ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

চীনা প্রেসিডেন্টের বইয়ের প্রকাশনা উৎসব: ঢাকায়

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ০২:৫২ পিএম
আপডেট: ১৩ মে ২০২৫, ১০:০৯ এএম
চীনা প্রেসিডেন্টের বইয়ের প্রকাশনা উৎসব: ঢাকায়
চীনা  প্রেসিডেন্টের বইয়ের প্রকাশনা উৎসব: ঢাকায় । সংগৃহীত

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের লেখা বই ‘শি জিন পিং: দেশ প্রশাসন’ বাংলা ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রাজধানীতে এক প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। রবিবার (১১ মে) হোটেল সোনারগাঁওয়ে বইয়ের প্রকাশনা উৎসবের যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকার চীনা দূতাবাস ও চীনা ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ প্রেস।

‘শি জিন পিং: দেশ প্রশাসন’ বই বিষয়ক ‘চীনা-বাংলাদেশি পাঠক সভা’ শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট দু ঝানুওয়ান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীনের আধুনিকায়ন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী রূপান্তরে অবদান রাখতে পারে। বাংলাদেশের সঙ্গে চীন অভিন্ন ভবিষ্যৎ গঠনে কাজ করতে চায়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং এই বইয়ে মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের সম্প্রদায় গড়ে তোলার ধারণা ও আধুনিকীকরণের দিকে চীনের যাত্রা ব্যাখ্যা করেছেন। এ ধারণাগুলো প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত এবং পারস্পরিকভাবে শক্তিশালী। 

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বইটি ৪২ ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। বাংলাদেশি পাঠকরা বইটি  পড়লে চীন সম্পর্কে জানতে পারবে। বর্তমান বাস্তবতায় সমাজতন্ত্র বিষয়ে শি’র চিন্তা দর্শন তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে চীনা প্রশাসনের গাইডিং নীতিমালাও জানা যাবে।

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘চীনা প্রেসিডেন্টের বইয়ের বাংলা প্রকাশনা আমাদের জন্য একটি  বড় উপহার। বইটি পড়লে শি’র  রাজনৈতিক দর্শন ও চ্যলেঞ্জ জানা যাবে। এটা শুধু অ্যাকাডেমিক নয়, চীনের বিদেশ নীতিও তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।  তিনি জানান,  ঢাকায় চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও ঢাকায় চীনা অপেরা প্রদর্শনীর জন্য একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘চীনা-বাংলাদেশি পাঠক ফোরামের এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা যখন সংস্কার নিয়ে আলোচনা করছি, তখন চীনা প্রেসিডেন্টের এ বইটি আমাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন আইনের শাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, প্রতিবেশী দেশে কূটনীতি, দুর্নীতি প্রতিরোধ ইত্যাদি নিয়ে কথা বলছি।’ এ বইটিতে প্রেসিডেন্ট শি একই কথা বলেছেন।

পাঠকরাই বদলে দিচ্ছেন পৃথিবী: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৫০ পিএম
পাঠকরাই বদলে দিচ্ছেন পৃথিবী: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে প্রকাশক ও বিক্রেতা বাতিঘরের ২১ বছরে পদার্পণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। ছবি: খবরের কাগজ

বই পড়ুয়াদের সংখ্যা ক্রমে কমছে। সাহিত্য অঙ্গনে এই আলোচনা পুরোনো হয়ে গেছে। নেতিবাচক এই তর্কের ভিড়ে একদল পাঠক আছেন যারা বড্ড নিভৃতচারী। সেই পাঠকরা ঠিক খুঁজে নেন ভালো বই। বিশ্বসাহিত্যের সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করতে মননশীল সাহিত্যে প্রবন্ধে ঠিক নজর রাখেন প্রতিনিয়ত। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের দৃষ্টিতে সেই পাঠকরাই বদলে দিচ্ছেন পৃথিবী। তাদের হাত ধরেই এগোচ্ছে এই সভ্যতা। 

মঙ্গলবার (৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে প্রকাশক ও বিক্রেতা বাতিঘরের ২১ বছরে পদার্পণ অনুষ্ঠানে এই কথাগুলো বলছিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন লেখক-গবেষক ও বামপন্থি রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর, লেখক-চিন্তক ফরহাদ মজহার, অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, আলতাফ পারভেজ, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম, কবি-সাংবাদিক সাজ্জাদ শরিফ, লেখক কিযী তাহনিন, কবি মাহমুদ রুমেলসহ আরও অনেকে। আষাঢ়ে বিকেলে কাকভেজা হয়ে আরও এসেছিলেন এ প্রজন্মের অনেক তরুণ লেখক, সংস্কৃতিকর্মী। এসেছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। 

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘বইয়ের মধ্যে অনেক কিছু আছে। এই বই মানব সভ্যতাকে সৃষ্টি করেছে। আমাদের সেদিন একজন বলে যে, আজকাল কেউ বই পড়ে না। আমি বলি, কোন কালে পড়তো রে ভাই, বলতে পারো? ভালো বই যে পড়ে, সে মানুষই নিজেকে ছাড়িয়ে আরও ওপরে ওঠে।’ সভ্যতার বিকাশে পড়ুয়া এই মানুষদের অবদান নিয়ে তিনি বলেন, ‘জঙ্গল থেকে মানুষকে একেবারে আজকে এখানে নিয়ে এসেছে বই। এ বই কে পড়েছে, কবে, কয়জন? কিন্তু যারা সেই বই পড়ে, তারাই তো পৃথিবীকে পাল্টায়। তারাই তো এই পৃথিবীকে ওপরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কতজন সেসব বই পড়ল, তাতে কিচ্ছু এসে যায় না।’ 

বাংলাদেশে অধিকাংশ প্রকাশককে বাধ্য হয়ে ‘বাজে বই’ প্রকাশ করতে হয় বলে মন্তব্য করেন বদরুদ্দীন উমর। সেই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে বিশ্বসাহিত্যের সেরা বইয়ের (ক্ল্যাসিক) অনুবাদ করতে বাতিঘরকে পরামর্শ দেন তিনি। 

তিনি বলেন, ‘এখন যে অনুবাদ হচ্ছে না, আমি বলব সেটি বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রের মস্ত বড় সংকট। যারা প্রগতিশীল প্রকাশক বা যারা দেশে সুস্থ সংস্কৃতি গড়তে চান, তাদের বলব, দরকার হচ্ছে ব্যাপকভাবে অনুবাদ করা। আজেবাজে বইয়ের জায়গায় ভালো ভালো ক্ল্যাসিকস থেকে যদি অনুবাদ বই ছাপতে পারি তাহলে মস্ত উন্নতি হবে। পৃথিবীর সেরা মনীষীদের সঙ্গে আমাদের তরুণদের সংযোগ ঘটাতে সেসব বই সহজলভ্য করতে হবে।’ 

সরকারের উদ্যোগে ঢাকায় একটি অনুবাদ সংস্থা গঠনের পরামর্শও দেন তিনি। পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘১৪০০ সাল’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন বদরুদ্দীন উমর। 

পরে বক্তব্য দিতে এসে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুবাদ সাহিত্যের জন্য একটি দপ্তর খোলা হবে। 

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশ সারা পৃথিবীকে নতুনত্বের বার্তা দিয়েছে। এখন বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা না করলে, পড়াশোনা না করলে, বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে না। আশা করব বাংলাদেশের তরুণরা সে দিকটি খেয়াল রাখবেন। আর আশা করব, বিদেশি লেখকদের বই এখন থেকে বাংলাদেশের প্রকাশনীগুলো থেকেই প্রকাশের ব্যবস্থা করা হবে।’ 

অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের বক্তব্যের ফাঁকে শিল্পীরা সংগীত এবং বাচিক শিল্পীরা আবৃত্তি পরিবেশন করেন। বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যা আড্ডা, গান আর তর্কে হয়ে ওঠে বর্ণিল।

কণ্ঠযোদ্ধা বিপুল ভট্টাচার্যের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৫ এএম
কণ্ঠযোদ্ধা বিপুল ভট্টাচার্যের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বিপুল ভট্টাচার্য

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বিপুল ভট্টাচার্যের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৫ জুলাই। ২০১৩ সালের এই দিন সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শেষ জীবনে তিনি ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন। 

বিপুল ভট্টাচার্য ১৯৫৩ সালের ২৫ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মাত্র ১৮ বছর বয়সে গানের মাধ্যমে তিনি বাংলার মুক্তিকামী মানুষের মনে প্রেরণা জুগিয়েছেন। বিপুল ভট্টাচার্য ‘মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থার’ সদস্য হিসেবে ট্রাকে করে শরণার্থী শিবিরগুলোতে, কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে, কখনো বা মুক্তাঙ্গনে সংগীত পরিবেশন করে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা জুগিয়েছিলেন।

প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘মুক্তির গান’ নামে যে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন, তার ১১টি গানের মধ্যে ১০টিই বিপুল ভট্টাচার্যের গাওয়া। তার বিখ্যাত কিছু গান হলো– ‘এই না বাংলাদেশের গান গাইতেরে দয়াল দুঃখে আমার পরান কান্দে’, ‘বলো বলো রে বলো সবে বলো রে বাঙালির জয়’, ‘নাও ছাড়িয়া দে পাল উড়াইয়া দে’ ইত্যাদি। 

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রথম বাংলাদেশ বেতারে সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে নিয়মিত শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করেন। 

স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:০৯ এএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:২১ এএম
স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
স্বামী বিবেকানন্দ।

আজ ৪ জুলাই স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি কলকাতায় তার জন্ম। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মগত নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় অতীন্দ্রিয়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে হিন্দুধর্ম, তথা ভারতীয় বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচারে প্রধান ভূমিকা রেখেছিলেন।

ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ-ভারতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণাটি প্রবর্তন করেন। বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতে বিবেকানন্দকে ‘বীর সন্ন্যাসী’ নামে অভিহিত করা হয়। তার জন্মদিনটি ভারতে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯০২ সালে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে স্বামী বিবেকানন্দ মারা যান।

কলকাতার এক উচ্চবিত্ত হিন্দু বাঙালি পরিবারে জন্ম নেওয়া বিবেকানন্দ ছোটবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি আকর্ষিত ছিলেন। তার গুরু রামকৃষ্ণদেবের কাছ থেকে তিনি শেখেন, সব জীবই ঈশ্বরের প্রতিভূ; তাই মানুষের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ ভারতীয় উপমহাদেশ ভালোভাবে ঘুরে দেখেন এবং ব্রিটিশ ভারতের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ১৮৯৩ সালে বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভারত ও হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। সে সময় শিকাগো বক্তৃতার মাধ্যমে তিনি পাশ্চাত্য সমাজে প্রথম হিন্দুধর্ম প্রচার করেন। যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও ইউরোপে তিনি হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অসংখ্য বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং ক্লাস নিয়েছিলেন। 

স্বামী বিবেকানন্দের লেখা বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: শিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ, রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত, ভাববার কথা, পরিব্রাজক, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত ইত্যাদি।

জাতীয় জাদুঘরে ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’র প্রিমিয়ার শো ৭ জুলাই

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০২:১১ পিএম
জাতীয় জাদুঘরে ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’র প্রিমিয়ার শো ৭ জুলাই
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’-এর প্রিমিয়ার শো আগামী সোমবার (৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে এই শো। 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। 

এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং শহিদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা শামসি আরা জামান। 

প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

তপন/পপি/

এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই
প্রাক্তন বিমান কর্মকর্তা, সংগীতশিল্পী, গীতিকবি, সমাজসেবক ও একজন মানবিক চিন্তাধারার মানুষ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আলহাজ্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা

প্রাক্তন বিমান কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আলহাজ্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা মারা গেছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার (২৮ জুন) রাতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির পেন্ উইলিয়াম মেডিসিন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন । 

বিমান কর্মকর্তা ছাড়াও তিনি ছিলেন সংগীতশিল্পী, গীতিকবি, সমাজসেবক ও একজন মানবিক চিন্তাধারার মানুষ। তার কর্ম ও অবদান যেন ছড়িয়ে আছে এদেশের আকাশ থেকে মাটির গভীর পর্যন্ত।

১৯৩৮ সালের ৯ নভেম্বর চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মিঠাছড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে এ কে এম বদরুদ্দোজা জন্মগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের জাতীয় বিমান সংস্থা 'বিমান'-এর শুরুর দিকের গর্বিত সঙ্গী ছিলেন তিনি। লন্ডন, ফ্রাঙ্কফুর্ট, জেদ্দা, কুয়ালালামপুর, কুয়েত, কাতার, সিঙ্গাপুরসহ বহু আন্তর্জাতিক গন্তব্যে স্টেশন ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এসব প্রতিষ্ঠানসহ, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন নিজের একাগ্রতা ও অসামান্য পেশাদারিত্বের মাধ্যমে। যে সময় বাংলাদেশ নবীন এক রাষ্ট্র, তখন বদরুদ্দোজার মতো নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা ছিলেন আস্থা ও সম্ভাবনার প্রতীক।

বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভির প্রথম শ্রেণির সংগীতশিল্পী হিসেবে তার পদচারণাও ছিল শক্তিশালী। আধুনিক গান, নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসংগীত কিংবা লোকসংগীত- প্রতিটি শাখায় ছিল তার সুরের স্নিগ্ধতা। গীতিকার ও সুরকার হিসেবেও ছিলেন প্রশংসিত। মঞ্চে তার উপস্থিতিই ছিল যেন এক আনন্দ-উল্লাসের উৎস।

ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন অতি সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। কিন্তু তার কর্মজীবন ছিল অসাধারণ। নিজস্ব অর্থায়নে দেশে গড়ে তুলেছেন বহু স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসা। দুস্থ মানবতার সেবায়, দরিদ্র শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নির্মাণে, গ্রামের জনপদের অবকাঠামোতে তার অবদান নিঃশব্দ এক বিপ্লবের মতো।

তার মৃত্যুতে এক প্রকৃত দেশপ্রেমিক, এক শিল্পমন, এক নীরব নির্মাতাকে হারালো দেশ।

মেহেদী/