ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

‘প্রশাসনহীন’ অবস্থায় স্থবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫৫ এএম
আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫৬ এএম
‘প্রশাসনহীন’ অবস্থায় স্থবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি : খবরের কাগজ

দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার নির্দেশনা থাকলেও প্রশাসন না থাকায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু করতে পারছে না চবি প্রশাসন। স্বায়ত্তশাসিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ক্লাস-পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় স্থবিরতা বিরাজ করছে। 

এদিকে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

তথ্যমতে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে জুনের ১৬ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত আট দিন ছুটি ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর ওই মাসের ২৪ তারিখ সশরীরে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রত্যয় পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি, বর্ষাকালীন ছুটি এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধসহ সবকিছু অচল হয়ে যায়।

সবশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে গত ১০, ১২ ও ১৩ আগস্ট একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি এবং সব আবাসিক হলের প্রভোস্টরা পদত্যাগ করায় প্রশাসনের সব পদ খালি হয়ে যায়। ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রবিবার সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালু হওয়ার কথা থাকলে বর্তমানে প্রশাসনহীন অবস্থায় চবির একাডেমিক কার্যক্রম সচল করা যায়নি।

এদিকে উপাচার্য নিয়োগ ছাড়া কোনো কাজই যথার্থভাবে করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী একাডেমিক কার্যক্রম সচল করার জন্য সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। আবার সিন্ডিকেট সভা ডাকার অধিকার কেবল উপাচার্যেরই রয়েছে। এমতাবস্থায় উপাচার্য নিয়োগ একমাত্র সমাধান। এর আগে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা যাবে না। এ ছাড়া প্রশাসনিক পদগুলো খালি থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫২তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় আবাসিক হলগুলোর সিট বরাদ্দ কার্যক্রম এবং ১৯ আগস্ট থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত থাকলেও অনিবার্য কারণে সে সিদ্ধান্ত স্থগিত রয়েছে। এ ছাড়া সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আবাসিক হলগুলো নতুনভাবে আসন বরাদ্দ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে না থাকার নির্দেশনা দিয়ে গত ১৮ জুলাই হলগুলো সিলগালা করে বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে ছাত্রলীগ সিলগালা ভেঙে হলে অবস্থান করলেও আওয়ামী সরকারের পতনের পরে হল ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। এ পরিস্থিতিতে হল কবে খুলে দেওয়া হবে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।

অন্যদিকে ক্লাস-পরীক্ষা কার্যক্রম দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে বন্ধ থাকায় সেশনজটের আশঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকা, আবাসিক হলগুলো না খুলে দেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় কবে নাগাদ সচল হবে তারও অনিশ্চয়তায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

ইতোমধ্যে গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে অনেকে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আবাসিক হলে না উঠতে পেরে পড়েছেন ভোগান্তিতে। অনেকে আবার ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য অগ্রিম টিকিট কেটেও দোটানায় রয়েছেন। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সব খালি আসনে প্রশাসন নিয়োগ দিয়ে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালুর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, অন্তত আসন বরাদ্দ দিয়ে যেন হলগুলো খুলে দেওয়া হয়।

দ্রুত সময়ে প্রশাসন গঠন ও সার্বিক পরিস্থিতি সচল করার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, আমরা উপাচার্য নিয়োগের পরে তার সঙ্গে আলোচনায় বসে পরবর্তীতে ক্যাম্পাসকে সুশৃঙ্খল, ছাত্রবান্ধব করা যায় সেদিকে এগোব। উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে আজকেও উপদেষ্টা আসিফ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বিষয়টা খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন শিক্ষার্থী-গবেষণাবান্ধব যোগ্য একজন উপাচার্য নিয়োগ করা যায় সে ব্যাপারে তারা সচেতনভাবে আগাচ্ছেন। ইতোমধ্যে উপাচার্যের জন্য শিক্ষকদের অনেক নামের তালিকা তাদের কাছে পৌঁছেছে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে উপাচার্য আসবেন।

মাহফুজ শুভ্র/জোবাইদা/অমিয়/

সত্যানুসন্ধান কমিটির ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়: ঢাবি প্রশাসন

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৮ পিএম
সত্যানুসন্ধান কমিটির ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়: ঢাবি প্রশাসন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে। এ ছাড়া, সত্যানুসন্ধান কমিটি যে ১২৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে, সেটি এখনো পূর্ণাঙ্গ নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ)  বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৫ জুলাই ২০২৪ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৭ মার্চ ২০২৫ সিন্ডিকেট সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, এই কমিটি সত্যানুসন্ধান কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত ১২৮ জনের বিষয়টি আমলে নিয়ে ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সহিংস ঘটনায় জড়িতদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেবে। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে খুব শিগগিরই তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করবে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সত্যানুসন্ধান কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়। এ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের তালিকায় শীর্ষস্থানীয় একাধিক ছাত্রলীগ নেতার নাম বাদ পড়ার প্রতিবাদে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় সরাসরি জড়িত অনেকের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। হামলার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কোন মহলের ইশারায় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চান তারা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ এবং তথ্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক কাজী মাহফুজুল হল সুপন ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শোনেন এবং তা মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।

কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নাইমুর রহমান সীমান্ত। ছবি: সংগৃহীত

কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেধাবী শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান সীমান্ত। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোর ৫ টায় ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজিতে মারা যান তিনি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। 

এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুমাইয়া ফারাহ খান বলেন, ‘আজ ভোর ৫ টায় সীমান্ত শ্যামলীতে কিডনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। আমরা যতটুকু জেনেছি গত দুই দিন আগে পেটে ব্যাথা নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হয়। গতকাল ওর একটা সাজার্রি হওয়ার কথা ছিল। ওর বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছে। মা এবং বোন আছে। বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ওদের পরিবার ঢাকাতেই থাকে। তবে ওকে দাফনের জন্য কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

সীমান্তের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তার শিক্ষক ও সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মুজাহিদ বিল্লাহ/মাহফুজ

জবি শিক্ষার্থীদের কুরআন উপহার দিচ্ছে শিবির

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
জবি শিক্ষার্থীদের কুরআন উপহার দিচ্ছে শিবির
রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে জবি ছাত্রশিবিরের কাছ থেকে কুরআন গ্রহণ করছেন শিক্ষার্থীরা । ছবি: খবরের কাগজ

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২হাজার ৫০০টি কুরআন বিতরণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কুরআন বিতরণ শুরু হয়েছে। আগামী চারদিন এই কর্মসূচি চলবে। প্রতিদিন ৫০০টি করে মোট ২৫০০টি কুরআন বিতরণ করবে সংগঠনটি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ও আত্মিক মানোন্নয়ন আমাদের কাজের মূল লক্ষ্য। শিক্ষার্থীরা যেন নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ হতে পারে- এই উদ্দেশে রমজানে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২ হাজার ৫০০টি কুরআন উপহার দেওয়ার কর্মসূচি পালন করছি।’

কর্মসূচির অধীনে প্রতিদিন ৫০০টি কুরআন শিক্ষার্থীদের উপহার দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) শাখা ছাত্রশিবিরের ফেসবুক পেজ থেকে কুরআন বিতরণ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। পোস্টটিতে বলা হয়, ‘উপহারের মজুদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে।’ 

কুরআন সংগ্রহ করতে পোস্টে দেওয়া লিংকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর জন্য এই কর্মসূচি উন্মুক্ত বলেও জানায় জবি ছাত্রশিবির।

মুজাহিদ/নাইমুর/

জাবির ২৮৯ শিক্ষার্থী ও ৯ শিক্ষক বহিষ্কার

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:০৪ পিএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
জাবির ২৮৯ শিক্ষার্থী ও ৯ শিক্ষক বহিষ্কার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সমর্থন, হামলা এবং ইন্ধনের অভিযোগে ২৮৯ শিক্ষার্থী ও ৯ শিক্ষককে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে এ ঘটনার অধিকতর তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভাটি বেলা ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে শুরু হয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা চলে।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের তিনটি ক্যাটাগরিতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাময়িক বরখাস্ত, পরীক্ষা শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের ফলাফল স্থগিত এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের সনদ স্থগিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া, সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আবু হাসানের পেনশন স্থগিত করা হয়েছে।
সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, শেখ হাসিনা হল ও শেখ রাসেল হলের নাম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব হলের নতুন নাম নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ ছাড়া হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি মেম্বার, হল প্রভোস্ট ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একটি স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আমান/তাওফিক/ 

চুয়েটের ১৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
চুয়েটের ১৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ১৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে সাত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম এবং আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর বাইরে কেবল আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে আরও ১২ শিক্ষার্থীকে। বহিষ্কৃত সবাই ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক নেতা বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির ২৮১তম সভায় (জরুরি) এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সোমবার (১৭ মার্চ) শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ২১টি বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ, অভিযুক্তদের পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে সভায় শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় সাত শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের চারজনকে দুই বছর এবং বাকি তিনজনকে এক বছরের জন্য শিক্ষাক্রম থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সাবেক সহসভাপতি মো. ইমাম হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান। অন্যদিকে এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌমিক জয়, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম ও তাহসিন ইশতিয়াক।

এ ছাড়া আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, মো. সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আবদুল্লাহ, মো. তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ ও শাকিল ফরাজী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান, মো. রিফাত হোসাইন, মইনুল হক এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল করিম ও আবদুর রহমান।

এসব শিক্ষার্থীর বাইরে আরও দুজনকে কেবল সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা হলেন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি চিন্ময় কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব উদ্দিন চৌধুরী।

ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী এবং ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শাতে বলা হয়। তাদের জবাব এবং অভিযোগের বিপরীতে পাওয়া তথ্য-প্রমাণের আলোকে শৃঙ্খলা কমিটি এসব শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’