
‘স্বাধীনতা সাম্য সম্প্রীতির জন্য কবিতা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ রবিবার শেষ হচ্ছে দুই দিনব্যাপী ৩৭তম জাতীয় কবিতা উৎসব।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে উৎসব উদ্বোধন করেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহিদ আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এরপর জাতীয় পতাকা ও কবিতা পরিষদের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের আয়োজন।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আজকে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধক শহিদ আবু সাঈদের মা। এই উদ্বোধক নির্বাচনটাই বলে দেয় আমরা কোন বাংলাদেশে আছি এবং কোন পথে হাঁটছি। আমরা দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এবারের আন্দোলনের গুণগত কয়েকটি পরিবর্তনের একটি হলো নারীরা এত ফ্রন্টলাইনে ছিলেন, যা অন্য আন্দোলনে ছিলেন কি না আমি জানি না। এ ছাড়া গ্রাফিতি যে আন্দোলনের প্রভাবক হতে পারে, এই আন্দোলনে তা প্রমাণ হয়েছে। এরপর কবিতা অসাধারণভাবে মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আমরা শিল্প-সংস্কৃতির কাছে পৌঁছেছি।’
বর্তমান সরকার মানুষের মতপ্রকাশের অধিকারে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বই ছাপানোর আগে সরকার পড়ে দেখবে- এমন কোনো বক্তব্য কেউ দেয়নি। অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক সেন্সর করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। এই সরকার মতপ্রকাশের অধিকারে বিশ্বাস করে।’
দুই দিনব্যাপী এই উৎসবের প্রথম দিনে দিনব্যাপী পাঁচটি পর্বে কবিতা পাঠ করেন আমন্ত্রিত দেশি-বিদেশি কবিরা। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আবৃত্তি-পর্ব ও কবিতার গান-পর্বের মধ্য দিয়ে আজকের কবিতা উৎসব শেষ হয়।
এদিকে আজ রবিবার সকাল ১০টায় তারুণ্যের গান-পর্বের মধ্য দিয়ে উৎসবের দ্বিতীয় ও শেষ দিনের উদ্বোধন হবে। দ্বিতীয় দিনেও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনটি পর্বে নিবন্ধিত কবিরা কবিতা পাঠ করবেন। দ্বিতীয় দিনে বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে ‘স্বাধীনতা সাম্য ও সম্প্রীতি: বাংলাদেশের কবিতা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল আলোচক থাকবেন গবেষক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান।
বিকেল ৫টায় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আমন্ত্রিত কবিরা কবিতা পাঠ করবেন। আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পীদের নিয়ে রাত ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত আবৃত্তি-পর্ব ও আমন্ত্রিত শিল্পীদের অংশগ্রহণে নৃত্য-পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। রাত ৯টায় সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে ৩৭তম জাতীয় কবিতা উৎসব।