ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

নজরুলের সৃষ্টিকর্ম অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য: প্রণয় ভার্মা

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ এএম
নজরুলের সৃষ্টিকর্ম অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য: প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা

কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকর্মকে বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা। 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর গুলশানে ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে হাই কমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার (আইজিসিসি) আয়োজিত ‘নজরুলের শ্যামা সঙ্গীত’ অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  

প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী অমূল্য সৃষ্টিকর্ম। দুই দেশের মানুষে-মানুষে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক সংযোগ বিনির্মাণে অনন্য প্ল্যাটফর্ম তাঁর সৃষ্টিকর্ম।’ 

আইজিসিসি পরিচালক ও হাই কমিশনের প্রথম সচিব (রাজনীতি ও সংস্কৃতি) অ্যান ম্যারি জর্জের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে নজরুলের বিখ্যাত কবিতা আবৃত্তি করেন শিল্পী টিটো মুন্সী। শ্যামাসঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী মৃদুলা সমাদ্দার ও বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী। 

অনুষ্ঠানে হাই কমিশনারের সহধর্মিনী মানু ভার্মা, ডেপুটি হাই কমিশনার পাওয়ান বাধেসহ বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও সাহিত্যাঙ্গনের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।

অমিয়/

প্যাভিলিয়ন বাতিলসহ ৪ দাবিতে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালককে প্রকাশকদের স্মারকলিপি

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪ পিএম
প্যাভিলিয়ন বাতিলসহ ৪ দাবিতে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালককে প্রকাশকদের স্মারকলিপি
সৃজনশীল প্রকাশকদের প্রতিনিধিত্বকারী তিন সংগঠনের পক্ষে বাংলা একাডেমি মহাপরিচালককে স্মারকলিপি। ছবি: সংগৃহীত

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এ প্যাভিলিয়ন প্রথা বাতিলসহ চার দফা দাবিতে বাংলা একাডেমিতে প্রতিবাদ সভা ও মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আজমকে স্মারকলিপি দিয়েছে প্রকাশকরা। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে সৃজনশীল প্রকাশকদের প্রতিনিধিত্বকারী তিনটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠন তিনটি হল- বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি ও জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ। 

প্রকাশকদের দাবিগুলো হচ্ছে- প্যাভিলিয়ন প্রথা বাতিল, স্টল ভাড়া ৫০ ভাগ কমানো, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ও লুণ্ঠনকারী প্রকাশকদের মেলায় প্যাভিলিয়ন না দেওয়া ও বইমেলা পরিচালনা কমিটিতে প্রকাশক প্রতিনিধি বৃদ্ধি করা। 

এর আগে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ হলের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রকাশকদের তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পক্ষে বক্তৃতা করেন সাঈদ বারী, ইকবাল হোসেন সানু, মো. গফুর হোসেন, আবু বকর সিদ্দিক রাজু, শরিফুল শাহজী ও দেলোয়ার হাসান। 

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনেন। তিনি বলেন, প্রকাশক প্রতিনিধিদের এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকদের ন্যায়সঙ্গত সব দাবি বাংলা একাডেমি আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। তিনি উল্লেখিত চার দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় একাডেমির সচিব ও বইমেলার সদস্য সচিব মোহাম্মদ নায়েব আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশকদের চার দফা দাবিতে তিনটি সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী ১৪ ডিসেম্বর, শনিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এমএ/

‘ছড়িয়ে দিতে বই, পথের মানুষ হই’

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৫ এএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ এএম
‘ছড়িয়ে দিতে বই, পথের মানুষ হই’
চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির পক্ষ থেকে বই বিতরণ করা হচ্ছে । ছবি: খবরের কাগজ

গত সাড়ে ৫ বছরে চাঁদপুর জেলায় ১২ হাজারের বেশি বই উপহার দিয়েছে চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি। নভেম্বর মাস ছিল সংগঠনটির চতুর্থ বই উপহার মাস। ‘ছড়িয়ে দিতে বই, পথের মানুষ হই’ স্লোগানে দুই নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বই উপহার মাস ঘোষণা করে প্রতিষ্ঠানটি।

এরপর মাসজুড়ে চলে বই উপহার কর্মসূচি। পথে-ঘাটে, অফিস-আদালতে, এমনকি যানবাহনেও উপহার দেওয়া হয় বই। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বই। টানা ১ মাস পাঁচদিন চলে এ কর্মসূচি।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার নূরিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে বই উপহার মাসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন চর্যাপদ একাডেমির মহাপরিচালক অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি।

বাচিকশিল্পী আবু বকর সিদ্দিকের কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। একাডেমির সভাপতি আয়েশা আক্তার রুপার সভাপতিত্বে প্রথমে শ্রেষ্ঠ সারথি সংবর্ধনা দেওয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সহসভাপতি শিউলী মজুমদার, পর্যবেক্ষক ও ন্যায়পাল দিলীপ ঘোষ, সহকারী পরিচালক ফেরারী প্রিন্স, নির্বাহী সদস্য কামরুন্নাহার বিউটি, আর্কাইভ ও নথি ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল-আমিন সানি, চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য প্রশিক্ষক খালেক বিশ্বাস, ওপেন আইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান শাকির এবং এস আর বাবলু। এ সময় প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মসূচির প্রচার-প্রচারণা, দিবস কর্মসূচি পালন ও সর্বোচ্চসংখ্যক বই উপহার দিয়ে ‘বই মাসের শ্রেষ্ঠ সারথি-২০২৪’ মর্যাদাপ্রাপ্ত ৩ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধিত হলেন সহযোগী পরিচালক জয়ন্তী ভৌমিক, নির্বাহী পরিচালক আইরিন সুলতানা লিমা, প্রচার ও প্রকাশনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম।

বই উপহার মাসের আহ্বায়ক রফিকুজ্জামান রণি বলেন, ‘মাসব্যাপী চলে বই উপহার কর্মসূচি। এ মাসে প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি বই উপহার দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বিগত সাড়ে ৫ বছরে ১২ হাজারের বেশি বই উপহার দিয়েছে চর্যাপদ একাডেমি।’ সভাপতি আয়েশা আক্তার রুপা বলেন, ‘মানুষকে বইমুখী করার পাশাপাশি মাদক ও বাল্যবিবাহ রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে এমন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক বই উপহার কর্মসূচি পালন করে আসছে চর্যাপদ একাডেমি। ২০২১ সাল থেকে টানা চতুর্থবারের মতো বই উপহার মাস পালন করেছে। এর মধ্যে একটি ‘বই উপহার মেলা’ও করেছে এ প্রতিষ্ঠান। এ পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি বই উপহার দিয়েছে চর্যাপদ একাডেমি। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘বই কখনো হয় না পর, বইয়ের সঙ্গে বাঁধব ঘর।’

জিয়াউর রহমানের জীবন নিয়ে আসছে প্রথম উপন্যাস ‘কমল’

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
জিয়াউর রহমানের জীবন নিয়ে আসছে প্রথম উপন্যাস ‘কমল’
কমল উপন্যাসের লেখক আসিফ আহমদ

বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে লেখা প্রথম উপন্যাস ‘কমল’ প্রকাশিত হচ্ছে চলতি মাসে। বইটির লেখক আসিফ আহমদ। তিনি জিয়াউর রহমানের জীবন, রাজনীতি, মানবিকতা ও সংগ্রামকে কেন্দ্র করে কাহিনি বুনেছেন। ইতোমধ্যে ‘কমল’ উপন্যাসের প্রচ্ছদ প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রকাশ করছে অনুজ প্রকাশন। প্রচ্ছদ করেছেন চিত্রশিল্পী জুলিয়ান। 

এ ছাড়া গত ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘কমল’ উপন্যাসের ট্রেলার রিলিজ অনুষ্ঠান হয়েছে। 

জানা যায়, বাংলাদেশে বইয়ের ট্রেলার রিলিজ এটিই প্রথম। তা ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বইয়ের ট্রেলারটি মুক্তি পায়। 

কমল উপন্যাসের লেখক আসিফ আহমদ বলেন, ‘আমি মনে করি জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্ম বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তার জীবন নিয়ে অনেক কিছুই লেখা হয়েছে, তবে উপন্যাসের মাধ্যমে তার জীবনকে আরও গভীরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এ উপন্যাস লেখার মাধ্যমে আমি জিয়াউর রহমানের জীবনের অনেক অজানা দিক পাঠকদের সামনে তুলে ধরেছি। তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক যোদ্ধা।’ 

পাঠকদের উদ্দেশ্যে লেখক বলেন, ‘২০২১-এ উপন্যাসটি লেখার চিন্তা মাথায় আসে। তারপর থেকে লেখা শুরু করে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট পেরিয়ে ২০২৪-এ বইটি আমি তৃপ্তি নিয়ে লেখা শেষ করেছি। বাকিটা আমার পাঠক বলবেন। আশা করি পাঠক মহলে সাড়া ফেলবে।’

প্রকাশক আশরাফুল ইসলাম তুষার বলেন, ‘উপন্যাসটি শিগগিরই প্রকাশিত হবে। আসিফ আহমদের ‘কমল’ উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসেবে বিবেচিত হতে যাচ্ছে। এই উপন্যাসটি পাঠকদের মধ্যে জিয়াউর রহমানের জীবন এবং কাজ সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে। আমরা আশা করি, এই উপন্যাসটি হবে ইতিহাস ও সাহিত্যপ্রেমী পাঠকদের জন্য একটি মূল্যবান উপহার।’

শফিকুল/পপি/

সাহিত্যের কাগজ সমধারার তৃতীয় আয়োজন ‘নবীজী’ অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ পিএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম
সাহিত্যের কাগজ সমধারার তৃতীয় আয়োজন ‘নবীজী’ অনুষ্ঠিত
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে সিরাত অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) স্মরণে সাহিত্যের কাগজ সমধারা ‘নবীজী’ শীর্ষক সিরাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে তৃতীয়বারের মতো আয়োজনটি ভিন্নমাত্রা পেয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনের প্রধান মিলনায়তনে এ সিরাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আয়োজনটি দুই পর্বে ভাগ করা হয়। প্রথম পর্বে মহানবীর (সা.) শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা নিয়ে আবৃত্তি প্রয়োজনা ‘দ্য লাইট’-৩। এর আগে প্রথম পর্বে নবী আগমনের পটভূমি, দ্বিতীয় পর্বে সত্যের উপলব্ধি, সত্যের প্রচার; নির্মম নির্যাতনেও বিশ্বাসে অটল; হিজরত: সোনালি সকালের সূচনা নবী জীবনের এ বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।

এবারের পর্বে মহানবী (সা.) মদিনায় শুরু করলেন ঘর গোছানোর কাজ; সীমিত শক্তি ও উপকরণ নিয়ে বদরের প্রান্তরে বড় বিজয়ের উপাখ্যান; ধনীর সম্পদে দরিদ্রের অধিকার প্রতিষ্ঠা; নিশ্চিত বিজয় যেভাবে বিপর্যয়ে পরিণত হলো; ওহুদের প্রান্তরে বিপর্যয় থেকে বিজয় এই বিষয়গুলো ধরে ‘দ্য লাইট’-৩ তৈরি করা হয়েছে।

প্রযোজনায় যুক্ত হয়েছে কুরআনের বাণী, নবীর জীবনী অংশ বিশেষ, কাজী নজরুল ইসলাম রচিত নাত এবং নবীজীকে নিবেদিত কবিতা। কবিতাগুলো লিখেছেন-সমধারা পরিবারের সদস্য হাসান হাফিজ, আরিফ মঈনুদ্দীন, রেজাউদ্দিন স্টালিন, মানজুর মুহাম্মদ, আমিরুল মোমেনীন মানিক, স. ম. শামসুল আলম, জালাল খান ইউসুফী, মামুন মুস্তাফা, দাউদুল ইসলাম, তাহমিনা শিল্পী, মিজান ফারাবী, নজরুল ইসলাম আসলমী, ইশরাত জাহান ইউনিটি, বাদল মেহেদী, ফারজানা ইয়াসমিন, সাজ্জাদুর রহমান, ইফতেখার হালিম, তোফায়েল তফাজ্জল, ফকির ইলিয়াস, আবু তাহের মুহাম্মদ, সোহেল মল্লিক, মাশরুরা লাকি, ড. আবদুল আলীম তালুকদার ও সালেক নাছির উদ্দিন।

প্রযোজনায় অংশগ্রহণ করেন আসমা দেবযানী, মাসুম আজিজুল বাসার, শাহানাজ বেগম, মো. জাকির মোল্লা, মো. ইমামুল হুদা, মো. নাহিদ জুবায়ের, নাজহাতুল ত্বোয়া, আরিফা বেগম, জেবুন্নেছা মুনিয়া, ঋতুরাজ ফিরোজ, মোসফেকা নিপা, সিফাত সালাম, জেবুননাহার জনি, বাসুদেব নাথ, আবিদুর রহমান ফাহিম, আরিফ শামসুল, ফারিন তামান্না, মৃন্ময় চৌধুরী, রেজা শাহীন, আবদুল মালেক, আবদুল কুদ্দুস, জেরীন আফিয়া জিদনী, তানজিনা ফেরদৌস, সারাবান জামান সর্বত্র, আবদুল্লাহ আল মামুন, কনক ইসলাম, জান্নাত আরা মমতাজ, সালেক নাছির উদ্দিন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা। গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সমধারা সম্পাদক সালেক নাছির উদ্দিন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার বিষয় ‘মহানবী (সা.) মানব চরিত্রের সর্বোত্তম আদর্শ’। এ পর্বে সভা প্রধান ছিলেন- কোরআন গবেষক, ইসলামী চিন্তাবিদ চৌধুরী মনজুর লিয়াকত রুমি। আলোচনা করেন কবি সাংবাদিক আমিরুল মোমেনীন মানিক, কথাসাহিত্যিক দীপু মাহমুদ, কবি মরিয়ম বেগম, কবি সাংবাদিক মফিদা আকবর, কবি আরিফ মঈনুদ্দীন, লেখক এ এফ এম মাহবুবর রহমান, কবি প্রাবন্ধিক মনসুর আজিজ, মুক্তিযোদ্ধা লেখক আলী ইদরীস, কবি গোলাম নবী পান্না, কবি সায়েম অনিন্দ্য, লেখক আহমেদ মাহমুদ প্রমুখ।

আয়োজনে নবীজীকে (সা.) নিবেদিত সমধারার ১০৩তম সংখ্যার পাঠ উন্মোচন করা হয়। সংখ্যায় প্রবন্ধ ও কবিতা স্থান পেয়েছে। সংখ্যার উল্লেখযোগ্য লেখকরা হলেন- ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন, হাসান হাফিজ, রোকেয়া ইসলাম,  মুহম্মদ নুরুল হুদা, ফরিদ আহমদ দুলাল, চৌধুরী মনজুর লিয়াকত রুমি, ড. আজিুজল আম্বিয়া, দীপু মাহমুদ, ড. মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, আরিফ মঈনুদ্দীন, এ এফ এম মাহবুবর রহমান, মানজুর মুহাম্মদ, ফিরোজা সামাদ, আমিরুল মোমেনীন মানিক, ইফতেখার নাজিম, আলী ইদরীস, রেজাউল করিম খোকন, তাহমিনা কোরায়েশী, স. ম. শামসুল আলম, মো. আরিফুর রহমান, মফিদা আকবর, নুসরাত সুলতানা, গোলাম নবী পান্না, নীলা হারুন, তোফায়েল তফাজ্জল প্রমুখ।

গ্রেস কটেজে কবি নজরুল ও বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধা অনুষ্ঠান

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পিএম
আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম
গ্রেস কটেজে কবি নজরুল ও বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধা অনুষ্ঠান
গ্রেস কটেজে কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান। ছবি: ছায়ানট (কলকাতা)

পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগের নজরুল স্মৃতিবিজড়িত গ্রেস কটেজে সমমনা দুই কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যৌথভাবে অনুষ্ঠান করেছে ছায়ানট (কলকাতা) এবং কৃষ্ণনগর কথাশিল্প।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) এই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে দুই কবি সম্পর্কে আলোচনা, গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ছায়ানটের (কলকাতা) সভাপতি সোমঋতা মল্লিক। তিনি এই দুই কবিকে নিয়ে কেন এই আয়োজন, সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।

এর আগে সোমঋতা মল্লিকের কণ্ঠে নজরুলের দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে সোমঋতা মল্লিক মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলামের কৃষ্ণনগর আসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দিক আলোচনা করেন।

তিনি উল্লেখ করেন, ১৯২৬ সালের ৩ জানুয়ারি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর বন্ধু হেমন্ত সরকারের আমন্ত্রণে সপরিবারে কৃষ্ণনগরের গোলাপট্টিতে আসেন। ওই বছরেই নজরুল থাকতে শুরু করেন চাঁদ সড়কে অবস্থিত এই গ্রেস কটেজে। এখানে ছিলেন ১৯২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়টুকু কবির সৃষ্টিশীল জীবনের অন্যতম গৌরবময় সময়। এখানেই রচিত হয় ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাস। আর বাংলা সঙ্গীতে সূচনা হয় ‘গজল’।

কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত এই গ্রেস কটেজ ২০১২ সালে হেরিটেজ বিল্ডিং হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সেখানে ‘সুজন বাসর’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে নজরুল পাঠাগার। নিয়মিত সেখানে নজরুল-বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) সারাজীবন মানবতার জয়গান গেয়েছেন। মানুষের হয়েই কলম ধরেছেন। তিনি বারে বারে লিখেছেন - ‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান...’। 

পাশাপাশি কাজী নজরুল ইসলামের অনুজ কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯২০-১৯৮৫) তাঁর কবিতায় সমকালীন মানুষের দুঃখ, দুর্দশা, অভাব-অনটনের কথাই তুলে ধরেছেন। মানুষের দুঃখে তাঁর প্রাণ কেঁদেছে প্রতিনিয়ত। সে কারনেই হয়তো নজরুলের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল হয়েছেন তাঁর কবিতায়। 

বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে কবি মনীন্দ্র রায় লিখেছেন, ‘বীরেন্দ্রর সব কবিতাই মানুষের জন্য, মানুষের যন্ত্রণার জ্বালা তীব্র হয়ে বাজে তাঁর কবিতায়...’।

অনুষ্ঠানে ‘মানুষের কবি নজরুল’ নিয়ে আলোচনা করেন দীপাঞ্জন দে। আর ‘মানুষের কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়’ নিয়ে আলোকপাত করেন পীতম ভট্টাচার্য।

শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুজন পাঠাগার ও নজরুল গবেষণাকেন্দ্রের সম্পাদক ইনাস উদ্দীন। 

ছায়ানটের (কলকাতা) পক্ষে কবিতা আবৃত্তি করেন সুকন্যা রায়, দেবযানী বিশ্বাস, মিতালী মুখার্জী, ইন্দ্রাণী লাহিড়ী, রাজশ্রী বসু, দেবলীনা চৌধুরী এবং অপরাজিতা মল্লিক। 

আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত গাঙ্গুলি, দীপংকর ঘোষ, শম্পা চৌধুরী নাগ, উপাসনা মুখার্জি। 

দলীয়ভাবে আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন কথাশিল্প, উচ্চারণ, শিব কথোমাল্য আবৃত্তি ও শ্রুতিনাটক চর্চাকেন্দ্র এবং স্বরলিপি সঙ্গীত কেন্দ্রের শিল্পীরা।

একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন অন্বেষা মোদক।

অমিয়/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });