ঢাকা ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নোবিপ্রবিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৪ এএম
আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ১১:০২ এএম
নোবিপ্রবিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ে শিক্ষার্থীরা
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ঠেকাতে এবার বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছেন নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ঠেকাতে এবার বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে নোয়াখালীর পৌর কাঁচাবাজারসহ অন্য বাজারগুলো মনিটরিং করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের পর নোয়াখালীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ও দ্রব্যমূল্যের তালিকা পর্যবেক্ষণ এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল জেলা সদরের পৌর বাজারের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় দোকানে টাঙানো মূল্য তালিকা ও সেই দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটা মনিটরিং করেন। বাজারের আড়তদার, পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা বিক্রেতাদের বেশি দামে পণ্য বিক্রি না করার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি কাউকে চাঁদা না দিতেও পরামর্শ দেন।

মনিটরিংয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাজারে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেট যাতে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে জনগণকে হয়রানি না করতে পারে, এ ব্যাপারে কঠিন হুশিয়ারি দিয়ে আসা হয়েছে। আমরা কাঁচাবাজার, মাছবাজার, বিভিন্ন আড়তদার এবং পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্যের মূল্য পর্যবেক্ষণ করে এসেছি। শুক্রবার আবার যাব।’

শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বাজার করতে আসা স্কুলশিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘তরুণ সমাজের প্রতিটি উদ্যোগে আমি প্রতিদিন মুগ্ধ হচ্ছি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম থেকে শুরু করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, মন্দির পাহারা দেওয়া ও আজ বাজার মনিটরিং কার্যক্রম দেখে আমার বেশ আনন্দ লাগছে। আমরা এমন উদ্যমী ছাত্রদের নিয়েই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আজ বাজারে এসেছিলেন। আমাদের সবগুলো দোকান ঘুরে ঘুরে মনিটরিং করে গেছেন। কেউ অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে তাকে বয়কটের কথা জানিয়ে যান।’

গতকাল সকাল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ছাড়াও বিএনসিসি এবং স্কাউটের সদস্যরা পৌর সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করেন।

এখনো স্থবির কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ এএম
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ এএম
এখনো স্থবির কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

সরকার পরিবর্তনের প্রায় দেড় মাস পরেও স্থবির কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে উপাচার্য-শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্ব এবং এরপর শিক্ষকদের পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে সব মিলিয়ে প্রায় ৬ মাস ধরেই বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

সরকার পরিবর্তনের পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, হল প্রভোস্ট এবং প্রক্টর পদত্যাগ করেন। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক-প্রশাসনিক এবং শৃঙ্খলার কাজে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত চলমান গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রমসহ সব প্রশাসনিক এবং আর্থিক দায়িত্ব পালন করার দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির ছায়াদউল্লাহ খান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এই বিষয় রেজিস্ট্রার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে চলমান সব কাজ তিনি দেখবেন। চলমান গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা, বেতন-ভাতা, সরকারি গবেষণার অগ্রগতি, সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট স্বাক্ষরসহ যাবতীয় কাজ ড. মো. জাকির ছায়াদউল্লাহ খান করতে পারবেন।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের পদে থাকা অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানের মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের ৪ জুলাই। এরপর থেকে শূন্যই আছে পদটি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক বিভিন্ন কাজেও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে বলে জানা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক দায়িত্বে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির। তিনিও ৫ আগস্টের পর থেকে ১৪ দিন অফিসে আসেননি। এতে মোট ১৩টি পরীক্ষার ফল জমে যায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে। তবে পদত্যাগের আগে সেগুলোতে স্বাক্ষর করে যাওয়ার পর আরও চারটি বিভাগের পরীক্ষার ফল জমা হয়েছে দপ্তরে। এ মুহূর্তে ফলগুলো চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার কেউই নেই। এ ছাড়া প্রশ্ন মডারেশন, গেস্ট টিচার নিয়োগসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছে দপ্তরটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের (বর্তমান বিজয় ২৪ হল) আবাসিক শিক্ষার্থী ওবাদুল্লাহ হক বলেন, ‘দেশের এমন পরিস্থিতিতে হলে কোনো প্রশাসন না থাকলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী থাকবে? আমরা হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা ওই সময় কার কাছে সমাধানের জন্য যাব? ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল বডি নেই। নেই ভিসি কিংবা প্রো-ভিসি। এর মধ্যে আবার আমাদের হলের প্রভোস্টও নেই। আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?’

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নুরুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘উপ-উপাচার্য অফিসে না এসেও কয়েকটি ফলে স্বাক্ষর করে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু এরপরেও বিভিন্ন বিভাগের ৪টি পরীক্ষার ফল স্বাক্ষরের জন্য আটকে আছে। তবে প্রশাসন না থাকায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের মধ্যে তিনটি হলের প্রভোস্টপদ শূন্য।

রাজনীতি নিষিদ্ধ না হলে ক্লাসে ফিরবেন না ঢাবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
রাজনীতি নিষিদ্ধ না হলে ক্লাসে ফিরবেন না ঢাবি শিক্ষার্থীরা
ঢাবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন একদল সাধারণ শিক্ষার্থী। ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তাদের সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল সাধারণ শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা না হলে ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন শিক্ষার্থীরা। 

সমাবেশে অংশ নেওয়া বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী নাফিউর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাস থেকে সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই। ঢাবি শিক্ষার্থীরা এখন আরও শক্তিশালী হয়েছেন। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করে নেব। আমরা কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম আর হতে দেব না। ক্যাম্পাসে যদি কেউ দলীয় রাজনীতি করতে আসেন, হলগুলো যদি আর কেউ দখল করতে চান, তাদের হাসিনার মতোই পালাতে হবে। কেউ ক্যাম্পাস দখলের ষড়যন্ত্র করলে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করবেন।’

উপাচার্যকে দেওয়া স্মারকলিপিতে দুই দফা দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। আমাদের প্রথম দাবি, ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে সব ধরনের দলীয় ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং দ্বিতীয় দফা অবিলম্বে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন দিতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সানজানা ইতি বলেন, ‘আমরা জুলাই গণ-অভুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতন ঘটিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ লাভ করেছি। কিন্তু আমাদের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা এখনো আসেনি। ক্যাম্পাসে এখনো দলীয় রাজনীতি পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। আমরা চাই, অনতিবিলম্বে দলীয় লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি বন্ধ করে ছাত্র সংসদ চালু করা হোক।’

সমাবেশ জানানো হয় হয়, আগামীকাল শনিবার বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক কর্মসূচির পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে তা জানানো হবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ না করা হলে ২২ তারিখে ক্লাসে ফিরতে চান না তারা।

এর আগে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর থেকে মিছিল শুরু করে হলপাড়া, ভিসি চত্বর, টিএসসি, শহিদ মিনার, দোয়েল চত্বর হয়ে আবারও টিএসসিতে যান।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ক্যাম্পাস পলিটিক্স, নো মোর নো মোর’; ‘দলীয় রাজনীতির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’; ‘হলে হলে খবর দে, লেজুড়বৃত্তি ছাত্ররাজনীতির কবর দে’; ‘ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

 

চবির নতুন উপাচার্য হচ্ছেন অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম
চবির নতুন উপাচার্য হচ্ছেন অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন চবির রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র তার উপাচার্য  নিয়োগের চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

আগামী রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানা যায়। 

জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া বলেন, ‘উপাচার্য চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি সিভির সঙ্গে ছবি না দেওয়ায় তিনি আমার কাছে ছবি চেয়েছেন। আরও কিছু ইনফরমেশন চেয়েছেন। প্রজ্ঞাপন জারি হলে জানা যাবে।’

এর আগে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে গত ১২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসন সব পর্যায়ের কর্তারা পদত্যাগ করেন। দীর্ঘ এক মাস ধরে এসব পদ শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় অচল হয়ে রয়েছে। আবাসিক হল বন্ধ থাকা ও উপাচার্য ছাড়া কোনো কাজই সঠিকভাবে করতে পারায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

প্রায় আড়াই মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে তীব্র সেশনজটের আশঙ্কায় দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।

মাহফুজ শুভ্র/অমিয়/

ঢাবিতে ক্লাস শুরু ২২ সেপ্টেম্বর

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ পিএম
ঢাবিতে ক্লাস শুরু ২২ সেপ্টেম্বর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রথম বর্ষ ছাড়া বাকি সব বর্ষের ক্লাস এবং ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

সভায় ডিনস কমিটির সুপারিশের আলোকে ক্লাস শুরুর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়ন এবং দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে বিভাগ/ইনস্টিটিউট/অনুষদ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ইতোমধ্যে গৃহীত প্রস্তাবনাগুলো, যা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, সে ব্যাপারে সিন্ডিকেট সভাকে অবহিত করা হয়। সিন্ডিকেট সদস্যরা এতে পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।

আরিফ জাওয়াদ/সালমান/

নোবিপ্রবিতে কাওয়ালি সন্ধ্যা আজ

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
নোবিপ্রবিতে কাওয়ালি সন্ধ্যা আজ
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নোবিপ্রবিতে আয়োজন করা হয়েছে কাওয়ালি সন্ধ্যার। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) কাওয়ালি সন্ধ্যা ও শানে মোস্তফা (সা.) অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিবেশন করবে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ২৪-এর মঞ্চের শিল্পীরা।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ‘২৪-এর মঞ্চ’ এর উদ্যোগে নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই কাওয়ালি সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল ৫টায়।

অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। আগে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিলো না। এর আগে ঢাবিতে কাওয়ালির আয়োজন করা হলে সেখানে স্বৈরাচারের দোসররা বাধা প্রদান করে। আমাদের আজকের এই আয়োজন মূলত সেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, ‘কাওয়ালি মুসলিম কবিদের হাজার বছরের ইতিহাস বহন করে। এতো দিন ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কোনো ধরনের ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমরা দেখিনি। আজ ক্যাম্পাসে এমন সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত লাগছে। আমি চাই এ রকম সুস্থ সংস্কৃতি আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। আমি সবাইকে অনুষ্ঠানে আসার জন্য আহ্বান জানাই।’

২৪-এর মঞ্চের আহ্বায়ক ইশতিয়াক জামিল বলেন, ‘আমরা চাইব কাওয়ালি গানে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণে অংশগ্রহণ করে। আমরা একটা গুগল ফর্মের মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশন নিয়েছি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করার জন্য  গত কয়েক দিন ধরে শিল্পীরা অনেক রিহার্সাল করেছে। আশা করছি ভালো একটি অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাওয়ালী গানের বাইরে দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা হবে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরাই এই আয়োজন করছি।’

অনুষ্ঠান সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা আসনের ব্যবস্থা করা হবে এবং অনুষ্ঠানে ধর্মীয় ড্রেসকোডের বিষয়ে কোনো রকম বাধানিষেধ থাকবেনা বলে জানান আয়োজকরা।

কাউছার আহমেদ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/