ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:০৯ এএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:২১ এএম
স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
স্বামী বিবেকানন্দ।

আজ ৪ জুলাই স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি কলকাতায় তার জন্ম। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মগত নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় অতীন্দ্রিয়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে হিন্দুধর্ম, তথা ভারতীয় বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচারে প্রধান ভূমিকা রেখেছিলেন।

ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ-ভারতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণাটি প্রবর্তন করেন। বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতে বিবেকানন্দকে ‘বীর সন্ন্যাসী’ নামে অভিহিত করা হয়। তার জন্মদিনটি ভারতে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯০২ সালে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে স্বামী বিবেকানন্দ মারা যান।

কলকাতার এক উচ্চবিত্ত হিন্দু বাঙালি পরিবারে জন্ম নেওয়া বিবেকানন্দ ছোটবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি আকর্ষিত ছিলেন। তার গুরু রামকৃষ্ণদেবের কাছ থেকে তিনি শেখেন, সব জীবই ঈশ্বরের প্রতিভূ; তাই মানুষের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ ভারতীয় উপমহাদেশ ভালোভাবে ঘুরে দেখেন এবং ব্রিটিশ ভারতের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ১৮৯৩ সালে বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভারত ও হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। সে সময় শিকাগো বক্তৃতার মাধ্যমে তিনি পাশ্চাত্য সমাজে প্রথম হিন্দুধর্ম প্রচার করেন। যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও ইউরোপে তিনি হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অসংখ্য বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং ক্লাস নিয়েছিলেন। 

স্বামী বিবেকানন্দের লেখা বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: শিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ, রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত, ভাববার কথা, পরিব্রাজক, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত ইত্যাদি।

কণ্ঠযোদ্ধা বিপুল ভট্টাচার্যের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৫ এএম
কণ্ঠযোদ্ধা বিপুল ভট্টাচার্যের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বিপুল ভট্টাচার্য

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বিপুল ভট্টাচার্যের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৫ জুলাই। ২০১৩ সালের এই দিন সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শেষ জীবনে তিনি ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন। 

বিপুল ভট্টাচার্য ১৯৫৩ সালের ২৫ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মাত্র ১৮ বছর বয়সে গানের মাধ্যমে তিনি বাংলার মুক্তিকামী মানুষের মনে প্রেরণা জুগিয়েছেন। বিপুল ভট্টাচার্য ‘মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থার’ সদস্য হিসেবে ট্রাকে করে শরণার্থী শিবিরগুলোতে, কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে, কখনো বা মুক্তাঙ্গনে সংগীত পরিবেশন করে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা জুগিয়েছিলেন।

প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘মুক্তির গান’ নামে যে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন, তার ১১টি গানের মধ্যে ১০টিই বিপুল ভট্টাচার্যের গাওয়া। তার বিখ্যাত কিছু গান হলো– ‘এই না বাংলাদেশের গান গাইতেরে দয়াল দুঃখে আমার পরান কান্দে’, ‘বলো বলো রে বলো সবে বলো রে বাঙালির জয়’, ‘নাও ছাড়িয়া দে পাল উড়াইয়া দে’ ইত্যাদি। 

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রথম বাংলাদেশ বেতারে সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে নিয়মিত শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করেন। 

জাতীয় জাদুঘরে ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’র প্রিমিয়ার শো ৭ জুলাই

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০২:১১ পিএম
জাতীয় জাদুঘরে ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’র প্রিমিয়ার শো ৭ জুলাই
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’-এর প্রিমিয়ার শো আগামী সোমবার (৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে এই শো। 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। 

এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং শহিদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা শামসি আরা জামান। 

প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

তপন/পপি/

এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই
প্রাক্তন বিমান কর্মকর্তা, সংগীতশিল্পী, গীতিকবি, সমাজসেবক ও একজন মানবিক চিন্তাধারার মানুষ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আলহাজ্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা

প্রাক্তন বিমান কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আলহাজ্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা মারা গেছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার (২৮ জুন) রাতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির পেন্ উইলিয়াম মেডিসিন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন । 

বিমান কর্মকর্তা ছাড়াও তিনি ছিলেন সংগীতশিল্পী, গীতিকবি, সমাজসেবক ও একজন মানবিক চিন্তাধারার মানুষ। তার কর্ম ও অবদান যেন ছড়িয়ে আছে এদেশের আকাশ থেকে মাটির গভীর পর্যন্ত।

১৯৩৮ সালের ৯ নভেম্বর চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মিঠাছড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে এ কে এম বদরুদ্দোজা জন্মগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের জাতীয় বিমান সংস্থা 'বিমান'-এর শুরুর দিকের গর্বিত সঙ্গী ছিলেন তিনি। লন্ডন, ফ্রাঙ্কফুর্ট, জেদ্দা, কুয়ালালামপুর, কুয়েত, কাতার, সিঙ্গাপুরসহ বহু আন্তর্জাতিক গন্তব্যে স্টেশন ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এসব প্রতিষ্ঠানসহ, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন নিজের একাগ্রতা ও অসামান্য পেশাদারিত্বের মাধ্যমে। যে সময় বাংলাদেশ নবীন এক রাষ্ট্র, তখন বদরুদ্দোজার মতো নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা ছিলেন আস্থা ও সম্ভাবনার প্রতীক।

বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভির প্রথম শ্রেণির সংগীতশিল্পী হিসেবে তার পদচারণাও ছিল শক্তিশালী। আধুনিক গান, নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসংগীত কিংবা লোকসংগীত- প্রতিটি শাখায় ছিল তার সুরের স্নিগ্ধতা। গীতিকার ও সুরকার হিসেবেও ছিলেন প্রশংসিত। মঞ্চে তার উপস্থিতিই ছিল যেন এক আনন্দ-উল্লাসের উৎস।

ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন অতি সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। কিন্তু তার কর্মজীবন ছিল অসাধারণ। নিজস্ব অর্থায়নে দেশে গড়ে তুলেছেন বহু স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসা। দুস্থ মানবতার সেবায়, দরিদ্র শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নির্মাণে, গ্রামের জনপদের অবকাঠামোতে তার অবদান নিঃশব্দ এক বিপ্লবের মতো।

তার মৃত্যুতে এক প্রকৃত দেশপ্রেমিক, এক শিল্পমন, এক নীরব নির্মাতাকে হারালো দেশ।

মেহেদী/

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১০:০০ এএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫, ১০:৪২ এএম
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আঁকা: নিয়াজ চৌধুরী তুলি

উনিশ শতকের শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৯ জুন। ১৮৭৩ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মাইকেল ছিলেন একাধারে কবি, নাট্যকার, সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।

মাইকেলের জন্ম ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামের এক জমিদার বংশে। বাবা রাজনারায়ণ দত্ত ও মা জাহ্নবী দেবী।

কলকাতার হিন্দু কলেজে অধ্যয়নকালে মধুসূদনের প্রতিভার বিকাশ ঘটে। ১৮৪৩ সালে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে চলে যান বিলেতে। ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে মধুসূদন তার আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। পরে ভারতে ফিরে মাদ্রাজে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। 

মাদ্রাজে তিনি বেশ কয়েকটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন। মাদ্রাজে থাকতে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘দ্য ক্যাপটিভ লেডি’। বাবার মৃত্যুর পর ১৮৫৬ সালে মাইকেল কলকাতায় ফিরে আসেন। এ সময় তিনি অনুভব করেন বাংলা নাট্যসাহিত্যে উপযুক্ত নাটকের অভাব রয়েছে। তিনি কলকাতার পাইকপাড়ার রাজাদের বেলগাছিয়া থিয়েটারের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন। মহাভারতের দেবযানী-যযাতি কাহিনী অবলম্বনে ১৮৫৮ সালে পাশ্চাত্য রীতিতে রচনা করেন ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটক। এটিই প্রকৃত অর্থে বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মৌলিক নাটক। পরের বছর মধুসূদন রচনা করেন দুটি প্রহসনমূলক নাটক ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ ও ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’। 

১৮৬০ সালে তিনি গ্রিক পুরাণের কাহিনী অবলম্বনে রচনা করেন ‘পদ্মাবতী’ নাটক। এ নাটকেই তিনি পরীক্ষামূলকভাবে ইংরেজি কাব্যের অনুসরণে অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন। বাংলা কাব্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের সেটাই ছিল প্রথম ব্যবহার। বাংলা কাব্যকে তিনি এভাবেই ছন্দের বন্ধন থেকে মুক্তি দেন। ১৮৬১ সালে রামায়ণের কাহিনি নিয়ে অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচনা করেন ‘মেঘনাদবধ কাব্য’। এটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মৌলিক মহাকাব্য। মধুসূদনের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি।

১৮৬২ সালের ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে যান তিনি। এখানে বসে ইতালীয় কবি পেত্রার্কের অনুসরণে বাংলায় সনেট লিখতে শুরু করেন। ভার্সাই নগরীতে থাকতেই তিনি মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেন। তার এই সনেটগুলো ১৮৬৬ সালে ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ নামে প্রকাশিত হয়।

১৮৬৭ সালের ৫ জানুয়ারি দেশে ফিরে মাইকেল কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসায় যোগ দেন। কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি। নানা টানাপোড়েনের মধ্যেও মধুসূদন কাব্যচর্চা অব্যাহত রাখেন। বাংলা ভাষায় তার প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে ১২টি এবং ইংরেজিতে ৫টি।

এই মহান বাঙালি প্রতিভাবান কবির শেষজীবন অত্যন্ত দুঃখ-দারিদ্র্যের মধ্যে কেটেছে। ঋণের দায়, অর্থাভাব, অসুস্থতা, চিকিৎসাহীনতার কারণে তার জীবন হয়ে উঠেছিল দুর্বিষহ। কপর্দকহীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

কবি আবুল হোসেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ১০:০৮ এএম
কবি আবুল হোসেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
কবি আবুল হোসেন

‘নববসন্ত’-এর কবি আবুল হোসেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৯ জুন। ২০১৪ সালের এ দিনে তিনি ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। 

আবুল হোসেন ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার আরুয়াডাঙা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম যৌবনে লেখক হিসেবে খ্যাতি পাওয়া এই শিল্পী ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। 

বিশের দশকের গোড়ার কথা। তখন বাংলা কথাসাহিত্যে আধুনিকতার নতুন এক সম্প্রসারিত রূপ গড়ে উঠছে, যার প্রধান অনুষঙ্গ রবীন্দ্র-বিরোধিতা। বাঙালি হিন্দু ও বাঙালি মুসলমান- রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে তৈরি হয়ে যায় দুটো ধারা। তবে সমাজের এ পরিবর্তনে আবুল হোসেন কবিতায় মুখ্য করে তুললেন উদারনৈতিক ও সম্প্রদায় নিরপেক্ষ বাস্তবতা। প্রগতিবাদী এই কবি বাংলা কবিতাকে দিয়েছেন স্বতন্ত্র রূপ। 

বাংলা সাহিত্যের কবিতা শাখায় তার অবদানের জন্য তিনি ১৯৬৩ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তার অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।