ঢাকা ২৯ ভাদ্র ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আমরা চাই মাদকমুক্ত লাল-সবুজের বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
আমরা চাই মাদকমুক্ত লাল-সবুজের বাংলাদেশ

রোহান বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বলতে গেলে চোখের মণি। সবে এসএসসি শেষ করে ঢাকার একটি নামকরা কলেজে ভর্তি হয়েছে। পড়াশোনায় ভালো। একমাত্র সন্তান হওয়ায় বাবা-মা তার কোনো কিছুর কমতি রাখেনি। কলেজে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে একটা বড় বন্ধু সার্কেলও গড়ে উঠেছে। সবার মধ্যে গলায় গলায় ভাব।

একদিন তার কাছের এক বন্ধু আড্ডার ফাঁকে তাকে একটা সিগারেট ধরিয়ে দিয়ে বলল দুটান দিতে। বড্ড জোরাজুরি করায় বন্ধুর অনুরোধ রাখতে গিয়ে রোহান সেই যে দুটান দিল, অমনি নেশাটা তার হাতের দুই আঙুলের ফাঁকে নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়াল। পাশাপাশি আরও বিভিন্ন রকম নেশা নেওয়া শুরু করেছে রোহান। নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য গ্রহণের ফলে এখন তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। পাশাপাশি তার পড়াশোনাও অবনতির দিকে।

ওপরের ঘটনাটি নিছক গল্প হলেও এটা এখন বর্তমান টিনএজারদের মধ্যে অহরহ ঘটছে। স্কুলের গণ্ডি ডিঙিয়ে সদ্য কৈশোর পেরিয়ে এখন অনেকে পা রেখেছে কলেজে। নতুন আঙিনায় নতুন মানুষের সান্নিধ্যে এটাই এখন তাদের এগিয়ে যাওয়ার সময়। কিন্তু এই সময়ে তাদের মনে উঁকি দেবে নানান কিছু। বাসা বাঁধবে হরেক রকম জল্পনাকল্পনা। এই জল্পনাকল্পনার মধ্যে অন্যতম হলো মাদকজাত দ্রব্যের প্রতি তীব্র আকর্ষণ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নেশার জগতে পা রাখার প্রথম সিঁড়ি হলো ধূমপান। এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাদকাসক্তদের মধ্যে ৯৮ ভাগই ধূমপায়ী। বলতে গেলে ধূমপান থেকেই মাদকের হাতেখড়ি। মাদকাসক্তি বলতে মানুষের তন্দ্রাচ্ছন্নতা, মেজাজ পরিবর্তন, মানসিক পরিবর্তন সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ধরনের মাদক, যেমন- ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিলের প্রতি আসক্ত হওয়াকে বোঝায়। যা সেবনের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক নিওরোট্রান্সমিটার বৃদ্ধি পায়। ফলে ব্যক্তিটি পুনরায় গ্রহণ করতে উৎসাহিত হয় এবং আস্তে আস্তে তা বদঅভ্যাসে পরিণত হয়। তবে সবচেয়ে অনুতাপের বিষয়- এই জঘন্য আসক্তিটি তখনি জন্মে যখন মাদক নামক বস্তুগুলোর সহজলভ্যতা থাকে কিংবা আশপাশে কেউ সেবন করে।

বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায়, বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা নানানভাবে মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে উন্নত দেশগুলো এই মাদক নামক যন্ত্রণা থেকে কিছুটা হলেও নিস্তার পেয়েছে। কারণ মাদক নিয়ে তাদের কঠোর নীতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচারণা জনগণকে মাদক থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি মাদক নির্মূলে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কিন্তু উন্নয়নশীল কিংবা অনুন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে বোঝা যায়, মাদকের চিত্র কতটা ভয়াবহ। রন্ধ্রে রন্ধ্রে মাদক ঢুকে শেষ করে দিচ্ছে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।

মাদকের প্রতি কঠোর হয়ে কিছু দেশ পরিত্রাণ পেয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের কথা। ভয়াবহভাবে মাদক বিস্তার করেছিল এসব দেশে। মাদক থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় না পেয়ে মাদকসেবনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকর করলে নিমিষেই মাদকের প্রভাব কমে আসে। ফলে বর্তমানে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া সুন্দর দেশে পরিণত হয়েছে।

বিভিন্ন সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে ৭০ লাখের ও বেশি মানুষ মাদকাসক্ত। যেখানে আবার অর্ধেকেরও বেশি ইয়াবায় আসক্ত। ইয়াবা এখন দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংসের দোরগোড়ায় নিয়ে গেছে। ইয়াবা মূলত তৈরি করে মিয়ানমারের ওয়া এবং কোকাং সম্প্রদায়ের লোকেরা। বাংলাদেশের পূর্বে রয়েছে গোল্ডেন ট্রায়েঙ্গেল। যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি হেরোইন উৎপাদন করা হয়। আর পশ্চিমে রয়েছে গোল্ডেন ক্রিসেন্ট। মূলত এই অঞ্চলগুলো বাংলাদেশে মাদকের বিস্তার লাভ করতে সাহায্য করেছে। ধ্বংস করছে দেশের সোনালি প্রজন্মকে।

বাংলাদেশকে ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায়ীরা সে মাদকগুলো যেমন সারা বিশ্বে পাচার করছে। ঠিক তেমনি এই দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রেও ছড়িয়ে দিচ্ছে। মাদককে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের গ্যাং বা গোষ্ঠী। আবার যেখানে এসব গ্যাং বা গোষ্ঠীর বেশির ভাগ সদস্য হলো কিশোর। এসব কিশোরকে কিছু মানুষ নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য ব্যবহার করছে প্রতিনিয়ত। তবে আশার বিষয়, আমাদের দেশে ২০১৪ সালের মাদক সংশোধিত আইনটি সারা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে প্রগতিশীল আইন। এটা আগামীর তরুণ প্রজন্মকে অন্ধকারে আশার আলো দেখাচ্ছে। দেশে মাদকের বিরুদ্ধে চলমান কর্মসূচিগুলো কিছুটা হলেও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন লোকদের মনে ভীতি তৈরি করতে পেরেছে।

আমাদের দেশে সরকারি-বেসরকারি অনেক মাদক নির্মূলকারী প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। তবে বর্তমান প্রজন্মকে মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে সচেতনতা তৈরি করতে পারলে মাদকের ব্যবহার অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভে একটি জরিপ চালায়। সে জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে ধূমপায়ী এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। যা নিঃসন্দেহে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-এসডিজি অর্জন এবং সুস্থ জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি মাদকের ভয়াবহতা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণে কিশোর-কিশোরীদের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করে তাদের মাধ্যমে প্রচারাভিযান চালাতে হবে। যার ফলে আমরা পাব একটি সুশৃঙ্খল সুন্দর মাদকমুক্ত লাল-সবুজের বাংলাদেশ।

 কলি

ঢাবিতে ক্লাস শুরু ২২ সেপ্টেম্বর

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ পিএম
ঢাবিতে ক্লাস শুরু ২২ সেপ্টেম্বর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রথম বর্ষ ছাড়া বাকি সব বর্ষের ক্লাস এবং ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

সভায় ডিনস কমিটির সুপারিশের আলোকে ক্লাস শুরুর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়ন এবং দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে বিভাগ/ইনস্টিটিউট/অনুষদ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ইতোমধ্যে গৃহীত প্রস্তাবনাগুলো, যা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, সে ব্যাপারে সিন্ডিকেট সভাকে অবহিত করা হয়। সিন্ডিকেট সদস্যরা এতে পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।

আরিফ জাওয়াদ/সালমান/

নোবিপ্রবিতে কাওয়ালি সন্ধ্যা আজ

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
নোবিপ্রবিতে কাওয়ালি সন্ধ্যা আজ
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নোবিপ্রবিতে আয়োজন করা হয়েছে কাওয়ালি সন্ধ্যার। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) কাওয়ালি সন্ধ্যা ও শানে মোস্তফা (সা.) অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিবেশন করবে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ২৪-এর মঞ্চের শিল্পীরা।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ‘২৪-এর মঞ্চ’ এর উদ্যোগে নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই কাওয়ালি সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল ৫টায়।

অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। আগে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিলো না। এর আগে ঢাবিতে কাওয়ালির আয়োজন করা হলে সেখানে স্বৈরাচারের দোসররা বাধা প্রদান করে। আমাদের আজকের এই আয়োজন মূলত সেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, ‘কাওয়ালি মুসলিম কবিদের হাজার বছরের ইতিহাস বহন করে। এতো দিন ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কোনো ধরনের ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমরা দেখিনি। আজ ক্যাম্পাসে এমন সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত লাগছে। আমি চাই এ রকম সুস্থ সংস্কৃতি আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। আমি সবাইকে অনুষ্ঠানে আসার জন্য আহ্বান জানাই।’

২৪-এর মঞ্চের আহ্বায়ক ইশতিয়াক জামিল বলেন, ‘আমরা চাইব কাওয়ালি গানে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণে অংশগ্রহণ করে। আমরা একটা গুগল ফর্মের মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশন নিয়েছি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করার জন্য  গত কয়েক দিন ধরে শিল্পীরা অনেক রিহার্সাল করেছে। আশা করছি ভালো একটি অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাওয়ালী গানের বাইরে দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা হবে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরাই এই আয়োজন করছি।’

অনুষ্ঠান সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা আসনের ব্যবস্থা করা হবে এবং অনুষ্ঠানে ধর্মীয় ড্রেসকোডের বিষয়ে কোনো রকম বাধানিষেধ থাকবেনা বলে জানান আয়োজকরা।

কাউছার আহমেদ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ইবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মুইদ আর নেই

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ পিএম
ইবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মুইদ আর নেই
আব্দুল মুইদ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক আব্দুল মুইদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি ড. কাজী মোস্তফা আরীফ বলেন, ‘মুইদ স্যার বাড়িতেই মারা গেছেন। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসক বলেছেন, তার হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘তিনি আমাদের বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা আমাদের একজন অভিভাবককে হারালাম।’ 

অধ্যাপক মুইদ রাত ৮টার দিকে হার্ট অ্যাটাক করেন। পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সালমান/

চবিতে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আবারও আলটিমেটাম

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
চবিতে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আবারও আলটিমেটাম
ছবি : খবরের কাগজ

দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ করে পুরোদমে বিশ্ববিদ্যালয় সচল করতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বরসংলগ্ন জিরো পয়েন্টে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়। 

মানববন্ধনে ইসলামিক স্টাডিজ বিভগের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাসিবাদের দোসর ভিসিদের পদত্যাগে বাধ্য করেছি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ দিলেও দেশের অন্যতম স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ক্যাম্পাসে কোনো প্রশাসন না থাকায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে দিনেও নিরাপদ না, রাতেও নিরাপদ না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অভিভাবক পাচ্ছি না? আমরা কেন ভিসি পাচ্ছি না? লকডাউনে আমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই ফ্যাসিবাদ সরকারের জন্য আমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন না দিয়ে কি আমাদের বাকি জীবন নষ্ট করতে চান? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দিতে পারলে চবিতে কেন পারবেন না? আমরা আর রাস্তায় থাকতে চাই না, আমরা ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই।’

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ বলেন, ‘আজ আমাদের এখানে অবস্থান নেওয়ার কথা ছিল না। আপনারা সবাই জানেন গত দুই দিন আগে আমরা শহিদ মিনারে অবস্থান নিয়ে এক দফা দাবিতে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম, যা গতকাল শেষ হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদেরকে আবারও জিরো পয়েন্ট মানববন্ধন কর্মসূচি দিতে হয়েছে। আমাদের হাতে আর কোনো উপায় ছিল না। আমরা চাই ক্লাসরুমে ফিরে যেতে, আমরা চাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে, আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে। কারণ বেকারত্বের অভিশাপ আর কেউ নিতে পারছে না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী খেটে খাওয়া পরিবারের সন্তান। তারা জানে সংগ্রাম কী, প্রতিটি পরিবার তাদের মুখাপেক্ষী হয়ে আছে। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আশা রেখেছিলাম এবং এখনো আশাবাদী। যেহেতু আমরা তাকে ভরসা করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বানিয়েছি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের ভিসি নিয়োগ দেবেন।’ 

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে অন্তর্বর্তী সরকারকে উপাচার্য নিয়োগের জন্য দুই দিনের আলটিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা।

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে গত ১২ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহেরসহ দুই উপ-উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি ও আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্টরা পদত্যাগ করেন। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে স্বায়ত্তশাসিত এ বিশ্ববিদ্যালয়। 

মাহফুজ শুভ্র/জোবাইদা/অমিয়/

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গাছ কাটা বন্ধ রাখতে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
গাছ কাটা বন্ধ রাখতে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নামে নির্বিচারে গাছের ডালপালা কাটার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৯০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মোতাছিম বিল্লাহ রিফাত, লোকপ্রশাসন বিভাগের রুবেল চন্দ্র দাস, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মীর মো. ইকবাল হোসেন এই স্মারকলিপি জমা দেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় ও সৌন্দর্যে ঘেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সাল নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার অভিমুখের রাস্তাটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও তীব্র রোদ থেকে বাঁচার জন্য কৃষ্ণচূড়া, জারুল এবং সোনালুগাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, কিছুদিন পরপর বৈদ্যুতিক তারের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে গাছগুলোর ডালপালা কাটা হয়। এর ফলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ও ছায়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ব্যক্তি বঞ্চিত হচ্ছেন এবং প্রকৃতি ধ্বংসের মুখে ধাবিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ সেপ্টেম্বর আবারও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অজুহাত দেখিয়ে গাছের ডালপালা বেপরোয়াভাবে কাটা হয়।’

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা কিছুদিন পরপর গাছের ডালপালা না কেটে চূড়ান্ত সমাধান হিসেবে দুটি দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো উপযুক্ত জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে, বৈদ্যুতিক তারের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে গাছের ডালপালা কাটা বন্ধ করতে হবে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অনুরোধে গাছের ডালপালা কাটা বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। 

এ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘আমরা বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখব। নতুন উপাচার্য আসার পরই এই সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রয়োজনে তারগুলো মাটির নিচে দিয়ে নেব।’ চলমান কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা গাছ কাটার কর্মসূচি স্থগিত করে দিয়েছি।’

গত ৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের একটি গাছের ডালসহ ক্যাফেটেরিয়ার অপর পাশে থাকা কয়েকটি গাছের ডাল কেটে দেওয়া হয়েছিল।