বন্যাদুর্গত এলাকায় ১০৮টি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে ২৯ হাজার ৯৭৭ জনকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি।
এ ছাড়া বন্যাপরবর্তী সময় পানিবাহিত রোগ মোকাবিলা করতে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী বলেন, ‘বন্যাকবলিত এলাকায় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ৫টি মেডিকেল টিম বন্যাদুর্গত অঞ্চলে পাঠানো হয়। এই কার্যক্রমের প্রধান লক্ষ্য ছিল ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি এই ৫টি জেলায় প্রান্তিক এলাকায় ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা। ইতোমধ্যে এই উদ্যোগের মাধ্যমে উক্ত অঞ্চলগুলোতে ১০৮টি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে ২৯ হাজার ৯৭৭ জন রোগীকে চিকিৎসা প্রদান এবং বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।’
বন্যাপরবর্তী সময় পানিবাহিত রোগের মহামারি আশঙ্কা থেকে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিভিল সার্জন এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় বন্যাপরবর্তী সময় পানিবাহিত রোগের মহামারি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার ফলে ফেনী, নোয়াখালীসহ অন্যান্য বন্যাকবলিত এলাকায় এ ধরনের রোগের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এই মহামারি প্রতিরোধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ড্রিমার্স কন্সালটেশন অ্যান্ড রিসার্চ, আইসিডিডিআরবি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় আক্রান্ত জেলাগুলোতে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে ফেনীর মহিপালে প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য প্রতিটি বন্যাকবলিত জেলায় ২০০ বেডের একটি ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করা। প্রতিটি ফিল্ড হাসপাতালের আওতায় ছোট ছোট মেডিকেল টিম থাকবে, যারা প্রান্তিক এলাকায় চিকিৎসাসেবা প্রদান করবে এবং গুরুতর রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় ফিল্ড হাসপাতালে পাঠানো হবে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সদস্যসচিব তারেকুল ইসলামসহ স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির অনেক সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ২১ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ১৭ সদস্যের এই কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরিফ জাওয়াদ/জোবাইদা/অমিয়/