কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের পক্ষে না থাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসনের অনেকেরই পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে ভিন্ন চিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হল প্রাধ্যক্ষের ক্ষেত্রে। সম্প্রতি সব হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের গুঞ্জন শোনা গেলেও মেয়াদকাল পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত প্রাধ্যক্ষ হিসেবে তাকেই বহাল চান হলের শিক্ষার্থীরা। গত শুক্রবার রাতে আমীর আলী হলের ফেসবুক গ্রুপে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি পোস্ট করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বডির মতো সব হলের প্রাধ্যক্ষরাও পদত্যাগ করবেন বলে আমরা ধারণা করছি। আগে আমরা পত্রিকায় দেখতাম, প্রতিটি হলের সিট বণ্টন থেকে শুরু করে খাবার সমস্যা, চাঁদাবাজি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ। আর এসব বিষয় সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসন সব সময় প্রায় নীরব ভূমিকা পালন করত। তবে আমাদের হলের বর্তমান প্রাধ্যক্ষ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এসব সমস্যার সম্মুখীন হইনি বলা চলে। তার সুদূরপ্রসারী ও ছাত্রবান্ধব পরিকল্পনা আমাদের হলে নতুন যুগের সূচনা করেছে।
তাই আমরা আমাদের হল প্রভোস্টের পদত্যাগ চাই না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, পূর্ণ মেয়াদে সৈয়দ আমীর আলী হলের বর্তমান প্রাধ্যক্ষ স্যারকে বহাল চাই। স্যারের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করছি এবং স্যারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি যেন তিনি পদত্যাগপত্র জমা না দিয়ে স্বপদে বহাল থাকেন।
এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তাবাসসুম মিনহাজ সনেট খবরের কাগজকে বলেন, ‘টুটুল স্যার শুরু থেকেই ছাত্রবান্ধব মানুষ। আমরা যেকোনো সমস্যা নিয়ে তার সঙ্গে মুক্তভাবে কথা বলতে পারি। এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনিই প্রথম হলে ক্যাটারিং ব্যবস্থা চালু করেন। যেটা আমাদের জন্য খুবই ভালো উদ্যোগ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন অন্যান্য হলে সিট-বাণিজ্য, আবাসন-সংকটের কথা শোনা যেত, তখনো প্রাধ্যক্ষ স্যারের নেতৃত্বের কারণে আমাদের হলে এ রকম কোনো সমস্যা হয়নি। তাই আমরা চাই মেয়াদকাল পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তিনি যেন দায়িত্বে বহাল থাকেন।’
এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ ড. এ কে এম মাহমুদুল হক টুটুল খবরের কাগজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাকে হলে চাচ্ছেন এটা আমার জন্য অনেক গৌরবের। শিক্ষার্থীরাও সব কাজে আমাকে সহযোগিতা করেছেন। তবে আমি হলের প্রাধ্যক্ষের পাশাপাশি একজন সিন্ডিকেট সদস্যও। আমাকে শিক্ষকদেরও প্রতিনিধিত্ব করতে হয়। তাই এই বিষয়টা নিয়ে আমিও ভাবছি।’