বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা শেষে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন তারা। এর মাধ্যমে সিকৃবির গত কয়েকদিনের অচলাবস্থার অবসান হতে যাচ্ছে।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে প্রক্টর, রেজিস্ট্রারের পদত্যাগসহ ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ প্রায় ৫০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীকে অবরুদ্ধ করে ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদী স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরেও একটি ছাত্র সংগঠনের ব্যানার ক্যাম্পাসে লাগানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেননি তারা। যার প্রেক্ষিতে ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়। ২৪ অক্টোবর সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। এ ছাড়া প্রশাসন বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষক ও রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, যা অপমানজনক। প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার অবিলম্বে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা সব একাডেমি কার্যক্রম বর্জন করেছি।’
আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমাম ইসলাম জানান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৮ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমি কার্যক্রম বর্জন অব্যাহত থাকবে। গতকাল এ বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ সদস্যের শিক্ষার্থী দলের সঙ্গে আলোচনায় করা হলেও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদলের টানানো দুটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় কিছু বহিরাগত এতে যোগ দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এতে প্রক্টরসহ মোট ১০ জন আহত হন। এরপর থেকেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।
নাবিল/সালমান/