ঢাকা ১৮ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন জবির লালমনিরহাট জেলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সব আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়ে রংপুর বিভাগে আকস্মিক বন্যার প্রতিবাদে এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) লালমনিরহাট জেলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। 

বিক্ষোভ সমাবেশে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রকল্যাণের সভাপতি সাগর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ভারতের গজলডোবা বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জেলা ডুবে গেছে। লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা ডুবে গেছে। মানুষ ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা গেছে। আমরা এই কৃত্রিম বন্যার প্রতিবাদে লালমনিরহাট ছাত্রকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু সোহেল বলেন, ‘তিস্তার পানি নিয়ে উত্তরবঙ্গের মানুষের জনদুর্ভোগ বহুমাত্রিক। ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি বর্তমানে তিস্তা মহাপরিকল্পনায় রূপ নিয়েছে। আমরা চাই অতি দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সব পদক্ষেপ নেওয়া হোক এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে উত্তরের জনপদের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা হোক।’

মুজাহিদ/সালমান/



জবিতে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির দাবি শিবিরের

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
জবিতে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির দাবি শিবিরের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যাম্পাসে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির শর্ত হিসেবে ডোপ টেস্ট চালুর দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবির।

রবিবার (৩ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে শিক্ষার্থীসংশ্লিষ্ট সমন্বয় কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় সংগঠনটি এই দাবি জানায়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। মাদক একটি জাতিকে ধ্বংস করে দেয়। এ ক্ষেত্রে ভর্তির সময় ডোপ টেস্ট চালুর ব্যবস্থা করতে হবে।’ এ সময় তিনি শিক্ষক মূল্যায়নের জন্য রেটিং ব্যবস্থারও দাবি জানান। 

মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইকবাল হোসেন সিকদার বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চর্চার ক্ষেত্রে কিছুটা বিধিনিষেধ থাকা প্রয়োজন। 

এই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসংশ্লিষ্ট বিষয় সমাধানের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্রফ্রন্ট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় দাবি না মানলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় দাবি না মানলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্তি বাতিল ও স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে রবিবারের ন্যায় আগামীকাল সোমবারও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে আগামীকালের মধ্যে দাবি পূরণে ইতিবাচক সাড়া না পেলে তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

রবিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খবরের কাগজকে এ তথ্য জানিয়েছেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম প্রতিনিধি জাকারিয়া বারী। 

তিনি বলেন, ‘রবিবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি। সোমবারও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলমান থাকবে। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। যদি আমাদের দাবির ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া না পাই, তা হলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাড়া বাকি ছয় কলেজে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলে জানা যায়। 

স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে প্রাথমিকভাবে তিনটি কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা। 

সেগুলো হলো ১. সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সংস্কার কমিটি গঠন, ২. সংস্কার কমিটি অনধিক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন করবে, ৩. সংস্কার কমিটি বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে গত ২১ অক্টোবর এবং ২৩ অক্টোবর রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে ২ দফায় ২৪ ঘণ্টা করে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষে গ্রাফিতি অঙ্কন ও শিক্ষার্থী সমাবেশসহ তিন দিনের আলটিমেটাম দেন তারা। আলটিমেটামের দ্বিতীয় দিনে এসে ২৮ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা। এর মধ্যে ২৪ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সাত কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষার্থীরা ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে।

ঢাবি অধিভুক্ত কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।

ঢাবিতে ভর্তির আবেদন শুরু ৪ নভেম্বর

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম
ঢাবিতে ভর্তির আবেদন শুরু ৪ নভেম্বর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন আগামীকাল সোমবার (৪ নভেম্বর) থেকে শুরু হবে।

সোমবার বেলা ১২টা থেকে শিক্ষার্থীরা ঢাবির নির্ধারিত ভর্তি সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন। যা চলবে ২৫ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। 

আবেদন শেষে নির্ধারিত ব্যাংক, অনলাইনে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা আবেদন ফি জমা দিতে পারবেন। এ ছাড়া আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে। 

সুযোগ নেই সেকেন্ড টাইমারদের 

২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক বা সমমান এবং ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যারা ঢাবির বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তির জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ করে কেবল তারাই ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। যার ফলে বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরও অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না সেকেন্ড টাইমাররা।

ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫; কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০; ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ এবং চারুকলা ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।

চলতি বছর ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৫ জানুয়ারি, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) আগামী ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আইবিএ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আইবিএ ও ‘চারুকলা ইউনিট’ ব্যতীত অন্য ৩টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, ভর্তি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে দেখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় কোটায় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি পৃথকভাবে পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরিফ/নাবিল/সালমান/

 

অনুপ্রেরণার নাম প্রিয় বাবা

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ পিএম
অনুপ্রেরণার নাম প্রিয় বাবা
আশরাফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন এক বুক স্বপ্ন নিয়ে নবীনদের পদচারণা শুরু হয়। হেসে-খেলে বছর পার হওয়ার পরই দৃষ্টিকোণ, প্রখরতা এবং শিক্ষাগুরুদের কাছে ভিন্ন পরিচয়ে ধরা দেন স্নাতক পর্যায়ে থাকা প্রতিটি শিক্ষার্থী। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্তত তেমনই। স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীরই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্দিষ্ট হয়। বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বাউন্ডুলে হওয়ার ঘটনা অহরহ। এর মধ্যে যারা শিক্ষাগুরুদের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সময়ের সঠিক ব্যবহার করে এগিয়ে চলেন, পরবর্তী সময়ে তারাই ছুঁতে পারেন সাফল্যের চূড়া। তাদের বলা যেতে পারে তীরের খোঁজে অচিন দেশের নাবিক যেমন। কথা হয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে, যিনি প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিতে হয়েছেন সেরা। সময়ের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে পেয়েছেন সফলতা। এ মেধাবীর গল্প লিখেছেন আহমেদ ইউসুফ

‘আমার সব অর্জন কিংবা ভালো ফলের জন্য বাবার অবদান সবচেয়ে বেশি। কারণ বাবা কখনো আমাকে নিরুৎসাহিত করতেন না। বরং যেকোনো পরিস্থিতিতে তিনি একটা কথাই বলতেন, এগিয়ে যাও। তুমি পারবে, আমিও এগিয়েছি।’ এভাবেই বাবার অনুপ্রেরণার গল্প জানিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা আশরাফুল ইসলাম।

২০১৭-১৮ সেশনের এই গ্র্যাজুয়েট স্নাতকে ৩.৭৮ এবং স্নাতকোত্তরে পেয়েছেন সিজিপিএ ৩.৮০। তিনি জানান, ‘আমার স্বপ্ন হলো ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে চাকরি করা। এই স্বপ্নটা বাবার জন্যই। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তত বেশি গ্রহণ করতে পারেননি। তবে আমার স্বপ্নই যেন তার স্বপ্ন। তার একটাই কথা, আমাকে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে চাকরি করতে হবে। বাবার দৃঢ়বিশ্বাস, ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু করব। আমিও তাই বিশ্বাস করি।’

এই মেধাবী শিক্ষার্থী জানান, ‘প্রতিটি মানুষেরই স্বপ্ন থাকে। আমারও রয়েছে। স্বপ্নের জন্য পরিশ্রম করলে সবারই সফলতা আসে।’

উত্থান এবং পতন যেন ছন্দের মতোই। অর্থাৎ জোয়ার এলেই ভাটার পথ সুগম হয়। আশরাফুল জানান, সফলতার পেছনের গল্পের সেই ছন্দের কথা। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত আসতে অনেকগুলো বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ফলের জন্য প্রথম বর্ষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি প্রথম বর্ষে এসেই টাইফয়েডে আক্রান্ত হই। একই সঙ্গে অ্যাপেনডিসাইটিসের একটি অপারেশন করতে হয়। সে সময় বন্ধু এবং শিক্ষকদের সহায়তা আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে। এর বাইরে শুরু থেকেই আমার পরিবার একটা কথাই বলত, ‘তুমি পারবে।’ বিষয়টি আমার আত্মবিশ্বাস কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। আর ভালো করার জন্য আমি বলব ভালো বন্ধু নির্বাচন অনেক জরুরি।'

খারাপ ফলের নেপথ্যের কারণ উল্লেখ করে তিনি জানান, ফল ভালো না করার অন্যতম কারণ হলো, সঠিক পরিকল্পনা না থাকা, অনাগ্রহ, আত্মবিশ্বাস ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব। আবার নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে অসচেতন হলে কিংবা শিক্ষকের লেকচার মনোযোগ দিয়ে না শোনা খারাপ ফলের অন্যতম কারণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সিজিপির গুরুত্ব বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘সিজিপিএ কতটা জরুরি সেটা যখন একজন শিক্ষার্থী কোনো প্রতিযোগিতা, ভালো প্রাইভেট ফার্ম কিংবা উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আবেদন করেন, তখন বোঝা যায়। কারণ এসব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ প্রথমেই একজন প্রার্থীর সিজিপিএ দেখে বিবেচনা করে। এটা ফার্স্ট ইম্প্রেশনের মতো। কাজেই এটাকে অবহেলার কোনো সুযোগ নেই। সিজিপিএ ভালো থাকলে কর্তৃপক্ষ ধরেই নেয় যে, এই প্রার্থী চার বছরের স্নাতক কিংবা এক থেকে দেড় বছরের স্নাতকোত্তরে নিয়মিত তার ফল ভালো রেখেছেন। অর্থাৎ সে সময়ের সঠিক মূল্যায়ন করতে জানে। এটা আপনাকে অন্য প্রার্থীদের তুলনায় অনেক দূর এগিয়ে রাখবে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে কারও যদি সিজিপিএ খারাপ হয়ে যায়, কিছু করার নেই। সেক্ষেত্রে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয় থাকে। এক্ষেত্রে ভাষাগত দক্ষতা, সোশ্যাল অ্যাক্টিভিটি, জিআরইর মতো কাজগুলোয় গুরুত্ব দিলে ভালো করা সম্ভব। আমার মনে হয়, সব ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসে সময় দেওয়া উচিত নয়। আপনাকে বাছাই করতে হবে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কোনটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’

নিজের বর্তমান অবস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে দুটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতির খুঁটিনাটি বিষয়গুলো তরুণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আদান-প্রদান করছি। এ ছাড়া কয়েকটি গবেষণা কাজের সঙ্গে যুক্ত আছি। প্রত্যাশা রয়েছে, শিগগিরই বাইরের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণ করে দেশে ফিরে আসব। যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে এনরোল করেছি, কিছু জটিলতার কারণে যেতে পারছি না। আশা করছি ২০২৫ সালের সামারে যেতে পারব।’

হাসান

আলোহীন চোখে এক বুক স্বপ্ন যার

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম
আলোহীন চোখে এক বুক স্বপ্ন যার
শাহীন আলম। ছবি: সংগৃহীত

তীব্র ইচ্ছেশক্তিই যেন দৃষ্টিশক্তিহীন মো. শাহীন আলমের এগিয়ে চলার মূলমন্ত্র। জীবনে যার প্রতিবন্ধকতা রয়েছে বহু, তবু পর্বত জয় করতে তিনি মরিয়া। আলোহীন চোখ নিয়ে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। করেছেন ভালো ফলাফলও। পরিতৃপ্তির দিক হলো, তিনি লিখতে পারেন। বেশ দক্ষতার সঙ্গে কম্পিউটারের নানাবিধ কাজ করেন ঝিনাইদহের এই মেধাবী মুখ। স্ক্রিন রিডার সফটওয়্যার ব্যবহার করে তিনি কম্পিউটারের সব কাজ করেন। নিজের মতো অন্য যারা প্রতিবন্ধকতার জীবন পার করেছেন তাদের জন্যও যেন তিনি আশীর্বাদ। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে পারদর্শী করে তুলেছেন। চোখের আলো নেই, এমন প্রায় অর্ধশত দেশি-বিদেশি মানুষ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তার কাছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের এই গ্র্যাজুয়েট বর্তমানে নিজস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান শুরু করার চেষ্টায় আছেন। কথা বলেছেন খবরের কাগজের সঙ্গে। 

জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে শাহীন বলেন, ‘আমারও তো ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া শেষ করে সম্মান নিয়ে বাঁচার, ভালো একটা চেয়ারে বসার। কিন্তু আমি তা পারিনি। জীবনের কঠিনতম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়েছি। রাষ্ট্র আমাকে তুলে নেয়নি। সুযোগ দেয়নি উঠে দাঁড়ানোর। আমাদের অধিকার কি শুধু এতটুকুই? নিজ যোগ্যতাবলেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। কিন্তু কোনো বিশেষ সুবিধা না থাকায় আমার পরবর্তী গন্তব্য অচেনা, দুরূহ।’

বেদনা কাতর স্মৃতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমিও অনেক অভিজ্ঞতার সনদ অর্জন করেছি। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া, কল সেন্টারে কাজ করা, কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ, বেসরকারি সংস্থায় ইন্টার্নশিপের অভিজ্ঞতা অন্যতম। কিন্তু এখন এসব দক্ষতা শুধু অর্জন করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। প্রায়োগিক ক্ষেত্র খুঁজে পাইনি।’

এই মেধাবী মুখ জন্মলগ্ন থেকেই দৃষ্টিহীন ছিলেন না। বরং পঞ্চম শ্রেণিতে থাকাকালীন ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় চিরতরে তার চোখের আলো নিভে যায়। দৃষ্টি হারানোর সেই বেদনাদায়ক স্মৃতি হাতড়িয়ে তিনি জানান, ‘আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় মাত্র ১২ বছর বয়সে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় দৃষ্টিহীন হয়ে পড়ি। অনেক চেষ্টার পর দৃষ্টিহীনদের বিদ্যালয় খুঁজে পেতে সক্ষম হই। এটি চুয়াডাঙ্গা জেলায় অবস্থিত। সেখান থেকে ২০১৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হই। এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় দশম শ্রেণিতে থাকাকালীন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি।’

শাহীন আলম মাধ্যমিক শেষ করার পরই মুখোমুখি হন জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার। পরিবার থেকে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে একাই চালিয়ে নেন নিজের পড়ার সব ব্যয়ভার। 

শাহীন বলেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকে যাওয়ার পরিকল্পনা করার সঙ্গে সঙ্গেই যেন জীবনটাকে গুমোট বাঁধা অন্ধকার গুহার মধ্যে ঠেলে দিলাম। বাবা তখন প্রবাসে থাকতেন। উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ার বিষয়ে বাবাকে জানালে খরচ সম্পর্কে জেনে কোনো কিছু চিন্তা না করে আমাকে স্রেফ জানিয়ে দেওয়া হলো, ‘তোমার পড়াশোনা করার দরকার নেই। তুমি পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে কী করবে? বাবাকে কোনোভাবেই বোঝাতে না পেরে সিদ্ধান্ত নিলাম, যত ঝড়ই আসুক, পড়াশোনা আমি করবই। বাবার কাছ থেকেও কোনো খরচ নেব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যেই ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষা উপবৃত্তির জন্য মনোনীত হলাম। তবু প্রতি মাসে আমার শিক্ষা উপবৃত্তির ২ হাজার টাকা দিয়ে কলেজে যাওয়া-আসার যানবাহন ভাড়া মেটানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাছাড়া ব্রেইল উপকরণ কেনা, বই কেনা, রেকর্ডিং খরচ, টিউশন ফি দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। পরে ঢাকায় চলে এসে ছোট একটা কাজের পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে নিই। সঙ্গে মাঝে মধ্যে সুযোগ করে পাশাপাশি কম্পিউটার চালানো ও টিউশনি করতে থাকি। এতে যা উপার্জন হতো তা দিয়ে আমার লেখাপড়ার খরচ, বাসা ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য খরচ কোনোরকম মেটাতাম।'

উচ্চশিক্ষার স্তরেও কষ্টের স্মৃতি তার নিত্যকার সঙ্গী ছিল। নিজের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে শাহীন বলেন, ‘অনেক কষ্টের পর ২০১৫-১৬ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। আবার ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির জন্য মনোনীত হলাম। সেই শিক্ষা উপবৃত্তির ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে প্রতি মাসে কোনো রকমে টেনেটুনে চলে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবন।’

তিনি যোগ করে বলেন, ‘তবে স্বল্প শিক্ষাবৃত্তির অর্থ দিয়ে চলা কষ্ট হওয়ায় সেখানেও মাস্টারদা সূর্যসেন নিজের কক্ষে প্রিন্টিং ও মোবাইল অ্যাক্সেসরিজের ব্যবসা শুরু করেছিলাম। মাঝে মধ্যে হকারের বেশে মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ নিয়ে মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ফটোকপি দোকানের পাশে বিক্রি করতে বসতাম। এতে যা উপার্জন হতো তা দিয়েই আমার লেখাপড়া ও অন্যান্য খরচ মেটাতাম।’

শাহীন আলম আরও বলেন, ‘এক পৃথিবী স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে অনার্স এবং ২০২৩ সালে মাস্টার্স শেষ করলাম। কিন্তু আমার যে স্বপ্ন তা অঙ্কুরেই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ২০১৮ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সব কোটা বাতিলের ঘোষণা দিলে প্রতিবন্ধী কোটাও বাতিল হয়ে যায়।’

সরকারি চাকরিতে সুযোগ না পেলেও বসে থাকেননি তিনি। দৃষ্টিহীনদের জন্য নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্র। নিজের অবদানের কথা উল্লেখ করে শাহীন বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত বাংলাদেশের এবং ভারতের ৩৫০ দৃষ্টিহীন মানুষকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে ৪৫ জন বাংলাদেশি এবং ভারতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। কম্পিউটার পরিচিতি ও ইতিহাস, স্ক্রিন রিডার সফটওয়্যার ব্যবহারবিধি, অফিস প্রোগ্রাম পরিচিতি, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল, মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট, ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের বেসিক বিষয়গুলো আমরা প্রাথমিকভাবে শিখিয়ে দিই।’

শাহীন বর্তমানে যে কম্পিউটারের মাধ্যমে অন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তা অনেক পুরোনো, ভালোভাবে কাজ করতেও অসুবিধা হয়। এ ছাড়া রয়েছে অন্যান্য সরঞ্জামেরও অভাব। রাষ্ট্র ও সমাজের কাছে দৃষ্টিহীন মানুষের জন্য আবেদন জানিয়ে শাহীন বলেন, ‘আমাদের মৌলিক অধিকারটুকু নিশ্চিতে নজর দিতে হবে। এ ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দুর্বল ও অবহেলিত শ্রেণির মানুষের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুবই জরুরি।’ নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা করে শাহীন বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা রাখি, বাংলাদেশের একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আসবে। দেশের সব মানুষ মিলে কাজ করলে আমরা আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’

হাসান