
বইমেলায় স্টলভাড়া কমানো, প্যাভিলিয়ন প্রথা বাতিল এবং বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের লুটেরা প্রকাশকদের কালো তালিকাভুক্তিসহ চার দফা দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছে সৃজনশীল প্রকাশকদের তিন সংগঠনের প্রকাশকরা।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ হল প্রাঙ্গনে এ অনশন কর্মসূচি পালন করে সৃজনশীল প্রকাশকদের সংগঠন।
এতে বক্তব্য রাখেন- বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি সাঈদ বারী, বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন সানু, জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান সরদার, হেলাল উদ্দিন (হাসি প্রকাশনী), বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. গফুর হোসেন, মশিউর রহমান (সৃজনী প্রকাশন) শিহাব বাহাদুর (মুক্তচিন্তা), মাসুদুল হক (উত্তরণ) ও বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হাসান।
বিকাল সাড়ে চারটায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, কবি আবদুল হাই শিকদার, কবি মোহন রায়হান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ছিদ্দিকুর রহমান অনশনস্থলে ছুটে আসেন।
মহাপরিচালক অনশনরতদের দাবিগুলো যুক্তিযুক্ত বলে তা মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং মেলা পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন সম্ভব বলেও জানান।
কবি আবদুল হাই শিকদার, কবি মোহন রায়হান ও প্রফেসর ছিদ্দিকুর রহমান প্রকাশকদের দাবির প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করেন এবং দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে প্রকাশকরা অনশন কর্মসূচি শেষ করেন।
প্রকাশকরা বলেন, বাংলা একাডেমির অতি উৎসাহী কিছু কর্মকর্তা লুটপাটকারী ৩৫ জন প্যাভিলিয়ন প্রাপ্ত প্রকাশককে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। লুটপাটকারীরা এসব প্রকাশকদের সঙ্গে বাংলা একাডেমির অসাধু কর্মকর্তাদের রয়েছে অনৈতিক যোগসাজস। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালালেও তার দালাল কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের কর্ম চালিয়েই যাচ্ছেন।
বিজ্ঞপ্তি/এমএ/