ঢাকা ২৯ ভাদ্র ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘শিক্ষার্থীদের দক্ষতাকে লালন করতে হবে’

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০২:২৫ পিএম
আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০২:৪১ পিএম
‘শিক্ষার্থীদের দক্ষতাকে লালন করতে হবে’
অধ্যাপক শামস রহমান, উপাচার্য,ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক শামস রহমান অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও গবেষণার কাজে জড়িত ছিলেন। শিক্ষাজীবনে অধ্যাপক রহমান কমনওয়েলথ স্কলারশিপের আওতায় যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার থেকে পিএইচডি ডিগ্রি এবং রেলারুশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ‘মাস্টার্স অব সায়েন্স ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়রিং’ এবং থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) থেকে ‘মাস্টার্স অব ইঞ্জিনিয়রিং ইন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়রিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ ডিগ্রি নেন। অধ্যাপক শামস রহমান ২০২১ এবং ২০২২ সালে পর পর দুবার বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ২ শতাংশ স্কলারের একজন হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। তিনি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদানের আগে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তার ২৫০টিরও বেশি গবেষণা নিবন্ধ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। কর্মমুখী শিক্ষায় এ দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা সম্পর্কে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছেন মাহমুদ কবীর

আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মমুখী কী কী প্রোগ্রাম চালু রয়েছে? অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব কর্মমুখী প্রোগ্রামের চাহিদা সম্পর্কে বলুন?
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লক্ষ্যই থাকে শিল্প-কারখানাগুলোর জন্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা। আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, শিক্ষার্থীরা যেন পাস করে বেকার বসে না থাকে। বিদেশে কাজের সুযোগ তৈরি করে শিক্ষার প্রচেষ্টা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য কারিকুলাম উন্নয়ন করা হয়েছে। শিক্ষিতের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাকরি পাওয়ার উপযোগী কর্মমুখী করে গড়ে তুলতে যেসব প্রোগ্রাম ও কারিকুলাম চালু করা দরকার ছিল, তা এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছিল না। কর্মক্ষেত্রে কী ধরনের শিক্ষার দরকার অতীতে সেটার প্রতি আমাদের নজর কম ছিল। তবে পশ্চিমা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগে থেকেই কারখানার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রোগ্রাম চালু করার দিকে ধাবিত হয়েছিল। যদিও আমাদের দেশে কিছু কিছু বিষয়ের ওপর কারিগরি প্রোগ্রাম চালু ছিল। কিন্তু এ দেশের সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায় যেমন- রসায়ন, গণিত বিষয়ে কোনো ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম চালু ছিল না। চাকরি পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের যা করার দরকার সেটার ওপর জোর দিচ্ছি। এ জন্য ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে।

শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল যেমন- সে কীভাবে কথা বলবে, তার যুক্তিটা কীভাবে উপস্থাপন করবে অর্থাৎ আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের কমিউনিকেটিভ স্কিলটা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা শিক্ষার্থীদের চাকরির ক্ষেত্রে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল, লিডারশিপ কোয়ালিটি শেখাতে চাই, যাতে তারা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার কাউন্সিল আছে যেখানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দেওয়া হয়। এখানে অ্যালামনাই বডি রয়েছে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে এসে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কী দরকার, কোন ধরনের কারিকুলাম হলে এ বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষার্থীদের কাজ পাওয়া সহজ হবে, সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এভাবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আমার স্ট্র্যাটেজি হলো- ইনসাইড আউট অ্যান্ড আউটসাইড ইন। এর মানে হলো- আমরা কী পড়াচ্ছি আর আউটসাইড সেটাকে কীভাবে দেখছে এবং আউটসাইড থেকে আমরা কী শিক্ষা নিতে পারি সেটা ইনসাইডে আমরা কীভাবে সমন্বয় করে এগিয়ে যেতে পারি। এটা একটা সার্কেল।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা কী পড়াচ্ছি এবং বাইরের ইন্ডাস্ট্রি কী চাচ্ছে সেটা দেখা এবং ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীর গ্যাপ কতটুকু আছে তা যাচাই করছি। সেই সঙ্গে গ্যাপটুকু কমিয়ে এনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হচ্ছে এবং আপডেট করা হচ্ছে। এই প্রসেসটাকে আমরা বলছি কন্টিনিউয়াস ইমপ্রুভমেন্ট সার্কেল; যা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানোন্নয়নে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন?
আমি পারসেপশনটাকে বদলাতে চাই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান কমছে না বরং বাড়ছে। ১০ বা ১৫ বছর আগের থেকে এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা বেড়েছে। বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যথেষ্ট জবাবদিহি রয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ধাপে ধাপে উন্নত হচ্ছে। অনেকে ভাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান গবেষণার র‌্যাংঙ্কিং দিয়ে বিচার করা হয়। তা কিন্তু নয়। গবেষণার দিক দিয়ে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংঙ্কিংয়ে এ দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করে নিয়েছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এখানকার শিক্ষকরা একটা কোর্সের অর্থাৎ ছয় সপ্তাহের কোর্সের ৬ থেকে ৮টি লেকচার অনলাইনে আপলোড করে ফেলে। যাতে শিক্ষার্থীরা তা দেখতে, পড়তে এবং প্রস্তুতি নিতে পারে। বাকি লেকচারগুলো মিডটার্মের পরে শিক্ষকরা আপলোড করে থাকেন। আমি মনে করি, এটা শিক্ষার মানোন্নয়নের একটা ধাপ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একটি প্রোগ্রামে ১৬ বা ১৭টি লেকচার থাকলে, এর মধ্যে একটি লেকচার ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের দিয়ে পড়ানোর ব্যবস্থা করেছি।

এর ফলে ওই ইন্ডাস্ট্রিতে কোন ধরনের দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি দরকার, সে সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানতে ও শিখতে পারে। প্রত্যেক কোর্সে একজন বিদেশি শিক্ষক অন্তত একটা লেকচার অনলাইনে দেবেন, এটা আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক করেছি। এর ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা মোটিভেটেট হবে এবং অনেককিছু শিখতে পারবে। আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিনস বা ফ্যাকাল্টি লেভেলে ইন্ডাস্ট্রি অ্যাডভাইজরি বোর্ড গঠন করব। এই বোর্ডে বিদেশি শিক্ষকরাও থাকবেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ফ্যাকাল্টিতে তিনটি আলাদা বোর্ড গঠন করব। এই বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বছরে চারবার বৈঠকে বসব। এর ফলে ইন্ডাস্ট্রিতে কী কী আপডেট হয়েছে তা আমরা জানতে পারব। এবং আমরা ধাপে ধাপে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।

আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি করার কোনো সুবিধা রয়েছে কি? না থাকলে পিএইচডি ডিগ্রি করানোর কোনো উদ্যোগ আছে কি?
বর্তমানে ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। আমরা জানি কোন বিশ্ববিদ্যালয় কোন অবস্থায় আছে। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে  আমি তুলনা করতে চাই না, তার পরও বলব, আজকে যে গ্লোবাল র‌্যাংঙ্কিং সিস্টেম রয়েছে, সেটাকে আমরা যদি মানদণ্ড ধরি, তাহলে দেখতে পাই, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উত্তরোত্তর উন্নত হচ্ছে। তবে আমরা জানি গত ৩০ বছরে কোন কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সক্ষমতা অর্জন করেছে, আর কারা পারেনি।’ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসির নিয়ন্ত্রণ যত কম থাকবে, তত আমাদের জন্য ভালো। কেননা বিশ্ববিদ্যালয় একটা মুক্তচিন্তার জায়গা। সেহেতু নিয়ন্ত্রণ যত কম থাকবে, তত আমাদের জন্য সুবিধা হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার জন্য ইউজিসির গাইডলাইন থাকা অত্যন্ত জরুরি। ৩০ বছর হয়ে গেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হাঁটি হাঁটি পা পা করে একটা পর্যায়ে চলে এসেছে। যে যার মতো সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংঙ্কিংয়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট, ঢাবি, রাবি, জাবির সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থসাউথ, ইস্ট ওয়েস্ট, ড্যাফোডিল, ব্র্যাক স্থান করে নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বলা যায়, মানের দিক থেকে এ দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে নেই। গবেষণার র‌্যাংঙ্কিংয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি স্থান করে নিতে পারে তাহলে অবশ্যই তাদের পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করার সব সুযোগ দেওয়া উচিত। তবে এটা দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। ইউজিসি নির্ধারণ করবে কোন কোন রিসোর্সেস থাকলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করতে পারবে।

দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তিসহ কী কী সুবিধা রয়েছে?
দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত বৃত্তির সুবিধা রয়েছে। এসএসসি ও এইচএসসি রেজাল্টের ওপর বৃত্তি ও সেমিস্টারের রেজাল্টের ওপর বৃত্তি দেওয়া ছাড়াও কর্মচারীদের সন্তানরা যদি ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় তাহলে তাদের জন্যও বৃত্তির সুযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে এ দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, যারা শিক্ষার্থীদের জন্য জেলাভিত্তিক বৃত্তি চালু করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করব, যাতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিযোগিতা করতে পারে। সেই সঙ্গে তাদের রাষ্ট্র, ইতিহাস, রাষ্ট্র কীভাবে চলে সে সম্পর্কে জানানো ও শেখানো হবে। আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি আঞ্চলিক পর্যায়ের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে স্থান করে নিতে পারে, সেই চেষ্টা করে যাব।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু বলুন?
শিক্ষার্থীদের অনেক দক্ষতা আছে। তাদের দক্ষতাকে লালন করতে হবে। তারা যেন কোনোভাবেই নিজেদের কোনো অংশে ছোট না ভাবে। তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। তাদের চোখ ও কান খোলা রেখে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি কী চায়, সেভাবে নিজেদের উদ্যোগী হয়ে তৈরি হতে হবে বা গড়ে তুলতে হবে।

এক নজরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি

মহাখালীর ভাড়া করা একটি ভবনে মাত্র ২০ জন শিক্ষার্থী ও ছয়জন শিক্ষক নিয়ে ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু করে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ১০ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী, ৩০০ পূর্ণকালীন ও ১৫০ জন খণ্ডকালীন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষকদের মধ্যে ১২৫-এর অধিক পিএইচডি ডিগ্রিধারী। রাজধানীর আফতাবনগরের প্রধান ফটকের সামনে পরিবেশবান্ধব সিরামিক ইট দিয়ে তৈরি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নান্দনিক ক্যাম্পাস অবস্থিত। সম্প্রতি ক্যাম্পাসটিতে যোগ হয়েছে একটি শহিদ স্মৃতিসৌধ। এই সৌধটি বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের-কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। লাল রঙের এই স্থাপনাটি যেমন তরুণদের উদ্দিপ্ত করে তেমনি দেশের এবং দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের চেতনায় তাদের উদ্ভুদ্ধ করে।  

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি অনুষদ এবং এসব অনুষদের অধীনে রয়েছে ১৪টি বিভাগ। এ ছাড়া রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় ২৫টি ক্লাব। শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ মোকাবিলার জন্য রয়েছে পেশাদার মনোবিজ্ঞানীদের নিয়ে গঠিত মানসিক সেবা কেন্দ্র। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যলয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র, ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং সেন্টার, কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল, মেডিকেল সেন্টার, অডিটোরিয়াম, ক্যান্টিন- সবই তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টিতে।

কলি

ঢাবিতে ক্লাস শুরু ২২ সেপ্টেম্বর

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ পিএম
ঢাবিতে ক্লাস শুরু ২২ সেপ্টেম্বর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রথম বর্ষ ছাড়া বাকি সব বর্ষের ক্লাস এবং ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

সভায় ডিনস কমিটির সুপারিশের আলোকে ক্লাস শুরুর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়ন এবং দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে বিভাগ/ইনস্টিটিউট/অনুষদ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ইতোমধ্যে গৃহীত প্রস্তাবনাগুলো, যা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, সে ব্যাপারে সিন্ডিকেট সভাকে অবহিত করা হয়। সিন্ডিকেট সদস্যরা এতে পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।

আরিফ জাওয়াদ/সালমান/

নোবিপ্রবিতে কাওয়ালি সন্ধ্যা আজ

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
নোবিপ্রবিতে কাওয়ালি সন্ধ্যা আজ
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নোবিপ্রবিতে আয়োজন করা হয়েছে কাওয়ালি সন্ধ্যার। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) কাওয়ালি সন্ধ্যা ও শানে মোস্তফা (সা.) অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিবেশন করবে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ২৪-এর মঞ্চের শিল্পীরা।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ‘২৪-এর মঞ্চ’ এর উদ্যোগে নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই কাওয়ালি সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল ৫টায়।

অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। আগে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিলো না। এর আগে ঢাবিতে কাওয়ালির আয়োজন করা হলে সেখানে স্বৈরাচারের দোসররা বাধা প্রদান করে। আমাদের আজকের এই আয়োজন মূলত সেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, ‘কাওয়ালি মুসলিম কবিদের হাজার বছরের ইতিহাস বহন করে। এতো দিন ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কোনো ধরনের ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমরা দেখিনি। আজ ক্যাম্পাসে এমন সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত লাগছে। আমি চাই এ রকম সুস্থ সংস্কৃতি আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। আমি সবাইকে অনুষ্ঠানে আসার জন্য আহ্বান জানাই।’

২৪-এর মঞ্চের আহ্বায়ক ইশতিয়াক জামিল বলেন, ‘আমরা চাইব কাওয়ালি গানে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণে অংশগ্রহণ করে। আমরা একটা গুগল ফর্মের মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশন নিয়েছি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করার জন্য  গত কয়েক দিন ধরে শিল্পীরা অনেক রিহার্সাল করেছে। আশা করছি ভালো একটি অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাওয়ালী গানের বাইরে দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা হবে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরাই এই আয়োজন করছি।’

অনুষ্ঠান সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা আসনের ব্যবস্থা করা হবে এবং অনুষ্ঠানে ধর্মীয় ড্রেসকোডের বিষয়ে কোনো রকম বাধানিষেধ থাকবেনা বলে জানান আয়োজকরা।

কাউছার আহমেদ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ইবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মুইদ আর নেই

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ পিএম
ইবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মুইদ আর নেই
আব্দুল মুইদ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক আব্দুল মুইদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি ড. কাজী মোস্তফা আরীফ বলেন, ‘মুইদ স্যার বাড়িতেই মারা গেছেন। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসক বলেছেন, তার হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘তিনি আমাদের বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা আমাদের একজন অভিভাবককে হারালাম।’ 

অধ্যাপক মুইদ রাত ৮টার দিকে হার্ট অ্যাটাক করেন। পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সালমান/

চবিতে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আবারও আলটিমেটাম

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
চবিতে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আবারও আলটিমেটাম
ছবি : খবরের কাগজ

দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ করে পুরোদমে বিশ্ববিদ্যালয় সচল করতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বরসংলগ্ন জিরো পয়েন্টে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়। 

মানববন্ধনে ইসলামিক স্টাডিজ বিভগের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাসিবাদের দোসর ভিসিদের পদত্যাগে বাধ্য করেছি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ দিলেও দেশের অন্যতম স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ক্যাম্পাসে কোনো প্রশাসন না থাকায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে দিনেও নিরাপদ না, রাতেও নিরাপদ না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অভিভাবক পাচ্ছি না? আমরা কেন ভিসি পাচ্ছি না? লকডাউনে আমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই ফ্যাসিবাদ সরকারের জন্য আমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন না দিয়ে কি আমাদের বাকি জীবন নষ্ট করতে চান? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দিতে পারলে চবিতে কেন পারবেন না? আমরা আর রাস্তায় থাকতে চাই না, আমরা ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই।’

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ বলেন, ‘আজ আমাদের এখানে অবস্থান নেওয়ার কথা ছিল না। আপনারা সবাই জানেন গত দুই দিন আগে আমরা শহিদ মিনারে অবস্থান নিয়ে এক দফা দাবিতে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম, যা গতকাল শেষ হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদেরকে আবারও জিরো পয়েন্ট মানববন্ধন কর্মসূচি দিতে হয়েছে। আমাদের হাতে আর কোনো উপায় ছিল না। আমরা চাই ক্লাসরুমে ফিরে যেতে, আমরা চাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে, আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে। কারণ বেকারত্বের অভিশাপ আর কেউ নিতে পারছে না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী খেটে খাওয়া পরিবারের সন্তান। তারা জানে সংগ্রাম কী, প্রতিটি পরিবার তাদের মুখাপেক্ষী হয়ে আছে। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আশা রেখেছিলাম এবং এখনো আশাবাদী। যেহেতু আমরা তাকে ভরসা করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বানিয়েছি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের ভিসি নিয়োগ দেবেন।’ 

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে অন্তর্বর্তী সরকারকে উপাচার্য নিয়োগের জন্য দুই দিনের আলটিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা।

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে গত ১২ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহেরসহ দুই উপ-উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি ও আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্টরা পদত্যাগ করেন। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে স্বায়ত্তশাসিত এ বিশ্ববিদ্যালয়। 

মাহফুজ শুভ্র/জোবাইদা/অমিয়/

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গাছ কাটা বন্ধ রাখতে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
গাছ কাটা বন্ধ রাখতে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নামে নির্বিচারে গাছের ডালপালা কাটার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৯০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মোতাছিম বিল্লাহ রিফাত, লোকপ্রশাসন বিভাগের রুবেল চন্দ্র দাস, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মীর মো. ইকবাল হোসেন এই স্মারকলিপি জমা দেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় ও সৌন্দর্যে ঘেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সাল নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার অভিমুখের রাস্তাটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও তীব্র রোদ থেকে বাঁচার জন্য কৃষ্ণচূড়া, জারুল এবং সোনালুগাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, কিছুদিন পরপর বৈদ্যুতিক তারের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে গাছগুলোর ডালপালা কাটা হয়। এর ফলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ও ছায়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ব্যক্তি বঞ্চিত হচ্ছেন এবং প্রকৃতি ধ্বংসের মুখে ধাবিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ সেপ্টেম্বর আবারও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অজুহাত দেখিয়ে গাছের ডালপালা বেপরোয়াভাবে কাটা হয়।’

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা কিছুদিন পরপর গাছের ডালপালা না কেটে চূড়ান্ত সমাধান হিসেবে দুটি দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো উপযুক্ত জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে, বৈদ্যুতিক তারের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে গাছের ডালপালা কাটা বন্ধ করতে হবে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অনুরোধে গাছের ডালপালা কাটা বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। 

এ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘আমরা বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখব। নতুন উপাচার্য আসার পরই এই সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রয়োজনে তারগুলো মাটির নিচে দিয়ে নেব।’ চলমান কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা গাছ কাটার কর্মসূচি স্থগিত করে দিয়েছি।’

গত ৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের একটি গাছের ডালসহ ক্যাফেটেরিয়ার অপর পাশে থাকা কয়েকটি গাছের ডাল কেটে দেওয়া হয়েছিল।