, কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষক কামরুন নাহার শীলা, উন্নয়নকর্মী ও গবেষক গোলাম আরিফ, কবি ও ব্যাংকার নাদিম মাহমুদ, শিক্ষক জিনাত জাহান পন্নী, সংস্কৃতিকর্মী তানজিলা আক্তার তমা, চিকিৎসক সাকিব হাসান ধ্রুব, লেখক ও অনুবাদক কে এম রাকিব, অর্থনীতি গবেষক তানভীর সোবহান, চলচ্চিত্র কর্মী মাহমুদা মাহিয়া ভূঁইয়া, মিউজিশিয়ান নাওহা মাহমুন, শিক্ষার্থী ওয়াহিদ মুগ্ধ, শিক্ষার্থী সৈয়দ নাজমুল আজম আলিফ, শিক্ষার্থী সাবিল আহমেদ, ঋষভ জাবিন আশরাফ এবং ফাইয়ায আনাম স্বনন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা ভূগোল, ভাষা ও জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে সামষ্টিক সংস্কৃতির একটি নতুন রূপরেখা নির্মাণে প্রত্যয়ী ‘সংস্কৃতিবাংলা’। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা নির্বিশেষে দেশের ভেতরে ও বাইরে ছড়িয়ে থাকা কোটি মানুষের সাংস্কৃতিক অভিপ্রায়কে ঐকতানে জাগিয়ে তোলার অদম্য স্পৃহায় সূচনা হলো এই সংগঠনের। জাতি-পরিচয়ের রাজনীতি এবং বিভেদ ও বিদ্বেষ-চর্চার অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠাই সংগঠনের মূল লক্ষ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী জানুয়ারিতে কর্মী সম্মেলনের ভেতর দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। সংগঠনের কর্মী হিসেবে দেশ-বিদেশে বসবাসকারী বাঙালি-বাংলাদেশি কমিউনিটি থেকে তাদেরই যুক্ত করা হবে, যারা বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদবিরোধী তৎপরতার সঙ্গে নানাভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন।