ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

জরিপ-গবেষণা ঢাবিতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চান ৮৩.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪ পিএম
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
ঢাবিতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চান ৮৩.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দলীয় ছাত্ররাজনীতি একেবারে নিষিদ্ধ চান শতকরা ৮৩ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। এছাড়া দলীয় ছাত্ররাজনীতি প্রত্যাশা করেছেন শতকরা ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। দশমিক ২ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় ছাত্ররাজনীতি যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায়ই প্রত্যাশা করেছেন। সর্বমোট শতকরা ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী দলীয় ছাত্ররাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটির উদ্যোগে পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় ছাত্ররাজনীতি ও রাজনৈতিক কার্যক্রম বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিমত’ শীর্ষক প্রকাশিত ওই গবেষণায় এসব তথ্য উঠে আসে।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, শতকরা ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে দলীয় ছাত্ররাজনীতির কোন ‘গুরুত্ব নেই’ বলে মনে করেন। সর্বমোট ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী দলীয় ছাত্ররাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন। এর মধ্যে ৭১ শতাংশ খুবই নেতিবাচক প্রভাব ও ২৫ শতাংশ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন। এর বিপরীতে ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী দলীয় ছাত্ররাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন। যার মধ্যে ১ শতাংশ খুবই ইতিবাচক প্রভাব ও ২ শতাংশ ইতিবাচক প্রভাব বলে মনে করেন। ১ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন দলীয় ছাত্ররাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশের উপর কোনো প্রভাব ফেলে না।

গবেষণা জরিপে, দলীয় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিকল্প হিসেবে দেখছেন গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা। এতে ৮১ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়মিত কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন এর পক্ষে মত দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও দলীয় ছাত্ররাজনীতির প্রশ্নে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী ‘শুধুমাত্র ছাত্রসংসদ চান, তবে দলীয় ছাত্ররাজনীতি চান না’ বলে মতামত দিয়েছেন।

ওই গবেষণা জরিপটিতে ছাত্ররাজনীতির মূল প্রভাব হিসেবে ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্ষমতার অপব্যবহারকে উল্লেখ কর হয়। ৮৭ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর মানসিক চাপ, ৮৪ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ভয়ংকর গেস্টরুম কালচার, ৭৭ দশমিক ২ শতাংশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংতা, ৭৪ দশমিক ১ শতাংশ দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থতা, ৬৮ দশনিক ৭ শতাংশ জাতীয় রাজনৈতিক দলের প্রভাব, ১১ দশমিক ৪ শতাংশ নেতৃত্বে সুযোগ সৃষ্টি, ৪ দশমিক ৬ শতাংশ ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি এবং ৪ দশমিক ৫ শতাংশ অন্যান্য প্রভাব উল্লেখ করা হয়েছে। 

জরিপের ফলাফলে আরও দেখা যায়, ক্যাম্পাসভিত্তিক বা হলভিত্তিক দলীয় ছাত্ররাজনীতির কমিটি প্রদানকে ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থী সমর্থন করেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় ছাত্ররাজনীতির সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং সমর্থন করেন কি— প্রশ্নে ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নেতিবাচক উত্তর দিয়েছেন; অর্থাৎ, ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় ছাত্ররাজনীতির সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং সমর্থন করেন না। ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রমের কারণে তাদের শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন।

এছাড়া দলীয় ছাত্ররাজনীতি পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা ৫৯ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনেশিক্ষার্থী ‘খুবই অসন্তোষজনক’, ২৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ‘অসন্তোষজনক’, ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী ‘মধ্যম’, ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ‘সন্তোষজনক’ এবং ১ শতাংশ শিক্ষার্থী ‘খুবই সন্তোষজনক’ হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় ছাত্ররাজনীতি প্রকৃত অর্থেই জাতীয় নেতৃত্ব তৈরি করতে সক্ষম নয় বলে মনে করেন ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।

রাজনৈতিক কার্যক্রমের ফলে ৭৪% শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা আছে বলে উল্লেখ করেন, অপরদিকে মাত্র ২৬% শিক্ষার্থীর নেতিবাচক অভিজ্ঞতা নেই বলে মতামত প্রকাশ করেন। ৯০% শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন না। এ জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৬% শিক্ষার্থী কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই (জরিপে অংশগ্রহণকালীন সময়ে) বলে জানিয়েছেন। 

জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সিংহভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো দলীয় ছাত্ররাজনীতি প্রত্যাশা করে না, এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, “পূর্বের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা বিশেষত নির্যাতন ও নিপীড়নজনীত অভিজ্ঞতা (গণরুম ও গেস্টরুম কালচার, টর্চার সেল, জোরপূর্বক রাজনৈতিক মিছিল-মিটিং এ অংশগ্রহণ করানো ইত্যাদি)। দলীয় ছাত্ররাজনীতির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়া, শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি ইত্যাদি বিষয়গুলো বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী ৪টি সুপারিশ করা হয়। সেগুলো হলো— দলীয় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকরণ; ডাকসু পুনর্জীবিত ও সংস্কার; শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়ন কমিটি গঠন; শিক্ষা ও গবেষণার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত।

এর আ‌গে, গত ৩ সেপ্টেম্বর গবেষণা জরিপ চালায় সংগঠন‌টি। প‌রে এ‌টি শেষ হয় ১১ সেপ্টেম্বর। এই জ‌রি‌পে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮টি বিভাগ ও ১০টি ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ২ হাজার ২৩৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। গবেষণাটি পরিচালনার জন্য পরিমাণগত (কোয়ান্টিটিভ) পদ্ধতি এবং গবেষণা পরিকল্পনা (রিসার্চ ডিজাইন) হিসেবে ক্রস সেকশনাল সার্ভে পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়েছে।

দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধে ফের বিক্ষোভ মিছিল: ঢাবিতে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং অনতিবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দা দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। গেল কয়েকদিন ধরে ‘দলীয় রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস আন্দোলন’ ব্যানারে ক্যাম্পাসে দলীয় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করে এসেছেন।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে শিক্ষার্থীরা একে একে জড়ে হতে থাকেন। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা স্মৃতি চিরন্তন হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, পরবর্তীতে তাদের কর্মসূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।

সন্ধ্যায় পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি এণ্ড লিডারশীপ বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা আপাতত হলগুলোতে জনসংযোগ করবো। প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।’

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’ স্থাপন

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’ স্থাপন
বুয়েটের শেরেবাংলা হল প্রাঙ্গণে আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভারতবিরোধী স্ট্যাটাসের জেরে ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের স্মরণে এবার তার জীবিতাবস্থায় শেষ ঠিকানা শেরেবাংলা হল প্রাঙ্গণে আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) ওই স্মৃতিফলকের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম বদরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘যারা সত্য বলতে ভয় পাবে না, যারা দেশের জন্য লড়বে- ঘরে ঘরে যেন আবরার ফাহাদের মতো এমন সন্তান আসে। আবরারের জীবন থেকে আমরা এই শিক্ষাই নেব। ভবিষ্যতে আর যেন কাউকে আবরারের মতো জীবন দিতে না হয়। এই স্মৃতিফলক তৈরি করতে যা কিছু প্রয়োজন শেরেবাংলা হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তা করে যাব।’ 

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে আবরার ফাহাদের নামে স্মৃতিফলক নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্মৃতিফলক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্মৃতিফলকের নকশা নির্বাচন করে হল প্রাঙ্গণেই এই স্মৃতিফলক নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। শেরেবাংলা হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

 

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে পর্যটন মেলার উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৮ পিএম
লিডিং ইউনিভার্সিটিতে পর্যটন মেলার উদ্বোধন
লিডিং ইউনিভার্সিটিতে পর্যটন মেলার উদ্বোধন করেন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রাগীব আলী। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের পর্যটনশিল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে বিশ্ব পর্যটকদের আকৃষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রাগীব আলী। তিনি বলেছেন, ‘সিলেটে রয়েছে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা। এ শিল্প একটি দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে তাই গুরুত্বপূর্ণ এ সেক্টরে আমাদের মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন সিলেটে পর্যটন শিল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্ব পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে হবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও ভালো যোগাযোগ ব‍্যবস্থা গড়ে তুললে এ শিল্প আরও প্রসারিত হবে।’

রবিবার (৬ আক্টোবর) লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্যুরিস্ট ক্লাব চতুর্থবারের মতো আয়োজন করা ‘পর্যটন মেলা-২০২৪’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. সৈয়দ রাগীব আলী এ কথা বলেছেন। দুদিনব‍্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে লিডিং ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় অ্যাকাডেমিক ভবন মিলনায়তনে।

টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম‍্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাই। অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটির ব‍্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য দেওয়ান সাকিব আহমেদ এবং মো. জাকির হোসেন, ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান, পরিচালক অর্থ ও হিসাব মোহাম্মদ কবির আহমেদ, ব‍্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ শাহানশাহ মোল্লা, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, ট‍্যুরিস্ট ক্লাবের উপদেষ্টা মো. আব্দুল হালিম, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং ট‍্যুরিস্ট ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় অফার ও বিশেষ ডিসকাউন্ট নিয়ে এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে  ট্রাভেলার্স অব গ্রেটার সিলেট, সিলেট টি ল্যান্ড ট‍্যুরিজম, নেকস্ট ট্রাভেলর্স, গালিভার এক্সপ্রেস, মুসাফির ট্রাভেল্স সিলেট, টনি খান হোটেল ম‍্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট, গ্রাসরোটস ট‍্যুরিজম, ট্রি-টপ অ্যাডভেঞ্চার ফার্ম সিলেট, সিটি এভিয়েশন অ্যাকাডেমি সিলেট ও ট্রাভেল সিলেট। 

লিডিং ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, চতুর্থবারের মতো আয়োজন করা পর্যটন মেলার পৃষ্ঠপোষকতায় খান অটোস, ড্রিম অ্যাসোসিয়েট এবং এইচ বি এভিয়েশন। পর্যটন সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সরাসরি সেবা গ্রহণের মাধ‍্যমে মেলায় অংশগ্রহণকারীদের জন‍্য রয়েছে পর্যটন অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ।

ছাত্র রাজনীতির সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে: জবি উপাচার্য

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
ছাত্র রাজনীতির সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে: জবি উপাচার্য
ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্র রাজনীতির সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। 

রবিবার (৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার ভাবনা’ শীর্ষক শিরোনামে আয়োজিত সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

ছাত্র রাজনীতি বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি না থাকলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি পক্ষে আমি কিন্তু রাজনীতির যে কাঠামো সেখানে পরিবর্তন দরকার।’

অনুষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ২৮টি দাবি উত্থাপন করা হয়। বিভিন্ন দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- অতিদ্রুত সময়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি, অবন্তিকা হত্যাকাণ্ডের বিচার, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ। 

দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের সময়সীমা একনেকে বর্ধীত করা হয়েছে। আমরা খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছি বিষয়টা। সেখানে মাটি ফেলার পর প্রাথমিক পর্যায়ে অস্থায়ীভাবে বিন্ডিং তৈরি করে থাকার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আছে আমাদের।’

তিনি আরও বলেন, 'যেগুলো তৎক্ষণাৎ সমাধান করা যায় সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফাইরুজ অবন্তিকা হত্যাকণ্ডে আমাদের আইনানুগভাবে যেতে হবে।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা এ কে এম রিফাত হাসান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দীন।

মুজাহিদ/এমএ/ 

 

সিভাসুতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
সিভাসুতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। 

রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল দশটা থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা হলে হলে তালা লাগিয়ে দেয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় সব কার্যক্রম। আন্দোলনের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। এ সময় আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দ্রুত জরুরি মিটিংয়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিভাসু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্য পদে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের নিয়োগ না দেওয়ারও দাবি জানান। দাবি মেনে না নিলে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ এবং রাস্তা অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

এর আগে এক দফা দাবিতে গত ৫ দিন ধরে টানা আন্দোলন করে আসছে সিভাসুর শিক্ষার্থীরা। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেন তারা। এর আগে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

গত ১৯ সেপ্টেম্বর উপাচার্য নিয়োগের আবেদন জানিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন সিভাসু শিক্ষার্থীরা। সেই দাবি নিয়ে শনিবার (৫ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন,  শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সমর্থন দিয়ে আসছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের স্নাতকের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দালালির সঙ্গে যুক্ত কেউ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক (ভিসি) হয়ে যেন আসতে না পারে। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রতিদিন নানাভাবে নানা জায়গায় আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। কেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসবে? যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে ২৯ বছর আগে। এটি বাংলাদেশের একমাত্র ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এখানে কীভাবে বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়?’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ইন্টার্নি প্রোগ্রাম বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে, আমাদের প্রবলেম বেইজড লার্নিংগুলো, শিক্ষকদের উদ্ভাবনীগুলো অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে, সেখানে বাইরের অপশক্তি আমাদের ওপর প্রভাব খাটাতে চায়।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষককে আমাদের ভিসি হিসেবে মানবো না। আবার অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ সিভাসুর ভিসি হওয়ার পাঁয়তারা করলে তাকেও মানবো না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দিতে হবে আমাদেরই শিক্ষকদের মধ্য থেকে। আগের ভিসিরা কেবল রুটিন ওয়ার্ক করেই বিদায় নিয়েছেন, উল্লেখযোগ্য কাজ করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।’

এদিকে এই পরিস্থিতিতে জরুরি সভা ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকাল সাড়ে ১০টায় জরুরি সভা ডাকেন সিভাসুর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল। 

উপাচার্যের সভাপতিত্বে তার অফিসকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অনুষদীয় ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ), প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান পরিস্থিতি এবং ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপকদের মধ্য থেকেই নতুন উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করেন শিক্ষকরা। তারা আশা করছেন সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন।

সাদিয়া নাহার/

নবরূপে বাকৃবি

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
নবরূপে বাকৃবি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বৃষ্টিমুখর একটি দিন। ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েকদিনের দমবন্ধ করা গরম থেকে যেন এক নিমিষেই স্বস্তি নিয়ে এসেছে একটানা ঝুম বৃষ্টি। কবির ভাষাতেই, আমার পুরো শহরজুড়ে আজ বৃষ্টি নেমে এসেছে, নবযৌবনের সতেজতায় ছেয়ে গেছে রুক্ষ প্রকৃতি। একরাশ সতেজতা নিয়ে গত বুধবার দুপুর ১২টা থেকে হঠাৎই ঝুম বৃষ্টি নেমে এল। ক্লাসের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখছে প্রকৃতি আর বৃষ্টির মাখামাখি। প্রতিটি ফোঁটা যেন প্রকৃতির বুকে ভালোবাসার ছোঁয়া এঁকে দিচ্ছে। প্রকৃতিকন্যাখ্যাত ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বৃষ্টিমুখর একটি দিনের কথা লিখেছেন মো. আশিকুজ্জামান

১ হাজার ২৩০ একরের সবুজের মহাসমারোহে ঘেরা অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাকৃবি বৃষ্টিতে সত্যিই এক মোহনীয় রূপ ধারণ করে। জব্বারের মোড়, টিএসসি, নদের পার, বোটানিক্যাল গার্ডেন, সোহরাওয়ার্দী হলের মাঠ, লাভ রোড, লন্ডন ব্রিজ, কেআর মার্কেট, বৈশাখী চত্বর, কৃষিবিদ চত্বরসহ সমগ্র ক্যাম্পাসেই যেন এক নতুন ধরনের সজীবতা ফিরে আসে। কেআর মার্কেট বা জব্বারের মোড়ের আওয়ালের দোকানে এক কাপ চায়ের সঙ্গে বিনামূল্যে বৃষ্টি বিলাস, একটি মাত্র ছাতার নিচে দলবেঁধে বন্ধুদের হেঁটে যাওয়া, ছাত্রদের হলের মাঠে বা কৃষিবিদ চত্বরে ফুটবলে মেতে ওঠা, কেআর মার্কেটের ভূতের গলির তিন ভাজাপোড়া খাওয়া কিংবা প্রেমিক যুগলের বৃষ্টি বিলাস- সবমিলিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে রোমাঞ্চকর এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়।

আবার, বৃষ্টির দিনে সম্পূর্ণ আবাসিক বাকৃবির হলে হলে চলে রুমমেটদের নিয়ে খিচুড়ি রান্নার মহা উৎসব। ভুনা খিচুড়ির গন্ধে ম-ম করে পুরো হল। হঠাৎ আবার কোনো ছেলের কাছে উত্তরপাড়া থেকে আসে প্রেমিকার খিচুড়ি পার্সেল। এ নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে কয়েক দফা হাসাহাসি ও খুনসুটি চলতে থাকে। প্রেমিকার হাতের রান্না একা খাওয়ার সুযোগ নেই। বন্ধুদের নিয়েই তো এখন একটা পরিবার। ভাগাভাগি করে খাওয়া চলে দারুণ মজাদার উত্তরপাড়ার মজাদার খাবারের পার্সেলগুলো। দক্ষিণপাড়া থেকেও যে প্রেমিকার কাছে খিচুড়ি পার্সেল যায় না ব্যাপারটা একবারে অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু সেই খিচুড়ি নিয়েও বান্ধবীদের মাঝে মধ্যে ভাগাভাগি চলে নাকি লেখক তা বলতে পারবে না। কারণ লেখক দক্ষিণপাড়া নিবাসী।

এই বৃষ্টি বিলাস নিয়ে প্রেমিক যুগল ছাড়াও হাজারো শিক্ষার্থীর হাজারো রকম অনুভূতি রয়েছে। তাদের মধ্যে থেকেই না হয় কয়েকজনের অনুভূতি জেনে নেওয়া যাক।
বাকৃবির শিক্ষার্থী সন্দীপ সাহা বলেন, ক্লাস-পরীক্ষার চাপে অনেকটা যান্ত্রিক জীবন কাটাতে হয়। তাই বৃষ্টির দিন পেলে খুবই ভালো লাগে। যখন বৃষ্টি শুরু হয় তখন আমার ভেতরে একটা আনন্দের অনুভূতি কাজ করে। এ ছাড়া আমাদের ক্যাম্পাসে গাছপালার পরিমাণও বেশ ভালো। হল থেকে বেরিয়ে বৃষ্টির মধ্যে ক্যাম্পাসে ঘুরতে, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিতে খুবই ভালো লাগে। বৃষ্টির মধ্যে টং দোকানের চা খাওয়ার অনুভূতিটা তো আরও অসাধারণ।

বাকৃবির আরেক শিক্ষার্থী রিসালাত আলিফ বলেন, ক্যাম্পাসে বৃষ্টির দিনগুলো সবারই প্রিয়। বৃষ্টির দিনে ভিজে কেউবা মেতে ওঠে আড্ডা-গানে, কেউবা বেরিয়ে পড়েন প্রিয়জনের সঙ্গে রিকশা ভ্রমণে। বৃষ্টি বিলাসে ক্যাম্পাসের মাধুর্য আরও বেড়ে যায়। ক্যাম্পাসের চায়ের দোকানে ভিড় জমে যায় বৃষ্টিবিলাসী চাপ্রেমীদের। এমন দিন বাকৃবিতে বারবার ফিরে আসুক।

 কলি