শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ করেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর খবরের কাগজকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এরপর শনিবার রাতে প্রো-ভিসি কবির হোসেন, ট্রেজারার আমিনা পারভিন ও বিভিন্ন পদে থাকা আরও তিনজন পদত্যাগ করেছেন।
তারা হলেন, গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক এস এম সাইফুল ইসলাম, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ও মেডিকেল প্রশাসক অধ্যাপক আসিফ ইকবাল।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিকালে ভিসির পর প্রো-ভিসি, সন্ধ্যায় ট্রেজারার জনসংযোগ দপ্তরের মাধ্যমে তাদের পদত্যাগ জমা দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক, পরিবহন প্রশাসক এবং মেডিকেল প্রশাসক তাদের পদত্যাগ পত্র রেজিস্ট্রার দপ্তরে জমা দেন।
জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় থেকে তিনি আড়াল হন। এরপর থেকে পলাতক। পলাতক থাকা অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আলটিমেটাম দেওয়ার পরও তিনি নীরব ছিলেন। তার পদত্যাগে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ আন্দোলনে সক্রিয়রা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করছেন। বিদ্রূপ করে তাকে নানা উপাধিতে ভূষিত করছেন। ‘আমরা সাস্টিয়ান’ গ্রুপে তাকে ‘ভিসি’ না বলে ‘বিচি’ বলে অভিহিত করেছে।
গত ৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক টিম এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রভোস্ট বডি, শিক্ষক সমিতিসহ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সকল শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল। আল্টিমেটামের মধ্যেই গত ৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সকল হলের প্রভোস্ট বডি রেজিস্ট্রার দপ্তরে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন।
ইসফাক আলী/সাদিয়া নাহার/অমিয়/