ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

উদীচীর ২৩তম জাতীয় সম্মেলন শুরু

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০১ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম
উদীচীর ২৩তম জাতীয় সম্মেলন শুরু
ছবি: খবরের কাগজ

শত ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সমতার মন্ত্রে লড়াই অব্যাহত রাখার প্রত্যয় নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুরু হলো বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ২৩তম জাতীয় সম্মেলন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন উদীচীর প্রতিষ্ঠাতা সত্যেন সেনের ঘনিষ্ঠ সহচর, প্রবীণ কৃষক নেতা লীনা চক্রবর্তী।

তিন দিনব্যাপী উদীচীর এবারের জাতীয় সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘আমরা তো লড়ছি সমতার মন্ত্রে, থামব না কখনোই শত ষড়যন্ত্রে’। উদীচীর ২৩তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনের শুরুতে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সম্মেলনের উদ্বোধক লীনা চক্রবর্তী। সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান। এরপর নেতারা ও অতিথিরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ঢাক-ঢোল-কাঁশি বাদনের সঙ্গে আনন্দে উদ্বেলিত হন সারা দেশ থেকে আসা উদীচীর হাজারও শিল্পী-কর্মী। এরপর একটি বর্ণিল শোভাযাত্রা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে ফিরে আসে।

উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন লীনা চক্রবর্তী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রাফিউর রাব্বি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। এ পর্বটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম।

আলোচনার পর উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের শিল্পীদের উদ্বোধনী পরিবেশনা গীতি-নাট্যালেখ্য ‘প্রতারিত চিরকাল’ দিয়ে শুরু হয় প্রথম দিনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্ব। গীতি-নাট্যালেখ্যটি গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি মাহমুদ সেলিম।

এবারের জাতীয় সম্মেলনের ‘সম্মেলন সংগীত’ পরিবেশন করেন শাওন কুমার রায়। প্রথম দিনের পরিবেশনায় আরও ছিল বিভিন্ন বিভাগ থেকে উদীচীর সেরা জেলাগুলোর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ দিন সমবেত গণসংগীত পরিবেশন করে উদীচী মাদারীপুর ও চট্টগ্রাম জেলা সংসদ। গীতিআলেখ্য পরিবেশন করে উদীচী নারায়ণগঞ্জ জেলা সংসদ। উদীচী দিনাজপুর জেলা সংসদের শিল্পীরা পরিবেশন করেন নৃত্যনাট্য ‘নকশীকাঁথার মাঠ’। ছিল সাংস্কৃতিক ইউনিয়নের দলীয় পরিবেশনা। এ ছাড়া একক সংগীত পরিবেশন করেন মায়েশা সুলতানা ঊর্বি এবং একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন সুপ্রভা সেবতী। 

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনি আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শুরু হবে সম্মেলনের সাংগঠনিক বা কাউন্সিল অধিবেশন। দিনব্যাপী নানা সাংগঠনিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার পর সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্ব। 

আগামী শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে সম্মেলনের তৃতীয় ও সমাপনী দিনের কার্যক্রম। সারা দিন নানা সাংগঠনিক পর্ব শেষে পরবর্তী দুই বছরের জন্য নতুন কেন্দ্রীয় সংসদ গঠনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে উদীচীর ২৩তম জাতীয় সম্মেলন।

মাহফুজ

 

জাতীয় কবিতা পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ও ইফতার অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০৩ এএম
জাতীয় কবিতা পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ও ইফতার অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় কবিতা পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৪টায় সাওল হার্ট সেন্টারের ‘কাজল মিলনায়তন’-এ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান।

তিনি বলেন, জাতীয় কবিতা পরিষদ এরশাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানেও কবিতা পরিষদ তার আন্দোলন, সংগ্রামের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। কবিতা চর্চার পাশাপাশি জাতীয় ও সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা প্রতিবাদ ও আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি। ভবিষ্যতেও রাখব।

আগামীতে কবিতা পরিষদের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, নতুন কাব্য আন্দোলন গড়ে তুলতে, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাষ্ট্রিক পরিবর্তনে জাতীয় কবিতা পরিষদ কী ভূমিকা পালন করবে সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।

আলোচনায় অংশ নেন- জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউদ্দিন স্টালিন, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, সহ-সভাপতি এবিএম সোহেল রশীদ, সহ-সভাপতি মানব সুরত, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শাহীন রেজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুন্নবী সোহেল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ করিম, অর্থ সম্পাদক ক্যামেলিয়া আহমেদ, প্রকাশনা সম্পাদক শওকত হোসেন, সেমিনার সম্পাদক মঞ্জুর রহমান, পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ক সম্পাদক মিতা অলী, দপ্তর সম্পাদক রোকন জহুর প্রমুখ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- প্রচার সম্পাদক আসাদ কাজল, জনসংযোগ সম্পাদক রফিক হাসান, শান্তি ও শৃঙ্খলা সম্পাদক ইউসুফ রেজা, সদস্য জমিল জাহাঙ্গীর, সদস্য আবীর বাঙালী প্রমুখ।

আলোচনা শেষে ইফতার পর্বের মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান। বিজ্ঞপ্তি 

আরজ আলী মাতুব্বরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
আরজ আলী মাতুব্বরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
দার্শনিক, চিন্তাবিদ ও লেখক আরজ আলী মাতুব্বর। ছবি: সংগৃহীত

দার্শনিক, চিন্তাবিদ ও লেখক আরজ আলী মাতুব্বরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮৫ সালে আজকের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। 

বরিশাল শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ছোট্ট গ্রাম লামচর। এই গ্রামেরই এক গরিব কৃষক পরিবারে ১৯০০ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে অভাব-অনটনের কারণে স্কুল ছেড়ে দিতে হলেও পরবর্তী জীবনে আরজ আলী মাতুব্বর স্বশিক্ষিত হয়ে ওঠেন।

নিজের চেষ্টায় জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা শাখায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও আরজ আলী মাতুব্বর অতিথি শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিয়েছেন ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্বাধীনভাবে দর্শন, বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয়ে মত প্রকাশ করে আজীবন কুসংস্কার এবং গোঁড়ামির বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন। এ জন্য সমাজের এক শ্রেণির মানুষ, এমনকি অনেক সময় রাষ্ট্রীয় বাহিনীরও চক্ষুশূল হয়েছেন তিনি। 

প্রথাবিরোধী এই লেখককে অনেক বাধা পেরিয়ে নিজের বই প্রকাশ করতে হয়েছে। ১৯৭৩ সালে তার প্রথম বই ‘সত্যের সন্ধানে’ প্রকাশিত হয়। জীবদ্দশায় প্রকাশিত তার উল্লেখযোগ্য চারটি গ্রন্থ হচ্ছে: ‘সত্যের সন্ধানে’ (১৯৭৩), ‘সৃষ্টির রহস্য’ (১৯৭৭), ‘অনুমান’ (১৯৮৩) ও ‘স্মরণিকা’ (১৯৮২)। মৃত্যুর কিছুকাল পরে প্রকাশিত হয় আরেকটি বই ‘মুক্তমন’ (১৯৮৮)।

তার বেশ কিছু লেখা ‘আরজ আলী মাতুব্বর রচনাবলী’ নামে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। 

আরজ আলী মাতুব্বর বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেহদানের অঙ্গীকার করে যান।

নানা আয়োজনে পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম
নানা আয়োজনে পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ছবি : খবরের কাগজ

ফরিদপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০ টায় কবি কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় শহরের অম্বিকাপুরে কবির কবরে ফুলেল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক ও জসিম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. কামরুল হাসান মোল্লা, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল, কবিপুত্র খুরশিদ আনোয়ারসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

পরে জেলা প্রশাসন ও জসিম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবির বাড়ির আঙ্গিনায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু বিশ্বাস। 

কবি কে স্মরণীয় করে ধরে রাখতে তার গল্প, কবিতা, উপন্যাস চর্চার তাগিদ দেন ও কবির রুহের মাগফিরাত কামনায় করেন। 

উল্লেখ্য পল্লী কবি জসীমউদ্দীন ১৯০৩ সালের পহেলা জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য তার লেখনীর মধ্য দিয়ে নগর সভায় নিয়ে আসেন। কবর কবিতাসহ নকশী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট বাংলা ভাষার গীতিময় কবিতার অন্যতম নিদর্শন।

সঞ্জিব দাস/জোবাইদা/

পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২৪ এএম
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২৫ এএম
পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীন

পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৪ মার্চ। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর শহরতলির কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কবির পিতা আনছার উদ্দীন ও মা আমেনা খাতুন।

কবির শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফরিদপুর শহরের হিতৈষী স্কুলে। সেখানে প্রাথমিকের পাঠ শেষ করে তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯২১ সালে এসএসসি, ১৯২৪ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। পরে তিনি ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন। তার কর্মজীবন শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে। ১৯৬১ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি।

কবি জসীমউদ্‌দীন ১৯৭৬ সালে ইউনেসকো পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট উপাধি এবং ১৯৭৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। কবির অমর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে ‘নকশী কাঁথার মাঠ’, ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’, ‘এক পয়সার বাঁশি’, ‘রাখালী’, ‘বালুচর’ প্রভৃতি।

রমজানে লালন স্মরণোৎসব হবে ১ দিন, থাকছে না মেলা

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৪২ এএম
আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১১:২০ এএম
রমজানে লালন স্মরণোৎসব হবে ১ দিন, থাকছে না মেলা
লালন স্মরণোৎসব উপলক্ষে জেলা প্রশাসক লালনের মাজার পরিদর্শন করেন। ছবি:খবরের কাগজ

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়া আখড়াবাড়িতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত হচ্ছে লালন স্মরণোৎসব। প্রতিবছর দোলপূর্ণিমা তিথিতে মরমি সাধক লালন শাহ ভক্তদের সঙ্গে আখড়াবাড়িতে এই স্মরণোৎসব উদ্‌যাপন করতেন। তবে এবার পবিত্র রমজানের কারণে উৎসবের সময়সূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এবার এক দিনেই শেষ হবে এই স্মরণোৎসব এবং মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রাখা হয়নি।

লালন একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা তিনটায় কুষ্টিয়ার লালন একাডেমির হলরুমে আলোচনা অনুষ্ঠান হবে। এ ছাড়া সন্ধ্যা ও রাতে বাউল, ভক্ত, ফকিরদের জন্য ‘বাল্যসেবা’ প্রদান করা হবে। আগামীকাল (১৪ মার্চ) দুপুরে খেলাফতধারী বাউল ফকিররা নিজস্ব উদ্যোগে ‘পূর্ণসেবা’ নেবেন।

এবারের স্মরণোৎসবের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না রাখা। রমজান উপলক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার কারণে বাউল সাধুদের আগমনও তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে।

বাউল সাধক ফকির হৃদয় সাঁই জানিয়েছেন, আখড়াবাড়িতে বিকেলে সাধুসঙ্গ শুরু হবে, যা পরের দিন দুপুরে শেষ হবে। তিনি জানান, সাধু-বাউলরা তাদের আচার-অনুষ্ঠান অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে সাধুসঙ্গ করবেন।

লালনের মাজারে থাকা খোদা বক্স ফকির জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা গুরুকার্যে বসবেন এবং ভোরে সাহরির পূর্বে বাল্যসেবার কাজ সম্পন্ন করবেন। এর পর দুপুরে কেউ চাইলে নিজেদের কাফেলার মাধ্যমে ‘পুণ্যসেবা’ নিতে পারবেন।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান জানিয়েছেন, স্মরণোৎসবের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র‌্যাব এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

এবারের স্মরণোৎসবে লালন শাহের দর্শন ও তার মানবতার বাণী পুনরায় প্রমাণিত হবে এবং এতে যোগ দেবেন শুধু আচার-অনুষ্ঠান ও সাধুসঙ্গের জন্য আগত ভক্তরা।

মিলন/তাওফিক/