ঢাকা ২০ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

এবার ইবির ৬ হল প্রভোস্টের পদত্যাগ

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫৯ এএম
এবার ইবির ৬ হল প্রভোস্টের পদত্যাগ
পদত্যাগ করা ৬ হল প্রভোস্ট। ছবি: সংগৃহীত

প্রশাসনের শীর্ষ ৫ জনের পর এবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৬টি আবাসিক হলের প্রভোস্ট। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

পদত্যাগকারীরা হলেন, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শিপন মিয়া, শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম, শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল এবং খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, ‘প্রভোস্ট কাউন্সিলের সর্বশেষ মিটিংয়ে আমরা একসঙ্গে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম। রবিবার প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি আসাদুজ্জামান সেগুলো জমা করেছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও সাদ্দাম হোসেন হলের সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘লালন শাহ হল আর জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট ছাড়া অন্যরা সবাই পদত্যাগ করেছেন শুনেছি। প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমি নিজেও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘৬টি হল প্রভোস্টের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। তাদের প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।’

অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ এএম
অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা আগামী সপ্তাহের মধ্যে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচি ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

এ সময় ঢাবি শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের মধ্যে সাত কলেজর অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে কোনো দৃশ্যমান সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা না নেওয়া হয় তবে পরবর্তী সময়ে বৃহৎ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে। সেটি ২০১৯ সালের মতোও হতে পারে বা তার চেয়ে বেশিও হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে টানা পাঁচ থেকে ছয় দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দিয়েছিলাম।’

আরিফ জাওয়াদ/সুমন/অমিয়/

বেরোবিতে আরও ৬ যুগল আটক

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ এএম
বেরোবিতে আরও ৬ যুগল আটক
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগেছয় যুগলকে আটক করা হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) প্রক্টরিয়াল বডির অভিযানে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আবারও ছয় যুগলকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ক্যাম্পাসের পুলিশ ফাঁড়ি মাঠ, ভিসি মাঠসহ বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করেন।

বেরোবি প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, প্রথমবারের মতো তাদেরকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা যদি ভবিষ্যতে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে তা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাই ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকুক। 


গাজী আজম/মেহেদী/অমিয়/

জবি শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিতে আন্দোলন

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
জবি শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিতে আন্দোলন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দুপুর ১২টায় তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে আধঘণ্টা পর ১২.৩১ মিনিটে অবরোধ তুলে নেয় তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, আজকের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি আমাদের ৩ দফা দাবি মেনে না নেয় তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।

রাজধানীর তাঁতিবাজার মোড় আধাঘন্টা অবরোধের পর উপাচার্য রেজাউল করিম তাঁতিবাজারে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার বসার আহ্বান জানান।

তাঁতিবাজার মোড়ে উপাচার্য রেজাউল করিম বলেন, ‘এটা এমন না যে বললেই কাজ হয়ে যাবে। যেটা ১২ বছরে হয়নি, সেটা ১২ দিনে সম্ভব নয়। আমরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলতেছি, একটা প্রসেসের মধ্যদিয়ে যাবে।’

আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব বলেন, আমাদের দাবি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নয়। আগামীকাল শান্ত চত্বরে বেলা সাড়ে ১১টায় আবারও জড়ো হয়ে তাঁতিবাজার অবরোধ করা হবে। 

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী অপু বলেন, আমরা কনফারেন্স রুমে এসির বাতাস খেতে বসবো না, আমাদের সঙ্গে বসতে হলে রাজপথে আসতে হবে, প্রয়োজনে শান্ত চত্বরে বসতে হবে। 

শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো- স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দূর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল )। অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।

অমিয়/

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভুলে পিষ্ট শিক্ষার্থীর জীবন

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ এএম
আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ এএম
কর্তৃপক্ষের ভুলে পিষ্ট শিক্ষার্থীর জীবন
রুবেল হোসেন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষের ভুলে ৪ বছরের গ্যাড়াকলে পড়ে ধ্বংসের পথে রুবেল হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার। বিভাগীয় সভাপতির অসচেতনতা, একাডেমিক শাখার অবহেলা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অদূরদর্শিতা ও হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করায় ইতোমধ্যে ওই শিক্ষার্থীর জীবন থেকে ৪টি বছর ঝরে গেছে। ক্যারিয়ার বাঁচাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার ঘুরেও নিষ্ফল হয়েছেন রুবেল।

রুবেল ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ভর্তি হন। দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সিমেস্টার পরীক্ষার সময় বিভাগ থেকে তাকে জানানো হয়, তিনি প্রথমবর্ষে অনুত্তীর্ণ হয়েছেন। পরে এখন পর্যন্ত আর কোনো পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এর ফলে ধ্বংসের পথে তার শিক্ষাজীবন। 

রুবেলকে প্রথমবর্ষে অনুত্তীর্ণ দেখানোর পর বিভাগের একাডেমিক কমিটি পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন। ২০২২ সাল থেকে অনেক চেষ্টা করেও তিনি ভর্তি হতে পারেননি। এর আগে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে পুনঃভর্তির জন্য বিভাগে রুবেল আবেদন করেন। তবে সেই আবেদন প্রশাসনিক ভবনে ফাইলেই আটকে আছে। পরের বছর আবারও বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় তাকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে সুপারিশ করা হলে একাডেমিক শাখা থেকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়নি। পরে এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ওই শিক্ষার্থী। ২০২৩ সালের ২৫ জুন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বশির উল্লাহর বেঞ্চ রুবেলকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে পুনঃভর্তি কেন নেওয়া হয়নি, এই ব্যাপারে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেন। প্রায় দেড় বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত কারণ দর্শায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে শিক্ষাজীবনে ফেরা এক প্রকার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রুবেলের। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রুবেল হোসেন বলেন, ‘আমি প্রথম বর্ষে অকৃতকার্য হয়েছিলাম। কিন্তু তা জানতাম না। পরে দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সিমেস্টার পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় আমি রেজাল্টও দেখিনি। কিন্তু পরবর্তী সিমিস্টারে পরীক্ষায় আমাকে বলা হয়, আমি ফেল করেছি। তাই আমাকে পুনঃভর্তি হতে হবে। এর পরে বছরের পর বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেছি। কিন্তু আমাকে আর ভর্তি নেওয়া হয়নি। আমাকে প্রথমেই দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তির সময়ে বিষয়টি জানালে আমি তখনই ভর্তি হতে পারতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের কাছে আমার শিক্ষাজীবন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রথম বর্ষে অনুত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণের সময় তার অনুত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি খেয়াল না করে তাকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, যেটা ঠিক হয়নি। এ ঘটনার দায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর স্বীকার করছে। তবে বিভাগ থেকে যেহেতু ফরম নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে বিভাগেরও দায় রয়েছে।’

বিভাগটির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, ‘অসচেতনতার কারণে সে প্রথম বর্ষের ফল না দেখেই দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরে সে যখন বিষয়টি জানতে পারে তখন আমরা তাকে পুনঃভর্তি হতে বলি। তার পুনঃভর্তির বিষয়ে বিভাগ থেকে যত ধরনের সুপারিশ ও সহযোগিতা দরকার আমরা তাকে করেছি।’ 

একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলীবদ্দীন খান বলেন, ‘প্রথম বর্ষে অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরেও একজন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, এ বিষয়টি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কাজ। একাডেমিক শাখা শুধু একজন শিক্ষার্থীর ভর্তি ও পুনঃভর্তির বিষয়টি দেখে।’

বাঁধনের নবীনবরণ ঢাবিতে পিঠা খেয়ে অসুস্থ ৫০ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
ঢাবিতে পিঠা খেয়ে অসুস্থ ৫০ শিক্ষার্থী
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ইউনিট বাঁধনের (রক্তদাতা সংগঠন) নবীনবরণ অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বনফুল সুইটস অ্যান্ড কোম্পানির পাটিসাপটা পিঠা খেয়েই তাদের এই সমস্যা হয়েছে। এদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শহীদুল্লাহ হল মিলনায়তনে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান হয়। পরদিন দুপুর থেকে শিক্ষার্থীদের পেটে সমস্যা, জ্বর ও বমি শুরু হয়।  রবিবার (৩ নভেম্বর) পুরো বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় অসুস্থ সাতজন শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ ডা. মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারেও চিকিৎসা নিয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, রাজধানীর চানখাঁরপুলের নাজিমুদ্দিন রোডের বনফুল সুইটস অ্যান্ড কোম্পানির একটি শাখা থেকে আনা পাটিসাপটা পিঠা খেয়েই তাদের এই সমস্যা হয়েছে। বাঁধনের শহীদুল্লাহ হল শাখার সভাপতি আলিম মাহমুদ বলেন, ‘নবীনবরণের খাবারে চার পদের খাবার ছিল। যারা পাটিসাপটা পিঠা বাদে বাকি তিন পদের খাবার খেয়েছেন, তাদের কোনো সমস্যা হয়নি।’

এ বিষয়ে বনফুল সুইটস অ্যান্ড কোম্পানির চানখাঁরপুল ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আল আমিন বলেন, ‘আমরা মনে করি, আমাদের পিঠায় কোনো সমস্যা নেই। শনিবার যখন ওনারা শিক্ষক-সহকারে এসেছিলেন, তখন আমি তাদের চালান দেখিয়েছি। এ ছাড়া আমাদের সব শাখায় একই জায়গা থেকে পিঠা যায়, কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি।’

এদিকে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/