ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

উৎসবপল্লীতে রূপ নিয়েছে সাগরদাঁড়ি

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৬ এএম
উৎসবপল্লীতে রূপ নিয়েছে সাগরদাঁড়ি
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মদিন উপলক্ষে সাগরদাঁড়িতে বসেছে মধুমেলা। ছবি: খবরের কাগজ

অনবদ্য সাহিত্যকর্মের মধ্য দিয়ে দুইশ বছর পরও অমর হয়ে আছেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। প্রয়াণের দেড়শ বছর পর এখনো তিনি প্রাসঙ্গিক। তার জন্মস্থান যশোরের সাগরদাঁড়ি এখন তীর্থভূমি। মহাকবির ২০১তম জন্মদিন উপলক্ষে সাগরদাঁড়িতে এখন লাখো প্রাণের উচ্ছ্বাস।

গত ২৪ জানুয়ারি শুরু হওয়া স্মরণানুষ্ঠান ও সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা ঘিরে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সাগরদাঁড়ির মধুপল্লী। প্রতিদিন দেশবরণ্যে কবি, সাহিত্যিকদের আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মেলার বাহারি আয়োজনে উৎসবপল্লীতে রূপ নিয়েছে কবির জন্মস্থান।

মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, মহাকবির পুণ্যভূমি সাগরদাঁড়িতে লাখো প্রাণের উচ্ছ্বাস। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেলা ও স্মরণোৎসবে যোগ দিচ্ছেন হাজারও মানুষ। নাগরদোলা, সার্কাস, পুতুল নাচ, যাত্রাপালা, মোটরসাইকেল ও কার রেসের মতো আয়োজনকে ঘিরে মানুষের আকর্ষণ বাড়ছে।

সেই সঙ্গে মেলার অন্যতম অনুষঙ্গ হরেক রকমের মিষ্টি, প্রসাধনসামগ্রী, খেলনা ও নিত্যপণ্যের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা পছন্দের পণ্য কিনছেন। উপভোগ করছেন বিনোদন। এ ছাড়াও মহাকবির বাড়ি ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা। স্মৃতিচিহ্নি ও নানা স্মরণিকা থেকে মাইকেল মধুসূদন দত্তকে জানার সুযোগ পাচ্ছে নতুন প্রজন্মও।

খেলনার স্টলের মালিক ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার রাশেদ শেখ বলেন, ‘২০ বছর ধরে মেলায় দোকান দিচ্ছি। এবারও এসেছি। মেলার জায়গা বরাদ্দ পেতে বেশি টাকা গুনতে হয়। বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। আশা করছি আরও ভালো হবে।’

আরেক দোকানের মালিক শরিফ মোল্লা বলেন, ‘মেলায় মানুষের ভিড় বাড়ছে। দিনের চেয়ে সন্ধ্যার পর বেশি লোক সমাগম হচ্ছে। আশা করছি এবার ভালো ব্যবসা হবে।’

সাতক্ষীরা থেকে আসা আসমা খাতুন বলেন, ‘পরিবার নিয়ে কবির বাড়ি ঘুরতে এসেছি। তার নানা স্মৃতি ও স্মারক দেখছি। তার কবিতার বই পড়েছি। এখানে এসে আরও বিস্তারিত জানতে পারছি। এর সঙ্গে মেলার আয়োজন রয়েছে। সবমিলিয়ে খুবই ভালো লাগছে।’

আরেক দর্শনার্থী জেলা শহরের শাহরিন সুলতানা নিশি বলেন, ‘আধুনিক কবিতার জনক মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তার স্মরণে জন্মভূমিতে একটি সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু সেই দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। মধুপল্লীরও উন্নয়ন হয়নি। এ বিষয়ে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।’

রাকিবুল ইসলাম নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ‘পরিবারের লোকজন নিয়ে মেলায় এসেছি। শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন রাইডে চড়েছি। খুবই মজা করলাম। এখন কেনাকাটা করছি।’

এ ছাড়াও মেলায় জুলাই বিপ্লবের গৌরবময় চিত্র তুলে ধরে একটি কর্নার করা হয়েছে। সেখানে জায়গা পেয়েছে জুলাই বিপ্লবের বীর শহিদদের গৌরবগাঁথা। স্মরণ করা হয়েছে বিপ্লবে শহিদ আবু সাঈদসহ নিহত ও আহতদের। জুলাই বিপ্লবে নিহত যশোরের কেশবপুরের ভালুকঘরের তৌহিদুর রহমানের ছবি ও সংক্ষিপ্ত সংগ্রামের ইতিহাস জায়গা পেয়েছে এ কর্নারে।

৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। বর্ণনা করা হয়েছে তার গৌরবগাঁথা। আন্দোলনে কেশবপুর ও যশোরের স্থিরচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকায় আন্দোলনের সেইসব দিনগুলো ফুটে উঠেছে আলোকচিত্রে। জুলাই বিপ্লব কর্নারে এসে দর্শনার্থীরা যেন স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছেন। তাদের গভীরচিত্তে স্মরণ করছেন।

সাগরদাঁড়ি গ্রামের শামসুর রহমান বলেন, ‘প্রায় ৩৫ বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে সাগরদাঁড়ি মিউজিয়ামে কাজ করছি। মাইকেল মধুসূদন দত্ত সম্পর্কে জানানোর জন্যই এ মিউজিয়াম চালু আছে। কবির লেখা বই, স্মরণিকা ও চিত্রকর্মের মাধ্যমে তাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরছি। বিশেষ করে যারা মধুসূদনকে নিয়ে গবেষণা করেন, তাদের আমরা সহযোগিতা করছি।’

মেলার সার্বিক আয়োজন নিয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সপ্তাহব্যাপী মেলা চলছে। কঠোর নিরাপত্তায় ঢাকা আছে গোটা অঞ্চল। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাকি দিনগুলোও ভালোভাবে শেষ হবে বলে আশাবাদী।’

ছায়ানট-শরৎ পাঠচক্র পুরস্কার পাচ্ছেন ৩ গুণীজন

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
ছায়ানট-শরৎ পাঠচক্র পুরস্কার পাচ্ছেন ৩ গুণীজন
বাচিকশিল্পী দেবাশিস বসু, কবি ঋজুরেখ চক্রবর্তী ও বাচিকশিল্পী চন্দ্রিমা রায়

ছায়ানট (কলকাতা) এবং শরৎ পাঠচক্রের যৌথ উদ্যোগে গত বছরের মতো এবারও তিন গুণীজনকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হবে।

বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার কলকাতার শরৎচন্দ্র বাসভবনে সন্ধ্যা ৬টায় বিশেষ অনুষ্ঠান ‘কবিতাকে ভালোবেসে’র আয়ােজন করা হয়েছে।

এবার যাদের সম্মাননা দেওয়া হবে তারা হলেন- দুই গুণী বাচিকশিল্পী দেবাশিস বসু ও চন্দ্রিমা রায় এবং বর্তমান সময়ের বিশিষ্ট কবি ঋজুরেখ চক্রবর্তী।

দেবাশিস বসু একজন জনপ্রিয় প্রিয়জন। কথা কইতে কইতে পাঁচ দশক পার। রেডিও, টিভি, স্টেজ, ফিল্ম, ডকুমেন্টারি, রেকর্ড, ক্যাসেট, সিডি - সবেতেই তাঁর কণ্ঠস্বর। সুজন রসিক বলে ‘কথা তো নয়, যেন গান’। কানের আরাম, প্রাণের আরাম। ভালোবাসতে বড্ড ভালোবাসেন সহজিয়া কথক।

ঋজুরেখ চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৬৭ সালের ৬ জুলাই, কলকাতায়। লেখালিখি শুরু আটের দশকের মাঝামাঝি। স্কুল ও কলেজ ম্যাগাজ়িন বাদে প্রথম কবিতা প্রকাশ দেশ পত্রিকায় ১৯৮৬ সালে ১৯ বছর বয়সে। বর্তমানে সল্ট লেকের স্থায়ী বাসিন্দা ঋজুরেখর প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থের সংখ্যা ১৯। এছাড়া, ‘কবিতাসমগ্র’ প্রথম খণ্ডও প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশের পথে। দে’জ পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’। তাছাড়া তাঁর পাঁচটি উপন্যাসও প্রকাশিত হয়েছে।

বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত ঋজুরেখ টানা ৩২ বছর রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের আধিকারিক হিসেবে কর্মজীবন অতিবাহিত করার পর সম্প্রতি স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে সাহিত্যচর্চা করছেন।

চন্দ্রিমা রায় মেধা এবং মননের এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ। তাঁর সমার্থক পরিচয় ‘কবিতায় কথালাপ’। চন্দ্রিমা একাধারে তার কর্ণধার এবং প্রতিষ্ঠাতা আবার অন্যদিকে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক। গবেষণা করেছেন চেতনামূলক স্নায়ুবিজ্ঞান (Cognitive neuroscience) নিয়ে। কবিতা আবৃত্তি করেছেন দেশ-বিদেশের বহু মঞ্চে। পেয়েছেন ন্যাশনাল স্কলারশিপ এবং বহু পুরস্কার।

সৌভাগ্যের ঝুলিতে রয়েছে দুজন নোবেল লরিয়েট এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. এ পি জে আব্দুল কালামের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সুযোগ। তাছাড়া তিনি প্রসার ভারতীর সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড এডুকেশেনের ন্যাশনাল করেসপন্ডেন্ট।

জাতীয় কবিতা পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ও ইফতার অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০৩ এএম
জাতীয় কবিতা পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ও ইফতার অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় কবিতা পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৪টায় সাওল হার্ট সেন্টারের ‘কাজল মিলনায়তন’-এ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান।

তিনি বলেন, জাতীয় কবিতা পরিষদ এরশাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানেও কবিতা পরিষদ তার আন্দোলন, সংগ্রামের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। কবিতা চর্চার পাশাপাশি জাতীয় ও সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা প্রতিবাদ ও আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি। ভবিষ্যতেও রাখব।

আগামীতে কবিতা পরিষদের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, নতুন কাব্য আন্দোলন গড়ে তুলতে, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাষ্ট্রিক পরিবর্তনে জাতীয় কবিতা পরিষদ কী ভূমিকা পালন করবে সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।

আলোচনায় অংশ নেন- জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউদ্দিন স্টালিন, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, সহ-সভাপতি এবিএম সোহেল রশীদ, সহ-সভাপতি মানব সুরত, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শাহীন রেজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুন্নবী সোহেল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ করিম, অর্থ সম্পাদক ক্যামেলিয়া আহমেদ, প্রকাশনা সম্পাদক শওকত হোসেন, সেমিনার সম্পাদক মঞ্জুর রহমান, পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ক সম্পাদক মিতা অলী, দপ্তর সম্পাদক রোকন জহুর প্রমুখ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- প্রচার সম্পাদক আসাদ কাজল, জনসংযোগ সম্পাদক রফিক হাসান, শান্তি ও শৃঙ্খলা সম্পাদক ইউসুফ রেজা, সদস্য জমিল জাহাঙ্গীর, সদস্য আবীর বাঙালী প্রমুখ।

আলোচনা শেষে ইফতার পর্বের মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান। বিজ্ঞপ্তি 

আরজ আলী মাতুব্বরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
আরজ আলী মাতুব্বরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
দার্শনিক, চিন্তাবিদ ও লেখক আরজ আলী মাতুব্বর। ছবি: সংগৃহীত

দার্শনিক, চিন্তাবিদ ও লেখক আরজ আলী মাতুব্বরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮৫ সালে আজকের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। 

বরিশাল শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ছোট্ট গ্রাম লামচর। এই গ্রামেরই এক গরিব কৃষক পরিবারে ১৯০০ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে অভাব-অনটনের কারণে স্কুল ছেড়ে দিতে হলেও পরবর্তী জীবনে আরজ আলী মাতুব্বর স্বশিক্ষিত হয়ে ওঠেন।

নিজের চেষ্টায় জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা শাখায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও আরজ আলী মাতুব্বর অতিথি শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিয়েছেন ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্বাধীনভাবে দর্শন, বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয়ে মত প্রকাশ করে আজীবন কুসংস্কার এবং গোঁড়ামির বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন। এ জন্য সমাজের এক শ্রেণির মানুষ, এমনকি অনেক সময় রাষ্ট্রীয় বাহিনীরও চক্ষুশূল হয়েছেন তিনি। 

প্রথাবিরোধী এই লেখককে অনেক বাধা পেরিয়ে নিজের বই প্রকাশ করতে হয়েছে। ১৯৭৩ সালে তার প্রথম বই ‘সত্যের সন্ধানে’ প্রকাশিত হয়। জীবদ্দশায় প্রকাশিত তার উল্লেখযোগ্য চারটি গ্রন্থ হচ্ছে: ‘সত্যের সন্ধানে’ (১৯৭৩), ‘সৃষ্টির রহস্য’ (১৯৭৭), ‘অনুমান’ (১৯৮৩) ও ‘স্মরণিকা’ (১৯৮২)। মৃত্যুর কিছুকাল পরে প্রকাশিত হয় আরেকটি বই ‘মুক্তমন’ (১৯৮৮)।

তার বেশ কিছু লেখা ‘আরজ আলী মাতুব্বর রচনাবলী’ নামে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। 

আরজ আলী মাতুব্বর বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেহদানের অঙ্গীকার করে যান।

নানা আয়োজনে পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম
নানা আয়োজনে পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ছবি : খবরের কাগজ

ফরিদপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০ টায় কবি কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় শহরের অম্বিকাপুরে কবির কবরে ফুলেল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক ও জসিম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. কামরুল হাসান মোল্লা, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল, কবিপুত্র খুরশিদ আনোয়ারসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

পরে জেলা প্রশাসন ও জসিম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবির বাড়ির আঙ্গিনায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু বিশ্বাস। 

কবি কে স্মরণীয় করে ধরে রাখতে তার গল্প, কবিতা, উপন্যাস চর্চার তাগিদ দেন ও কবির রুহের মাগফিরাত কামনায় করেন। 

উল্লেখ্য পল্লী কবি জসীমউদ্দীন ১৯০৩ সালের পহেলা জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য তার লেখনীর মধ্য দিয়ে নগর সভায় নিয়ে আসেন। কবর কবিতাসহ নকশী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট বাংলা ভাষার গীতিময় কবিতার অন্যতম নিদর্শন।

সঞ্জিব দাস/জোবাইদা/

পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২৪ এএম
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২৫ এএম
পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীন

পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৪ মার্চ। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর শহরতলির কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কবির পিতা আনছার উদ্দীন ও মা আমেনা খাতুন।

কবির শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফরিদপুর শহরের হিতৈষী স্কুলে। সেখানে প্রাথমিকের পাঠ শেষ করে তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯২১ সালে এসএসসি, ১৯২৪ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। পরে তিনি ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন। তার কর্মজীবন শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে। ১৯৬১ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি।

কবি জসীমউদ্‌দীন ১৯৭৬ সালে ইউনেসকো পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট উপাধি এবং ১৯৭৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। কবির অমর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে ‘নকশী কাঁথার মাঠ’, ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’, ‘এক পয়সার বাঁশি’, ‘রাখালী’, ‘বালুচর’ প্রভৃতি।