শিক্ষা-গবেষণায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন নবনিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ। গত ৫ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেওয়ার পরই কুয়েটে সব ধরনের টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগের দুর্নীতি, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, ছাত্র হলগুলোতে অনিয়ম বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন হত্যার ঘটনায় নতুন করে আইনগত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হলে সারারাত আটকে রেখে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্র হলে প্রোভস্ট, সহকারী প্রোভস্ট ‘টপ টু বটম’ বাদ দেওয়া হয়েছে। জ্যেষ্ঠতা ও মেধার ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে খুলনায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নবনিযুক্ত ভিসি কুয়েটকে এগিয়ে নিতে নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘রুটিন দায়িত্বে আসার পর পুলিশ-আর্মি-ডিজিএফআই তিন বাহিনীর লোক দিয়ে প্রত্যেকটা হল সার্চ করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, কিছু শিক্ষক ও প্রোভস্ট তার আগের দিন ছাত্রদের কাছে এই তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় তারা রুম খুলে রাতের আঁধারে অবৈধ জিনিসপত্র নিয়ে চলে গেছে।’
অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছরের নিয়োগ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা যাচাই করা হবে। অনেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেটে ঝামেলা আছে, সেগুলো দেখা হবে। কুয়েটে কোনো অনিয়ম হতে দেওয়া হবে না। কেউ দুর্নীতি করলে পার পাবে না। প্রতিষ্ঠানের জন্য যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আছি।’
নবনিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর আরও বলেন, ‘শিক্ষা-গবেষণা ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কুয়েটকে ভালো একটি অবস্থানে নিতে চাই। আমি এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলাম। আবার আমি এখনকার শিক্ষক। এখানকার প্রত্যেক ছাত্র-শিক্ষক আমার ছাত্র, আমার শিক্ষক। সুতরাং প্রতিষ্ঠানকে ভালোবাসি বলেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করব।’ তিনি কুয়েটকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।