ঢাকা ২৫ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

অধ্যাপকের অপসারণ দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
অধ্যাপকের অপসারণ দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ। ছবি : খবরের কাগজ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

সোমবার (৭ আক্টোবর) দুপুর দেড়টায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে তালা দেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা। প্রধান ফটক অবরোধকালে উপাচার্যের কাছে তাদের দাবি উত্থাপনের নির্দেশ দেন প্রক্টর ড. শাহীনুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর ড. আব্দুল বারী ও ড. খাইরুল ইসলাম। পরে বেলা ৩টায় উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আলোচনা হয়।

এ সময় শিক্ষক হাফিজুল ইসলামের বিপক্ষে তাদের অভিযোগ উত্থাপন করেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করেন, ক্লাসে ফল কম-বেশি, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি, প্রতিনিয়ত বিশ্রী গালাগালি ও শব্দচয়ন, ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি, আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছেন। এ ছাড়া তাকে ছাত্রলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ও ছাত্রলীগের দোসর বলে আখ্যায়িত করেন শিক্ষার্থীরা। তারা আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের মিছিলে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় তিনি চাপ প্রয়োগ করেন। একাডেমিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের হুমকি, ফেইক আইডি দিয়ে হেনস্তা, ব্লেকমেইল, শিক্ষার্থীদের নেশায় জড়িত বলে হেনস্তাসহ বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক কথা বলেন হাফিজুল ইসলাম।

এ বিষয়ে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসেন বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকতাম। আমি কী পোশাক পরব, কোথায় যাব, কী খাব, সেই স্বাধীনতাটুকু তিনি (হাফিজুল ইসলাম) কেড়ে নিয়েছিলেন। দুই দিন বিভাগে না যাওয়ায় আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটাতে চেয়েছেন। বিভাগের মেয়েদের প্রকাশ্যে গালিগালাজ করেছেন।’

এ বিষয়ে উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় বলেন, ‘একজন শিক্ষক কখনো অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে মানসিক চাপ দিতে পারেন না। কিন্তু তিনি সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে, কোথায় থাকব, কোথায় আড্ডা দেব, কোন হলে থাকব, এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করতেন।’ এ বিষয়ে জানার জন্য হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে লিখিত বক্তব্য পেলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা বলার, অভিযোগ করার জায়গা তৈরি হয়েছে।’

বেরোবির এআইএস বিভাগের দেড়যুগ পূর্তি উদযাপন

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
বেরোবির এআইএস বিভাগের দেড়যুগ পূর্তি উদযাপন
ছবি : খবরের কাগজ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ (এআইএস) বিভাগের দেড়যুগ পূর্তি এবং ইন্টারন্যাশনাল একাউন্টিং ডে-২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে। 

রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেটে বেলুন উড়িয়ে সমাপনী দিবসের দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী।

পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে মিডিয়া চত্বরে একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের দেড়যুগ পূর্তি এবং ইন্টারন্যাশনাল একাউন্টিং ডে-২০২৪ উপলক্ষে কেক কাটা হয়।

সংক্ষিপ্ত বক্তাব্যে উপাচার্য বলেন, 'ইন্টারন্যাশনাল একাউন্টিং ডে ও বেরোবি একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগ প্রতিষ্ঠার তারিখ ১০ নভেম্বর। এটি একইসঙ্গে বিরল ও সৌভাগ্যের ঘটনা। এই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে দৃঢ় বন্ধন, তা সকল বিভাগের জন্য অনুকরণীয়। এধরনের জিরো ডিসটেন্স ও বন্ধন বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মঙ্গলজনক। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয় উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে পরিণত হবে।'

উপাচার্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে উপাচার্য এআইএস বিভাগের সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
 
অনুষ্ঠানে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. ফেরদৌস রহমান, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. এমদাদুল হক, রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদসহ এআইএস বিভাগের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

গাজী আজম/জোবাইদা/

ডিআইইউতে কপ-২৯ পূর্ব আলোচনার আয়োজন

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
ডিআইইউতে কপ-২৯ পূর্ব আলোচনার আয়োজন
ডিআইইউতে কপ-২৯ পূর্ব আলোচনাসভার বক্তাবৃন্দ। ছবি: সংগৃহীত

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে টেকসই জীবনযাপন ও সবুজ অর্থনীতির অগ্রগতির ওপর আলোকপাত করে কপ-২৯ পূর্ব আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। থিংকার্স সোসাইটি (জিএলটিএস)-এর সহযোগিতায় গত ৬ নভেম্বর ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। 

চলতি মাসে আজারবাইজানের বাকুতে প্রায় ২০০ দেশের অংশগ্রহণে ২৯তম কপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনটিকে লক্ষ্য করে বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের ভূমিকা এবং অবদান নিয়ে আলোচনা করার জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ সংস্থা, এনজিও, সরকারি কর্মকর্তা এবং অন্য স্টেকহোল্ডাররা এ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। কপ সম্মেলনগুলো জলবায়ুর বৈশ্বিক অগ্রগতি মূল্যায়ন, প্রতিশ্রুতি আলোচনা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

হাসান

খবরের কাগজে সংবাদ প্রকাশ ইবি অ্যালামনাইদের কক্ষ বরাদ্দ বাতিল

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ এএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ এএম
ইবি অ্যালামনাইদের কক্ষ বরাদ্দ বাতিল
ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অ্যালামনাইদের জন্য কক্ষ বরাদ্দ দিয়েছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিষয়টি নিয়ে খবরের কাগজে ‘ইবিতে কক্ষসংকটের মধ্যেই অ্যালামনাইদের কক্ষ বরাদ্দ দিলেন ডিন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদ প্রকাশের ফলে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অ্যালামনাইদের জন্য কক্ষ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন ড. মতিন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ লোকপ্রশাসন বিভাগের অ্যালামনাইদের জন্য গত ২ নভেম্বর মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ২৩১ নম্বর কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। অনিবার্য কারণবশত কক্ষটির বরাদ্দ বাতিল করা হলো।’ পরে এ বিষয়ে জানার জন্য সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমানকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।’ 

গত ২ নভেম্বর অ্যালামনাইদের জন্য কক্ষ বরাদ্দ দেন ড. এ কে এম মতিনুর রহমান। এ বিষয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগ অ্যালামনাই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি চিঠিও দেন তিনি। 

চিঠিতে কক্ষ বরাদ্দের বিষয়টিকে ‘আনন্দ সংবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করে কক্ষটির ডেকোরেশনসহ অন্যান্য সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমের আর্থিক বিষয় অ্যালামনাই কমিটিকে বহন করতে বলা হয়। এ ছাড়া ওই কক্ষটি গতকাল উদ্বোধনের কথা থাকলেও উদ্বোধন হয়নি।

'বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির জন্ম লেজুড়বৃত্তি করার জন্য'- রাবি উপ-উপাচার্য

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ এএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ এএম
'বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির জন্ম লেজুড়বৃত্তি করার জন্য'- রাবি উপ-উপাচার্য
ছবি : খবরের কাগজ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খান বলেছেন, 'বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির জন্ম লেজুড়বৃত্তি করার জন্য। তাহলে আমি কিভাবে সেটিকে রেখে ছাত্র রাজনীতি সংস্কার করবো?'

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে 'ছাত্র রাজনীতি সংস্কার প্রস্তাবে ছাত্র নেতৃবৃন্দের বোঝাপড়া' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে মন্তব্য করে ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, 'আলোচনার বিষয় হচ্ছে ছাত্র রাজনীতি সংস্কার। তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে রাজনীতি থাকবে এটা কি আমরা ধরে নিলাম? যদি ধরে নেই তাহলে ওকে। আর যদি না ধরে নিই তাহলে সংস্কার কেন? আগে প্রশ্নটি আসা উচিত ছাত্র রাজনীতি থাকবে কিনা? আমরা যদি ছাত্র রাজনীতির সংজ্ঞা খুঁজতে যাই তাহলে এই ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে পৃথিবীর আর কোথাও এটি পাওয়া যাবে না। একই সঙ্গে আমাদের যে প্রচলিত শিক্ষক রাজনীতি আছে সেটিকে রেখে ছাত্র রাজনীতি যতই সংস্কার করি তা কি কার্যকর করা সম্ভব?'

সভায় রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল মোহাইমিন বলেন, 'যে ছাত্র রাজনীতি দেখে আমি বড় হয়েছি সেই ছাত্র রাজনীতি আমিও নিষিদ্ধ চাই। তবে সবাই যদি একাডেমিশিয়ান হয় তাহলে ভবিষ্যতে কারা নেতৃত্ব দিবে? ছাত্র রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য ছাত্রবান্ধব কাজ করা। এ কারণে ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে পরে একটি দল ক্ষমতায় এসে আবারও আগের মত তার দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে। যদি আমরা যৌক্তিকভাবে ছাত্ররাজনীতির একটি মডেল উপস্থিত না করতে পারি তাহলে ভবিষ্যতে আবার আগের মত চলবে। এজন্য যেসব কারণে আমরা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চাই সেই সকল জায়গায় সংস্কার প্রয়োজন।'

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, 'গত ১৫ বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেই রাজনৈতিক চর্চা ছিল আমরা তাকে রাজনৈতিক চর্চা বলি না। আমরা দেখেছি কেউ ছাত্রলীগের সভাপতি বা কোনো পদ পেলে সে নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক মনে করতো। প্রকৃত ছাত্র রাজনীতি এটি নয়। আমরা এতে বিশ্বাস করিনা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী ছাত্র রাজনীতি হবে মানবিক রাজনীতি। যে রাজনীতি হবে শিক্ষার্থীবান্ধব। রাজনীতি হবে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের জন্য, শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মী হলে গিয়ে আধিপত্য বিস্তার করবে না।  ছাত্রদলের কেউ কোনো অন্যায় করলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ২৪ ঘন্টার কম সময়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করবে।'

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক তাসিন খান বলেন, 'বিগত ১৫-১৬ বছরে আমরা ছাত্র রাজনীতির নামে দেখেছি হল দখল, সিট বাণিজ্য, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গেস্ট রুম কালচার ইত্যাদি। ছাত্র রাজনীতির নামে এক সময় আমরা নির্মম হত্যাকাণ্ডও দেখেছি। ছাত্র রাজনীতি বলতে যদি এটি বোঝায় তাহলে আমরা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই। যেই ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদের কল্যাণে আসে না বরং ছাত্রদের জীবন আরও দুর্বিষহ করে সেরকম ছাত্র রাজনীতি আমরা চাই না। ছাত্রদের মধ্যে যদি রাজনৈতিক  সচেতনতা বা চর্চা না থাকতো তবে এই গণঅভ্যুত্থান ঘটানো সম্ভব হতো না। অবশ্যই সকলের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বা চর্চা থাকা প্রয়োজন তবে অবশ্যই সেই রাজনীতি চর্চাটা শক্তি বা ক্ষমতার চর্চা হবে না।'

স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম রেজার সঞ্চালনায় সভার সভাপতিত্ব করেন স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমান ও জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ মতবিনিময় সভায় অংশ নেয়। 

এস আই সুমন/জোবাইদা/

ঢাবিতে আলোচনা সভা তামাকের ধোঁয়া থেকে হয় ৭০ প্রকার ক্যানসার

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ এএম
তামাকের ধোঁয়া থেকে হয় ৭০ প্রকার ক্যানসার
‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা। ছবি: খবরের কাগজ

তামাক সেবনে ক্যানসার, হৃদরোগ, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি রোগ (অ্যাজমা বা হাঁপানি), অ্যাজমা, বার্জাজ ডিজিজসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। এমনকি তামাকের ধোঁয়ায় সাত হাজারের বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে, যা মরণব্যাধি ক্যানসার সৃষ্টির পেছনে দায়ী। এ থেকে ৭০ ধরনের ক্যানসার হতে পারে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের শহিদ মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী সভাকক্ষে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়রের (ডর্প) কারিগরি সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে’ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে আশু প্রয়োজনীয়তাবিষয়ক আলোচনা সভায় এ তথ্য উঠে আসে।

ডর্পের উপনির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান বলেন, ‘ক্যানসার, হৃদরোগ, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি রোগ, ডায়বেটিস, বার্জাজ ডিজিজসহ (পায়ের পচন রোগ) বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ হয়ে থাকে। ধূমপায়ী বা তামাক সেবনকারীদের মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। তামাকের ধোঁয়ায় সাত হাজারের বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মানবদেহে প্রায় ৭০টি ক্যানসার সৃষ্টি করে।’

দেশে ধূমপানের শিকার হওয়ার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে (রেস্টুরেন্টে ৪৯.৭%, পাবলিক পরিবহনে ৪৪%, কর্মক্ষেত্রে ৪২.৭% এবং বাসাবাড়িতে ৩৯%) পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। প্রত্যক্ষ ধূমপানের পাশাপাশি পরোক্ষ ধূমপানও সমান ক্ষতিকর।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, ‘তামাক অর্থনৈতিকভাবে একটা অলাভজনক শিল্প। কারণ এটা প্রকৃতি, জলবায়ু, পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য নানা দিক থেকেই লোকসানের কারণ। এটার মধ্যে মোটা দাগে এমন কিছু পাওয়া যাবে না, যা জনসমাজের জন্য কল্যাণকর। এ জন্য তামাক বা তামাকজাতীয় দ্রব্যের উৎপাদন, ব্যবহার এবং এগুলো নিয়ে প্রচার-প্রকাশের বিরুদ্ধে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহির সঞ্চালনায় সিটিএফকে, বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান, ডর্পের উপদেষ্টা আজহার আলী তালুকদার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ও সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বক্তব্য রাখেন।