ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক শামস রহমান অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও গবেষণার কাজে জড়িত ছিলেন। শিক্ষাজীবনে অধ্যাপক রহমান কমনওয়েলথ স্কলারশিপের আওতায় যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার থেকে পিএইচডি ডিগ্রি এবং রেলারুশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ‘মাস্টার্স অব সায়েন্স ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়রিং’ এবং থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) থেকে ‘মাস্টার্স অব ইঞ্জিনিয়রিং ইন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়রিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ ডিগ্রি নেন। অধ্যাপক শামস রহমান ২০২১ এবং ২০২২ সালে পর পর দুবার বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ২ শতাংশ স্কলারের একজন হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। তিনি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদানের আগে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তার ২৫০টিরও বেশি গবেষণা নিবন্ধ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। কর্মমুখী শিক্ষায় এ দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা সম্পর্কে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছেন মাহমুদ কবীর
আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মমুখী কী কী প্রোগ্রাম চালু রয়েছে? অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব কর্মমুখী প্রোগ্রামের চাহিদা সম্পর্কে বলুন?
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লক্ষ্যই থাকে শিল্প-কারখানাগুলোর জন্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা। আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, শিক্ষার্থীরা যেন পাস করে বেকার বসে না থাকে। বিদেশে কাজের সুযোগ তৈরি করে শিক্ষার প্রচেষ্টা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য কারিকুলাম উন্নয়ন করা হয়েছে। শিক্ষিতের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাকরি পাওয়ার উপযোগী কর্মমুখী করে গড়ে তুলতে যেসব প্রোগ্রাম ও কারিকুলাম চালু করা দরকার ছিল, তা এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছিল না। কর্মক্ষেত্রে কী ধরনের শিক্ষার দরকার অতীতে সেটার প্রতি আমাদের নজর কম ছিল। তবে পশ্চিমা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগে থেকেই কারখানার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রোগ্রাম চালু করার দিকে ধাবিত হয়েছিল। যদিও আমাদের দেশে কিছু কিছু বিষয়ের ওপর কারিগরি প্রোগ্রাম চালু ছিল। কিন্তু এ দেশের সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায় যেমন- রসায়ন, গণিত বিষয়ে কোনো ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম চালু ছিল না। চাকরি পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের যা করার দরকার সেটার ওপর জোর দিচ্ছি। এ জন্য ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে।
শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল যেমন- সে কীভাবে কথা বলবে, তার যুক্তিটা কীভাবে উপস্থাপন করবে অর্থাৎ আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের কমিউনিকেটিভ স্কিলটা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা শিক্ষার্থীদের চাকরির ক্ষেত্রে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল, লিডারশিপ কোয়ালিটি শেখাতে চাই, যাতে তারা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার কাউন্সিল আছে যেখানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দেওয়া হয়। এখানে অ্যালামনাই বডি রয়েছে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে এসে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কী দরকার, কোন ধরনের কারিকুলাম হলে এ বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষার্থীদের কাজ পাওয়া সহজ হবে, সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এভাবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আমার স্ট্র্যাটেজি হলো- ইনসাইড আউট অ্যান্ড আউটসাইড ইন। এর মানে হলো- আমরা কী পড়াচ্ছি আর আউটসাইড সেটাকে কীভাবে দেখছে এবং আউটসাইড থেকে আমরা কী শিক্ষা নিতে পারি সেটা ইনসাইডে আমরা কীভাবে সমন্বয় করে এগিয়ে যেতে পারি। এটা একটা সার্কেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা কী পড়াচ্ছি এবং বাইরের ইন্ডাস্ট্রি কী চাচ্ছে সেটা দেখা এবং ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীর গ্যাপ কতটুকু আছে তা যাচাই করছি। সেই সঙ্গে গ্যাপটুকু কমিয়ে এনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হচ্ছে এবং আপডেট করা হচ্ছে। এই প্রসেসটাকে আমরা বলছি কন্টিনিউয়াস ইমপ্রুভমেন্ট সার্কেল; যা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানোন্নয়নে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন?
আমি পারসেপশনটাকে বদলাতে চাই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান কমছে না বরং বাড়ছে। ১০ বা ১৫ বছর আগের থেকে এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা বেড়েছে। বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যথেষ্ট জবাবদিহি রয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ধাপে ধাপে উন্নত হচ্ছে। অনেকে ভাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান গবেষণার র্যাংঙ্কিং দিয়ে বিচার করা হয়। তা কিন্তু নয়। গবেষণার দিক দিয়ে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংঙ্কিংয়ে এ দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করে নিয়েছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এখানকার শিক্ষকরা একটা কোর্সের অর্থাৎ ছয় সপ্তাহের কোর্সের ৬ থেকে ৮টি লেকচার অনলাইনে আপলোড করে ফেলে। যাতে শিক্ষার্থীরা তা দেখতে, পড়তে এবং প্রস্তুতি নিতে পারে। বাকি লেকচারগুলো মিডটার্মের পরে শিক্ষকরা আপলোড করে থাকেন। আমি মনে করি, এটা শিক্ষার মানোন্নয়নের একটা ধাপ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একটি প্রোগ্রামে ১৬ বা ১৭টি লেকচার থাকলে, এর মধ্যে একটি লেকচার ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের দিয়ে পড়ানোর ব্যবস্থা করেছি।
এর ফলে ওই ইন্ডাস্ট্রিতে কোন ধরনের দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি দরকার, সে সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানতে ও শিখতে পারে। প্রত্যেক কোর্সে একজন বিদেশি শিক্ষক অন্তত একটা লেকচার অনলাইনে দেবেন, এটা আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক করেছি। এর ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা মোটিভেটেট হবে এবং অনেককিছু শিখতে পারবে। আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিনস বা ফ্যাকাল্টি লেভেলে ইন্ডাস্ট্রি অ্যাডভাইজরি বোর্ড গঠন করব। এই বোর্ডে বিদেশি শিক্ষকরাও থাকবেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ফ্যাকাল্টিতে তিনটি আলাদা বোর্ড গঠন করব। এই বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বছরে চারবার বৈঠকে বসব। এর ফলে ইন্ডাস্ট্রিতে কী কী আপডেট হয়েছে তা আমরা জানতে পারব। এবং আমরা ধাপে ধাপে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।
আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি করার কোনো সুবিধা রয়েছে কি? না থাকলে পিএইচডি ডিগ্রি করানোর কোনো উদ্যোগ আছে কি?
বর্তমানে ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। আমরা জানি কোন বিশ্ববিদ্যালয় কোন অবস্থায় আছে। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমি তুলনা করতে চাই না, তার পরও বলব, আজকে যে গ্লোবাল র্যাংঙ্কিং সিস্টেম রয়েছে, সেটাকে আমরা যদি মানদণ্ড ধরি, তাহলে দেখতে পাই, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উত্তরোত্তর উন্নত হচ্ছে। তবে আমরা জানি গত ৩০ বছরে কোন কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সক্ষমতা অর্জন করেছে, আর কারা পারেনি।’ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসির নিয়ন্ত্রণ যত কম থাকবে, তত আমাদের জন্য ভালো। কেননা বিশ্ববিদ্যালয় একটা মুক্তচিন্তার জায়গা। সেহেতু নিয়ন্ত্রণ যত কম থাকবে, তত আমাদের জন্য সুবিধা হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার জন্য ইউজিসির গাইডলাইন থাকা অত্যন্ত জরুরি। ৩০ বছর হয়ে গেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হাঁটি হাঁটি পা পা করে একটা পর্যায়ে চলে এসেছে। যে যার মতো সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংঙ্কিংয়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট, ঢাবি, রাবি, জাবির সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থসাউথ, ইস্ট ওয়েস্ট, ড্যাফোডিল, ব্র্যাক স্থান করে নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বলা যায়, মানের দিক থেকে এ দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে নেই। গবেষণার র্যাংঙ্কিংয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি স্থান করে নিতে পারে তাহলে অবশ্যই তাদের পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করার সব সুযোগ দেওয়া উচিত। তবে এটা দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। ইউজিসি নির্ধারণ করবে কোন কোন রিসোর্সেস থাকলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করতে পারবে।
দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তিসহ কী কী সুবিধা রয়েছে?
দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত বৃত্তির সুবিধা রয়েছে। এসএসসি ও এইচএসসি রেজাল্টের ওপর বৃত্তি ও সেমিস্টারের রেজাল্টের ওপর বৃত্তি দেওয়া ছাড়াও কর্মচারীদের সন্তানরা যদি ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় তাহলে তাদের জন্যও বৃত্তির সুযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে এ দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, যারা শিক্ষার্থীদের জন্য জেলাভিত্তিক বৃত্তি চালু করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করব, যাতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিযোগিতা করতে পারে। সেই সঙ্গে তাদের রাষ্ট্র, ইতিহাস, রাষ্ট্র কীভাবে চলে সে সম্পর্কে জানানো ও শেখানো হবে। আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি আঞ্চলিক পর্যায়ের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে স্থান করে নিতে পারে, সেই চেষ্টা করে যাব।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু বলুন?
শিক্ষার্থীদের অনেক দক্ষতা আছে। তাদের দক্ষতাকে লালন করতে হবে। তারা যেন কোনোভাবেই নিজেদের কোনো অংশে ছোট না ভাবে। তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। তাদের চোখ ও কান খোলা রেখে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি কী চায়, সেভাবে নিজেদের উদ্যোগী হয়ে তৈরি হতে হবে বা গড়ে তুলতে হবে।
এক নজরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি
মহাখালীর ভাড়া করা একটি ভবনে মাত্র ২০ জন শিক্ষার্থী ও ছয়জন শিক্ষক নিয়ে ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু করে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ১০ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী, ৩০০ পূর্ণকালীন ও ১৫০ জন খণ্ডকালীন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষকদের মধ্যে ১২৫-এর অধিক পিএইচডি ডিগ্রিধারী। রাজধানীর আফতাবনগরের প্রধান ফটকের সামনে পরিবেশবান্ধব সিরামিক ইট দিয়ে তৈরি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নান্দনিক ক্যাম্পাস অবস্থিত। সম্প্রতি ক্যাম্পাসটিতে যোগ হয়েছে একটি শহিদ স্মৃতিসৌধ। এই সৌধটি বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের-কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। লাল রঙের এই স্থাপনাটি যেমন তরুণদের উদ্দিপ্ত করে তেমনি দেশের এবং দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের চেতনায় তাদের উদ্ভুদ্ধ করে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি অনুষদ এবং এসব অনুষদের অধীনে রয়েছে ১৪টি বিভাগ। এ ছাড়া রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় ২৫টি ক্লাব। শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ মোকাবিলার জন্য রয়েছে পেশাদার মনোবিজ্ঞানীদের নিয়ে গঠিত মানসিক সেবা কেন্দ্র। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যলয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র, ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং সেন্টার, কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল, মেডিকেল সেন্টার, অডিটোরিয়াম, ক্যান্টিন- সবই তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টিতে।
কলি