ঢাকা ২৭ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

জাবির ১৭ সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের পদত্যাগ

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম
জাবির ১৭ সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের পদত্যাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সমন্বয়করা। ছবি : খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সরকারি দলের মতো আচরণ ও গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট-বিরুদ্ধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার কারণ দেখিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ১৩ জন সমন্বয়ক ও ৪ জন সহসমন্বয়ক পদত্যাগ করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

পদত্যাগ করা সমন্বয়করা হলেন আবদুর রশিদ জিতু, রুদ্র মুহাম্মদ সফিউল্লাহ, হাসিব জামান, জাহিদুল ইসলাম ইমন, জাহিদুল ইসলাম, ফাহমিদা ফাইজা, রোকাইয়া জান্নাত ঝলক, মিশু খাতুন, রাফিদ হাসান রাজন, হাসানুর রহমান সুমন, আব্দুল হাই স্বপন, নাসিম আল তারিক ও ঐন্দ্রিলা মজুমদার। তাদের মধ্যে আব্দুর রশিদ জিতু কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। সহসমন্বয়করা হলেন জিয়া উদ্দিন আয়ান, তানজিম আহমেদ, জাহিদুল ইসলাম বাপ্পি ও সাইদুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে ৯ দফার ওপর ভিত্তি করে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ফ্যাসিবাদের পতনের মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তবে ৯ দফায় অন্তর্ভুক্ত দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবিগুলোতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক প্রকার নিশ্চুপ রয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের মতো ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সর্বস্তরের আন্দোলনকারীর একই ব্যানারে অন্তর্ভুক্ত করতে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ 

জিতু আরও বলেন, ‘জাবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কতিপয় সমন্বয়কের জাবিকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে অক্ষমতা, সহযোদ্ধাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং গত ১৮ সেপ্টেম্বর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সন্ত্রাসী শামীম মোল্লার গণধোলাইয়ের পর পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে একাধিক সমন্বয়কের নাম উঠে আসে। এ ঘটনায় এই ব্যানার কোনো ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে আসতে না পারায় আমরা সমন্বয়ক পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করছি।’

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেন, ‘সমন্বয়কদের পদত্যাগের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না, যারা পদত্যাগ করেছেন এটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।’

ডিজিটাল বোর্ডে ছাত্রলীগের বার্তা প্রচার

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ এএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ এএম
ডিজিটাল বোর্ডে ছাত্রলীগের বার্তা প্রচার
রাজশাহী কলেজের ডিজিটাল বোর্ড। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ডিজিটাল স্ক্রলিং বোর্ডে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বার্তা প্রচার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। রবিবার (১০ নভেম্বর) রাতে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে ওই দিন বিকেলে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আবারও আসবে ভয়ংকর রূপে, সাবধান’ লেখাটি কলেজের ডিজিটাল বোর্ডে ভেসে ওঠে। মুহূর্তেই সেই লেখাটির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় সমালোচনা।

এ ঘটনার জেরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে রাতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল মতিনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী বলেন, ‘তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় বোয়ারিয়া থানায় একটি জিডি করেছি।’ 

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ ঘটনায় সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে জানিয়ে তারা জায়গা ছাড়ে।

ইবি সিওয়াইবির নেতৃত্বে ওয়াসিফ-নিয়ামত

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৩ এএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ এএম
ইবি সিওয়াইবির নেতৃত্বে ওয়াসিফ-নিয়ামত
কমিটির সভাপতি ত্বকি ওয়াসিফ ও সাধারণ সম্পাদক নিয়ামতুল্লাহ মুনিম। ছবি: খবরের কাগজ

খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি)-এর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার ৩১ সদস্যবিশিষ্ট ষষ্ঠ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ত্বকি ওয়াসিফ ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নিয়ামতুল্লাহ মুনিম।

রবিবার (১০ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনশাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)-এর যুব শাখা সিওয়াইবির ইবি শাখার নতুন কমিটির অনুমোদন দেন সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক ও সিওয়াইবির সভাপতি পলাশ মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক ইমরান শুভ্র। এ কমিটি আগামী এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে।

কমিটির বাকিরা হলেন সহসভাপতি খন্দকার সায়েম (অর্থনীতি বিভাগ), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস (আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান শাহ (অর্থনীতি বিভাগ), অর্থ সম্পাদক রাউফুল্লাহ খান (আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ), দপ্তর সম্পাদক নূর হোসাইন আল-রিফাত (আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ),  সহদপ্তর রুবাইয়া জামান (আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ), মিডিয়া সম্পাদক ঈদুল হাসান (আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ), প্রচার সম্পাদক রাকিব হাসনাত (লোকপ্রশাসন বিভাগ), সহপ্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান (আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফারিহা আঁখি (ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগ) সহসাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান (আরবি ভাষা ও সাহিত্য)।

নবনির্বাচিত সভাপতি ত্বকি ওয়াসিফ বলেন, ‘আমরা দেশ, সমাজ ও জাতির উন্নয়নের জন্য কাজ করে আসছি। ভেজালমুক্ত খাবার উপহার দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিয়ামতুল্লাহ মুনিম বলেন, ‘আমাদের ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটা যথাযথভাবে পালন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করব। এ জন্য সিওয়াইবি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সব সদস্যের সহযোগিতা কামনা করছি। ভোক্তাদের সঠিক অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।’

আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলা জাবি শিক্ষক বহিষ্কার

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ এএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ এএম
আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলা জাবি শিক্ষক বহিষ্কার
জাবি অধ্যাপক ফরিদ আহমদ

গত ১৭ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ বলে সম্বোধনের অভিযোগে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রবিবার (১০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

জাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান মুকুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৫ জুলাই জবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় ছাত্রলীগের হামলা এবং ১৭ জুলাই পুলিশি হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফরিদ আহমদের বিরুদ্ধে।

গত ১৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন ফাঁস হলে জানা যায়, অধ্যাপক ফরিদ শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ বলে সম্বোধন করেছেন। 

গ্রুপে ফরিদ আহমদ বলেন, ‘আরেকটু অপেক্ষা করুন রাজাকারদের পরাজয় আসন্ন।’

এ ঘটনায় গত ৩ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ‘পুলিশি হামলায় মদদ’ দেওয়ার অভিযোগে ফরিদ আহমদকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে আটক করেন একদল শিক্ষার্থী। পরে ঢাকার কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে তাকে সোপর্দ করা হয়।

জোবায়ের/তাওফিক/পপি/

জাবির ইনস্টিটিউট থেকে সরানো হলো বঙ্গবন্ধুর নাম

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
জাবির ইনস্টিটিউট থেকে সরানো হলো বঙ্গবন্ধুর নাম
ছবি: সংগৃহিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নাম।

রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভায় নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’।

নাম পরিবর্তনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইনস্টিটিউটের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রাহমান বলেন, ‘বহুদিন ধরে আমরা নাম পরিবর্তনের বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অনেকেই আমাদের ইনস্টিটিউটের নামের কারণে এই সাবজেক্ট সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেত না, এখন থেকে সেটা পাবে। এই সিদ্ধান্ত আমাদের ইনস্টিটিউটের জন্য একটি মাইলফলক।’

ইনস্টিটিউটের আরেক শিক্ষার্থী মেহেরাব সিফাত বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছি। তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের বহুদিনের নিপীড়নের ইতিহাস রয়েছে। নাম সংস্কারের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী লড়াইয়ে আমাদের সংগ্রামের জয় হলো।’

জোবায়ের/তাওফিক/অমিয়/

সেশনজট কমানোসহ ৫ দফা দাবি শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২০ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
সেশনজট কমানোসহ ৫ দফা দাবি শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
শাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: খবরের কাগজ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রশাসনের নিকট সেশনজট কমানোসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তারা।

এ সময় প্রশাসনের নিকট ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো শাবিপ্রবিকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের করে এনে স্বতন্ত্রভাবে বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা, সেশনজট কমিয়ে আনার জন্য আগামী তিনটি সেমিস্টার চার মাস করে শেষ করা, আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত এবং হলে অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া, ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা এবং পোষ্য কোটা বাতিল করা ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে উন্মুক্ত রিডিং রুমের ব্যবস্থা করা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত জুন মাসে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নানামুখী সংকটের কারণে ক্লাস ও পরীক্ষায় বসার সুযোগ হয়নি। এতে আমাদের প্রায় পুরো এক সেমিস্টার সেশনজট তৈরি হয়েছে। তাতে কাঙ্ক্ষিত সময়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বের হতে পারব না।’ 
এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসের মধ্যে শেষ করার দাবি জানান তারা।

ইসফাক আলী/মাহফুজ/এমএ/