ঢাকা ২১ কার্তিক ১৪৩১, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

বাজারে এসেছে নতুন মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
বাজারে এসেছে নতুন মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট
এসইউভি সেগমেন্টের নতুন প্রজন্মের গাড়ি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় জাপানিজ অটোমোবাইল ব্র্যান্ড মিতসুবিশি বাজারে এনেছে তাদের এসইউভি সেগমেন্টের নতুন প্রজন্মের গাড়ি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট। সম্প্রতি এক প্রেস লঞ্চ ইভেন্টে প্রিমিয়াম স্টাইল, আরামদায়ক ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট গাড়িটি প্রদর্শন করেছে মিতসুবিশি মোটরস বাংলাদেশ।

নতুন প্রজন্মের মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট গাড়িটির সবচেয়ে মজার ফিচার হলো এর ৪টি বিশেষ ড্রাইভিং মোড, যা বাংলাদেশের আবহাওয়া ও রাস্তার অবস্থা বিবেচনা করে ডিজাইন করা হয়েছে। এতে রয়েছে ৮ ইঞ্চির সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। টাচ স্ক্রিনসহ সুবিশাল ১২ দশমিক ৩ ইঞ্চির ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমটিতে আছে অ্যান্ড্রয়েড অটো, অ্যাপেল কার প্লে, নেভিগেশনসহ সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তি। সেফটি ফিচার হিসেবে ৬টি এসআরএস এয়ারব্যাগসহ থাকছে এবিএস, ইবিডি, এএসসি, ব্লাইন্ড স্পট ওয়ার্নিং, আরসিটিএ প্রযুক্তি। পিচ্ছিল রাস্তার জন্য আছে এওয়াইসি ফিচার। আরও রয়েছে টায়ার প্রেশার মনিটরিং সিস্টেম, ওয়ারলেস চার্জারসহ একাধিক চার্জিং পোর্ট, ইলেকট্রনিক পার্কিং ব্রেক ও পার্কিং সেন্সর, রিয়ারভিউ ক্যামেরা ইত্যাদি। 

গাড়িটিতে ব্যবহার করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ‘টি’ শেপের হেডলাইট ও রিয়ার কম্বিনেশন লাইট। গাড়ির দৈর্ঘ্য ৪৩৯০ মিলিমিটার, প্রস্থ ১৮১০ মিলিমিটার ও ১৬৩৫ মিলিমিটার উচ্চতা থাকায় ২২২ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যাবে, যা বাংলাদেশের রাস্তার জন্য উপযোগী। ১৪৯৯ সিসির এই গাড়িতে আছে সিভিটি (এফ-১-সিডব্লিউএ) ট্রান্সমিশন। চোখধাঁধানো ব্ল্যাক থিমড ইন্টেরিওরের সঙ্গে হানিকম্ব প্যাটার্ন ও লেদারে মোড়ানো গাড়ির সিটগুলো অত্যন্ত প্রিমিয়াম ও আরামদায়ক, বিশেষ করে গাড়ির পেছনের দিকে ৩ জনের আরামে বসার জন্য রয়েছে যথেষ্ট জায়গা। গাড়িটিতে রয়েছে

সেকেন্ড-রো এসি ভেন্ট। একই সঙ্গে ১৮ ইঞ্চি মেশিন কাট অ্যালয় হুইল ও ইপিএস প্রযুক্তির সঙ্গে বাংলাদেশের রাস্তার অবস্থা বিবেচনায় গাড়ির সামনের ম্যাকফেরসন স্ট্রাট ও পেছনে টরসিওন বিম সাস্পেনশন চালকদের অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে। আরামদায়ক অভ্যন্তর, শক্ত কাঠামো, প্রশস্ত জায়গা ও পর্যাপ্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সসহ ৬টি চমৎকার রঙে মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট-এর এক্সটেরিওর সাজানো হয়েছে। গাড়িটির দাম পড়বে ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অত্যাধুনিক জাপানিজ প্রযুক্তি ও শক্তিশালী পারফরম্যান্স সমৃদ্ধ নতুন মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট গাড়িটিতে থাকছে ৫ বছরের ওয়ারেন্টি ও ৩টি ফ্রি সার্ভিসিং।

র‌্যানকন আটো ডিভিশন-১-এর ডিভিশনাল ডিরেক্টর শোয়েব আহমেদ বলেন, ‘মিতসুবিশি সব সময় গ্রাহকদের সেরা মানের জাপানিজ প্রযুক্তির পণ্য সরবরাহের চেষ্টা করে। তারই ধারাবাহিকতায় এসইউভি সেগমেন্টের নতুন প্রজন্মের মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট গাড়িটি বাজারে আনতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এটির পারফরম্যান্স দৈনন্দিন জীবনে গ্রাহকদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা নিশ্চিত করবে এবং মিতসুবিশি ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা ও নির্ভরশীলতা ধরে রাখতে ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’

গতি ও স্টাইলের সংমিশ্রণ স্পোর্টস কার

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ এএম
গতি ও স্টাইলের সংমিশ্রণ স্পোর্টস কার
গতি ও স্টাইলের সংমিশ্রণ স্পোর্টস কার। ছবি: সংগৃহীত

স্পোর্টস কার মানেই উচ্চগতির অভিজ্ঞতা ও স্টাইলের সংমিশ্রণ। দেখতে সাধারণ সেডানের মতো হলেও, স্পোর্টস কারগুলো সাধারণত নিচু ও চাকাগুলো বডির কাছাকাছি থাকে। এতে করে গাড়িটি আরও আকর্ষণীয় দেখায়। এ ধরনের গাড়ির ডিজাইন অ্যারোডাইনামিক হওয়ায় দ্রুত গতি তোলা যায়।

গতি, হ্যান্ডলিং ও পারফরম্যান্সের ওপর বিশেষভাবে ফোকাস করে তৈরি করা হয় স্পোর্টস কার। এ ধরনের গাড়ির পেছনে বুটের ওপরে সাধারণত স্পয়লার থাকে। এটি বাতাস কাটিয়ে গতি তুলতে সাহায্য করে এবং গাড়িকে রাস্তার সঙ্গে ভালোভাবে আঁকড়ে ধরে রাখে। এতে গাড়িটি উচ্চগতিতেও স্থিতিশীল থাকে। 

বেশির ভাগ স্পোর্টস কার দুই আসনবিশিষ্ট হয়। তবে কিছু কিছু মডেলে চারটি আসনও থাকতে পারে। স্পোর্টস কারে সাধারণত শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। এটি গাড়িকে দ্রুতগতিতে চালাতে সাহায্য করে। স্পোর্টস কার চালানো অন্য যেকোনো গাড়ি চালানোর চেয়ে অনেক বেশি আনন্দদায়ক। এর ছোট ও হালকা কাঠামো দ্রুতগতিতে ভ্রমণের জন্য উপযোগী। এর ডিজাইন সাধারণত অন্য গাড়ির চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়।

কমপ্যাক্ট ডিজাইন ও শক্তিশালী ইঞ্জিন থাকার কারণে স্পোর্টস কার খুব কম সময়ে গতি তুলতে সক্ষম। একই সঙ্গে বাঁকা পথে গাড়ির চাকার সঙ্গে রাস্তার সম্পূর্ণ সংযোগ থাকায় নিয়ন্ত্রণ করা বেশ সহজ। বাজারে স্পোর্টস কার এবং স্পোর্টস সেডানের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, কারণ এগুলো শুধু গতি ও পারফরম্যান্সেই নয়, স্টাইল এবং আধুনিক প্রযুক্তির দিক থেকেও এগিয়ে। বাজারে প্রচলিত টয়োটা ৮৬, সেলিকা, এমআর২-এর মতো মডেলগুলো বাংলাদেশের রাস্তায় দেখা যায়, যা তরুণ চালকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।

স্পোর্টস কার বনাম স্পোর্টস সেডান

অনেকেই স্পোর্টস সেডান ও স্পোর্টস কারকে একই ধরনের গাড়ি মনে করেন। তবে এদের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। স্পোর্টস সেডান গাড়িগুলো দেখতে অনেকটা স্পোর্টস কারের মতো, তবে এগুলোয় আরও বড় চেসিস এবং কিছু বাড়তি ফিচার থাকে। স্পোর্টস সেডানে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন থাকে। এ কারণে স্পোর্টস সেডানে দ্রুত গতি তুলতে সক্ষম হলেও, স্পোর্টস কারের মতো অতটা নিচু এবং অ্যারোডাইনামিক নয়।

গাড়িতে কোন ধরনের হেডলাইট ব্যবহার করবেন?

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ এএম
গাড়িতে কোন ধরনের হেডলাইট ব্যবহার করবেন?
অন্ধকার রাস্তায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে হেডলাইট। ছবি: সংগৃহীত

গাড়ির হেডলাইট রাতের আঁধারে নিরাপদ যাত্রার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। হেডলাইট কেবল আলো দেয় না, এটি গাড়ি চালানোর সময় নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে। আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে হেডলাইটের কার্যকারিতা ও ডিজাইন দিন দিন উন্নত হচ্ছে। বর্তমান বাজারে প্রধানত চার ধরনের হেডলাইট পাওয়া যায়। এগুলো হলো- হ্যালোজেন, এলইডি, এইচআইডি ও লেজার হেডলাইট। প্রতিটি প্রযুক্তিরই আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আলোর উজ্জ্বলতা, বিদ্যুৎ খরচ ও স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়। তবে বাজারে এত ধরনের হেডলাইট থাকায় কোনটি ব্যবহার করবেন, তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। আজ তুলে ধরব গাড়ির হেডলাইটের বিস্তারিত তথ্য।

হ্যালোজেন হেডলাইট

দীর্ঘসময় ধরে হেডলাইট হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে আসছে হ্যালোজেন হেডলাইট। এটি সবচেয়ে সাধারণ ও সস্তা হেডলাইট। এ ধরনের হেডলাইট সাধারণত উষ্ণ, হলুদাভ আলো দেয়, যা রাতের বেলা রাস্তা আলোকিত করে। এর আলোর তীব্রতা কম। তবে এতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়, সেই সঙ্গে তাপও বেশি উৎপন্ন হয়। এর প্রতিস্থাপন করা সহজ হলেও, এই হেডলাইটগুলোর আলো অপেক্ষাকৃত কম উজ্জ্বল এবং স্থায়িত্বও কম। হ্যালোজেন বাল্বের গড় স্থায়িত্ব প্রায় ৫০০ ঘণ্টা থেকে ১ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাধারণ ড্রাইভিংয়ের জন্য এটির দৃশ্যমানতা যথেষ্ট। তবে কুয়াশা বা ভারী বৃষ্টিতে সমস্যা হয়।

এইচআইডি হেডলাইট

এইচআইডি হেডলাইট উচ্চ উজ্জ্বলতার জন্য পরিচিত। এটি হ্যালোজেনের তুলনায় তিনগুণ বেশি আলো দেয়। এদের আলোর রং সাদা-নীলাভ। দীর্ঘমেয়াদি হলেও এই হেডলাইট ব্যবহারের খরচ বেশি। রাতে ড্রাইভিংয়ের জন্য খুবই ভালো। তবে অন্য গাড়ির চালকরা এর অতি উজ্জ্বল আলোর জন্য সমস্যায় পড়তে পারেন। এইচআইডি হেডলাইট সাধারণত উচ্চগতি ও অন্ধকার রাস্তা আলোকিত করতে বিশেষভাবে কার্যকর। তবে এ ধরনের হেডলাইট প্রতিস্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ বেশ ব্যয়বহুল। তবে হ্যালোজেনের তুলনায় ভালো পারফরম্যান্স দেয়। এটি গড়ে ২ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত জ্বলতে পারে।

এলইডি হেডলাইট

এলইডি হেডলাইট প্রচলিত হ্যালোজেন বা এইচআইডি বাল্বের তুলনায় অনেক বেশি উজ্জ্বল এবং স্পষ্ট আলো দেয়। এটি শুধু রাস্তা দেখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে না, বরং রাস্তার পাশের বস্তু, চিহ্ন ও অন্যান্য যানবাহনকে আরও স্পষ্টভাবে দেখতে সাহায্য করে। এলইডি হেডলাইটের আয়ুষ্কাল হ্যালোজেন বা এইচআইডি বাল্বের তুলনায় অনেক বেশি। এ কারণে ঘন ঘন হেডলাইট পরিবর্তন করতে হয় না। এ ধরনের হেডলাইট হ্যালোজেন বা এইচআইডি বাল্বের তুলনায় অনেক কম শক্তি খরচ করে। এটিতে উচ্চ ভোল্টেজের প্রয়োজন হয় না, যা গাড়িতে নিরাপত্তা বাড়ায়। এ ধরনের হেডলাইট গাড়িতে ব্যবহারের ফলে ব্যাটারির ওপর চাপ কম পড়ে।

আধুনিক গাড়িতে এলইডি হেডলাইট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিদ্যুৎ খরচ কম এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর হওয়ায় এলইডি দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে। তবে এগুলোর দাম বেশি হওয়ায় প্রতিস্থাপন ব্যয়বহুল হতে পারে। এলইডি হেডলাইট ছোট আকারের হওয়ায় গাড়িতে বেশ মানিয়ে যায়।

লেজার হেডলাইট

লেজার হেডলাইট সবচেয়ে উন্নত ধরনের হেডলাইট। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি হিসেবে লেজার হেডলাইট ইতোমধ্যেই বিলাসবহুল গাড়িতে ব্যবহৃত হচ্ছে। লেজার হেডলাইটের আলোর তীব্রতা অত্যন্ত বেশি এবং এর আলোর ব্যাপ্তি অনেক দূর পর্যন্ত। তবে এটি অন্যান্য ধরনের হেডলাইটের তুলনায় অনেক বেশি দামি। উচ্চ ব্যয়বহুল হওয়ায় বর্তমানে সীমিত কিছু গাড়ির মডেলে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

কোনটি বেছে নেবেন?

যদি সাশ্রয়ীমূল্যের হেডলাইট চান, তবে হ্যালোজেন সেরা। উজ্জ্বল আলোর জন্য এলইডি এবং এইচআইডি কার্যকর, যেখানে লেজার হেডলাইট আগামী দিনের প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যেকোনো ধরনের হেডলাইট ব্যবহারের আগে অবশ্যই স্থানীয় আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। কারণ কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ধরনের হেডলাইট নিষিদ্ধ।

চালকবিহীন ট্রাকের পরীক্ষায় টর্ক রোবোটিক্স

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ পিএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
চালকবিহীন ট্রাকের পরীক্ষায় টর্ক রোবোটিক্স
চালকবিহীন ট্রাকের পরীক্ষা চালাচ্ছে টর্ক রোবোটিক্স। ছবি : সংগৃহীত

আমেরিকার অটোমোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডাইমলার ট্রাক এজির সহযোগী প্রতিষ্ঠান টর্ক রোবোটিক্স চালকবিহীন ট্রাকের পরীক্ষা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে টর্ক রোবোটিক্স ট্রাকের জন্য এসএই লেভেল ৪ প্রযুক্তির বাণিজ্যিক কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০১৫ সালে ‘ফ্রেইটলাইনার ইনস্পিরেশন’ নামে স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং সক্ষমতার প্রোটোটাইপের হাত ধরে এসএই লেভেল ২ প্রযুক্তির প্রথম প্রদর্শন হয়। ফ্রেইটলাইনারের নির্বাহীরা তখন ভবিষ্যদ্বাণী করেন, এসএই লেভেল ২ প্রযুক্তি ট্রাকে প্রয়োগ হতে কয়েক দশক লাগতে পারে। তবে বর্তমানে এসএই লেভেল ৪ প্রযুক্তির চেয়ে উন্নত প্রযুক্তি টর্ক রোবোটিক্স চালকবিহীন ট্রাকের পরীক্ষা চালাচ্ছে।

টর্ক রোবোটিকস চলতি বছরে উন্নত চালকবিহীন ট্রাকের পরীক্ষা শুরু করেছে। পরীক্ষাগুলোতে প্রতি ঘণ্টায় ৬৫ মাইল গতিতে হাইওয়ের পরিবেশে এই ট্রাক চালানো হয়েছে। যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার একত্রে কাজ করছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য ২০২৭ সালের মধ্যে ট্রাকগুলো বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা। টর্ক রোবোটিক্সের চিফ টেকনোলজি অফিসার সিজে কিং বলেন, ‘স্বয়ংক্রিয় ট্রাক প্রযুক্তির ব্যবহারে শিল্প খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।’

পরীক্ষার অংশ হিসেবে কিছু ট্রাকে নিরাপত্তার জন্য চালকসহ বাস্তব রাস্তায় চালানো হচ্ছে। তবে কোম্পানিটি এখনো সম্পূর্ণ চালকবিহীন পরিস্থিতিতে ট্রাক চালানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই উদ্যোগ মূলত টেক্সাসের ডালাস থেকে হিউস্টন রুটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে। যেখানে কার্গো পরিবহনে চাহিদা বেশি। তবে চালকবিহীন ট্রাকের জন্য কার্গো কাঠামোয় কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষ করে স্বয়ংক্রিয় পরিবহন ও পরিচালনার জন্য।

প্রথমদিকে রোবোট্যাক্সির স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি নজর কাড়ে, তবে সাম্প্রতিক দুই বছরে স্বয়ংক্রিয় ট্রাকের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় ট্রাক প্রযুক্তি কিছু ট্রাকচালকের কাজের জায়গা দখল করতে পারে। তবে এ নিয়ে এখনো বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়িত হলে এ খাতে কী পরিমাণ পরিবর্তন হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।

জনপ্রিয় গাড়ি সেডান

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০০ এএম
আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
জনপ্রিয় গাড়ি সেডান
বিএমডব্লিউ-এর সেডান গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

সেডান শব্দটি শুনলে সাধারণত চার দরজার যাত্রীবাহী গাড়ির ছবিই মনে আসে। সেডানের বডির ধরন অনেক রকমের হতে পারে। তবে একটি সেডান গাড়িতে তিনটি অংশ থাকে। প্রথম অংশে থাকে ইঞ্জিন, এরপর যাত্রীদের জন্য থাকে কেবিন এবং শেষের অংশে থাকে একটি বড় ট্রাংক। এই ট্রাংক বলতে গাড়ির পেছনের অংশে সম্পূর্ণ আবদ্ধ স্থানকে বোঝায়, যেখানে সাধারণত যাত্রীদের মালামাল রাখা হয়।

ট্রাংকসহ ক্ল্যাসিক আকৃতির হওয়ায় এ ধরনের গাড়ি একটি পরিবারের ব্যবহারের জন্য বেশ উপযোগী। যাত্রীদের বসার জন্য দুটি সারি থাকে। সামনের সারিতে চালকের আসন থাকে আর পেছনে বসেন যাত্রীরা। সেডান গাড়ির সুন্দর ডিজাইন, আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা ও ভালো মাইলেজের কারণে এটি অনেকের প্রথম পছন্দ। এটি শহরে চলাচলের জন্য যেমন উপযোগী, তেমনি দীর্ঘ যাত্রার জন্যও আরামদায়ক। বাংলাদেশের রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি হিসেবে সবচেয়ে বেশি যা চোখে পড়ে, সেটি হচ্ছে সেডান। অনেকের কাছে এটা ব্যক্তিগত গাড়ি হিসেবেই পরিচিত।

বিএমডব্লিউ-এর সেডান গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

‘সেডান’ শব্দটি লাতিন শব্দ ‘সেডেরে’ থেকে এসেছে, যার অর্থ বসা। এটি সেডানের জন্য একটি উপযুক্ত নাম কারণ, যা আরামদায়ক ও ঝামেলাহীন চলাফেরাকে প্রতিনিধিত্ব করে। ১৯১২ সালে বিশ্বের প্রথম সেডান গাড়ির বাজারজাত করে আমেরিকান গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি স্টুডবেকার। সেডান গাড়ি বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়। সাধারণত সেডান গাড়িকে তিনটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা হয়।

কমপ্যাক্ট সেডান

এটি সবচেয়ে ছোট ধরনের সেডান, যা সাধারণত শহরে চালানোর জন্য উপযুক্ত। এগুলো সাধারণত ভালো মাইলেজ দেয় ও পার্কিংয়ে কম জায়গা নেয়।

মিড সাইজ সেডান

মিড সাইজ বা মধ্যম আকারের সেডানগুলো কমপ্যাক্ট সেডানের চেয়ে বড় এবং আরও আরামদায়ক হয়ে থাকে। এগুলো কোনো পরিবারের জন্য আদর্শ ও দীর্ঘ যাত্রার জন্য বেশ উপযোগী।

ফুল সাইজ সেডান

ফুল সাইজ সেডানগুলো আকারে সবচেয়ে বড় হয়ে থাকে। এগুলো অত্যন্ত আরামদায়ক ও ক্যাবিনে যাত্রীর জন্য বেশ জায়গা থাকে।

সেডানের বিশেষত্ব

বাংলাদেশের সড়কে সেডান গাড়ির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর কারণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হলো এর স্বাচ্ছন্দ্যতা, নজড়কারা ডিজাইন ও পরিবারের জন্য উপযোগিতা। সেডান গাড়ি সাধারণত আরামদায়ক সিট, প্রশস্ত কেবিন ও চালানোর সময় মসৃণ অভিজ্ঞতার জন্য পরিচিত। এর সাসপেনশন সিস্টেম ভালো হয় ও শব্দ নিরোধক কার্যকরী হয়ে থাকে। এতে দীর্ঘ যাত্রায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। সেডান গাড়ি সাধারণত সুন্দর ও আধুনিক নকশার হয়ে থাকে। এটিও গাড়িপ্রেমীদের এর প্রতি আকর্ষণের অন্যতম কারণ। সেডান গাড়িতে সাধারণত প্রচুর বুট স্পেস থাকে, যা পরিবারের জন্য দরকারি জিনিসপত্র বহন করার জন্য উপযোগী। আধুনিক সেডান গাড়িতে এবিএস, ইবিডি, এয়ারব্যাগ মতো বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা ফিচার থাকে, যা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সেডান গাড়ির ইঞ্জিন শক্তিশালী ও জ্বালানি সাশ্রয়ী হয়, যা দীর্ঘ যাত্রার জন্য উপযুক্ত। এটি পরিবার ও ব্যবসায়িক ব্যবহারের জন্য আদর্শ।

বাংলাদেশের সেডান গাড়ির বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ি পাওয়া যায়। জনপ্রিয় সেডান গাড়ির মধ্যে টয়োটা প্রিমিও, অ্যালিয়ন, অ্যাক্সিউ, মিতসুবিশি ল্যান্সার, অ্যাট্রেজ, হোন্ডা গ্রেস, সিভিক, অ্যাকর্ড এবং নিশান ব্লুবার্ড উল্লেখযোগ্য। মূল্যের দিক থেকেও সেডান গাড়ির বাজার বেশ বড়।

টয়োটার সেডান গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

বাজারের চাহিদা

বাংলাদেশে সেডান গাড়ির চাহিদা বাড়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, শহরের রাস্তায় যানজটের কারণে ছোট ও মাঝারি আকারের গাড়ির চাহিদা বেশি। দ্বিতীয়ত, সেডান গাড়ির দাম তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী, যা মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের জন্য আকর্ষণীয়।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী কয়েক বছরে সেডান গাড়ির চাহিদা আরও বাড়বে। বৈদ্যুতিক সেডান গাড়ির এই বাজারকে আরও গতিশীল করবে। পরিবেশবান্ধব এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী গাড়ির প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে, এতে সেডান গাড়ির চাহিদা আরও তৈরি হবে। 
সেডান গাড়ি বাংলাদেশের গাড়ির বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। এর আরামদায়ক যাত্রা, সাশ্রয়ী মূল্য এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এই গাড়িকে আরও জনপ্রিয় করে তুলছে। সেডান গাড়ির পরিবেশগত প্রভাব কমানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বৈদ্যুতিক এবং হাইব্রিড সেডান গাড়ির ব্যবহার বাড়ছে, যা কার্বন নিঃসরণ কমাতে সহায়ক।

কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত?

কোন সেডান গাড়ি আপনার জন্য উপযুক্ত তা নির্ধারণ করার জন্য আপনার বাজেট, পরিবারের আকার, ব্যবহার এবং পছন্দ বিবেচনা করা জরুরি। একটি গাড়ি কেনার আগে বিভিন্ন মডেলের ফিচার, দাম এবং মাইলেজ তুলনা করে দেখা উচিত। সেডান গাড়ি স্বাচ্ছন্দ্য, স্টাইল ও পরিবারের জন্য উপযোগিতার একটি চমৎকার সমন্বয়। যদি আপনি একটি আরামদায়ক ও স্টাইলিশ গাড়ি খোঁজার প্রক্রিয়ায় থাকেন, তাহলে সেডান গাড়ি আপনার জন্য একটি ভালো অপশন হতে পারে।

অনেক সেডান গাড়ি ভালো মাইলেজ দেয়, বিশেষ করে কমপ্যাক্ট সেডান। মিড সাইজ ও ফুল সাইজ সেডান পরিবারের জন্য আদর্শ। এগুলোয় যথেষ্ট জায়গা ও আরামে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। যদি আপনার পরিবারের জন্য একটি গাড়ি দরকার হয়, তাহলে আপনাকে একটি মিড সাইজ বা ফুল সাইজ সেডান নির্বাচন করতে পারেন।

সেডান গাড়ির অসুবিধা

কমপ্যাক্ট সেডানের ট্রাংকের জায়গা কম হতে পারে। উচ্চগতিতে হাইওয়েতে সেডান গাড়ি কিছুটা কম স্থিতিশীল হতে পারে।

রয়্যাল এনফিল্ড বাইক নিয়ে কেন এত হইচই?

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২০ পিএম
রয়্যাল এনফিল্ড বাইক নিয়ে কেন এত হইচই?
রয়্যাল এনফিল্ড ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল। ছবি: সংগৃহীত

রয়্যাল এনফিল্ড বাইকের প্রতি মোটরসাইকেলপ্রেমীদের আবেগ এবং উচ্ছ্বাস অপরিসীম। সম্প্রতি রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এক প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ ইভেন্টে রয়্যাল এনফিল্ডের চারটি নতুন মডেলের প্রি-অর্ডার শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের মোটরবাইকপ্রেমীদের মধ্যে এই ব্র্যান্ডের প্রতি আগ্রহ আরও বেড়েছে।

এই ব্র্যান্ডের প্রতি তাদের অপেক্ষা এবং আগ্রহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। বিশ্বজুড়ে ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত রয়্যাল এনফিল্ড মোটরবাইকের ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক

রয়্যাল এনফিল্ডের গৌরবময় উত্থান

১৮৯১ সালের নভেম্বরে বব ওয়াকার স্মিথ ও আলবার্ট এডি নামের দুই ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের জর্জ টাউনসেন্ড অ্যান্ড কো নামক প্রতিষ্ঠানটি কিনে নেন। এই প্রতিষ্ঠান তখন সুই উৎপাদনে খ্যাতি পেয়েছিল। মাত্র দুই বছর পরে ১৮৯৩ সালে তারা রয়্যাল স্মল আর্মস ফ্যাক্টরির জন্য যন্ত্রাংশ উৎপাদন শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানটি সেই বছরেই বব ওয়াকার স্মিথের নামে একটি সাইকেলের নকশা তৈরি করে। এই সাইকেল পরবর্তী সময়ে ‘রয়্যাল এনফিল্ড’ নামে পরিচিত হয়, যার স্লোগান ছিল ‘মেড লাইক অ্যা গান’।

বব ওয়াকার স্মিথ প্রথম মোটরযান তৈরি করেন ১৮৯৮ সালে, যা কোয়াড্রিসাইকেল হিসেবে পরিচিত। একই বছরে প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে ‘দ্য এনফিল্ড সাইকেল কোম্পানি লিমিটেড’ রাখা হয়। ১৯০১ সালে বব ওয়াকার স্মিথ ও ফরাসি ডিজাইনার জুল গোবিয়েটের নকশায় প্রথম রয়্যাল এনফিল্ড মোটরবাইক তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রথম টু স্ট্রোক মোটরবাইক উৎপাদন শুরু করে, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সেনাদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়।

১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি ২২৫ সিসির আটটি নতুন মডেল বাজারে ছাড়ে। ১৯৩২ সালে তারা প্রথম বুলেট মডেলের মোটরবাইক অলিম্পিয়া মোটরসাইকেল শোতে প্রদর্শন করে। প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তী সময়ে ২৫০, ৩৫০ ও ৫০০ সিসির মোটরবাইক উৎপাদন করে। 

রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট

১৯৩১ সালে যুক্তরাজ্যে প্রথম তৈরি করা হয় রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট নামে একক সিলিন্ডারের ফোর স্ট্রোক মোটরবাইক। ১৯৫৫ সালে ভারতের মাদ্রাজ মোটরস ব্রিটিশ রয়্যাল এনফিল্ডের থেকে লাইসেন্স নিয়ে নিজ দেশে রয়্যাল এনফিল্ড মোটরবাইক উৎপাদন শুরু করে। শুরুর দিকে যুক্তরাজ্য থেকে যন্ত্রাংশ এনে ভারতে মোটরবাইক সংযোজন করা হলেও, ১৯৬২ সাল থেকে ভারতে সব যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে তৈরি শুরু হয়।

ইফাদ মোটরস লিমিটেড বাংলাদেশের বাজারে রয়্যাল এনফিল্ড ব্র্যান্ডের মোটরবাইক এনেছে। মোটরবাইকপ্রেমীদের জন্য রয়েছে হান্টার, ক্ল্যাসিক, বুলেট ও মিটিওর নামের চারটি আকর্ষণীয় মডেল। এই মডেলগুলোর দাম যথাক্রমে ৩ লাখ ৪০ হাজার, ৪ লাখ ৫ হাজার, ৪ লাখ ১০ হাজার এবং ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারিত হয়েছে।

বিশেষ সুবিধাদি যোগ করতে চাইলে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হবে। গত মঙ্গলবার থেকে দেশজুড়ে অনলাইন ও শো-রুমগুলোয় এই বাইকগুলোর জন্য অগ্রিম বুকিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মাত্র ২৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে যেকোনো মডেলের বাইক প্রি-অর্ডার দেওয়া যাবে। 

/আবরার জাহিন