ঢাকা ২০ আশ্বিন ১৪৩১, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

নতুন রূপে জিএমসি টেরেন

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
নতুন রূপে জিএমসি টেরেন
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেনারেল মোটরস নতুন রূপে প্রকাশ করেছে এন্ট্রি-লেভেলের ক্রসওভার জিএমসি টেরেন। এর মধ্যে নতুন একটি ‘এলিভেশন’ মডেলও রয়েছে। গত সোমবার জিএমসি টেরেনের এই নতুন সংস্করণ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।

কম্প্যাক্ট ক্রসওভারের বাইরের অংশ আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। এতে যুক্ত হয়েছে নতুন ইন্টেরিয়র। এতে রয়েছে একটি ১৫ ইঞ্চি সেন্টার টাচস্ক্রিন ও একটি ১১ ইঞ্চি ড্রাইভার ইনফরমেশন ক্লাস্টার।

এই স্ক্রিনগুলো গাড়ির নিরাপত্তা ও সুবিধাজনক ফিচারের অংশ। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে অ্যাডাপ্টিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, ফ্রন্ট হিটেড সিট এবং উন্নত অটোমেটিক ইমার্জেন্সি ব্রেকিং সিস্টেম। এ ছাড়া ওয়্যারলেস অ্যাপল কারপ্লে ও অ্যান্ড্রয়েড অটোও রয়েছে এতে। 
সময় উপযোগী ফিচারগুলো বাড়ানোর সঙ্গে জিএমসি টেরেনের লাইনআপকে সরল করা হয়েছে। ব্র্যান্ডটি অন্যান্য গাড়িতেও এলিভেশন ট্রিম ব্যবহার করে। 

জেনারেল মোটরস নতুনভাবে ডিজাইন করা টেরেনের দাম প্রকাশ করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষের দিকে গাড়িটি বাজারে আসতে পারে। গাড়িটির দাম শুরু হতে পারে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মার্কিন ডলারের মধ্যে। এলিভেশন ট্রিম প্রথমে বাজারে আসবে।  এর পরে আসবে এটি-ফোর ও বিলাসবহুল ডেনালি মডেলগুলো।

টেরেন সাধারণত জেনারেল মোটরসের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া নন-ট্রাক গাড়িগুলোর একটি। এর গাড়িগুলো কম্প্যাক্ট ক্রসওভার থেকে শুরু করে বড় ট্রাক এবং এসইউভি পর্যন্ত বিস্তৃত, যার মধ্যে জিএমসি হামার ইভিও রয়েছে। মেক্সিকোতে উৎপাদিত টেরেনের বিক্রয় বছরের প্রথমার্ধে বার্ষিক হারে ৩১ শতাংশ বেড়েছে।

/আবরার জাহিন

 

বাজারে এসেছে নতুন মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
বাজারে এসেছে নতুন মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট
এসইউভি সেগমেন্টের নতুন প্রজন্মের গাড়ি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় জাপানিজ অটোমোবাইল ব্র্যান্ড মিতসুবিশি বাজারে এনেছে তাদের এসইউভি সেগমেন্টের নতুন প্রজন্মের গাড়ি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট। সম্প্রতি এক প্রেস লঞ্চ ইভেন্টে প্রিমিয়াম স্টাইল, আরামদায়ক ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট গাড়িটি প্রদর্শন করেছে মিতসুবিশি মোটরস বাংলাদেশ।

নতুন প্রজন্মের মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট গাড়িটির সবচেয়ে মজার ফিচার হলো এর ৪টি বিশেষ ড্রাইভিং মোড, যা বাংলাদেশের আবহাওয়া ও রাস্তার অবস্থা বিবেচনা করে ডিজাইন করা হয়েছে। এতে রয়েছে ৮ ইঞ্চির সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। টাচ স্ক্রিনসহ সুবিশাল ১২ দশমিক ৩ ইঞ্চির ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমটিতে আছে অ্যান্ড্রয়েড অটো, অ্যাপেল কার প্লে, নেভিগেশনসহ সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তি। সেফটি ফিচার হিসেবে ৬টি এসআরএস এয়ারব্যাগসহ থাকছে এবিএস, ইবিডি, এএসসি, ব্লাইন্ড স্পট ওয়ার্নিং, আরসিটিএ প্রযুক্তি। পিচ্ছিল রাস্তার জন্য আছে এওয়াইসি ফিচার। আরও রয়েছে টায়ার প্রেশার মনিটরিং সিস্টেম, ওয়ারলেস চার্জারসহ একাধিক চার্জিং পোর্ট, ইলেকট্রনিক পার্কিং ব্রেক ও পার্কিং সেন্সর, রিয়ারভিউ ক্যামেরা ইত্যাদি। 

গাড়িটিতে ব্যবহার করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ‘টি’ শেপের হেডলাইট ও রিয়ার কম্বিনেশন লাইট। গাড়ির দৈর্ঘ্য ৪৩৯০ মিলিমিটার, প্রস্থ ১৮১০ মিলিমিটার ও ১৬৩৫ মিলিমিটার উচ্চতা থাকায় ২২২ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যাবে, যা বাংলাদেশের রাস্তার জন্য উপযোগী। ১৪৯৯ সিসির এই গাড়িতে আছে সিভিটি (এফ-১-সিডব্লিউএ) ট্রান্সমিশন। চোখধাঁধানো ব্ল্যাক থিমড ইন্টেরিওরের সঙ্গে হানিকম্ব প্যাটার্ন ও লেদারে মোড়ানো গাড়ির সিটগুলো অত্যন্ত প্রিমিয়াম ও আরামদায়ক, বিশেষ করে গাড়ির পেছনের দিকে ৩ জনের আরামে বসার জন্য রয়েছে যথেষ্ট জায়গা। গাড়িটিতে রয়েছে

সেকেন্ড-রো এসি ভেন্ট। একই সঙ্গে ১৮ ইঞ্চি মেশিন কাট অ্যালয় হুইল ও ইপিএস প্রযুক্তির সঙ্গে বাংলাদেশের রাস্তার অবস্থা বিবেচনায় গাড়ির সামনের ম্যাকফেরসন স্ট্রাট ও পেছনে টরসিওন বিম সাস্পেনশন চালকদের অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে। আরামদায়ক অভ্যন্তর, শক্ত কাঠামো, প্রশস্ত জায়গা ও পর্যাপ্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সসহ ৬টি চমৎকার রঙে মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট-এর এক্সটেরিওর সাজানো হয়েছে। গাড়িটির দাম পড়বে ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অত্যাধুনিক জাপানিজ প্রযুক্তি ও শক্তিশালী পারফরম্যান্স সমৃদ্ধ নতুন মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট গাড়িটিতে থাকছে ৫ বছরের ওয়ারেন্টি ও ৩টি ফ্রি সার্ভিসিং।

র‌্যানকন আটো ডিভিশন-১-এর ডিভিশনাল ডিরেক্টর শোয়েব আহমেদ বলেন, ‘মিতসুবিশি সব সময় গ্রাহকদের সেরা মানের জাপানিজ প্রযুক্তির পণ্য সরবরাহের চেষ্টা করে। তারই ধারাবাহিকতায় এসইউভি সেগমেন্টের নতুন প্রজন্মের মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট গাড়িটি বাজারে আনতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এটির পারফরম্যান্স দৈনন্দিন জীবনে গ্রাহকদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা নিশ্চিত করবে এবং মিতসুবিশি ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা ও নির্ভরশীলতা ধরে রাখতে ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’

বাজারে এল নতুন হোন্ডা হর্নেট টু-পয়েন্ট-ও

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
বাজারে এল নতুন হোন্ডা হর্নেট টু-পয়েন্ট-ও
হর্নেট টু-পয়েন্ট-ও। ছবি: সংগৃহীত

নতুন হর্নেট টু-পয়েন্ট-ও মোটরসাইকেল বাজারে এনেছে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড। এতে রয়েছে জাপানের তৈরি ও বিচিত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পিজিএম-এফআই প্রযুক্তিসমৃদ্ধ অত্যাধুনিক ইঞ্জিন।

হোন্ডার মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড, উদ্ভাবন, নির্ভরযোগ্যতা ও পারফরম্যান্সের জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মোটরসাইকেল নির্মাতা হিসেবে হোন্ডা বিভিন্ন আইকনিক মডেল তৈরি করেছে, যার মধ্যে হোন্ডা হর্নেট অন্যতম। হোন্ডার উদ্ভাবনের ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড স্টাইলিশ, প্রিমিয়াম ফিচার ও হাই-পারফরম্যান্স সম্পন্ন নতুন হর্নেট টু পয়েন্ট ও বাজারে এনেছে।

এতে রয়েছে সাপোর্ট ও স্লিপার ক্লাচ, গোল্ডেন ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক, শক্তিশালী ইঞ্জিন ও এবিএসসহ ডুয়াল পেটাল ডিস্ক ব্রেকের মতো উন্নত প্রযুক্তি। এখানে শক্তি ও স্পোর্টিনেসের এক দুর্দান্ত সংমিশ্রণ পাওয়া যাবে। হর্নেট টু-পয়েন্ট-ও বাংলাদেশের রাইডিং অভিজ্ঞতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে ও রোমাঞ্চকর রাইডিংয়ের এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ডায়নামিক গ্রাফিক্স ডিজাইন নতুন হর্নেট টু-পয়েন্ট-ও মোটরসাইকেলে এনে দিয়েছে প্রিমিয়াম স্টাইলিশ লুক। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক হেড ও টেইল ল্যাম্প ডিজাইন। উন্নত গ্রিপ ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির পেছনে আছে ১৪০ মিলিমিটার ও সামনে ১১০ মিলিমিটারের প্রশস্ত চাকা। এ ছাড়া স্ট্যাবি মাফলার কভার এতে বাড়তি প্রিমিয়াম লুক যোগ করেছে। গ্রাহকের চাহিদা পূরণে এই মোটরসাইকেলে রয়েছে সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তি। এতে রয়েছে লিকুইড ডিজিটাল ক্রিস্টাল মিটার, যা চলমান অবস্থায় রাইডারকে ইকো ইন্ডিকেটর, গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর, সার্ভিস ডিউ ইন্ডিকেটর, মাইলেজ ইন্ডিকেটর, ট্রিপ, ক্লক, অন-বোর্ড ডায়াগনস্টিক লাইট ইত্যাদি বিষয়ে অবগত করে।

এতে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড ইঞ্জিন স্টপ সুইচ। কার্যকরী ও স্থিতিশীল নিশিন ক্লিপারসহ বোস এবিএস ব্রেক সিস্টেম দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এর মনো শক সাসপেনশন রাইডারকে উচ্চ গতিতেও সুরক্ষিত ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দেয়। এ ছাড়া অটোমেটিক স্ট্যাবিলিটি কন্ট্রোল টেকনোলজি বৃষ্টিতে রাইড করার সময় রাইডিং সুরক্ষা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। সিট ও ট্যাংকের ইন্টিগ্রেশন রাইডারকে ব্রেক করার সময় ট্যাংকের আঘাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। রাইডার ও পিলিয়নের জন্য নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতে রয়েছে আরামদায়ক স্প্লিট সিট। হঠাৎ ব্রেক করার সময় বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সামনে পেটাল ডিস্ক ব্রেকস ও পেছনে বশ-এর সিঙ্গেল-চ্যানেল এবিএস আছে। একই সঙ্গে এটি পরিবেশবান্ধব, তবে এর ফলে পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব পড়ে না।

হর্নেট টু-পয়েন্ট-ও পাওয়া যাবে ২ লাখ ৮৯ হাজার টাকায়। ম্যাট সাংরিয়া রেড মেটালিক, ম্যাট মার্ভেল ব্লু মেটালিক, ম্যাট অ্যাক্সিস গ্রে মেটালিক এবং পার্ল ইগনিয়াস ব্ল্যাক এই ৪টি রঙে পাওয়া যাবে।

এই মোটরসাইকেলে শক্তিশালী ইঞ্জিনের পাশাপাশি রাইডিং অভিজ্ঞতা আরও উপভোগ্য করতে ডিজাইন করা হয়েছে। রাইডাররা উন্নত ফিচার ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই মোটরসাইকেল থেকে পাওয়া যাবে হাই-পারফরম্যান্স ও অনন্য অভিজ্ঞতা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও শিগেরু মাৎসুজাকি বলেন, ‘বাংলাদেশের বাজারে ১৮৪ দশমিক ৪ সিসির ‘হর্নেট টু-পয়েন্ট-ও’ দেশের মোটরসাইকেল জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এতে আমরা ভীষণ আনন্দিত।’

/আবরার জাহিন

 

গরমে বাইকে যেসব সমস্যা হতে পারে

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ এএম
গরমে বাইকে যেসব সমস্যা হতে পারে
গরমের সময় ইঞ্জিনের যত্ন নিন। ছবি: সংগৃহীত

গরমে বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে।  তবে তীব্র গরমে বাইকের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সময় ইঞ্জিন গরম হয়ে যাওয়া, টায়ার ফেটে যাওয়া, একজস্টের সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। এই সমস্যাগুলো শুধু বাইকের ক্ষতি করে না, বরং চালকের নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলে। তাই গরমের সময় বাইকের যথাযথ যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। চলুন জেনে নিই কীভাবে গরমে বাইকের নানা সমস্যা এড়ানো যায়:

গরমের দিনে বাইকের ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। বিশেষ করে এয়ার কুল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই এই ধরনের ইঞ্জিনের বাইকের ক্ষেত্রে ইঞ্জিন সব সময় পরিষ্কার রাখা জরুরি। অন্যদিকে লিকুইড কুল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে কুল্যান্টের পরিমাণ নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।

বাইকের টায়ারের ক্ষেত্রেও গরমের সময় বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত তাপে টায়ার ফুলে গিয়ে ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই চাকায় সঠিক পরিমাণে হাওয়া রাখা উচিত। একজস্টের ক্ষেত্রে গরমের কারণে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত গরমের ফলে একজস্টের আওয়াজ পরিবর্তন হতে পারে।

গরমের দিনে একটানা বাইক চালানো উচিত নয়। এতে ইঞ্জিন ও টায়ারের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দীর্ঘ যাত্রার ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে বিশ্রাম নেওয়া উচিত। গরমের সময় বাইকের যথাযথ যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে নানা ধরনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

এই সমস্যাগুলো এড়াতে যা করতে পারেন:

  • ইঞ্জিন পরিষ্কার রাখুন, লিকুইডের পরিমাণ পরীক্ষা করুন।
  • টায়ারে সঠিক পরিমাণে হাওয়া রাখুন।
  • একজস্ট নিয়মিত চেক করুন।
  • একটানা বাইক চালানো এড়িয়ে চলুন।
  • বাইকের নিয়মিত পরিচর্যা করুন।

/আবরার জাহিন

বাইকে কেন এবিএস ফিচার জরুরি?

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম
আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
বাইকে কেন এবিএস ফিচার জরুরি?
এবিএস বা অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেমের প্রতীকী ছবি

বাইক চালানোর আনন্দ অনেকের কাছেই অপরিসীম। তবে এই আনন্দকে ধরে রাখতে বাইকের নিজস্ব কিছু ফিচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাইক নির্মাতারা নানা ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এমন একটি প্রযুক্তি হলো এবিএস বা অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম। বাইক কেনার আগে এবিএস ফিচারটি আছে কি না, তা খুব ভালোভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। এবিএস কীভাবে কাজ করে এবং কেন এটি বাইক চালানোর সময় এত গুরুত্বপূর্ণ, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের আয়োজন।

এবিএস কী এবং কীভাবে কাজ করে?

এবিএস বা অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম হলো একটি নিরাপত্তাব্যবস্থা, যা বাইকের চাকা লক হয়ে যাওয়া রোধ করে। চাকা স্কিড করা বা পিছলে যাওয়া আটকাতে এই সিস্টেম আনা হয়েছে। এতে ব্রেক করার সময় চাকা লক হয় না, রাস্তা ও চাকার মধ্যকার সংযোগ শক্তি বজায় থাকে। ব্রেক করার সময় হঠাৎ যদি চাকা লক হয়ে যায় তাহলে বাইক পিছলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারে। এবিএস এই পরিস্থিতি এড়াতে সাহায্য করে। এটি ব্রেক প্যাড ও ডিস্কের মধ্যকার ঘর্ষণকে নিয়ন্ত্রণ করে চাকাকে ঘুরতে সাহায্য করে। ফলে বাইকের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে। এতে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
একটা সময় বাইকে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হতো। তবে স্পোর্টস বা অল টেরেন বাইকে নয়, কমিউটার বাইকে। ড্রাম ব্রেকে থাকত ব্রেক শু। ব্রেক চাপলে ব্রেক শু গিয়ে লাগত ড্রামে। ফলে ড্রাম এবং ব্রেক শুর ঘর্ষণে গাড়ি দাঁড়িয়ে যেত। তবে এতে হুইল লকিং নীতি কাজ করে না, ফলে যেকোনো সময় বাইক পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পিছলে যাওয়া এড়াতেই চালু হয় অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম বা এবিএস।

এবিএস ব্রেকিং সিস্টেমের তিনটি অংশ রয়েছে। ইসিইউ কিট, ব্রেক এবং হুইল স্পিড সেন্সর। এটা সাধারণত পেছনের চাকায় থাকে। স্পিড সেন্সরকে এমনভাবে ম্যাপ করা হয়েছে, যা চাকার সম্ভাব্য লক আপ পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এই সেন্সর ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত থাকে, যা চাকাকে কিছুটা দূরত্বে রোল করতে এবং নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে লক করে দেয়। এভাবেই এবিএস কাজ করে। সাধারণত ডিস্ক ব্রেকে এবিএস থাকে। ড্রাম ব্রেকে থাকে না।

আগে উচ্চমানের বাস ও গাড়ির মতো বড় যানবাহনে এবিএস ফিচার যোগ করা এতে। তবে এটি রাস্তায় দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে বাইক নির্মাতারা মোটরসাইকেলে এবিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শুরু করেন। এটা ব্যয়বহুল।

এবিএসের সুবিধা

পিছলে যাওয়া রোধ: এবিএসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি বাইককে পিছলে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।

নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা: হঠাৎ ব্রেক করলেও বাইকের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সাহায্য করে। অনেক বাইকার স্টান্টকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তারা যখন স্টপির মতো স্টান্টের খেলা দেখান তখন এবিএসের গুরুত্ব বোঝা যায়।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধ: পিছলে যাওয়া রোধ করে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। মটোজিপ রাইডাররা স্লিপার ক্লাচ ব্যবহার করে। তারা যখন একপাশে ঝুঁকে বাইক চালায় তখন এবিএস কার্যকর হয়। তারা ক্রমাগত ব্রেক কষতে থাকে, তবে এবিএস চাকাকে মাটির সঙ্গে ধরে রাখে। পিছলে যাওয়া থেকে বাঁচায়।

ভেজা রাস্তায় নিরাপত্তা: ভেজা রাস্তায় ব্রেক করলেও চাকা লক হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

কেন এবিএস জরুরি?

আজকের দিনে রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাইক চালানোর সময় নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এবিএস ফিচারটি আপনার নিরাপত্তার জন্য একটি অতিরিক্ত স্তর যোগ করে। তাই আজই একটি এবিএস সজ্জিত বাইকে আপনার সঙ্গী করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

বাংলাদেশ থেকে গুয়াতেমালায় রপ্তানি হচ্ছে বাইক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
বাংলাদেশ থেকে গুয়াতেমালায় রপ্তানি হচ্ছে বাইক
হোন্ডা এক্সব্লেড। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে তৈরি জাপানি অটোমোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হোন্ডার এক্সব্লেড মডেল মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় রপ্তানি শুরু করেছে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (বিএইচএল)। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিমান পথে রপ্তানি শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এবার চলতি মাসে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমুদ্রপথেও রপ্তানি শুরু করল বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড। ঢাকার কাছের জেলা মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার আব্দুল মোনেম এক্সপোর্ট জোনে স্থাপিত নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দেশের চাহিদা মিটিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশেও রপ্তানি করার পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন বিএইচএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিগেরু মাতসুজাকি। এই পরিকল্পনা তুলে ধরার পাশাপাশি এ বছরেই বাংলাদেশে হোন্ডার ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির কাজ শুরুর কথা জানানো হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশে উৎপাদন বাড়াতে ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে ডিউটি ফ্রি সুবিধা দাবি করা হয়।

অনুষ্ঠানে শিগেরু মাতসুজাকি বলেন, হোন্ডা বাংলাদেশ মোটরসাইকেল উৎপাদন করে নতুন কর্মসংস্থান শুরু করেছে। তবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় হোন্ডার কেডি অংশের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এই সংকট কাটিয়ে আমরা স্থানীয় সরবরাহ বৃদ্ধি ও রপ্তানি শুরুর মধ্যমে ডলারসংকট দূর করতে ভূমিকা রাখতে চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের যন্ত্রাংশ আমদানি ‍ও শুল্ক জটিলতা কমে গেলে বাংলাদেশে ব্যবসা করার সুযোগ আরও প্রসারিত হবে। এইচআর ও অ্যাডমিন এ কে এম আবিদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন হোন্ডা বাংলাদেশের চিফ অফিসার হিরোইকি ইয়াসুনাগা। এ ছাড়াও ব্যবসায় পরিকল্পনা ও বাজার অংশের বিষয় তুলে ধরেন চিফ মার্কেটিং অফিসার শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান।

তিনি জানান, একমাত্র হোন্ডাই বাংলাদেশে পুরো ইঞ্জিনটা দেশেই তৈরি করে। বছরে এই কারখানায় ৭০ হাজার মোটরসাইকেল উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। এর মধ্যে পুরোপুরি দেশে তৈরি হয় এক্সব্লেড। প্রতি দিন ২২০টি করে মোটরসাইকেল তৈরি হচ্ছে। এই বাইকটি আনুষ্ঠানিক ভাবে আজ ১৪টি ইউনিট রপ্তানি করা হয়েছে। দেশের বাজারে বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার মোটরসাইকেল।

এক প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, বাংলাদেশে তৈরি হলেও বাইকগুলো জাপানের টেকনিক্যাল এক্সপার্টরাই যাচাই করে থাকে। বাংলাদেশে তৈরি করা এই মোটরসাইকেল বিশ্বে বাংলাদেশের পতাকা বহন করবে। গুয়াতেমালা দিয়ে শুরু হলেও দিনে দিনে এই দেশের সংখ্যা বাড়বে।

/আবরার জাহিন