ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের নতুন তালিকা, বাদ গেলেন ৩ জন

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের নতুন তালিকা, বাদ গেলেন ৩ জন
বাংলা একাডেমি

আলোচনা-সমালোচনার পর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের ঘোষিত তালিকা থেকে তিনজনকে বাদ দিয়ে নতুন তালিকা করা হয়েছে। যে তিনজনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- মোহাম্মদ হাননান, ফারুক নওয়াজ ও সেলিম মোরশেদ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। 

বুধবারের সভায় স্থগিতকৃত পুরস্কৃত লেখক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। নতুন তালিকা অনুযায়ী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- মাসুদ খান (কবিতা), শুভাশিস সিনহা (নাটক ও নাট্যসাহিত্য), সলিমুল্লাহ খান (প্রবন্ধ/গদ্য),  জি এইচ হাবীব (অনুবাদ), মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া (গবেষণা), রেজাউর রহমান (বিজ্ঞান), সৈয়দ জামিল আহমেদ (ফোকলোর)।

এর আগে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ ঘোষণা করা হয় ২৩ জানুয়ারি। এরপর ২৫ জানুয়ারি তালিকাটি স্থগিত করা হয়।

তখন বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, নাম থাকা কারও কারও বিষয়ে ‘কিছু অভিযোগ আসায়’ তালিকাটি স্থগিত করা হলো। বাংলা একাডেমি ওইদিন তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার পর পুরস্কারের তালিকাটি পুনঃপ্রকাশ করার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ছিল তিন কার্যদিবসের শেষ দিন। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর বুধবার রাতে মোহাম্মদ হাননান, ফারুক নওয়াজ ও সেলিম মোরশেদের নাম বাদ দেয়ার কথা জানানো হয়। 

মোহাম্মদ হাননানকে মুক্তিযুদ্ধ ও ফারুক নওয়াজকে শিশুসাহিত্যে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। 

আর কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা স্থগিতের পর ২৭ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। তাকে কথাসাহিত্যে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল।

অমিয়/

ছায়ানট-শরৎ পাঠচক্র পুরস্কার পাচ্ছেন ৩ গুণীজন

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
ছায়ানট-শরৎ পাঠচক্র পুরস্কার পাচ্ছেন ৩ গুণীজন
বাচিকশিল্পী দেবাশিস বসু, কবি ঋজুরেখ চক্রবর্তী ও বাচিকশিল্পী চন্দ্রিমা রায়

ছায়ানট (কলকাতা) এবং শরৎ পাঠচক্রের যৌথ উদ্যোগে গত বছরের মতো এবারও তিন গুণীজনকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হবে।

বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার কলকাতার শরৎচন্দ্র বাসভবনে সন্ধ্যা ৬টায় বিশেষ অনুষ্ঠান ‘কবিতাকে ভালোবেসে’র আয়ােজন করা হয়েছে।

এবার যাদের সম্মাননা দেওয়া হবে তারা হলেন- দুই গুণী বাচিকশিল্পী দেবাশিস বসু ও চন্দ্রিমা রায় এবং বর্তমান সময়ের বিশিষ্ট কবি ঋজুরেখ চক্রবর্তী।

দেবাশিস বসু একজন জনপ্রিয় প্রিয়জন। কথা কইতে কইতে পাঁচ দশক পার। রেডিও, টিভি, স্টেজ, ফিল্ম, ডকুমেন্টারি, রেকর্ড, ক্যাসেট, সিডি - সবেতেই তাঁর কণ্ঠস্বর। সুজন রসিক বলে ‘কথা তো নয়, যেন গান’। কানের আরাম, প্রাণের আরাম। ভালোবাসতে বড্ড ভালোবাসেন সহজিয়া কথক।

ঋজুরেখ চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৬৭ সালের ৬ জুলাই, কলকাতায়। লেখালিখি শুরু আটের দশকের মাঝামাঝি। স্কুল ও কলেজ ম্যাগাজ়িন বাদে প্রথম কবিতা প্রকাশ দেশ পত্রিকায় ১৯৮৬ সালে ১৯ বছর বয়সে। বর্তমানে সল্ট লেকের স্থায়ী বাসিন্দা ঋজুরেখর প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থের সংখ্যা ১৯। এছাড়া, ‘কবিতাসমগ্র’ প্রথম খণ্ডও প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশের পথে। দে’জ পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’। তাছাড়া তাঁর পাঁচটি উপন্যাসও প্রকাশিত হয়েছে।

বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত ঋজুরেখ টানা ৩২ বছর রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের আধিকারিক হিসেবে কর্মজীবন অতিবাহিত করার পর সম্প্রতি স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে সাহিত্যচর্চা করছেন।

চন্দ্রিমা রায় মেধা এবং মননের এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ। তাঁর সমার্থক পরিচয় ‘কবিতায় কথালাপ’। চন্দ্রিমা একাধারে তার কর্ণধার এবং প্রতিষ্ঠাতা আবার অন্যদিকে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক। গবেষণা করেছেন চেতনামূলক স্নায়ুবিজ্ঞান (Cognitive neuroscience) নিয়ে। কবিতা আবৃত্তি করেছেন দেশ-বিদেশের বহু মঞ্চে। পেয়েছেন ন্যাশনাল স্কলারশিপ এবং বহু পুরস্কার।

সৌভাগ্যের ঝুলিতে রয়েছে দুজন নোবেল লরিয়েট এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. এ পি জে আব্দুল কালামের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সুযোগ। তাছাড়া তিনি প্রসার ভারতীর সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড এডুকেশেনের ন্যাশনাল করেসপন্ডেন্ট।

জাতীয় কবিতা পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ও ইফতার অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০৩ এএম
জাতীয় কবিতা পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ও ইফতার অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় কবিতা পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৪টায় সাওল হার্ট সেন্টারের ‘কাজল মিলনায়তন’-এ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান।

তিনি বলেন, জাতীয় কবিতা পরিষদ এরশাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানেও কবিতা পরিষদ তার আন্দোলন, সংগ্রামের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। কবিতা চর্চার পাশাপাশি জাতীয় ও সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা প্রতিবাদ ও আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি। ভবিষ্যতেও রাখব।

আগামীতে কবিতা পরিষদের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, নতুন কাব্য আন্দোলন গড়ে তুলতে, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাষ্ট্রিক পরিবর্তনে জাতীয় কবিতা পরিষদ কী ভূমিকা পালন করবে সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।

আলোচনায় অংশ নেন- জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউদ্দিন স্টালিন, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, সহ-সভাপতি এবিএম সোহেল রশীদ, সহ-সভাপতি মানব সুরত, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শাহীন রেজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুন্নবী সোহেল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ করিম, অর্থ সম্পাদক ক্যামেলিয়া আহমেদ, প্রকাশনা সম্পাদক শওকত হোসেন, সেমিনার সম্পাদক মঞ্জুর রহমান, পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ক সম্পাদক মিতা অলী, দপ্তর সম্পাদক রোকন জহুর প্রমুখ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- প্রচার সম্পাদক আসাদ কাজল, জনসংযোগ সম্পাদক রফিক হাসান, শান্তি ও শৃঙ্খলা সম্পাদক ইউসুফ রেজা, সদস্য জমিল জাহাঙ্গীর, সদস্য আবীর বাঙালী প্রমুখ।

আলোচনা শেষে ইফতার পর্বের মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান। বিজ্ঞপ্তি 

আরজ আলী মাতুব্বরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
আরজ আলী মাতুব্বরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
দার্শনিক, চিন্তাবিদ ও লেখক আরজ আলী মাতুব্বর। ছবি: সংগৃহীত

দার্শনিক, চিন্তাবিদ ও লেখক আরজ আলী মাতুব্বরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮৫ সালে আজকের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। 

বরিশাল শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ছোট্ট গ্রাম লামচর। এই গ্রামেরই এক গরিব কৃষক পরিবারে ১৯০০ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে অভাব-অনটনের কারণে স্কুল ছেড়ে দিতে হলেও পরবর্তী জীবনে আরজ আলী মাতুব্বর স্বশিক্ষিত হয়ে ওঠেন।

নিজের চেষ্টায় জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা শাখায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও আরজ আলী মাতুব্বর অতিথি শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিয়েছেন ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্বাধীনভাবে দর্শন, বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয়ে মত প্রকাশ করে আজীবন কুসংস্কার এবং গোঁড়ামির বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন। এ জন্য সমাজের এক শ্রেণির মানুষ, এমনকি অনেক সময় রাষ্ট্রীয় বাহিনীরও চক্ষুশূল হয়েছেন তিনি। 

প্রথাবিরোধী এই লেখককে অনেক বাধা পেরিয়ে নিজের বই প্রকাশ করতে হয়েছে। ১৯৭৩ সালে তার প্রথম বই ‘সত্যের সন্ধানে’ প্রকাশিত হয়। জীবদ্দশায় প্রকাশিত তার উল্লেখযোগ্য চারটি গ্রন্থ হচ্ছে: ‘সত্যের সন্ধানে’ (১৯৭৩), ‘সৃষ্টির রহস্য’ (১৯৭৭), ‘অনুমান’ (১৯৮৩) ও ‘স্মরণিকা’ (১৯৮২)। মৃত্যুর কিছুকাল পরে প্রকাশিত হয় আরেকটি বই ‘মুক্তমন’ (১৯৮৮)।

তার বেশ কিছু লেখা ‘আরজ আলী মাতুব্বর রচনাবলী’ নামে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। 

আরজ আলী মাতুব্বর বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেহদানের অঙ্গীকার করে যান।

নানা আয়োজনে পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম
নানা আয়োজনে পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ছবি : খবরের কাগজ

ফরিদপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০ টায় কবি কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় শহরের অম্বিকাপুরে কবির কবরে ফুলেল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক ও জসিম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. কামরুল হাসান মোল্লা, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল, কবিপুত্র খুরশিদ আনোয়ারসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

পরে জেলা প্রশাসন ও জসিম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবির বাড়ির আঙ্গিনায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু বিশ্বাস। 

কবি কে স্মরণীয় করে ধরে রাখতে তার গল্প, কবিতা, উপন্যাস চর্চার তাগিদ দেন ও কবির রুহের মাগফিরাত কামনায় করেন। 

উল্লেখ্য পল্লী কবি জসীমউদ্দীন ১৯০৩ সালের পহেলা জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য তার লেখনীর মধ্য দিয়ে নগর সভায় নিয়ে আসেন। কবর কবিতাসহ নকশী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট বাংলা ভাষার গীতিময় কবিতার অন্যতম নিদর্শন।

সঞ্জিব দাস/জোবাইদা/

পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২৪ এএম
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২৫ এএম
পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীন

পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৪ মার্চ। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর শহরতলির কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কবির পিতা আনছার উদ্দীন ও মা আমেনা খাতুন।

কবির শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফরিদপুর শহরের হিতৈষী স্কুলে। সেখানে প্রাথমিকের পাঠ শেষ করে তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯২১ সালে এসএসসি, ১৯২৪ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। পরে তিনি ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন। তার কর্মজীবন শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে। ১৯৬১ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি।

কবি জসীমউদ্‌দীন ১৯৭৬ সালে ইউনেসকো পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট উপাধি এবং ১৯৭৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। কবির অমর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে ‘নকশী কাঁথার মাঠ’, ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’, ‘এক পয়সার বাঁশি’, ‘রাখালী’, ‘বালুচর’ প্রভৃতি।