
কোটা পুনর্বহাল–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষার্থী। যদিও তাদের সঙ্গে চলমান কোটাবিরোধী যে আন্দোলন তার সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ঢাবির দুই শিক্ষার্থীর আবেদন করলে বিকেল সাড়ে তিনটায় এক বার্তায় নাহিদ এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কোনো আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের দাবি সরকার ও নির্বাহী বিভাগের কাছে। যারা আদালতে গিয়েছে নিজ উদ্যোগে গিয়েছে। এর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক থেকে কেউ কোর্টে যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন আরেক সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। তিনি বলেন, আমাদের এক দফা দাবি দেশের নির্বাহী বিভাগর কাছে, সংসদে আইন পাস করে সরকারি চাকুরির সকল গ্রেডে সকল ধরণের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রেখে কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৮ জুলাই) সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে যৌক্তিক পর্যায়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। গত পহেলা জুলাই থেকে চার দফা দাবিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর ব্যানারে লাগাতার কর্মসূচিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গত রবিবার (৭ জুলাই) চার দফা দাবি সংস্কার করে এক দফা দাবি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। দাবিটি হলো— “সকল গ্রেডে অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটাপদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।”
আরিফ জাওয়াদ/এমএ/