ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে আহত হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তাওসিফ মাহির ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
এদিকে মাহির আহতের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে তিন দফা দাবি জানান।
তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ। মাহির বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
দাবিগুলো হলো- ১. বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ও কন্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে কনস্ট্রাকশন সেফটি মেইনটেইন্যান্স ও কন্সট্রাকশন সেফটি হ্যাজার্ড লঙ্ঘন করার অপরাধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া। ২. তাওসিফ মাহিরের চিকিৎসা ব্যয় সম্পূর্ণভাবে ওই কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে বহন করতে হবে। ৩. এই ঘটনার ফলে তাওসিফ মাহিরের জীবন সংকটাপন্ন ও একাডেমিক জীবনও বাধাগ্রস্ত হলো। তাই পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে সুনিশ্চিত করতে হবে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ‘ডাক্তারের ভাষ্যমতে, মাহিরের মাথার খুলির হাড় ভেঙে মগজে ঢুকে গেছে। এই মুহূর্তে তিনি মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছেন। তাই দাবি না মানা পর্যন্ত ওই ভবনের যাবতীয় কাজ বন্ধ থাকবে।’
প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে, ঢাবি উপাচার্য তাতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ওই ভবনের কাজ বন্ধসহ শিক্ষার্থীদের সব দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া এ ঘটনার পেছনে কারও যদি গাফিলতি থাকে, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. ফারুক বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে নীলক্ষেত থেকে পলাশীর দিকে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন শিক্ষার্থী মাহির। সে সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ কোয়ার্টারের নির্মাণাধীন ২০ তলা ভবন থেকে কয়েকটি ইটের টুকরো তার মাথায় পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বুয়েটের গেটে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তার সহপাঠীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তার মৃত্যু খবর নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে খবরও প্রচার হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে মাহির ঢামেকের আইসিইউতে রয়েছেন।