ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

ভারতের প্রথম সৌরচালিত গাড়ি বাজারে

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২০ এএম
ভারতের প্রথম সৌরচালিত গাড়ি বাজারে
ভারত নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম সৌরশক্তি চালিত গাড়ি ‘ইভা’। ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম সৌরশক্তি চালিত গাড়ি বাজারে নিয়ে এসেছে। গাড়িটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইভা’। গত শনিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো-২০২৫’-এ উন্মোচন করা হয়েছে গাড়িটি। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ভাইভ মোবিলিটি গাড়িটি প্রস্তুত করেছে।

গাড়ির দাম ও মডেল
ভারতীয় মুদ্রায় ইভার দাম পড়বে ৩ লাখ ২৫ হাজার রুপি থেকে ৬ লাখ রুপি পর্যন্ত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা থেকে ৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। তিনটি মডেলে পাওয়া যাবে গাড়িটি। এগুলো মধ্যে রয়েছে নোভা (৯ কিলোওয়াট আওয়ার), স্টেলা (১২ দশমিক ৬ কিলোওয়াট আওয়ার) ও ভেগা (১৮ কিলোওয়াট আওয়ার)।

চার্জিং সুবিধা ও ব্যাটারি সক্ষমতা
এই গাড়ি সম্পূর্ণ সৌরশক্তিতে চলে। এর ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ হলে সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ পাড়ি দিতে পারে। এসি চালু থাকলেও একই দূরত্ব অতিক্রম করা সম্ভব। মূল ব্যাটারির চার্জ শেষ হলে ব্যাকআপ ব্যাটারি সক্রিয় হবে। এর সাহায্যে আরও ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়া যাবে। সূর্যের আলো কম থাকলে গ্রাহকরা চার্জারের সাহায্যেও গাড়িটি চার্জ করতে পারবেন।

ওয়ারেন্টি ও প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য
ভাইভ মোবিলিটি গ্রাহকদের জন্য ইভার প্রতিটি মডেলের ক্ষেত্রে তিন বছরের ওয়ারেন্টি ও ব্যাটারির জন্য পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি দেবে।

মেলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভাইভ মোবিলিটির প্রধান নির্বাহী নীলেশ বাজাজ বলেন, ‘ইভা শুধু একটি গাড়ি নয়, বরং ভারতের অটোমোবাইল শিল্পের জন্য এটি একটি বিপ্লব। ভাইভ মোবিলিটি ও ভারতের অটোমোবাইল সব সময়ই আবিষ্কার, স্থায়িত্ব এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোর পক্ষে। ইভা ভারতকে সেই ধারণাই তুলে ধরছে। টেকসই যানবাহনের পথে এটি আমাদের বড় একটি পদক্ষেপ।’

ভাইভ মোবিলিটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সৌরভ মেহতা জানান, ‘সৌর প্যানেলের সঙ্গে বৈদ্যুতিক মোটরের সংযোগ করা বেশ জটিল একটি বিষয়। এই প্রযুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণার পর আমরা সফল হয়েছি। ইভার প্রতিটি মডেলের হার্ডওয়্যার মজবুত ও সফটওয়্যার যথেষ্ট উন্নত।’

গতি ও ব্যবহারযোগ্যতা
গাড়িটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে সক্ষম। শহুরে চলাচলের জন্য এটি আদর্শ পরিবহন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ইভি চার্জিংয়ের নতুন প্রযুক্তি আনল বিওয়াইডি

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:১৫ এএম
ইভি চার্জিংয়ের নতুন প্রযুক্তি আনল বিওয়াইডি
ইভি চার্জিংয়ের নতুন প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে বিওয়াইডি। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বখ্যাত চীনা ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) চার্জিংয়ের নতুন প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে। এ প্রযুক্তিতে বর্তমানে টেসলার সুপারচার্জারের চেয়েও দ্বিগুণ গতিতে গাড়ি চার্জ করা যাবে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিওয়াইডির প্রতিষ্ঠাতা ওয়াং চুয়ানফু ও চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তাদের নতুন ‘সুপার ই-প্ল্যাটফর্ম’ প্রযুক্তি ১ হাজার কিলোওয়াট পর্যন্ত চার্জিং সক্ষমতা দেবে, যা বর্তমানে টেসলার সুপারচার্জারের ৫০০ কিলোওয়াটের তুলনায় দ্বিগুণ। এর ফলে বিওয়াইডি চার্জিং স্টেশনে মাত্র ৫ মিনিটের চার্জে বৈদ্যুতিক গাড়ি ৪০০ কিলোমিটার (২৪৯ মাইল) পর্যন্ত চলতে পারবে। প্রাথমিকভাবে বিওয়াইডির হান এল সেডান এবং ট্যাং এল এসইউভি মডেলে এই চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া কোম্পানিটি চীনে তাদের নিজস্ব চার্জিং নেটওয়ার্ক তৈরি করবে।

ওয়াং চুয়ানফু বলেন, ‘আমাদের ব্যবহারকারীদের চার্জিং সংশ্লিষ্ট দুশ্চিন্তা দূর করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি। আমরা এমন একটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি, যাতে ইলেকট্রিক গাড়ির চার্জিং সময় পেট্রলচালিত গাড়ির রিফুয়েলিংয়ের মতো সংক্ষিপ্ত হয়।’

এবারই প্রথম চীনের গাড়িচালকদের জন্য আল্ট্রা-ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি আনছে বিওয়াইডি। প্রতিষ্ঠানটি দেশজুড়ে ৪ হাজার দ্রুতগতির চার্জিং ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। তবে এর সময়সীমা বা বাজেট সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। এখন পর্যন্ত বিওয়াইডির গাড়ি মালিকদের টেসলার মতো অন্যান্য ইভি নির্মাতা বা তৃতীয় পক্ষের চার্জিং স্টেশন ব্যবহার করতে হয়।

বিশ্বজুড়ে বিওয়াইডির ইভি বিক্রি বাড়ছে। গত বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের সরবরাহ বেড়েছে ২১ শতাংশ, যা টেসলার কাছাকাছি পৌঁছেছে। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি আরও বড় সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইলেকট্রিক বাইক কার্যক্রম সম্প্রসারণ করল রিভো বাংলাদেশ

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
ইলেকট্রিক বাইক কার্যক্রম সম্প্রসারণ করল রিভো বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ইলেকট্রিক টু-হুইলার বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে রাজধানী ঢাকায় কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে বৈশ্বিক ইলেকট্রিক বাইক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিভো। গতকাল বুধবার রাজধানীর মিরপুর ৬০ ফিট এলাকায় নতুন ৩এস (সেলস, সার্ভিস, স্পেয়ার্স) শোরুম উদ্বোধন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি ঢাকায় রিভোর দ্বিতীয় শোরুম, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি রাজধানীতে কার্যক্রম সম্প্রসারণ করল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রিভো বাংলাদেশের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মি. ভেন। তিনি বলেন, ‘নতুন শোরুমের মাধ্যমে নগরবাসীর জন্য আরও সহজ ও উন্নত বৈদ্যুতিক যানবাহন সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’

গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে রিভো নতুন শোরুম উদ্বোধন উপলক্ষে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ডিসকাউন্টের ঘোষণা দিয়েছে, যা রমজানের শেষ পর্যন্ত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন শোরুমের মাধ্যমে তারা রাজধানীতে ইলেকট্রিক বাইকের সহজলভ্যতা ও সেবার মান আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করবে।

এই উদ্যোগ দেশের ইভি মার্কেটকে আরও শক্তিশালী করতে এবং গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী ও উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে বলে মনে করে রিভো বাংলাদেশ।

/আবরার জাহিন

রিভিয়ানের নতুন আপডেটে ‘হ্যান্ডস-ফ্রি’ ড্রাইভিং ফিচার

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১১:০৫ এএম
রিভিয়ানের নতুন আপডেটে ‘হ্যান্ডস-ফ্রি’ ড্রাইভিং ফিচার
ফিচারটি শুধু জেন ২ মডেলের গাড়িগুলোর জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিভিয়ান নতুন সফটওয়্যার আপডেট নিয়ে এসেছে। এতে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে ‘এনহ্যান্সড হাইওয়ে অ্যাসিস্ট’ নামের ফিচার, যা হাইওয়েতে গাড়ির স্টিয়ারিং, গতি ও ব্রেকিং নিয়ন্ত্রণ করে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এখন থেকে হাইওয়েতে ‘হ্যান্ডস-ফ্রি’ বা হাতের সাহায্য ছাড়া ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা পাবেন। তবে এটি শুধু জেন ২ মডেলের গাড়িগুলোর জন্যই উন্মুক্ত করা হয়েছে।

চালক গাড়ি চালানোর সময় রাস্তায় মনোযোগ রাখছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে রিয়ারভিউ মিররে একটি ইনফ্রারেড ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে চালকের হাত স্টিয়ারিং হুইলে না থাকলেও গাড়ি নিরাপদে চলবে। এই সুবিধা শুধু রিভিয়ানের জেন ২ গাড়িগুলোতে পাওয়া যাবে। জেন ১ গাড়িগুলোতে এই সুবিধা আসবে কি না, তা ব্লগ পোস্টে উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া নতুন ড্রাইভিং মোড ও টায়ার পাংচার শনাক্তকরণের মতো বেশ কিছু ফিচার যুক্ত হয়েছে।

রিভিয়ান নতুন আপডেটে আরও এনেছে ‘র‍্যালি মোড’ নামের একটি ড্রাইভিং মোড, যা তাদের পারফরম্যান্স ডুয়াল-মোটর গাড়িগুলোর জন্য চালু করা হয়েছে। নতুন এই মোডটি অফ-রোড ড্রাইভিংকে আরও সহজ ও কার্যকর করে তুলবে। এতে করে স্টিয়ারিং ও থ্রটল আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

এ ছাড়া ডুয়াল-মোটর গাড়িতে পোস্ট-পারচেজ পারফরম্যান্স আপগ্রেডের সুযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে র‌্যালি, স্পোর্ট ও সফট স্যান্ড নামে তিনটি নতুন ড্রাইভিং মোড যুক্ত হবে। এই আপগ্রেড পেতে ব্যবহারকারীদের ৫ হাজার মার্কিন ডলার এককালীন খরচ করতে হবে।

জেন ১ ও জেন ২ উভয় মডেলের জন্য সফটওয়্যার আপডেটে কিছু অতিরিক্ত ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘সাইড মিরর অটো-টিল্ট’। গাড়ি রিভার্স গিয়ারে থাকলে সাইড মিরর স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিল্ট হবে, যা পার্কিংয়ের সময় চাকার আশপাশের এলাকা দেখতে সাহায্য করে। ‘টায়ার পাংচার ডিটেকশন’ ফিচারের মাধ্যমে গাড়ির টায়ারে কোনো পাংচার হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করা যাবে।

এ ছাড়া মোবাইল অ্যাপের সেটিংসে নতুনভাবে হুইল টাইপ পরিবর্তনের সুবিধা যোগ করা হয়েছে। এতে গাড়ির ড্রাইভিং রেঞ্জের আরও সঠিক অনুমান পাওয়া যাবে।

রিভিয়ানের এই নতুন আপডেট ইলেকট্রিক গাড়ি প্রযুক্তিতে উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ওয়েমোর চালকবিহীন রোবোট্যাক্সি

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:০৫ এএম
ওয়েমোর চালকবিহীন রোবোট্যাক্সি
ওয়েমো তাদের রোবোট্যাক্সি পরিষেবা আরও বিস্তৃত করার ঘোষণা দিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

স্বচালিত গাড়ির পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েমো তাদের রোবোট্যাক্সি পরিষেবা ‘ওয়েমো ওয়ান’ আরও বিস্তৃত করার ঘোষণা দিয়েছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার নতুন কিছু অঞ্চলে এই পরিষেবা চালু হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে মাউন্টেন ভিউ, লস আল্টোস, পালো আল্টো ও সানিভেলের কিছু অংশ। প্রতিষ্ঠানটির সিলিকন ভ্যালি সদর দপ্তরের আশপাশে এই রোবোট্যাক্সি পরিষেবা সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

প্রতিষ্ঠানটি কয়েক বছর ধরে মাউন্টেন ভিউ এলাকায় তাদের স্বচালিত গাড়িগুলো পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালনা করে আসছে, যেখানে তাদের সদর দপ্তর অবস্থিত। টেকক্রাঞ্চের তথ্যমতে, ওয়েমো ওয়ান বর্তমানে সিলিকন ভ্যালির ২৭ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে পরিষেবা দেবে। এর পাশাপাশি সান ফ্রান্সিসকোসহ বে এরিয়ার অন্যান্য অংশে ৫৫ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে এই পরিষেবা ইতোমধ্যে চালু রয়েছে।

ওয়েমো সম্প্রতি তাদের রোবোট্যাক্সি পরিষেবা বিস্তারের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। এর আগে লস অ্যাঞ্জেলেস ও ফিনিক্সে এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে। গত সপ্তাহে সাউথ বাই সাউথওয়েস্ট ইভেন্টের ঠিক আগে টেক্সাসের অস্টিনে রোবোট্যাক্সি পরিষেবা চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া মায়ামি ও আটলান্টাতেও এই পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওয়েমো জানিয়েছে, তারা এই বছর আরও ১০টি নতুন শহরে তাদের স্বচালিত গাড়ি পরীক্ষামূলক পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস ও সান ডিয়েগো রয়েছে।

ওয়েমোর এই বিস্তৃত পরিকল্পনা ভবিষ্যতে স্বচালিত প্রযুক্তির উন্নত করতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশের বাজারে দুটি ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
দেশের বাজারে দুটি ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো
দেশের বাজারে রিভো নতুন দুটি ইলেকট্রিক বাইক এনেছে। ছবি: খবরের কাগজ

দেশের ইলেকট্রিক বাইকের বাজারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড রিভো। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি দেশের বাজারে এনেছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দুটি ইলেকট্রিক বাইক। ‘এ১০’ ও ‘এ১২’ মডেলগুলো দৈনন্দিন যাতায়াতের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের জন্য আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী সমাধান হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশা করছে রিভো।

রিভো জানিয়েছে, নতুন এই বাইকগুলো দেখতে যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি টেকসই ও ব্যাটারি পারফরম্যান্সেও অসাধারণ। রিভোর এ১০ মডেলের দাম শুরু হয়েছে ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা থেকে এবং এ১২ মডেলটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা। একবার সম্পূর্ণ চার্জে এই বাইকগুলো ৬৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে সক্ষম।

সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক শোরুমে নতুন এই বাইক দুটি উন্মোচন করেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ভেন নেইল। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ রূপান্তরের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই মানুষ আরও টেকসই ও সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক যানবাহনের মাধ্যমে তাদের দৈনন্দিন যাতায়াত সহজতর করুক।’

রিভো এ১০
এই মডেল বিশেষভাবে তরুণদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আধুনিক ডিজাইন, সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি এবং একবার চার্জে ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার চলতে সক্ষম এটি। বাইকটির সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার। নিরাপদ ও আরামদায়ক যাতায়াতের জন্য এটি আদর্শ। মাটি থেকে বাইকটির উচ্চতা ১২০ মিলিমিটার। বাইকটিতে এলইডি মিটারের পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য হাইড্রোলিক ব্রেকও রয়েছে।

রিভো এ১২
‘এ০১’ মডেলের উন্নত সংস্করণ এই মডেল মূলত পেশাদার ও করপোরেট ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এতে রয়েছে ৬০ ভোল্টের ২৬ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের গ্রাফিন ব্যাটারি এবং ১০০০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর। বাইকটির সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ৪৭ কিলোমিটার এবং একবার চার্জে এটি ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। আসনের নিচে সুপরিসর জায়গা থাকায় হেলমেটসহ অন্যান্য বস্তু সহজে রাখা যায়। মাটি থেকে বাইকটির উচ্চতা ১৫৫ মিলিমিটার। বাইকটিতে আকারে বড় ডিজিটাল স্পিডোমিটার থাকায় সহজে বাইকের যাবতীয় তথ্য জানার সুযোগ মেলে।

রিভো তার গ্রাহকদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে ক্রমাগত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধন করছে। ব্যবহারকারীদের আরও ভালো মাইলেজ, গতি ও পারফরম্যান্স দেওয়ার লক্ষ্যে তারা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। কোম্পানিটি সারা দেশে ছয় মাসের ডোরস্টেপ সার্ভিস এবং ২৪ মাস পর্যন্ত ওয়ারেন্টি দিচ্ছে।

/আবরার জাহিন