ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তাদের সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল সাধারণ শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা না হলে ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে অংশ নেওয়া বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী নাফিউর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাস থেকে সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই। ঢাবি শিক্ষার্থীরা এখন আরও শক্তিশালী হয়েছেন। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করে নেব। আমরা কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম আর হতে দেব না। ক্যাম্পাসে যদি কেউ দলীয় রাজনীতি করতে আসেন, হলগুলো যদি আর কেউ দখল করতে চান, তাদের হাসিনার মতোই পালাতে হবে। কেউ ক্যাম্পাস দখলের ষড়যন্ত্র করলে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করবেন।’
উপাচার্যকে দেওয়া স্মারকলিপিতে দুই দফা দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। আমাদের প্রথম দাবি, ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে সব ধরনের দলীয় ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং দ্বিতীয় দফা অবিলম্বে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন দিতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সানজানা ইতি বলেন, ‘আমরা জুলাই গণ-অভুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতন ঘটিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ লাভ করেছি। কিন্তু আমাদের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা এখনো আসেনি। ক্যাম্পাসে এখনো দলীয় রাজনীতি পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। আমরা চাই, অনতিবিলম্বে দলীয় লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি বন্ধ করে ছাত্র সংসদ চালু করা হোক।’
সমাবেশ জানানো হয় হয়, আগামীকাল শনিবার বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক কর্মসূচির পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে তা জানানো হবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ না করা হলে ২২ তারিখে ক্লাসে ফিরতে চান না তারা।
এর আগে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর থেকে মিছিল শুরু করে হলপাড়া, ভিসি চত্বর, টিএসসি, শহিদ মিনার, দোয়েল চত্বর হয়ে আবারও টিএসসিতে যান।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ক্যাম্পাস পলিটিক্স, নো মোর নো মোর’; ‘দলীয় রাজনীতির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’; ‘হলে হলে খবর দে, লেজুড়বৃত্তি ছাত্ররাজনীতির কবর দে’; ‘ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।