ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আপিল বিভাগে ঢাবির দুই শিক্ষার্থী আন্দোলনের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
আন্দোলনের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
ছবি: সংগৃহীত

কোটা পুনর্বহাল–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষার্থী। যদিও তাদের সঙ্গে চলমান কোটাবিরোধী যে আন্দোলন তার সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ঢাবির দুই শিক্ষার্থীর আবেদন করলে বিকেল সাড়ে তিনটায় এক বার্তায় নাহিদ এ কথা জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কোনো আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের দাবি সরকার ও নির্বাহী বিভাগের কাছে। যারা আদালতে গিয়েছে নিজ উদ্যোগে গিয়েছে। এর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক থেকে কেউ কোর্টে যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন আরেক সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। তিনি বলেন, আমাদের এক দফা দাবি দেশের নির্বাহী বিভাগর কাছে, সংসদে আইন পাস করে সরকারি চাকুরির সকল গ্রেডে সকল ধরণের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রেখে কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (৮ জুলাই) সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে যৌক্তিক পর্যায়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। গত পহেলা জুলাই থেকে চার দফা দাবিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর ব্যানারে লাগাতার কর্মসূচিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গত রবিবার (৭ জুলাই) চার দফা দাবি সংস্কার করে এক দফা দাবি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। দাবিটি হলো— “সকল গ্রেডে অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটাপদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।”

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

ঈদে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের গোস্ত বিতরণ করবে জবি কর্তৃপক্ষ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম
ঈদে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের গোস্ত বিতরণ করবে জবি কর্তৃপক্ষ
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের গোস্ত বিতরণ করবে জবি প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) আহ্বায়ক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুুল আজহা উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের জন্য কোরবানীর পশু ক্রয় ও গোস্ত বিতরণের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানকারী সব শিক্ষার্থী ও কর্মচারীকে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলো।

মেহেদী/

খবরের কাগজে সংবাদে শাবিপ্রবির নিরাপত্তায় লাইটিং ব‍্যবস্থা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
খবরের কাগজে সংবাদে শাবিপ্রবির নিরাপত্তায় লাইটিং ব‍্যবস্থা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)

খবরের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন লাইট লাগানো এবং পুরাতন লাইট মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, আগে ক্যাম্পাসের যেসব জায়গায় পর্যাপ্ত আলো ছিল না বা একদম অন্ধকার ছিল, সেসব জায়গা এখন আলোকিত। এর আগে খবরের কাগজে গত ২৮ মে ‘শাবিপ্রবিতে বহিরাগতদের আনাগোনায় নিরাপত্তাহীন শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় কিভাবে নিজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।

তখন প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছিল, এ বিষয়ে খুব শিগগিরই কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ক্যাম্পাসে শতভাগ লাইটিং নিশ্চিতে কাজ শুরু করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবুল হাসনাত বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের এ রকম উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। আমরা আশা করি, নিরাপত্তাহীনতার জন্য দায়ী অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধানেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক  মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে শতভাগ লাইটিং নিশ্চিত করার কাজ শুরু করেছি। বৃষ্টির জন্য কাজটা যদিও দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে না, তবুও আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব ক্যাম্পাসে লাইটিং-সহ নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থাগুলো নিশ্চিত করার।

ইসফাক আলী/অমিয়/

শাবিপ্রবি ক‍্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা, খাল খননেই মিলল সুফল

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম
শাবিপ্রবি ক‍্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা, খাল খননেই মিলল সুফল
খননকৃত খাল। ছবি:খবরের কাগজ

বিগত বছরগুলোতে বর্ষাকাল আসতে না আসতেই অল্প বৃষ্টিতে ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার কারণে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের। কিন্তু এবার বর্ষা আসার আগেই ক্যাম্পাসের প্রতিটি খাল পুনরায় খনন করায় সে সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে প্রশংসায় ভাসছে প্রশাসনের খাল খননের এ উদ্যোগ। 

সোমবার (২ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিলেটে বিগত কয়েকদিনের মৌসুমি বৃষ্টিতে আগের মতো জলাবদ্ধতা তৈরি হয়নি ক্যাম্পাসে। পুনঃখননকৃত খাল দিয়ে সহজেই ক্যাম্পাসের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে দেখা যেত ঠিক উল্টো চিত্র। একটু বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা তৈরি হতো, রাস্তা ডুবে যেতো এবং এতে করে যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়তে হতো শিক্ষার্থীদের। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার সমস্যা দূর করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন ও নতুন খাল খনন করা হয়। খালটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানাঘেঁষা টিলারগাও এলাকা দিয়ে চেঙ্গের খালে গিয়ে পতিত হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইতিবাচক পরিবর্তনের ব্যাপারে পলিটিকাল স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তুফা আহাম্মেদ বলেন, অতীতে সামান্য বৃষ্টিতেই ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা দেখা দিত, যা শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাত। তবে সম্প্রতি খাল খনন ও জলাধার উন্নয়নের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে এখন বৃষ্টির পরও ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় না, যা শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তির বিষয়। এই উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বলেন, বিগত বছরগুলোতে দেখা যেত একটু বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে সবাইকে যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়তে হতো। তাই আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই প্রথম এই কাজটার দিকেই মনোযোগ দিয়েছিলাম। আমাদের কাজ এখনো চলমান আছে। আশা করি এই সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, প্রত্যেক বছর বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পাস প্লাবিত হয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে ভোগান্তিতে পড়তে হতো। পাশাপাশি ক্লাসরুম বা ল্যাবের ভিতরে পানি ঢুকে অনেক ক্ষতি করতো। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই সময় মতো খাল খনন করা হয়েছে। খালের পানি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার বাহিরে যাতে পানি সহজে নিষ্কাশন হয় সে ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট প্রশাসককে বলা হয়েছে। তারাও বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তার খানাখন্দ ঈদের বন্ধের মধ্যে মেরামতের জন্যও সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়েছে। আশা করি এই বন্ধের মধ্যে তারা এটা করে ফেলবে।


মো: ইসফাক আলী/মাহফুজ 

 

নোবিপ্রবিতে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে কর্মচারী বরখাস্ত

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
আপডেট: ০২ জুন ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
নোবিপ্রবিতে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে কর্মচারী বরখাস্ত
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) রিসার্চ সেলের ৪৩ লাখ টাকার দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদন্তে আর্থিক অনিয়ম, হিসাব জালিয়াতি এবং অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর কাওসার হামিদ চৌধুরী জিকুকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তামজিদ হোছাইন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, শিক্ষকদের গবেষণা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে ভ্যাট ও ট্যাক্স বাবদ আদায় করা প্রায় ৩০ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে যথাসময়ে জমা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে জিকুর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কোনো সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি। ওই অর্থ তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করা হয়। পরে নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও ওই টাকা নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়নি। এছাড়া সাম্প্রতিক অডিটেও বিভিন্ন খাত মিলে ৪৩ লাখ টাকার আর্থিক গরমিল ধরা পড়ে।

এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। পাশাপাশি তার বাবাকে এক মাসের মধ্যে পুরো অর্থ পরিশোধের অঙ্গীকারে তাকে নিজের জিম্মায় নিয়েছেন বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তামজিদ হোছাইন চৌধুরী বলেন, 'হিসাবে গরমিল এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির কারণে তাকে শোকজ করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বাবা এক মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেবেন বলে ছেলেকে জিম্মায় নিয়ে যান। ইতোমধ্যে আমরা আরেকটি নোটিশ দিয়েছি। তাতে বলা হয়েছে কেউ যাতে তার সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেনে না যায়।'

তিনি আরও জানান, অফিসের কার্যক্রম শুরু হলে তদন্ত কমিটি করা হবে। এ ঘটনায় জিকু এককভাবে দায়ী, নাকি এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

কাউসার আহমেদ/রিফাত/

গাড়ি চালিয়ে চীন থেকে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম
গাড়ি চালিয়ে চীন থেকে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে
ইউকুন তাও। ছবি: বিবিসি

আধুনিক বিশ্বে কেউ এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে চাইলে বিমানে চেপে বসে। সেটা যদি চীন থেকে যুক্তরাজ্য হয়, তা হলে তো কথাই নেই। কিন্তু ২০ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ইউকুন তাও বিরল এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গাড়ি চালিয়ে তিনি চীন থেকে ১১ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেছেন। এ জন্য তার ২৬ দিন লেগেছে। পাড়ি দিয়েছেন সাতটি দেশ- কাজাখস্তান, রাশিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডস। উদ্দেশ্য ছিল শুধু স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছানো। কিন্তু তার এই যাত্রা হয়ে উঠেছে সাহস, সংকল্প ও আত্মবিশ্বাসের এক অনন্য গল্প।

ইউকুন তাও বর্তমানে হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিতে চেয়েছিলেন। তার এই পরিকল্পনার কথা তার মা-বাবাকে জানালে তারা মাসের পর মাস ধরে তাকে এই পাগলামি থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন। তবে তিনি থামেননি।

ভ্রমণ নিয়ে ইউকুন তাও বলেন, ‘আমি ওইসব দেশে আগে কখনো যাইনি। বস্তুত ১০ বছর ধরে বিদেশে যাওয়া হয়নি আমার। এই সিদ্ধান্ত নিতে মানসিক শক্তি আর সাহসের দরকার ছিল। অজানার মুখোমুখি হতে আসলেই সাহস লাগে।’

এই অজানা যাত্রার প্রস্তুতি নিতে সময় লেগেছিল প্রায় ছয় মাস। গাড়ি, রুট প্ল্যান, ভিসা ইত্যাদি সবকিছু নিয়ে ভাবতে হয়েছে ইউকুন তাওকে।
ভ্রমণটা সহজ ছিল না ইউকুন তাও-এর। ১ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করার কিছুদিন পরই চীন-কাজাখস্তান সীমান্তের কাছে এসে তার গাড়ির ইঞ্জিনে গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়। তাও-এর হাতে সময় কম ছিল। ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশ ছাড়তে না পারলে পুরো যাত্রা থেমে যেত। পরে এক বন্ধুর সহায়তায় স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে রাত-দিন কাজ করে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গাড়ি ঠিক করে ফেলেন মিস্ত্রিরা।

২৬ সেপ্টেম্বর, দীর্ঘ পথ পেরিয়ে তাও পৌঁছান ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জোসেফিন বাটলার কলেজে। গাড়ির পেছনে ঝোলানো ছিল তার প্রিয় মাউন্টেন বাইক। কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিনিধি তাকে স্বাগত জানায়। তাও অবাক হন। এত ভালোবাসা আর এত সম্মান পাবেন, সেটা তিনি আঁচ করতে পারেননি।  সূত্র: বিবিসি

/রিয়াজ