ঢাকা ৬ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

আমাদের দেশে বিপ্লবী লেখকের খুব অভাব

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১০ এএম
আমাদের দেশে বিপ্লবী লেখকের খুব অভাব
তুষার দাশ

এবারের বইমেলা একটু ভিন্ন রকম। আগে বাংলা একাডেমি চত্বরে বইমেলা হতো। একাডেমি চত্বরে মানুষ ধারণক্ষমতা কম থাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলা প্রসারিত করা হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনার প্রভাব বইমেলায় পড়েছে। সে কারণেই এবারের বইমেলা একটু ভিন্ন ধরনের হচ্ছে। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে প্রকাশকরা বেশি বই প্রকাশ করতে আগ্রহী নন।

কবিতা ভিন্ন রকমের এক শিল্প। পাঠক সহজেই গদ্য পড়ে যেতে পারেন। কিন্তু কবিতা পড়াটা তেমন নয়। শিল্পের মধ্যে সবচেয়ে সুচারু রূপ হলো কবিতা। কবিতা পড়তে গেলে একটু অন্য রকম করে পড়তে হয়। মানুষের জটিল মনস্তত্ত্ব, দর্শন ও বিজ্ঞানের আবিষ্কার কবিদের সংবেদনশীল মনে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে। সেই বিষয় বা দর্শনগুলো কবিরা সারাংশ আকারে কবিতায় তুলে ধরেন। অল্প জায়গার মধ্যে কবিতায় দর্শন ফুটিয়ে তুলতে হয়। গো-পদে আকাশ দেখার মতো। বর্ষাকালে গরু চলার সময় মাটিতে যে ছাপ পড়ে সেখানে পানি জমে থাকে। বৃষ্টি থেমে গেলে একটু আলোয় সেই গর্তের পানিতে আকাশ দেখা যায়। অর্থাৎ ছোট একটা জায়গায় বড় আকাশটা দেখা। কবিতা ঠিক তেমনই। সবাই কিন্তু কবিতার পাঠক নয়। সবাই বলে, তারা কবিতা বুঝতে চায়। কবিতা বোঝার কিছু নেই। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, কবিতা বোঝার ব্যাপার না। কবিতা মানুষের ভেতরে কোনো তরঙ্গ তোলে কি না, সেটা দেখার বিষয়। কবিতা যেহেতু সাহিত্যের বিশেষায়িত ধরন, সেখানে সবাই কবিতা বুঝে উঠতে পারে না। কবিতা সব সময় কম পাঠক পড়ে থাকেন। 

লেখককে কখনো কোনো প্রকাশক বড় করে তুলতে পারেন না। কবি ও লেখকরা নিজের আত্মাকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য লেখালেখি করেন। প্রকাশক তাদের বই প্রকাশ করতে পছন্দ করেন, যাদের বই বাজারে চলে। বুর্জোয়া ডেভেলপমেন্টের জায়গা থেকে প্রকাশকরা সাহিত্যে বিনিয়োগ করতে চান না। প্রকাশকরা লেখককে লেখানোর ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন না। প্রকাশকরা মূলত ব্যবসায়ী। তারা ব্যবসা ছাড়া অন্য কোনো কিছু চিন্তা করতে পারেন না। যেমন, হুমায়ূন আহমেদের বই প্রকাশ করতে সব প্রকাশক আগ্রহী থাকেন। কারণ সেখানে ব্যবসা আছে। অথচ নতুন কোনো কবি বা লেখকের বই তারা প্রকাশ করতে চান না।

কবিদের একটা বড় অংশ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জড়িত ছিলেন। আমি জানি না, কবি ও লেখকরা কীভাবে একটি সরকারের তোষামোদি বা সহযোগিতা করতে পারেন। কোনো সরকার বা শাসক কোনো সময়ই কবিকে পাত্তা দেয় না। কবি বা সৃজনশীল মানুষ সরকারের জন্য বড় ঝামেলার বিষয়। কারণ রাষ্ট্র এমন একটা মেশিনারি, যা একজন সংবেদনশীল মানুষকে বিকশিত হওয়ার জন্য যে পরিবেশ দরকার তা দেয় না। 

আমাদের দেশে বিপ্লবী লেখকের খুব অভাব। এ দেশের লেখকদের বড় রকমের কোনো আত্মত্যাগ নেই। দেশের বেশির ভাগ বুদ্ধিজীবীই আগের সরকারের তোষামোদি করেছে। কোনো সরকার বা শাসকের প্রতিনিধিত্ব করা কবি ও লেখকের কাজ নয়। লেখকরা সব সময় প্রতিবাদী হন। লেখকের সঙ্গে রাষ্ট্রের সংঘর্ষ অনিবার্য। 

লেখক: কবি
অনুলিখন: সানজিদ সকাল

সাইফুল ইসলামের বই 'ছোটদের ইংলিশ থেরাপি'

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৬:০১ পিএম
সাইফুল ইসলামের বই 'ছোটদের ইংলিশ থেরাপি'

শিশুরা যেন আনন্দ নিয়ে সঠিকভাবে ইংলিশ শিখতে পারে, সেজন্য চলতি বছরের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে সাইফুল ইসলামের বই ‘ছোটদের ইংলিশ থেরাপি’।

বইটি সবচেয়ে সহজ ও প্র্যাকটিক্যাল মেথডে লেখা হয়েছে। অনেক ধরনের ইলাস্ট্রেশন যুক্ত করে সায়েন্টিফিক মেথডে শিক্ষার্থীরা কিভাবে ভোকাবুলারি শিখতে পারে সেই পদ্ধতি এখানে যুক্ত করা হয়েছে। সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিতে ছোট ছোট বাক্য গঠন কিভাবে করবে, সেই বিষয়গুলো শিখানো হয়েছে এই বইয়ের মাধ্যমে। শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি ও মেধা বৃদ্ধির যে চ্যালেঞ্জিং গেমগুলোও যুক্ত করা হয়েছে বইটিতে। এমন কিছু এক্সারসাইজে যুক্ত করা হয়েছে যেটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। এটা শুধুমাত্র ইংলিশ শেখার বই নয়, এটা শিক্ষার্থীদের বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে, সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে, মেধার বিকাশে, চিন্তাশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। ইংলিশ শেখার পাশাপাশি শিশুরা ক্রিয়েটিভ ভাবনাও শিখবে।

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বইটির লেখক হিসেবে আমার লক্ষ্য ছিল ইংরেজি শেখাকে শিশুদের জন্য সহজ, মজাদার ও কার্যকর করা। অনেক শিশু ইংরেজি শেখায় সমস্যায় পড়ে। কারণ প্রচলিত পদ্ধতিগুলো কঠিন ও একঘেয়ে মনে হয়।’

‘ছোটদের ইংলিশ থেরাপি’ বইটি শিশু, অভিভাবক ও শিক্ষকদের জন্য সহায়ক বন্ধু হয়ে উঠবে। ইংরেজি শেখার অভিজ্ঞতাকে আনন্দময় করে তুলবে।

উল্লেখ্য, সাইফুল ইসলাম ইংলিশ থেরাপির প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ ইনস্ট্রাক্টর। তিনি জেসিআই বাংলাদেশ টেন আউটস্ট্যান্ডিং ইয়াং পারসনস ২০২৩, বেস্ট নিউবি রাইজিং টিচার অ্যাওয়ার্ড, রকমারি বেস্টসেলার অ্যাওয়ার্ড, ডিআরআর অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড, মজার ইশকুলের সেরা স্বেচ্ছাসেবক পুরস্কার পেয়েছেন।

 

 


তারেক

চট্টগ্রামে বইমেলার শেষ দিন ছিল ক্রেতাশূন্য

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৯ এএম
আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৫, ১১:২৯ এএম
চট্টগ্রামে বইমেলার শেষ দিন ছিল ক্রেতাশূন্য
খবরের কাগজের ফাইল ছবি

‘চট্টগ্রামের বইমেলায় দর্শক আছে, স্টল আছে, বিক্রেতা আছে কিন্তু ক্রেতা নেই। 

শুক্রবার (২৮ য়েব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ে প্রতিদিন। 

এ ছাড়া সরকারি বন্ধের দিন শুক্রবার ও শনিবার দর্শনার্থীর কমতি থাকে না। এরপর স্টলগুলোতে বিক্রি নেই। কারণ মানুষ এখন বই পড়ে না। বইয়ের প্রতি মানুষের প্রেম-ভালোবাসা নেই।’ কথাগুলো বলেন, ‘চট্টগ্রাম এমইএস কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের বইমেলা শেষের দিকে। কিন্তু বই বিক্রি নেই বললেই চলে। অথচ প্রতিদিন স্টল খুলতে হচ্ছে। মানুষ মেলায় আসছেন, ঘুরছেন। কিন্তু বই কিনছেন না।’

একই কথা বলেন বইমেলায় রংপেনসিল প্রকাশনীর মালিক মোহাম্মদ শামীম। তিনি বলেন, ‘বই বিক্রি করে দৈনিক স্টল খোলা-বন্ধের খরচও ওঠে না।’ 

জানা গেছে, এক লাখ বর্গফুটের জিমনেসিয়াম মাঠজুড়ে ১৪০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের স্টল ৭৪টি ও ঢাকার স্টল ৪৪টি। মাসব্যাপী বইমেলার অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে, রবীন্দ্র উৎসব, নজরুল উৎসব, লেখক সমাবেশ, যুব উৎসব, শিশু উৎসব, মুক্তিযুদ্ধ উৎসব, ছড়া উৎসব, কবিতা উৎসব, মাতৃভাষা দিবস-২১ ফেব্রুয়ারির আলোচনা, লোক উৎসব, তারুণ্য ও ছাত্র সমন্বয় উৎসব, নারী উৎসব, বসন্ত উৎসব, মরমী উৎসব, আবৃত্তি উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, পেশাজীবী সমাবেশ, কুইজ প্রতিযোগিতা, চাটগাঁ উৎসবসহ মেলায় প্রতিদিনের বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় দেশের বিশিষ্ট লেখক-কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ ছিল।

মেলা মঞ্চে প্রতিদিন শিশুকিশোরদের চিত্রাঙ্কন, রবীন্দ্র-নজরুল, লোকসংগীত, সাধারণ নৃত্য, লোকনৃত্য, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, দেশের গানের আয়োজন করা হয়। মেলাকে আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের লেখক, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী ও বইপ্রেমীদের নিয়ে বিভিন্ন উপ-পরিষদ গঠন করা হয়েছিল। তাদের সহযোগিতায় প্রতিদিনের অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়েছে। মেলা মঞ্চে প্রতিদিন মুক্তিযুদ্ধের জাগরণী ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশিত হয়। এতসব আয়োজনের মধ্যে বইমেলা উৎসবমুখর হলেও বই বিক্রি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করছেন স্টল মালিকরা।

পর্দা নামল অমর একুশে বইমেলার ৩২৯৯টি বই এসেছে এবারের মেলায়

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ০৩:০০ এএম
৩২৯৯টি বই এসেছে এবারের মেলায়
ছবি: খবরের কাগজ

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি নিয়ে মাসজুড়ে যে বইমেলার আয়োজন করেছিল বাংলা একাডেমি; শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অনাড়ম্বর এক সমাপনী অনুষ্ঠানে তার পর্দা নামল। বাংলা কথাসাহিত্যের সব ধারার লেখক, কবি, সাহিত্যিক ও প্রকাশকদের মিলনমেলায় শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেমেছিল পাঠকের ঢল।

তবে যে উদ্দেশ্যে বইমেলার আয়োজন, তা কতটা পূরণ হয়েছে এ নিয়ে বহু প্রশ্ন অমীমাংসিত থেকে গেছে বইমেলার শেষ বেলাতেও। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এবার অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করতে হয়েছে বাংলা একাডেমিকে। গত জানুয়ারির শেষভাগে বইমেলার প্রস্তুতিপর্বে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) নেতাদের দ্বন্দ্বে বাংলা একাডেমিকে বেশ হ্যাঁপা পোহাতে হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির ব্যানারে একদল প্রকাশক আলাদা হয়ে যান। ‘আওয়ামী লীগ সমর্থক’ তকমা দিয়ে অনেক প্রকাশককে শুরুতে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার হুমকি আসে তাদের তরফ থেকে। তবে বাংলা একাডেমির বইমেলা পরিচালনা কমিটি মুনশিয়ানা দেখায় এ ক্ষেত্রে। বইমেলায় প্রভাবশালী লেখকদের সম্মিলন ঘটাতে পেরেছে তারা।

আলোচিত, সমালোচিত লেখক তসলিমা নাসরীনের বই প্রকাশকে কেন্দ্র করে মেলায় সব্যসাচী প্রকাশনার স্টল ভাঙচুর ও পরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা বইমেলার শেষ দিনেও আলোচনার খোরাক জুগিয়েছিল লেখক, প্রকাশকদের আড্ডায়। তবে বইমেলার সমাপনী আয়োজনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘বইমেলায় ভিন্ন মত ও পথের লেখকদের সম্মিলন ঘটাতে হবে। তরুণ লেখকদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে।’ 

শেষ বিকেলে জনস্রোত

শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বইমেলার দুয়ার উন্মুক্ত থাকলেও বইমেলার মূল জনস্রোতের দেখা মেলে বিকেল ৫টার পরে। মেলার সব প্রবেশপথেই ছিল উপচেপড়া ভিড়। শেষ বেলায় প্রিয় বইয়ের খোঁজে মেলায় এসেছিল সব বয়সী পাঠক।

রাজধানীর শেওড়াপাড়া থেকে সস্ত্রীক মেলায় এসেছিলেন নাট্যকর্মী পাভেল রহমান। তিনি বলেন, ‘চাকরির ফাঁকে ফুরসত মেলেনি বইমেলায় আসার। আর শেষ দিনে এসেছি, কারণ প্রিয় লেখকদের সব বই এদিন এসে যায়। সব বই কিনতে পারব না। তথ্য সংগ্রহ করে রাখব। কিছু দিনের মধ্যে বইগুলো সংগ্রহ করব।

বইমেলার দর্শকরা কেবল ছবি তুলতে আসেন- প্রকাশকরা পুরো মাসজুড়ে এমন অভিযোগ করে এসেছেন। তবে বইমেলার শেষদিনের বিকেলে এসে তাদের মুখে কিছুটা হাসি ফুটেছে।’

বাতিঘর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশ বলেন, ‘গতবারের বিক্রির তুলনায় এবার ১০ শতাংশ কম হয়েছে। তবে শেষ বিকেলে তুলনামূলক ভালো ছিল। পাঠকরা শুধু সেলফি তুলতে নন, আজ বিকেলে বইও কিনেছেন বিস্তর।’

বিদ্যাপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মজিবুর রহমান খোকা বলেন, ‘মাসজুড়ে মন্দাই গেছে বইমেলার। তবে শেষদিনে কিছুটা বিক্রি বেড়েছে। তরুণরা মানসম্মত বইয়ের খোঁজ করেছেন। তরুণ লেখকের বই নিয়েও বেশ আগ্রহ ছিল।’

অমর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী অমর সাহা বলেন, ‘এক ইউনিটের স্টল পাওয়া প্রকাশকদের বিক্রি হয়েছে খুব কম। বলতে গেলে মেলায় যত টাকা লগ্নি হয়েছে, তার সিকিভাগও তুলতে পারিনি আমরা।’

বিতর্কে যুক্ত নয় মেলা কমিটি, দাবি মহাপরিচালকের

বইমেলার নানা ঘটনায় প্রকাশক, লেখকদের জড়িয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হলেও তার দায় নিতে নারাজ বাংলা একাডেমি। গতকাল বিকেলে বাংলা একাডেমির মূল মঞ্চে বইমেলার সমাপনী আয়োজনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘মেলাজুড়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে, যার সঙ্গে বাংলা একাডেমি ও বইমেলা পরিচালনা কমিটি সংশ্লিষ্ট নয়। তবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পক্ষের সহায়তায় আমরা সমাধান করতে চেষ্টা করেছি।’

মেলার অব্যবস্থাপনা নিয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ড্রিমার ডাংকির সঙ্গেও মতানৈক্য হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘এমন একটা পরিস্থিতিতে এবার বইমেলা আয়োজন করতে হয়েছে, যখন দেশে পুলিশ নেই; ব্যুরোক্রেসি ফাংশন করছে না। সংস্কৃতির ট্রেনটা লাইনে তুলতে ভীষণ বেগ পেতে হয়েছে। আমার মনে হয়, সেটি এখন ঠিক লাইনে চলছে।’

বইমেলা পরিচালনায় নতুন পদ্ধতি প্রচলনে গুরুত্বারোপ করেন তিনি। প্রতিবছর বইমেলায় সেরা বইগুলোর জন্য বাংলা একাডেমি থেকে বিশেষ পুরস্কার প্রবর্তনের কথাও বলেন তিনি।

মেলায় এসেছে ৩২৯৯টি নতুন বই

সমাপনী আয়োজনে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সরকার আমিন জানান, এ বছর বইমেলায় ৩ হাজার ২৯৯টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা একাডেমির নতুন বইয়ের স্টলে জমা পড়া নতুন বইয়ের সংখ্যা থেকে তিনি এ তথ্য জানান। তবে প্রকাশক সমিতির তথ্য বলছে, প্রকৃতপক্ষে নতুন বইয়ের সংখ্যা এর দ্বিগুণ বা আড়াইগুণ হবে।

সরকার আমিন জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলা একাডেমি ৬১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৩ টাকার বই বিক্রি করেছে।

সমাপনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্ব) মো. মফিদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

বইমেলার সমাপনী আয়োজনে কবি জসীমউদদীন সাহিত্য পুরস্কার ২০২৫ এবং সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ দেওয়া হয়। বাংলা একাডেমির ‘কবি জসীমউদদীন সাহিত্য পুরস্কার ২০২৫’-এ ভূষিত হয়েছেন কবি আল মুজাহিদী এবং ‘সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’-এ ভূষিত হয়েছেন জার্মান অধ্যাপক হান্স হার্ডার ও কথাশিল্পী বর্ণালী সাহা। পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকদের পুরস্কারের অর্থ, সম্মাননাপত্র ও সম্মাননা-স্মারক দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ২০২৪ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিকসংখ্যক বই প্রকাশের জন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান কথাপ্রকাশকে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৫ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালে প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে গুণমান ও শৈল্পিক বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পাঠক সমাবেশ (প্লেটো : জীবন ও দর্শন/আমিনুল ইসলাম ভুইয়া), ঐতিহ্য (ভাষাশহিদ আবুল বরকত : নেপথ্য-কথা/ বদরুদ্দোজা হারুন) এবং কথাপ্রকাশকে (গোরস্তানের পদ্য : স্মৃতি ও জীবনস্বপ্ন/ সিরাজ সালেকীন) মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৫ দেওয়া হয়।

২০২৪ সালে গুণমান বিচারে সর্বাধিকসংখ্যক শিশুতোষ বই প্রকাশের জন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান কাকাতুয়াকে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার ২০২৫ দেওয়া হয়।

কল্পবিজ্ঞান আর মননশীল সাহিত্যেও আগ্রহ

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৮ এএম
কল্পবিজ্ঞান আর মননশীল সাহিত্যেও আগ্রহ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

তরুণ পাঠকদের মধ্যে সায়েন্স ফিকশন বা কল্পবিজ্ঞানের যে ঝোঁক, তা এবারের বইমেলায় নাকি একটু কমেছে! তরুণ পাঠকদের ভাষ্যে, এবারের বইমেলায় জুতসই বই মেলেনি, তাই কল্পবিজ্ঞানে আগ্রহ কমছে। কিন্তু স্কুলপড়ুয়া খুদে পাঠকদের কাছে বাংলা সাহিত্যের প্রথম পাঠ মানেই হলো, কল্পবিজ্ঞান। আর এ কথাটির প্রমাণ মিলেছে প্রায় প্রতিদিন। বেলা ৩টায় বইমেলার দুয়ার খুলতে যতক্ষণ, এরপর স্কুলপড়ুয়ারা এসে খুঁজতে থাকে কল্পবিজ্ঞানের সব বই। স্মার্টফোনে প্রিয় বইটির প্রচ্ছদ দেখিয়ে উৎসুক পাঠকের জিজ্ঞাসাও শোনা গেছে হরদম- ‘ভাইয়া দেখুন তো, সায়েন্স ফিকশনের এ বইটির কপি আছে কি না!’

কল্পবিজ্ঞানপ্রিয় খুদে লেখকদের জন্য এবারের বইমেলায় সময় প্রকাশন থেকে এসেছে ড. হাসিনুর রহমান খানের ‘গ্যালাক্টিক ত্রয়ী’, রাবেয়া বুকস্ থেকে এসেছে আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’, আফসার ব্রাদার্স প্রকাশিত জসীম আল ফাহিমের ‘বিজ্ঞানী মামার কাণ্ডকারখানা’, অনন্যা এনেছে মুহাম্মদ ইব্রাহীমের ‘দুই বুদ্ধি’, র্যামন পাবলিশার্স এনেছে রোকনুজ্জামান রিপনের ‘শেষ জ্যোৎস্না’ ও ড. মো. মনসুর আলীর ‘মহাকাশের সন্ধানে’, অবসর প্রকাশনা সংস্থা এনেছে হাসান খুরশীদ রুমীর ‘ইভ অব ম্যান’। 

প্রতিবার বইমেলাতেই প্রবন্ধ ও মননশীল সাহিত্যের একদল তরুণ পাঠকের দেখা মেলে। তাদের ভাষ্যে, সমাজ, জাতি, রাষ্ট্র, ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে রচিত সৃজনশীল সাহিত্য তাদের জ্ঞানের জগৎকে আরও সমৃদ্ধ করে। উচ্চশিক্ষার নানা স্তরে এই বইগুলো ‘রেফারেন্স বুক’ হিসেবে কাজ করে বলে মননশীল সাহিত্যের প্রতি ক্রমেই আগ্রহ বাড়ছে তাদের মধ্যে।
বাংলা একাডেমির তথ্য অনুযায়ী, মননশীল বা প্রবন্ধের বই এসেছে ৭০টি। এবার বিদ্যাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক মোজাফ্ফর হোসেনের ‘ব্রাহ্মসমাজে ইসলাম সাহিত্যের সক্রিয়তাবাদ ও অন্যান্য’, অনন্যা থেকে প্রকাশিত হয়েছে গোলাম মাওলা রনির ‘কি দেখেছি কি দেখছি’, কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ওয়াসি আহমেদের ‘টিকিটাকা’, পালক পাবলিশার্স থেকে এসেছে কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের ‘শিক্ষার তিন ভুবনে’, ঐতিহ্য প্রকাশ করেছে মো. আবদুল হাই ভূঁইয়ার ‘স্বার্থপরতার অর্থনীতি’, সাহস পাবলিকেশনস থেকে এসেছে শহীদুজ্জামানের ‘আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের তত্ত্বাবলি’, পাঠক সমাবেশ প্রকাশ করেছে আবু সাইদ খানের ‘মুক্তিসংগ্রামে বিপ্লববাদ ও অন্যান্য’, জাগৃতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হয়েছে সেলিম জাহানের ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’।

গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের ছাপ পড়েছে এবারের অমর একুশে বইমেলায়। বইমেলার প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর বইমেলায় যত টাকা তারা লগ্নি করেন, এ বছর তার অর্ধেকও করেননি। বই বিক্রিতে ‘মন্দাভাব’ ছিল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। 

জাগৃতির প্রকাশক রাজিয়া রহমান বলেন, ‘এবার নতুন বই বের করেছি ১৬টি। আগে বইমেলায় অন্তত ৩০টি নতুন বই আসত আমাদের প্রকাশনী থেকে। এবার দেশের যা পরিস্থিতি, খুব বেশি টাকা লগ্নি করতে চাইনি। মেলার অবস্থাও ভালো ছিল না। শুরু থেকেই যে মন্দাভাব লেগেছে, তা বইমেলার শেষভাগেও এসে রয়ে গেল। এবারের বইমেলা সত্যি বাজে কেটেছে।’

পালক পাবলিশার্সের স্বত্বাধিকারী ফোরকান আহমদ বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরেই তো দেখছি, এই বইমেলা কীভাবে ক্রমে বিবর্ণ হচ্ছে। বই বিক্রি কম হবে বা বেশি হবে, সেটি সরিয়ে রাখলেও পাঠক, প্রকাশক ও ক্রেতার যে মিথস্ক্রিয়া সেটি ক্রমাগত যেন মিইয়ে যাচ্ছে। বইমেলায় ক্রেতা কমে যাচ্ছে। অবশ্য তাদের জন্য যথাযথ পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি কি না, সেটা একটা প্রশ্ন।’

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ছিল অমর একুশে বইমেলার ২৭তম দিন। এদিন বাংলা একাডেমির নতুন বইয়ের স্টলে নতুন বই এসেছে ১৭৬টি। এর মধ্যে রয়েছে গীতিকবি আসিফ আকবরের নতুন বই যদি লক্ষ্য থাকে অটুট- সাফল্যের খোলা কৌশল’। বাংলাদেশের করপোরেট জগতের উল্লেখযোগ্য নাম আসিফ ইকবাল, গীতিকবি হিসেবেও তিনি সমান উজ্জ্বল। নিয়মিত করছেন শিক্ষকতাও। সংগঠক হিসেবেও তার খ্যাতি রয়েছে।  তিন দশকের অধিক সময়ের ক্যারিয়ারে তিনি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন এ বইয়ে। বইটি বের হয়েছে অন্যপ্রকাশ থেকে। 

গতকাল বিকেলে বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘একটি অভ্যুত্থানের জন্ম ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রেজাউল করিম রনি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সৈয়দ নিজার। সভাপতিত্ব করেন কাজী মারুফ। ‘লেখক বলছি’ মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি সায়ীদ আবুবকর, কবি মিতা আলী এবং কবি, সম্পাদক ও শিশুসাহিত্যিক জামসেদ ওয়াজেদ।

আজ (২৮ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার শেষ দিন। এদিন মেলা শুরু হবে বেলা ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর। 

আজ বিকেল ৫টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন অমর একুশে বইমেলার সদস্যসচিব ড. সরকার আমিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

সমাপনী অনুষ্ঠানে কবি জসীমউদদীন সাহিত্য পুরস্কার, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার,  চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার এবং শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হবে। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

বইমেলাকে আরও নান্দনিক করতে হবে

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৭ এএম
বইমেলাকে আরও নান্দনিক করতে হবে
নুরুন নাহার চৌধুরী

এবার বইমেলা ভালোই লাগছে, তবে আগের মতো না। মেলায় প্রচুর লোক এসেছে, কিন্তু সেই তুলনায় বই বিক্রি কম। এবার  বইমেলাটা তেমন জমে ওঠেনি। কেমন যেন খাপছাড়া অবস্থা। আমি রান্নাবিষয়ক কয়েকটি বই লিখেছি, যেমন রকমারি ভর্তা, রকমারি রান্না ও সকাল-বিকালের রকমারি রান্না; যা সময় প্রকাশন থেকে বের হয়েছে।  

আমাদের বাসায় একসময় অনেক বিখ্যাত লোকজন আসতেন, তাদের আমি রান্না করে খাইয়েছি। হুমায়ূন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন, মুনতাসীর মামুনসহ অনেক মানুষকে ভালো রান্না করে খাইয়েছি। হুমায়ূন আহমেদ তার বন্ধুদের নিয়ে আসতেন। তিনি অনেক আড্ডাপ্রিয় ছিলেন এবং গল্প করতে ভালোবাসতেন। রান্না শেখার জন্য আমি অনেক কোচিং করেছি এবং অনেক জায়গা থেকে শিখেছি। 

ব্লক ও বাটিকের কাজ করা আমার নেশা। আমি একটু একটু করে শিখে নিয়েছি। রান্না ও বাটিকের জন্য ভালো জায়গা থেকে কোর্স করেছি। বিসিক থেকেও ব্লক ও বাটিকের ওপর কোর্স করেছি। এখন তো মানুষ ব্যবসা করার জন্য শেখে। কিন্তু আমি শখের বসেই এসব শিখেছি। আমি তখন থেকে ব্যবসার কথা চিন্তা করলে অনেক ভালো অবস্থানে যেতে পারতাম। কিন্তু আমি তা কখনো করিনি। 

আমি ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক ঘুরেছি। তবে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল, যেতে পারিনি। তবে আমার ভালো লেগেছে কাশ্মীর ও লন্ডন।  ভ্রমণ নিয়ে আমি বই লিখেছি। তা ছাড়া আমার স্কুলের অনেক স্মৃতি নিয়ে বই লিখেছি। 

বইমেলায় অনেকে এসে  ছবি তোলে, তবে বই কেনা উচিত। শুধু ছবি তুললেই হবে না, পড়ালেখা করতে হবে। কারণ বই হলো জ্ঞানের প্রতীক। ইদানীং পড়ালেখা এত খারাপ হয়ে গেছে, কেউ আর বই পড়তে চায় না। এবার মেলায় বই বিক্রি অনেক কম। মানুষ শুধু বিনোদন পছন্দ করছে। সবাইকে বই পড়তে হবে ও জ্ঞান অর্জন করতে হবে। 

বইমেলা পরিসরে বড় হওয়ায় অনেকের ঘুরতে কষ্ট হয়। বৃদ্ধ  ও মা-শিশুদের মেলায় ঘুরতে বেশি কষ্ট হয়। কারণ মেলায় বসার তেমন ব্যবস্থা নেই। এবার মেলায় ওয়াশরুমের অবস্থা খুবই খারাপ, যা উন্নত করা দরকার। বইমেলাকে আরও বেশি নান্দনিক করতে হবে।  

লেখক: রান্নাবিষয়ক লেখক
অনুলিখন: সানজিদ সকাল