ঢাকা ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গাড়ির গতিসীমা লঙ্ঘন শনাক্তে নতুন প্রযুক্তি

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম
গাড়ির গতিসীমা লঙ্ঘন শনাক্তে নতুন প্রযুক্তি
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের জনপ্রিয় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ডের গাড়িগুলো আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবে। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন। প্রতিষ্ঠানটির নতুন প্রযুক্তি গাড়ির গতিসীমা লঙ্ঘন শনাক্ত করবে এবং সেই তথ্য সরাসরি পুলিশের কাছে পাঠাবে। ফোর্ড এমন একটি ক্যামেরা সিস্টেম তৈরি করছে, যা গাড়িগুলোর গতিসীমা লঙ্ঘনকারী অন্য গাড়ির ছবি তুলে সরাসরি পুলিশের কাছে পাঠাবে।

ফোর্ডের পেটেন্টে বলা হয়েছে, ট্রাফিক পুলিশ সাধারণত গতিসীমা লঙ্ঘনের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। এর মধ্যে গতিসীমা লঙ্ঘনকারী গাড়ি শনাক্ত করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। এই সিস্টেমে গাড়িগুলোকে একে অপরের গতি পর্যবেক্ষণের জন্য ক্যামেরা সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত করা হবে। যদি কোনো গাড়ি গতিসীমা লঙ্ঘন করে তবে পাশের গাড়ির ক্যামেরা তা ধারণ করে পুলিশে পাঠিয়ে দেবে। ফলে গতিসীমা লঙ্ঘন করলেই ধরা পড়তেই হবে। নিজেদের তৈরি গাড়িতে এ সুবিধা চালুর জন্য নতুন প্রযুক্তির ক্যামেরা সিস্টেম তৈরির কাজ শুরু করেছে ফোর্ড। নতুন ক্যামেরা প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করবে, তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি ফোর্ড।

ফোর্ড জানিয়েছে, ‘এই পেটেন্টে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এটি নির্দিষ্ট গাড়ির জন্য। এটি গাড়ির অভ্যন্তরীণ সিস্টেম ও সেন্সর ব্যবহার করবে।’ ফোর্ড আরও জানিয়েছে, এই পেটেন্টে বলা হয়নি যে গ্রাহকদের গাড়ি থেকে ড্রাইভিং ডেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শেয়ার করা হবে। এই বিষয় গণমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন।

/আবরার জাহিন

বৃষ্টিতে বাইক স্টার্ট না নিলে

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
বৃষ্টিতে বাইক স্টার্ট না নিলে
ছবি: সংগৃহীত

বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে রাস্তাঘাট ভেজা থাকায় বাইক চালানো অনেক সময় কষ্টকর হয়ে পড়ে। অনেক সময় দেখা যায়, বৃষ্টিতে বাইক স্টার্ট দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। কেন এমন হয় এবং এর সমাধান কী, তা নিয়ে আজকের  আয়োজন।

বাইক স্টার্ট না হওয়ার কারণ

স্পার্ক প্লাগের সমস্যা: বাইক দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করলে স্পার্ক প্লাগে কার্বন জমে যায়। এতে স্পার্ক প্লাগ ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না এবং বাইক স্টার্ট হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আবার স্পার্ক প্লাগের কানেক্টরে পানি ঢুকে গেলেও বাইক স্টার্ট না নেওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত স্পার্ক প্লাগ পরিষ্কার করে রাখুন। যদি প্লাগের কানেক্টরে পানি ঢুকে যায়, তাহলে তা ভালো করে মুছে নিন।

সাইলেন্সারে পানি জমে যাওয়া: বৃষ্টির পানি সাইলেন্সারের ভেতরে ঢুকে গেলে বাইক স্টার্ট দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পর সাইলেন্সার চেক করে দেখুন, তাতে পানি জমে আছে কি না। যদি পানি জমে থাকে, তাহলে তা বের করে নিন।

ব্যাটারির সমস্যা: ব্যাটারি যদি খারাপ হয়ে যায় বা পুরোনো হয়ে যায়, তাহলেও বাইক স্টার্ট না নেওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি ব্যাটারি খারাপ হয়ে যায়, তাহলে তা নতুন করে বদলে নিন।

গভীর পানি এড়িয়ে চলুন: বর্ষাকালে গভীর পানিযুক্ত জায়গা দিয়ে বাইক চালানো থেকে বিরত থাকুন। কারণ গভীর পানিতে বাইক চালালে ইঞ্জিনে পানি ঢুকে যেতে পারে এবং বাইক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নিয়মিত বাইকের যত্ন নিলে আপনার বাইক দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। বর্ষায় বাইক চালানোর সময় বিষয়গুলো মাথায় রাখলে অনেক সমস্যা এড়াতে পারবেন।   

/আবরার জাহিন

বিওয়াইডির ইভিতে ব্যবহৃত হবে হুয়াওয়ের উন্নত ড্রাইভিং সিস্টেম

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
বিওয়াইডির ইভিতে ব্যবহৃত হবে হুয়াওয়ের উন্নত ড্রাইভিং সিস্টেম
ছবি: সংগৃহীত

চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিল্ড ইয়োর ড্রিমস বা বিওয়াইডির ইভিতে যুক্ত হবে প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ের অ্যাডভান্সড অটোনোমাস ড্রাইভিং সিস্টেম। এ জন্য গত মঙ্গলবার হুয়াওয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বিওয়াইডি। চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হুয়াওয়ে। এই অ্যাডভান্সড অটোনোমাস ড্রাইভিং সিস্টেম ব্যবহার করা হবে বিওয়াইডির ‘ফাংচেংবাও’ ইভিতে।

প্রতিষ্ঠানটির ফাংচেংবাও লাইনআপে ‘ব্যাও-এইট’ এসইউভি হবে প্রথম মডেল, যাতে হুয়াওয়ের ‘কিয়ানকুন (কিউ ইয়ান কুন)’ ইন্টেলিজেন্ট ড্রাইভিং সিস্টেম ব্যবহার করবে। এই বছরের শেষে গাড়িটি বিক্রি শুরু হবে। বিওয়াইডির প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড ডেনজা, ফাংচেংবাও এবং ইয়াংওয়াং-এর বিক্রি বাড়াতে নতুনভাবে প্রচেষ্টা করছে।

চায়না অ্যাসোসিয়েশন অব অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্সের তথ্য অনুযায়ী, বছরের প্রথমার্ধে এই তিন ব্র্যান্ড মোট বিক্রির মাত্র ৫ শতাংশ ছিল।
হুয়াওয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার ফলে স্মার্ট ড্রাইভিং কনফিগারেশন তৈরিতে বিওয়াইডি প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর চাপ বাড়াবে। চীনা ইভি নির্মাতা প্রতিষ্ঠাটি নিজস্ব প্রযুক্তির ব্যাটারি তৈরিসহ নানা কৌশলে ইভি বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে।

কোম্পানিটি গত বছর থেকে হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করে নিজস্ব অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম (এডিএএস) তৈরিতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। এখনো উচ্চমানের মডেলগুলোতে এই ধরনের ফিচারের জন্য কোম্পানিটিকে অন্য সরবরাহকারীদের ওপর নির্ভর করতে হয়।

এর মধ্যে ডেনজা গাড়িতে ‘মোমেন্টা এডিএএস’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এই চুক্তি ইভি সেক্টরে প্রধান এডিএএস সরবরাহকারী হিসেবে  হুয়াওয়ের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিকে প্রতিফলিত করে। ইভি সেক্টরে চীনা প্রযুক্তি সংস্থার ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিকেও প্রতিফলিত করে। ভক্স ওয়াগেনের অডিতে চীনা বাজারের জন্য ইভিতে হুয়াওয়ের এডিএএস ব্যবহার করবে।

বৃষ্টিতে বাইক চালানো

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
বৃষ্টিতে বাইক চালানো
ছবি: সংগৃহীত

বর্ষায় মোটরসাইকেল চালানো চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে বাইকারদের কাছে। বৃষ্টির পানি রাস্তাকে পিচ্ছিল করে তোলে এবং সামনের দৃশ্যমানতা কমিয়ে দেয়। তাই বৃষ্টিতে বাইক চালানোর সময় কিছু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। আসুন জেনে নেওয়া যাক বৃষ্টিতে বাইক চালানোর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস।

আগে থেকে প্রস্তুতি

বর্ষা শুরুর আগে বাইকের সম্পূর্ণ সার্ভিসিং করে নিন। বিশেষ করে ব্রেক, টায়ার, চেইন এবং হেডলাইটগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। বৃষ্টির জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা রেইন স্যুট, হেলমেটের সঙ্গে অ্যান্টি-ফগ গ্লাস ও ওয়াটারপ্রুফ গ্লাভস ব্যবহার করুন। বাইকের ব্রেক ঠিক আছে কি না, তা বর্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষা করে নিন। ব্রেক অয়েল ব্যবহার করুন। যেন যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্রেক কষলে দ্রুত কাজ করে। এতে বিপদ এড়ানো সম্ভব।

চালানোর সময়

গতি কমিয়ে বাইক চালান: ভেজা রাস্তায় বাইকের গতি সব সময় কম রাখুন। কোনো বাঁক নেওয়ার আগে গতি আরও কমিয়ে আনুন। এতে রাস্তায় বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার শঙ্কা কমে যায়।

দূরত্ব বজায় রাখুন: সামনের গাড়ির সঙ্গে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন। ভেজা রাস্তায় ব্রেক কষলে বাইক স্লিপ করে যেতে পারে। বৃষ্টির সময় স্বাভাবিকের থেকে ব্রেকিং দূরত্ব প্রায় দ্বিগুণ রাখতে হবে। কারণ শুকনো রাস্তার মতো ভেজা রাস্তায় অতি সহজে বাইক থামনো যায় না। হঠাৎ ব্রেক কষলে বাইক স্লিপ করে যেতে পারে। তাই আস্তে আস্তে ব্রেক চাপুন।

হেলমেট ব্যবহার করুন: সব সময় হেলমেট ব্যবহার করুন। বৃষ্টির সময় হালকা রঙের ভাইজর ব্যবহার করুন। এটি দৃশ্যমানতা বাড়াতে সাহায্য করবে। যেকোনো দুর্ঘটনা থেকে মাথাকে সুরক্ষা দিতে হেলমেট খুবই জরুরি। মোটরসাইকেল চালানোর সময় চালক ও আরোহী উভয়ের মাথায় হেলমেট থাকা আইনত বাধ্যতামূলক। বর্ষায় হেলমেট চোখের বাড়তি সুরক্ষা দেবে। তবে হেলমেটে কালো নয়, বরং সাদা, হলুদ বা কমলা রঙের গ্লাস এ ক্ষেত্রে চমৎকার কাজে দেয়।

হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন: বৃষ্টির সময় সব সময় হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন। এতে অন্যরা আপনাকে সহজে দেখতে পাবে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা অনেকটাই কমে।

রেইনকোট ব্যবহার করুন: বৃষ্টির সময় রেইনকোট ব্যবহার করুন। এটি আপনাকে শুষ্ক রাখতে সাহায্য করবে। ছাতা হাতে বাইক চালানো খুবই কঠিন। এই পরিস্থিতিতে রেইনকোট বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করবে।

চেন পরীক্ষা করুন: বৃষ্টির পানির কারণে চেনে মরিচা ধরতে পারে। বর্ষায় বাইকের চেনে ময়লা জমে যায়। তাই নিয়মিত চেন পরিষ্কার করুন এবং লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করুন।

টায়ার পরীক্ষা করুন: বাইকের টায়ারের যত্ন নিন। ভালো মানের টায়ার বাইকের রোড গ্রিপ বাড়াতে সাহায্য করে। হাই স্পিডে ব্রেক কষলেও ভেজা রাস্তায় চাকা স্কিড করার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়।

অ্যাকুয়াপ্ল্যানিং এড়িয়ে চলুন: অ্যাকুয়াপ্ল্যানিং হলো এমন অবস্থা যেখানে টায়ার পানির ওপর ভাসতে থাকে এবং রাস্তার সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে যায়। এটি এড়াতে গতি কমিয়ে চালান এবং গভীর পানির ওপর দিয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ইয়ামাহা বাইকে অটোমেটিক গিয়ারবক্স

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
ইয়ামাহা বাইকে অটোমেটিক গিয়ারবক্স
ছবি: সংগৃহীত

মোটরসাইকেল জগতে এক বিপ্লবী পরিবর্তন আনতে চলেছে জাপানি বাইক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইয়ামাহা। কোম্পানিটির জনপ্রিয় এমটি-০৯ মডেলে প্রথমবারের মতো যুক্ত হচ্ছে অটোমেটিক গিয়ারবক্স। এর ফলে বাইক চালানো আরও সহজ ও আরামদায়ক হবে।

ইয়ামাহা এই নতুন সিস্টেমকে বলেছে ‘ওয়াই-এএমটি (ইয়ামাহা অটোমেটিক ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন)।’ এই সিস্টেমে দুটি ইলেকট্রনিক অ্যাকচুয়েটার থাকে যা ক্লাচ লিভার ও ফুট শিফটারের কাজ করে। ফলে রাইডারকে গতি বাড়ানো, ব্রেক করা বা থামানোর সময় ম্যানুয়ালি গিয়ার বদলানোর প্রয়োজন পড়বে না।

তবে ম্যানুয়াল কন্ট্রোল চাইলেও সমস্যা নেই। বাইকের বাঁ-দিকে একটি সুইচ কিউব থাকবে যেখানে গিয়ার লিভার থাকবে এবং হ্যান্ডেলবারের ডান দিকে একটি সুইচের মাধ্যমে তিনটি শিফটিং মোডের মধ্যে সুইচ করা যাবে অটোমেটিক ডি, অটোমেটিক ডি প্লাস এবং ম্যানুয়াল। এই বাইকে ৮৯০ সিসি, থ্রি-সিলিন্ডার ইঞ্জিন থাকবে, ১১৭ দশমিক ৩ বিএইচপি শক্তি এবং ৯৩ এনএম টর্ক উৎপাদন করবে। বাইকটি ম্যানুয়াল এবং ওয়াই-এএমটি উভয় ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে। ওয়াই-এএমটি ভ্যারিয়েন্টটি ম্যানুয়াল ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ৩ কেজি বেশি ভারী। নতুন ইয়ামাহা এমটি-০৯ এই বছরের শেষে জাপানে বিক্রি শুরু হবে।  

নতুন নামে কিয়ার কম্প্যাক্ট সেডান

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
নতুন নামে কিয়ার কম্প্যাক্ট সেডান
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ান অটোমোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কিয়া নিজেদের সর্বশেষ কম্প্যাক্ট সেডান নতুন নামে পরিচয় করেছে। এর নাম দিয়েছে ‘কে-ফোর’। ২০২৫ সালের মডেলের গাড়ির জন্য এ নাম ব্যবহার করা হবে। কিয়া নিজেদের কম্প্যাক্ট সেডানের জন্য তিন প্রজন্ম ধরে ফোর্ট নামটি ব্যবহার করছিল, যার পরিবর্তে ‘কে-ফোর’ ব্যবহার করা হবে। আগের থেকে স্টাইলিশ ও সুসজ্জিতভাবে গাড়িটি বাজারে পাওয়া যাবে। তবে কে-ফোরের দাম আগের চেয়ে বেশি হবে।

গাড়িটির আকার আগের চেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের। গাড়িটির ভেতরে রয়েছে সুন্দরভাবে সজ্জিত কেবিন। কিয়া কে-ফোরের দাম ঘোষণা করেছে। যদিও এর দাম প্রাথমিক হবে ২০২৪ ফোর্টের চেয়ে ২ হাজার ডলার বেশি। তবে ক্রমবর্ধমান ব্যয়বহুল নতুন গাড়ির বাজারে কে-ফোর একটি সাশ্রয়ী মূল্যের গাড়ি।

ফোর্টের তুলনায় দাম বাড়ার কারণ বেসিক এলএক্স ট্রিম গাড়ির দাম ২৩ হাজার ১৪৫ ডলার থেকে শুরু হয়। এটিতে স্ট্যান্ডার্ড ওয়্যারলেস অ্যাপল কারপ্লে ও অ্যান্ড্রয়েড অটো, একটি ১২ দশমিক ৩ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন এবং চারটি ইউএসবি-সি পোর্ট রয়েছে। এলএক্সএস গাড়িতে ১ হাজার মার্কিন ডলার যোগ করলে ১৬ ইঞ্চি স্টিল হুইলকে একই আকারের ডার্ক গ্রে অ্যালয় হুইল দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা যায়।

কিয়া মোটরস কে-ফোর মডেলের নতুন সংস্করণ বাজারে আনছে। এবার থেকে কে-ফোর লাইন আপে ইএক্স ট্রিম পাওয়া যাবে ২৫ হাজার ১৪৫ মার্কিন ডলারে। এতে থাকবে ১৭ ইঞ্চি ব্ল্যাক অ্যালয় হুইল এবং ১২ দশমিক ৩ ইঞ্চি ডিজিটাল গেজ ক্লাস্টার। এ ছাড়া এই মডেলে উন্নত মানের ইন্টেরিয়র ট্রিম, ডুয়েল জোন অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল সিস্টেম ও ওয়্যারলেস চার্জার থাকবে।

জিটি লাইন মডেলটির দাম ২৬ হাজার ৩৪৫ মার্কিন ডলার। এটি দেখতে স্পোর্টি গাড়ির মতো। গাড়িটির পিছনের টর্শন-বিম অ্যাক্সেলের পরিবর্তে মাল্টি লিঙ্ক সাসপেনশন সেটআপ দেওয়া হয়েছে। স্পোর্টস-টিউনড সাসপেনশনের সঙ্গে স্টিয়ারিং হুইল মাউন্টেড প্যাডেল শিফটারও থাকবে। এ ছাড়া ১৮ ইঞ্চি হুইল এবং কিয়ার হাইওয়ে ড্রাইভিং অ্যাসিস্ট সিস্টেমও থাকবে।

এলএক্স, এলএক্সএস, এক্স এবং জিটি লাইন সব মডেলেই ২.০ লিটার ফোর সিলিন্ডার ইঞ্জিন থাকবে, যা সামনের চাকায় ১৪৭ হর্স পাওয়ার শক্তি সঞ্চালন করে।

যারা বেশি শক্তিশালী ১৯০ হর্স পাওয়ারের টার্বোচার্জড ১.৬ লিটার ইনলাইন-ফোর ইঞ্জিন চান, তাদের কমপক্ষে ২৯ হাজার ২৪৫ মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে জিটি লাইন টার্বো মডেলের জন্য। এতে ২.০ লিটার জিটি লাইন মডেলের মতো সব সুবিধা থাকবে। এতে এলইডি লাইট ও স্ট্যান্ডার্ড ফেক লেদার সিট থাকবে। এ ছাড়া টার্বো মডেলে পেছনের যাত্রীদের জন্য এয়ার ভেন্ট ও সাউন্ড সিস্টেম থাকবে।

কিয়া কে-ফোর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পাওয়া যাবে। জিটি লাইন মডেলটি এই বছরের নভেম্বরে আসবে। জিটি লাইন টার্বো মডেলটি ২০২৫ সালের শুরুতে পাওয়া যাবে।