
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের অংশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডকে ঘিরে বইমেলার আয়োজন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি। বইমেলা পরিচালনা কমিটি বলছে, অমর একুশে বইমেলার আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের আয়োজন করা হলে যথাসময়ে বইমেলা শুরু করা যাবে না। বিষয়টি উল্লেখ করে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে মোহাম্মদ আজম লেখেন, ‘বাংলা একাডেমি অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ আয়োজনের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পহেলা জানুয়ারি থেকে ৩ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত বরাদ্দ পেয়েছে। বইমেলার প্রস্তুতি, বিশেষত স্টল নির্মাণের কাজ আংশিক সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তর একই সময়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অন্যান্য সমাবেশ ও কার্যক্রম আয়োজনের জন্য অনুমতি প্রদান করেছে। এতে বইমেলা হুমকির মুখে পড়েছে। একই সময়ে অন্য কোনো সমাবেশ উদ্যানে হলে বইমেলা আয়োজন করা অসম্ভব।’
এবারের অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বইমেলার জন্য বরাদ্দ দেওয়া স্থানে অন্য কোনো সভা_সমাবেশের অনুমতি থাকলে তা বাতিল করতে বলেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক।
বইমেলা ২০২৫-এর পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব সরকার আমিন জানান, বইমেলার স্টল নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি ইতোমধ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।
ঢাকা গণপূর্ত সার্কেলের এক চিঠি থেকে জানা গেছে, আজ শুক্রবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব দিকের অংশ (ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রান্তে) ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুব কনভেনশন আয়োজনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে সেখানে বইমেলার স্টল নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
বাংলা একাডেমির কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে বইমেলার শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখতে বলেন একদল ব্যক্তি। তারা সম্মেলনের জন্য উদ্যান ব্যবহারের অনুমোদন নেওয়ার কথা বলেন। এরপর কাজ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। বিষয়টি গণপূর্ত অধিদপ্তরকে জানায় মেলা পরিচালনা কমিটি। তবে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এর কোনো সুরাহা না হওয়ায় মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক।
এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার ও দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, ‘আমাদের সম্মেলন হয়ে গেলে এর পর থেকে কাজ করার জন্য তো আরও সময় থাকবেই। বইমেলা আয়োজনে সমস্যা হবে না।’