ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

স্কুল-কলেজ-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনে ক্যাম্পাসে নতুন প্রাণের সঞ্চার

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম
আন্দোলনে ক্যাম্পাসে নতুন প্রাণের সঞ্চার
বৈষম্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলনে রাজধানী শাহবাগ এলাকা

রক্তাক্ত জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর এতে যুক্ত হন সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। দিন যত গড়াতে থাকে আন্দোলনের তীব্রতা তত বাড়তে থাকে। আন্দোলন রূপ নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। তৎকালীন সরকারের কূট চাল ও চাপে যখনই আন্দোলন স্তিমিত হয়েছে, তখনই সারা দেশের স্কুল-কলেজ-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নেমে এসেছেন রাজপথে। তারাই আন্দোলনে সঞ্চার করেছেন নতুন প্রাণের। 

১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা। তারা দাবির চূড়ান্ত সুরাহার সময়সীমা বেঁধে দেন ৪ জুলাই পর্যন্ত।

২ জুলাই শাহবাগ এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন তারা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ২০ মিনিট ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা।

তারা আবার ৩ জুলাই শাহবাগ মোড় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করেন। এতে একাত্মতা প্রকাশ করে আরও ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে অংশ নেন। ৪ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ স্থগিত করেননি।অব্যাহত থাকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে সারা দেশে আন্দোলন। এদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা মেধার মূল্যায়ন চেয়ে একযোগে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, খুলনাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজপথে দাবি আদায়ের শপথ নেন। আন্দোলনের কারণে রাজধানীতে তীব্র যানজট দেখা দেয়।

৫ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন। ৬ জুলাই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ডাকা বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিতে ৭ জুলাই স্থবির হয়ে পড়ে রাজধানী। তাদের পক্ষ থেকে আসে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা।

এরপর নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের দিনগুলো অতিবাহিত হতে থাকে।  রাষ্ট্রপতির কাছে তারা স্মারকলিপি দেন ১৪ জুলাই। সেই দিনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এর জেরে মধ্যরাতেই ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন। হামলা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর।  

১৬ জুলাই বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ ৬ জন। আবু সাঈদকে পুলিশের গুলি করার ভিডিও সব গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারের নির্দেশে অর্নিদিষ্টকালের জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। এরপর সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল বন্ধের ঘোষণা আসতে থাকে। আন্দোলনকারীরা ১৭ জুলাই বিক্ষোভ, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, গায়েবানা জানাজা, কফিন মিছিল করেন।  

তবে এই দিনেই প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করে সরকার। এতে করে আন্দোলনের পরিণতি নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। এরপরও আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সমন্বয়কের পক্ষ থেকে ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এর ঘোষণা আসে।

তবে এদিন আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দিনভর ছিল ফাঁকা। প্রবেশমুখগুলোতে পাহারায় ছিল পুলিশ। ফাঁকা ক্যাম্পাস আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ চিত্র দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ছিল শিক্ষার্থীশূন্য। সরেজমিনে দেখা যায়, নীলক্ষেত, শাহবাগ, পলাশী, চানখাঁরপুল, বকশীবাজারসহ ঢাবির প্রবেশমুখগুলোতে ব্যারিকেড বসিয়ে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। পুরো এলাকায় ছিল নীরবতা। দেখা যায় বিভিন্ন হলের কর্মচারীদের অলস সময় পার করতে।

অপর দিকে এই দিনে সর্বাত্মক কমপ্লিট শাটডাউন পালনে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা রাজপথে নেমে আসেন। বিশেষ করে আন্দোলনের চলমান দিনগুলোতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি রাজপথে না থাকলেও, তাদের সমর্থন ছিল। সেটাই  চোখে পড়ে ১৮ জুলাই। একযোগে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজপথ নিজেদের দখল নেন। পালিত হয় সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি। এই দিনে দেশব্যাপী সংঘর্ষ ও গুলিতে নিহত হন ৩১ জনের ওপরে। সরকারের  পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব এলেও আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন।

এদিনে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালনের জন্য সকাল থেকেই  রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধানমন্ডি, উত্তরা, মিরপুর, বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক জমায়েত দেখা যায়। একই সঙ্গে এ সময় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় অবস্থান নেন। এদিকে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় পুলিশের। এতে আক্রান্ত হন রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকায় সকাল ৯টার দিকে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসের সামনে জড়ো হতে থাকেন। বেসরকারি এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে বিক্ষোভ করতে থাকেন। সকাল সাড়ে ১০টায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেরুল-বাড্ডা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তাদের সঙ্গে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন।

অবরোধের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বলে। এতে বাগবিতণ্ডায় জড়ায় দুই পক্ষ। পরে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষে যোগ দেন স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টার সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মূল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। তারা ভেতরে চলে গেলেও গেটের ফাঁক দিয়ে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সড়কে অবস্থান করছিলাম। পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে আমাদের ছত্রভঙ্গ করে এবং গুলি চালায়। এতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন  শিক্ষার্থী আহত ও নিহত হয়েছেন। চলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর নজিরবিহীন হামলা ও পুলিশের গুলি।

রাজধানী ছাড়াও দেশের ৪৭টি জেলায় ১৮ জুলাই দিনভর বিক্ষোভ, অবরোধ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, পুলিশের হামলা-গুলি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত দেড় হাজার ব্যক্তি ও নিহত হন অনেক। কোথাও কোথাও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের, আবার কোথাও সরকার-সমর্থক বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এই দিনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি নতুন মাত্রা লাভ করে। এরপর সারা দেশে ইন্টারনেট  সেবা বন্ধ করে কারফিউ জারি করে সরকার।

এরপর আন্দোলনের গতি পথ থমকে যায়। শিক্ষার্থী ও বিরোধী মত দমনে সারা দেশে শুরু হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চিরুনি অভিযান। এর মধ্যেই নানাভাবে সমন্বয়করা আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।

২৮ জুলাই রাতে পুলিশের  গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হেফাজতে থাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক এক ভিডিও বার্তায় সব কর্মসূচি প্রত্যাহরের ঘোষণা দেন। তবে বাহিরে থাকা  সমন্বয়করা অভিযোগ করেন, চাপের মুখে কর্মসূচি প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন। এর প্রতিবাদে ২৯ জুলাই সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন।

আবার রাজপথে নেমে আসেন স্কুল-কলেজ-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাজধানীসহ সারা দেশেই তারা  বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন। এরপর আসে সরকার পতনের এক দফা দাবি। ৩৬ জুলাই অর্থাৎ ৫ আগস্ট পর্যন্ত এসব শিক্ষার্থীরা রাজপথে থেকে সরকার পতনের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন করেন। অর্জিত হয় দ্বিতীয় স্বাধীনতা।

কলি  

অধ্যাপকের অপসারণ দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
অধ্যাপকের অপসারণ দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ। ছবি : খবরের কাগজ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

সোমবার (৭ আক্টোবর) দুপুর দেড়টায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে তালা দেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা। প্রধান ফটক অবরোধকালে উপাচার্যের কাছে তাদের দাবি উত্থাপনের নির্দেশ দেন প্রক্টর ড. শাহীনুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর ড. আব্দুল বারী ও ড. খাইরুল ইসলাম। পরে বেলা ৩টায় উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আলোচনা হয়।

এ সময় শিক্ষক হাফিজুল ইসলামের বিপক্ষে তাদের অভিযোগ উত্থাপন করেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করেন, ক্লাসে ফল কম-বেশি, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি, প্রতিনিয়ত বিশ্রী গালাগালি ও শব্দচয়ন, ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি, আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছেন। এ ছাড়া তাকে ছাত্রলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ও ছাত্রলীগের দোসর বলে আখ্যায়িত করেন শিক্ষার্থীরা। তারা আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের মিছিলে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় তিনি চাপ প্রয়োগ করেন। একাডেমিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের হুমকি, ফেইক আইডি দিয়ে হেনস্তা, ব্লেকমেইল, শিক্ষার্থীদের নেশায় জড়িত বলে হেনস্তাসহ বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক কথা বলেন হাফিজুল ইসলাম।

এ বিষয়ে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসেন বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকতাম। আমি কী পোশাক পরব, কোথায় যাব, কী খাব, সেই স্বাধীনতাটুকু তিনি (হাফিজুল ইসলাম) কেড়ে নিয়েছিলেন। দুই দিন বিভাগে না যাওয়ায় আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটাতে চেয়েছেন। বিভাগের মেয়েদের প্রকাশ্যে গালিগালাজ করেছেন।’

এ বিষয়ে উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় বলেন, ‘একজন শিক্ষক কখনো অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে মানসিক চাপ দিতে পারেন না। কিন্তু তিনি সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে, কোথায় থাকব, কোথায় আড্ডা দেব, কোন হলে থাকব, এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করতেন।’ এ বিষয়ে জানার জন্য হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে লিখিত বক্তব্য পেলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা বলার, অভিযোগ করার জায়গা তৈরি হয়েছে।’

বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’ স্থাপন

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’ স্থাপন
বুয়েটের শেরেবাংলা হল প্রাঙ্গণে আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভারতবিরোধী স্ট্যাটাসের জেরে ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের স্মরণে এবার তার জীবিতাবস্থায় শেষ ঠিকানা শেরেবাংলা হল প্রাঙ্গণে আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) ওই স্মৃতিফলকের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম বদরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘যারা সত্য বলতে ভয় পাবে না, যারা দেশের জন্য লড়বে- ঘরে ঘরে যেন আবরার ফাহাদের মতো এমন সন্তান আসে। আবরারের জীবন থেকে আমরা এই শিক্ষাই নেব। ভবিষ্যতে আর যেন কাউকে আবরারের মতো জীবন দিতে না হয়। এই স্মৃতিফলক তৈরি করতে যা কিছু প্রয়োজন শেরেবাংলা হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তা করে যাব।’ 

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে আবরার ফাহাদের নামে স্মৃতিফলক নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্মৃতিফলক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্মৃতিফলকের নকশা নির্বাচন করে হল প্রাঙ্গণেই এই স্মৃতিফলক নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। শেরেবাংলা হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

 

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে পর্যটন মেলার উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৮ পিএম
লিডিং ইউনিভার্সিটিতে পর্যটন মেলার উদ্বোধন
লিডিং ইউনিভার্সিটিতে পর্যটন মেলার উদ্বোধন করেন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রাগীব আলী। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের পর্যটনশিল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে বিশ্ব পর্যটকদের আকৃষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রাগীব আলী। তিনি বলেছেন, ‘সিলেটে রয়েছে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা। এ শিল্প একটি দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে তাই গুরুত্বপূর্ণ এ সেক্টরে আমাদের মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন সিলেটে পর্যটন শিল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্ব পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে হবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও ভালো যোগাযোগ ব‍্যবস্থা গড়ে তুললে এ শিল্প আরও প্রসারিত হবে।’

রবিবার (৬ আক্টোবর) লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্যুরিস্ট ক্লাব চতুর্থবারের মতো আয়োজন করা ‘পর্যটন মেলা-২০২৪’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. সৈয়দ রাগীব আলী এ কথা বলেছেন। দুদিনব‍্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে লিডিং ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় অ্যাকাডেমিক ভবন মিলনায়তনে।

টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম‍্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাই। অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটির ব‍্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য দেওয়ান সাকিব আহমেদ এবং মো. জাকির হোসেন, ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান, পরিচালক অর্থ ও হিসাব মোহাম্মদ কবির আহমেদ, ব‍্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ শাহানশাহ মোল্লা, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, ট‍্যুরিস্ট ক্লাবের উপদেষ্টা মো. আব্দুল হালিম, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং ট‍্যুরিস্ট ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় অফার ও বিশেষ ডিসকাউন্ট নিয়ে এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে  ট্রাভেলার্স অব গ্রেটার সিলেট, সিলেট টি ল্যান্ড ট‍্যুরিজম, নেকস্ট ট্রাভেলর্স, গালিভার এক্সপ্রেস, মুসাফির ট্রাভেল্স সিলেট, টনি খান হোটেল ম‍্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট, গ্রাসরোটস ট‍্যুরিজম, ট্রি-টপ অ্যাডভেঞ্চার ফার্ম সিলেট, সিটি এভিয়েশন অ্যাকাডেমি সিলেট ও ট্রাভেল সিলেট। 

লিডিং ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, চতুর্থবারের মতো আয়োজন করা পর্যটন মেলার পৃষ্ঠপোষকতায় খান অটোস, ড্রিম অ্যাসোসিয়েট এবং এইচ বি এভিয়েশন। পর্যটন সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সরাসরি সেবা গ্রহণের মাধ‍্যমে মেলায় অংশগ্রহণকারীদের জন‍্য রয়েছে পর্যটন অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ।

ছাত্র রাজনীতির সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে: জবি উপাচার্য

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
ছাত্র রাজনীতির সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে: জবি উপাচার্য
ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্র রাজনীতির সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। 

রবিবার (৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার ভাবনা’ শীর্ষক শিরোনামে আয়োজিত সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

ছাত্র রাজনীতি বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি না থাকলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি পক্ষে আমি কিন্তু রাজনীতির যে কাঠামো সেখানে পরিবর্তন দরকার।’

অনুষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ২৮টি দাবি উত্থাপন করা হয়। বিভিন্ন দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- অতিদ্রুত সময়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি, অবন্তিকা হত্যাকাণ্ডের বিচার, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ। 

দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের সময়সীমা একনেকে বর্ধীত করা হয়েছে। আমরা খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছি বিষয়টা। সেখানে মাটি ফেলার পর প্রাথমিক পর্যায়ে অস্থায়ীভাবে বিন্ডিং তৈরি করে থাকার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আছে আমাদের।’

তিনি আরও বলেন, 'যেগুলো তৎক্ষণাৎ সমাধান করা যায় সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফাইরুজ অবন্তিকা হত্যাকণ্ডে আমাদের আইনানুগভাবে যেতে হবে।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা এ কে এম রিফাত হাসান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দীন।

মুজাহিদ/এমএ/ 

 

সিভাসুতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
সিভাসুতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। 

রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল দশটা থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা হলে হলে তালা লাগিয়ে দেয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় সব কার্যক্রম। আন্দোলনের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। এ সময় আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দ্রুত জরুরি মিটিংয়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিভাসু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্য পদে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের নিয়োগ না দেওয়ারও দাবি জানান। দাবি মেনে না নিলে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ এবং রাস্তা অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

এর আগে এক দফা দাবিতে গত ৫ দিন ধরে টানা আন্দোলন করে আসছে সিভাসুর শিক্ষার্থীরা। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেন তারা। এর আগে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

গত ১৯ সেপ্টেম্বর উপাচার্য নিয়োগের আবেদন জানিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন সিভাসু শিক্ষার্থীরা। সেই দাবি নিয়ে শনিবার (৫ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন,  শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সমর্থন দিয়ে আসছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের স্নাতকের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দালালির সঙ্গে যুক্ত কেউ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক (ভিসি) হয়ে যেন আসতে না পারে। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রতিদিন নানাভাবে নানা জায়গায় আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। কেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসবে? যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে ২৯ বছর আগে। এটি বাংলাদেশের একমাত্র ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এখানে কীভাবে বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়?’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ইন্টার্নি প্রোগ্রাম বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে, আমাদের প্রবলেম বেইজড লার্নিংগুলো, শিক্ষকদের উদ্ভাবনীগুলো অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে, সেখানে বাইরের অপশক্তি আমাদের ওপর প্রভাব খাটাতে চায়।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষককে আমাদের ভিসি হিসেবে মানবো না। আবার অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ সিভাসুর ভিসি হওয়ার পাঁয়তারা করলে তাকেও মানবো না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দিতে হবে আমাদেরই শিক্ষকদের মধ্য থেকে। আগের ভিসিরা কেবল রুটিন ওয়ার্ক করেই বিদায় নিয়েছেন, উল্লেখযোগ্য কাজ করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।’

এদিকে এই পরিস্থিতিতে জরুরি সভা ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকাল সাড়ে ১০টায় জরুরি সভা ডাকেন সিভাসুর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল। 

উপাচার্যের সভাপতিত্বে তার অফিসকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অনুষদীয় ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ), প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান পরিস্থিতি এবং ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপকদের মধ্য থেকেই নতুন উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করেন শিক্ষকরা। তারা আশা করছেন সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন।

সাদিয়া নাহার/