ঢাকা ২৯ ভাদ্র ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড সংস্কারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম
লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড সংস্কারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম
লিডিং ইউনিভার্সিটি

সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির ‘সংস্কার’ ২৪ ঘন্টার মধ্যে করার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা। 

ট্রাস্টি বোর্ডে ‘ভারতীয় নাগরিক’ থাকার অভিযোগ, দুই শিক্ষকের বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রাখাসহ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা পেয়েও দুই শিক্ষককে বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার না করায় সংস্কারে ‘স্পষ্ট বিবৃতি’ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লিডিং ইউনিভার্সিটি শাখা ‘স্পষ্ট বিবৃতি’ দিয়েছে। 

এতে রবিবার (১১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে সংস্কারে আলটিমেটাম দিয়ে বলা হয়, ‘কোটা আন্দোলনে আমরা আপনাদের অবস্থান নিয়ে এখন চিন্তিত না। এখন আমাদের লিডিং ইউনিভার্সিটি সংস্কারের লক্ষ্যে ১১ আগস্ট রবিবার আপনাদের অবস্থান পরিষ্কার করুন।...’ 

শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কোষাধ্যক্ষ পদে থাকা বনমালী ভৌমিক অনেকটা কর্তৃত্ববাদী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে রেখেছিলেন। উপাচার্য শিক্ষা ছুটিতে বিদেশ থাকার সুযোগে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য পদে নিজেই আসীন হয়ে স্থাপত্য বিভাগের দুই শিক্ষককে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করেছিলেন। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে শেষে উপাচার্য দেশে ফেরেন। 

অভিযোগ ওঠে, উপাচার্যকে নাজেহাল করতে একের পর এক নির্দেশনা জারি করেন কোষাধ্যক্ষ বনমালী। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দুই শিক্ষককে বহাল রেখে উপাচার্যের কর্মপরিবেশ দিতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছিল। সেই সঙ্গে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে ভারতীয় নাগরিকসহ দুজনকে দুই মাসের মধ্যে বাদ দিয়ে নতুন করে বোর্ড গঠনেরও নির্দেশনা দিয়েছিল। গত বছরের নভেম্বর মাসে এই নির্দেশনা দেওয়া হলেও প্রায় ৯ মাসেও তা মানেননি কোষাধ্যক্ষ বনমালী ভৌমিক। উল্টো তিনি উপাচার্যের কক্ষ তালা দিয়ে রেখেছেন।
 
গেল বছরের ১২ নভেম্বর ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তাতে বলা হয়েছিল, সাম্প্রতিক সময়ে লিডিং ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন অনিয়ম এবং বিশ্ববদ্যিালয়টির উপাচার্য এবং বিওটির চেয়ারম্যানের পরস্পরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ তদন্তে গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ি, লিডিং ইউনিভার্সিটি স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক স্থপতি সৈয়দা জারিনা হোসেইন এবং সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি রাজন দাশের বরখাস্ত আাদেশ ঘোষণাপূর্বক সকল সুযোগসুবিধাসহ তথাকথিত বরখাস্ত আদেশের স্বাক্ষরের তারিখ হতে স্বপদে পূর্নবহাল করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। সেইসঙ্গে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর কোনো এখতিয়ার বলে তাদের চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে তার কারণ দর্শানোসহ ব্যাখ্যা তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে পাঠাতে হবে।

ভারতীয় নাগরিক সাদিকা জান্নাত চৌধুরী ও নাবালক সাইদ আজমাইন আবদুল হাইকে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ থেকে বাদ দিয়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে জয়েন্ট স্টক কোম্পানি থেকে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ও আগামী তিন মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনিরীক্ষিত অর্থবছরের নিরীক্ষা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক কাজী আজিজুল মাওলাকে চুক্তি অনুযায়ী বেতনভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদি দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ইউজিসির পরিচালক ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত চিঠিতে সব বিভাগে তিন মাসের মধ্যে যোগ্যতাসম্পন্ন প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৩৩(৩) ধারা মোতাবেক খণ্ডকালীন শিক্ষক সংখ্যা নিশ্চিত করার জন্যও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কাজী আজিজুল মাওলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ ট্রাস্টি বোর্ড ১৭ বছর ধরে সরকারের স্থায়ী অনুমোদন না থাকা এবং লিডিং ইউনিভার্সিটিতে ট্রেজারার বনমালী ভৌমিকের দুর্নীতি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে ইউনিভার্সিটির ব্যাংক হিসাবে ৬৮টি লেনদেনে অনিয়মের বিষয়ে জানতে রেজিস্ট্রার বরাবরে ইউজিসির দেওয়া চিঠিসহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাদিকা জান্নাত চৌধুরী (পাসপোর্ট নং-ক৩৯২০৮৫০) ভারতের নাগরিকের বিষয়টি উল্লেখ করেন।

ইউজিসির নির্দেশনার বিষয়ে গত বছরের ১২ নভেম্বর লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম ‘চিঠি পাইনি’ বলে খবরের কাগজকে এ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইউজিসি এমন কোনো আদেশ দিয়ে থাকলে তাহলে যতটুকু পালন করার ততটুকু করা হবে। আর যেটুকু আমরা পালন করতে পারব না, সেটা ইউজিসিকে যথারীতি জানিয়ে দেওয়া হবে।’

প্রায় ৯ মাসের মাথায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে স্পষ্ট বিবৃতি সম্পর্কে শনিবার ফোনে যোগাযোগ করলে রেজিস্ট্রার মফিজুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘এ রকম কিছু তিনি পাননি।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুই শিক্ষককে ভিন্ন দুটো কারণ দেখিয়ে বরখাস্ত আদেশ দেখিয়েছিল। স্থপতি জেরিনা হোসাইন গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর তার শিক্ষকতার চুক্তি বর্ধিত করার আবেদন করেছিলেন। এটি উপাচার্য মঞ্জুর করলেও সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদনহীন দেখিয়ে চিঠি দিয়ে তার চাকরির মেয়াদ শেষ বলা হয়। অন্যদিকে, স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান স্থপতি রাজন দাশকে পেশাগত অসাদচরণের অভিযোগ তুলে গত বছরের ৯ অক্টোবর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তার ই-মেইল আইডিতে পাঠানো নোটিশ দেখে তিনি জবাব দিতে সময় চেয়ে ই-মেইলে আবেদন করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সময় না দিয়ে ১২ অক্টোবর আরেকটি ই-মেইল দিয়ে বরখাস্ত আদেশ পাঠান।

এতে বলা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০তম সিন্ডিকেট সভায়। এ বিষয়টি আবার লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের ২৩তম সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয় বলে জানানো হয়।

স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা গত ১৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তে জানতে পারেন। এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘আমাদের স্যার কই, ম্যাম কই’ প্লেকার্ড প্রদর্শন করে দুই শিক্ষককে বহালের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দুই শিক্ষককে হঠাৎ বরখাস্ত করার সময়ে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য যুক্তরাষ্ট্র সফরে ছিলেন। ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়ে এ কাজটি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও বার্তায় উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত আইনসম্মত নয় বলে জানালে শিক্ষার্থীরা দুই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেরাতে আন্দোলন করছেন।

উজ্জ্বল মেহেদী/অমিয়/

ঢাবিতে ক্লাস শুরু ২২ সেপ্টেম্বর

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ পিএম
ঢাবিতে ক্লাস শুরু ২২ সেপ্টেম্বর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রথম বর্ষ ছাড়া বাকি সব বর্ষের ক্লাস এবং ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

সভায় ডিনস কমিটির সুপারিশের আলোকে ক্লাস শুরুর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়ন এবং দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে বিভাগ/ইনস্টিটিউট/অনুষদ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ইতোমধ্যে গৃহীত প্রস্তাবনাগুলো, যা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, সে ব্যাপারে সিন্ডিকেট সভাকে অবহিত করা হয়। সিন্ডিকেট সদস্যরা এতে পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।

আরিফ জাওয়াদ/সালমান/

নোবিপ্রবিতে কাওয়ালি সন্ধ্যা আজ

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
নোবিপ্রবিতে কাওয়ালি সন্ধ্যা আজ
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নোবিপ্রবিতে আয়োজন করা হয়েছে কাওয়ালি সন্ধ্যার। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) কাওয়ালি সন্ধ্যা ও শানে মোস্তফা (সা.) অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিবেশন করবে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ২৪-এর মঞ্চের শিল্পীরা।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ‘২৪-এর মঞ্চ’ এর উদ্যোগে নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই কাওয়ালি সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল ৫টায়।

অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। আগে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিলো না। এর আগে ঢাবিতে কাওয়ালির আয়োজন করা হলে সেখানে স্বৈরাচারের দোসররা বাধা প্রদান করে। আমাদের আজকের এই আয়োজন মূলত সেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, ‘কাওয়ালি মুসলিম কবিদের হাজার বছরের ইতিহাস বহন করে। এতো দিন ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কোনো ধরনের ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমরা দেখিনি। আজ ক্যাম্পাসে এমন সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত লাগছে। আমি চাই এ রকম সুস্থ সংস্কৃতি আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। আমি সবাইকে অনুষ্ঠানে আসার জন্য আহ্বান জানাই।’

২৪-এর মঞ্চের আহ্বায়ক ইশতিয়াক জামিল বলেন, ‘আমরা চাইব কাওয়ালি গানে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণে অংশগ্রহণ করে। আমরা একটা গুগল ফর্মের মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশন নিয়েছি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করার জন্য  গত কয়েক দিন ধরে শিল্পীরা অনেক রিহার্সাল করেছে। আশা করছি ভালো একটি অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাওয়ালী গানের বাইরে দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা হবে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরাই এই আয়োজন করছি।’

অনুষ্ঠান সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা আসনের ব্যবস্থা করা হবে এবং অনুষ্ঠানে ধর্মীয় ড্রেসকোডের বিষয়ে কোনো রকম বাধানিষেধ থাকবেনা বলে জানান আয়োজকরা।

কাউছার আহমেদ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ইবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মুইদ আর নেই

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ পিএম
ইবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মুইদ আর নেই
আব্দুল মুইদ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক আব্দুল মুইদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি ড. কাজী মোস্তফা আরীফ বলেন, ‘মুইদ স্যার বাড়িতেই মারা গেছেন। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসক বলেছেন, তার হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘তিনি আমাদের বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা আমাদের একজন অভিভাবককে হারালাম।’ 

অধ্যাপক মুইদ রাত ৮টার দিকে হার্ট অ্যাটাক করেন। পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সালমান/

চবিতে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আবারও আলটিমেটাম

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
চবিতে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আবারও আলটিমেটাম
ছবি : খবরের কাগজ

দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ করে পুরোদমে বিশ্ববিদ্যালয় সচল করতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বরসংলগ্ন জিরো পয়েন্টে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়। 

মানববন্ধনে ইসলামিক স্টাডিজ বিভগের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাসিবাদের দোসর ভিসিদের পদত্যাগে বাধ্য করেছি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ দিলেও দেশের অন্যতম স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ক্যাম্পাসে কোনো প্রশাসন না থাকায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে দিনেও নিরাপদ না, রাতেও নিরাপদ না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অভিভাবক পাচ্ছি না? আমরা কেন ভিসি পাচ্ছি না? লকডাউনে আমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই ফ্যাসিবাদ সরকারের জন্য আমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন না দিয়ে কি আমাদের বাকি জীবন নষ্ট করতে চান? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দিতে পারলে চবিতে কেন পারবেন না? আমরা আর রাস্তায় থাকতে চাই না, আমরা ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই।’

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ বলেন, ‘আজ আমাদের এখানে অবস্থান নেওয়ার কথা ছিল না। আপনারা সবাই জানেন গত দুই দিন আগে আমরা শহিদ মিনারে অবস্থান নিয়ে এক দফা দাবিতে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম, যা গতকাল শেষ হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদেরকে আবারও জিরো পয়েন্ট মানববন্ধন কর্মসূচি দিতে হয়েছে। আমাদের হাতে আর কোনো উপায় ছিল না। আমরা চাই ক্লাসরুমে ফিরে যেতে, আমরা চাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে, আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে। কারণ বেকারত্বের অভিশাপ আর কেউ নিতে পারছে না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী খেটে খাওয়া পরিবারের সন্তান। তারা জানে সংগ্রাম কী, প্রতিটি পরিবার তাদের মুখাপেক্ষী হয়ে আছে। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আশা রেখেছিলাম এবং এখনো আশাবাদী। যেহেতু আমরা তাকে ভরসা করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বানিয়েছি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের ভিসি নিয়োগ দেবেন।’ 

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে অন্তর্বর্তী সরকারকে উপাচার্য নিয়োগের জন্য দুই দিনের আলটিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা।

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে গত ১২ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহেরসহ দুই উপ-উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি ও আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্টরা পদত্যাগ করেন। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে স্বায়ত্তশাসিত এ বিশ্ববিদ্যালয়। 

মাহফুজ শুভ্র/জোবাইদা/অমিয়/

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গাছ কাটা বন্ধ রাখতে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
গাছ কাটা বন্ধ রাখতে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নামে নির্বিচারে গাছের ডালপালা কাটার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৯০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মোতাছিম বিল্লাহ রিফাত, লোকপ্রশাসন বিভাগের রুবেল চন্দ্র দাস, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মীর মো. ইকবাল হোসেন এই স্মারকলিপি জমা দেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় ও সৌন্দর্যে ঘেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সাল নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার অভিমুখের রাস্তাটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও তীব্র রোদ থেকে বাঁচার জন্য কৃষ্ণচূড়া, জারুল এবং সোনালুগাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, কিছুদিন পরপর বৈদ্যুতিক তারের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে গাছগুলোর ডালপালা কাটা হয়। এর ফলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ও ছায়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ব্যক্তি বঞ্চিত হচ্ছেন এবং প্রকৃতি ধ্বংসের মুখে ধাবিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ সেপ্টেম্বর আবারও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অজুহাত দেখিয়ে গাছের ডালপালা বেপরোয়াভাবে কাটা হয়।’

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা কিছুদিন পরপর গাছের ডালপালা না কেটে চূড়ান্ত সমাধান হিসেবে দুটি দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো উপযুক্ত জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে, বৈদ্যুতিক তারের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে গাছের ডালপালা কাটা বন্ধ করতে হবে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অনুরোধে গাছের ডালপালা কাটা বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। 

এ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘আমরা বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখব। নতুন উপাচার্য আসার পরই এই সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রয়োজনে তারগুলো মাটির নিচে দিয়ে নেব।’ চলমান কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা গাছ কাটার কর্মসূচি স্থগিত করে দিয়েছি।’

গত ৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের একটি গাছের ডালসহ ক্যাফেটেরিয়ার অপর পাশে থাকা কয়েকটি গাছের ডাল কেটে দেওয়া হয়েছিল।