ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১০ পিএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম
৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
সাত কলেজের অধিভুক্তির বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান। ছবি: খবরের কাগজ

সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের  মধ্যে কোনো যৌক্তিক সমাধান না পেলে ২০১৯ সালের মতো ‘লাগাও তালা, বাঁচাও ঢাবি’ কর্মসূচি করার হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।  

শুক্রবার (১ নভেম্বর) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী রাইয়ান ফেরদৌস।

এ সময়ের মধ্যে অধিভুক্তি বাতিল করা না হলে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভবনে তালা ঝুলানোর মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাত কলেজের বোঝা বহন করতে গিয়ে পড়াশোনা এবং র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে। সাত কলেজের দুই লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর বোঝা বহনের সক্ষমতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। এই বোঝা কাঁধে নেওয়ার ফলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও মানসম্মত শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে একটা নির্দিষ্ট জায়গা করা হবে, যেখান থেকে তাদের জন্য কার্যক্রম চালানো হবে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শফিকুল ইসলামের এমন মন্তব্য প্রত্যাখান করে রাইয়ান ফেরদৌস বলেন, ‘এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ঢাবি, কেননা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, এখানে কী হবে আর কী হবে না তার সিদ্ধান্ত একান্তই ঢাবির। আমরা এমন মন্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি।’

৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষে পরবর্তী কর্মসূচি প্রসঙ্গে আরেক শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার সময় দিচ্ছি, এর মধ্যে যদি অধিভুক্তি বাতিল না করা হয় তাহলে ৭৩ ঘণ্টায় গিয়ে মঙ্গলবারে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেওয়া হবে। এরপরও দাবি না মানা হলে ২০১৯ সালের মতো সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলানো হবে।’

সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।

সাত কলেজ ইস্যুতে বৈঠক করবে ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠককের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তররের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বলা হয়, ‘ সরকারের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতোপূর্বে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। বিষয়টি জানার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারাসহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চমহলে আলাপ করেছে। সরকারও বিষয়টির জনগুরুত্ব বিবেচনা করে আন্তরিকতার সঙ্গে সাড়া দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে (সম্ভাব্য আগামী রবিবার) এ বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি করে আসছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, সরকারি সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের নিয়ে এ বিষয়ে আরও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এব্যাপারে একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব।’

/আরিফ জাওয়াদ/সুমন/এমএ/

ঢাবিতে পলিসি ডায়ালগ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, সংস্কারের পক্ষে মত

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, সংস্কারের পক্ষে মত
ডায়ালোগ ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: খবরের কাগজ

সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠলেও ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধের বিপক্ষে ছাত্রনেতারা। তবে দলীয় লেজুড়বৃত্তি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের প্রশ্নে একমত হয়েছেন তারা, প্রয়োজনে ছাত্ররাজনীতি সংস্কার করার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোপার্জিত স্বাধীনতা চত্ত্বরে ডায়ালোগ ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এক পলিসি ডায়ালগে অংশ নেওয়া ছাত্রনেতাদের বক্তব্যে তা ওঠে আসে।

ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনগুলোর পারস্পরিক সহাবস্থান ও ট্যাগিং কালচার বন্ধের প্রসঙ্গে টেনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সংসদের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গণঅভূত্থান পরবর্তী সময়ে ছাত্ররাজনীতি থাকা না থাকার প্রশ্নটাই লজ্জার। শিক্ষাঙ্গণে রাজনীতির সুষ্ঠু ধারা থাকলে আজ এই আলোচনা সভা করা লাগত না। সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির জন্য সর্বপ্রথম ট্যাগিং কালচার বন্ধ করতে হবে। আমরা দেখেছি, বিশ্বজিৎকে হিন্দু শাখার কর্মী বলে কীভাবে নৃশংসভাবে মারা হয়েছে। আবরারকে কীভাবে ট্যাগিং দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকলে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আবার প্রশ্ন ওঠবে। তবে সেক্ষেত্রে ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনগুলোর উদারতা, পারস্পরিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।’

ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার প্রসঙ্গ টেনে ডাকসুর সাবেক সমাজ সেবা সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের যে ভয়টা রয়েছে সে বিষয়ে আমাদের ভেবে দেখা উচিত। বিগত সময়ে ছাত্রলীগ যে র‍্যাগিং কালচার চালু রেখেছিল তার ট্রমা এখনো কাটেনি। গত দেড় দকেক ফোন চেক করে করে মারধর করার রাজনীতি থেকে আমরা বেড়ে ওঠেছি। আমিই নিজের তার ভুক্তভোগী। দমননীতি, গেস্টরুম কালচার, মাদার সংগঠনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাওয়ার যে প্রবণতা সে জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও বিতার্কিক রাফিয়া রেহনুমা হৃদি বলেন, ‘আমরা পূর্বের ছাত্রলীগের রাজনীতি দেখেছি এবং এর ভয়াবহতার শিকার আমরা নিজেও। শিক্ষার্থীবান্ধব রাজনীতির বদলে সেটা শিক্ষার্থীদের দমনপীড়নের প্লাটফর্ম হয়ে ওঠেছিল। আমরা চাই গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে জবাবদিহিতার জায়গা নিশ্চিত করে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির চর্চা হোক। সেই সঙ্গে আবাসিক হল ও একাডেমিক এরিয়ায় ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হোক।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি বলতে এর সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির একটা প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে। যেখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ না করে বরং এটিকে শিক্ষার্থীবান্ধব করতে হবে। সেই জন্য সবার আগে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রচেষ্টায় আসতে হবে। ক্যাম্পাসে সিআর ইলেকশনের গঠনগত কাঠামো নির্ধারন ও সিআর'স কাউন্সিল গঠন করার মাধ্যমে ডাকসু করার আগে যদি আমরা এটা করতে পারি তাহলে একটা ছাত্ররাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব এবং এই প্লাটফর্মকে এমনভাবে সাজানো উচিত যাতে কেউ প্রশ্ন না তুলতে পারে যে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি থাকবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি মনে করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এমন ছাত্ররাজনীতি আমরা চাইনা যে ছাত্র রাজনীতিতে মাদার পার্টি তার ছাত্র সংগঠনের প্রেসক্রিপশন লিখে দিবে। এই পলিসিতে কখনোই শিক্ষার্থীবান্ধব হতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের সেই পলিসি থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হওয়া উচিত।’

ডায়ালগ ফর ডেমোক্রিসির আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ আরমান সভাপতিত্বে ও মোস্তফা মুশফিকে সঞ্চলনায় এতে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এম এ এস ওয়াজেদ, মহিউদ্দীন মুজাহিদ মাহি ও আদনান মোস্তারি। এছাড়া সংলাপে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ/এমএ/

 

ইউনিয়ন ও শিক্ষাপঞ্জি ফি নেয় শাবিপ্রবি, সুবিধা পায় না শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম
ইউনিয়ন ও শিক্ষাপঞ্জি ফি নেয় শাবিপ্রবি, সুবিধা পায় না শিক্ষার্থীরা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: খবরের কাগজ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন প্রতি সেমিস্টারে রেজিষ্ট্রেশন ফির জন্য বিভিন্ন খাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে থাকে। এ নিয়ে করোনার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, রেজিষ্ট্রেশন ফিতে এমন কিছু খাতে টাকা নেওয়া হয় যেগুলোর কোনো ব্যবহার বা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন ফির বিভিন্ন খাতের তালিকা ও প্রশাসন সূত্রে সেসব খাতের ব্যবহার বিধি জানতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রেশন ফির সঙ্গে শাকসুর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইউনিয়ন ফি এবং ডায়েরির জন্য শিক্ষাপঞ্জি ফি নামে দুটি খাতে যথাক্রমে ১০০ টাকা ও ৯০ টাকা করে নেওয়া হলেও সেগুলোর কোনো ব্যবহার বা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (শাকসু) কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতি সেমিস্টারে ইউনিয়ন ফি হিসেবে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায় দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে শাকসু অকার্যকর থাকলেও প্রতি সেমিস্টারে তার জন্য শিক্ষার্থীদের আলাদা টাকা গুনতে হচ্ছে। সর্বশেষ শাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ২৫ আগস্ট। এরপর সারাদেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শাবিতেও ছাত্র সংসদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রথম কয়েক বছর বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন শাকসু নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার থাকলেও পরবর্তীতে তা থমকে যায়।

অন্যদিকে শিক্ষাপঞ্জির জন্য প্রতি সেমিস্টারে ৯০ টাকা করে প্রদান করলেও শিক্ষাপঞ্জি বা এই সম্পর্কিত কোনো কিছুই পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা৷ এর আগে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর একটা করে ডায়েরি পেতো শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সেটাও এখন পাচ্ছেন না তারা।

এ দিকে গত ১১ ডিসেম্বর শিক্ষার্থী ভর্তিতে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ভর্তি, সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনকে এ সব ‘অযৌক্তিক’ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা।

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর খবরের কাগজে ‌‌‌শাবিতে প্রতিবছর বাড়ছে রেজিস্ট্রেশন ও ক্রেডিট ফি' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয় কীভাবে প্রতি বছর রেজিষ্ট্রেশন ও ক্রেডিট ফি বৃদ্ধি নিয়ে শিক্ষার্থীরা নানামুখী সমালোচনা করে এলেও পরিবর্তনের বদলে প্রতিবছর নতুন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে বিগত শিক্ষাবর্ষের থেকে বেশি টাকা। তার ব্যতিক্রম ঘটেনি নতুন সেমিস্টারেও। নতুন সেমিস্টারে প্রতি বর্ষের শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন ফি বেড়েছে ২৫০ টাকা করে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ জুয়েল বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তার গতানুগতিক মাতৃসুলভ মমতা থেকে দিনদিন এক আগ্রাসী সৎ মা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। প্রতি বছর দাদনের মতো চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে অযৌক্তিক রেজিস্ট্রেশন ফি যার ভারে শিক্ষার্থীরা পিষ্ট। এই অযৌক্তিক ফি এবং তার বিপরীতে কাঁচকলা দেখানোর সংস্কৃতির অবসান ঘটুক।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসাইন বলেন, আমি মনে করি, ইউনিয়ন ফি ও শিক্ষাপঞ্জি নামে খাতগুলো আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। অর্থাৎ সকল সাস্টিয়ানকে এসব সুবিধা প্রধান করতে হবে। নয়তো এসব অযৌক্তিক ফি বাদ দিতে হবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাকসুর কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এত বছর যাবত ইউনিয়ন ফির টাকা কোন খাতে ব্যবহার হয়ে আসছে এবং শাকসু অকার্যকর থাকলেও কেনো তার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে বর্তমান প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, অতীতে আমি ছিলাম না তাই এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারছি না। কিন্তু আগামীতে যাতে খুব শিগগিরিই যাতে শাকসুর নির্বাচন হয় এবং এই টাকাটা যাতে শাকসুর জন্যই ব্যবহার করা হয় এ বিষয়টা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমি বদ্ধপরিকর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এছাক মিয়া বলেন, আমরা এত দিন ছিলাম না। কিন্তু এখন আমরা এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা বিষয়গুলো নিয়ে যৌক্তিক চিন্তাভাবনা করছি এবং খুব শীগ্রই এ ব্যাপারে একটা কমিটি গঠন করা হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, এই বিষয়গুলো ইতোমধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের এজেন্ডাভুক্ত হয়েছে। শিক্ষকরা এ ব্যাপারে আলোচনা করে কী সিদ্ধান্ত নেন সেটা খুব শিগগিরিই জানিয়ে দেওয়া হবে।

ইসফাক আলী/নাবিল/এমএ/

জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান, সম্পাদক মাহতাব

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম
জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান, সম্পাদক মাহতাব
সভাপতি ইমরান হোসাইন (বায়ে), সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন লিমন। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী নির্বাচন ২০২৪-২৫ পরিষদে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইমরান হোসাইন। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধি মাহাতাব হোসেন লিমন। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনের প্রধান কমিশনার সোলাইমান সালমান, কমিশনার রাশিম মোল্লা ও যোবাঈর হুসাইন সামী এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

নির্বাচন কমিশনার জানায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৪ এ প্রতিদন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সভাপতি পদে ইমরান হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক পদে সাজিদুর রহমান ও অর্থ সম্পাদক পদে নূর আলমকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হলো। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জাকারিয়া ও দপ্তর সম্পাদক পদে তানভীর আনজুম নির্বাচন না করার জন্য আবেদন করায় এই দুই পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় সাধারণ সম্পাদক পদে মাহতাব লিমন ও দপ্তর সম্পাদক পদে সাকেরুল ইসলামকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো।

নির্বাচন কমিশন আরও জানায়, বাকী পদগুলোতে (সহসভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দুইটি কার্যনির্বাহী সদস্য) আগামী ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ (রবিবার) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

উক্ত নির্বাচনে, সহ সভাপতি পদে দ্যা পিপলস টাইমের আসাদুল ইসলাম, দ্যা এশিয়ান এইজ এর বাশির শাহরিয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে কালের কন্ঠের জুনায়েদ শেখ, দ্যা নিউ নেশনের আব্দুর রাকিব ও দুইটি কার্যনির্বাহী পদে দৈনিক আমার সংবাদের আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৈনিক সময়ের আলোর মোশফিকুর রহমান ইমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। 

আজ সকাল দশটা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সোলাইমান সালমান, কমিশনার রাশিম মোল্লা ও যুবাঈর আহম্মেদ সামীর তত্বাবধানে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, জনসংযোগ তথ্য ও প্রশাসন দপ্তর পরিচালক মো.আনওয়ারুস সালাম নির্বাচন পরিদর্শন করেন।

চুয়েটের ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
চুয়েটের ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) র‍্যাগিং করার দায়ে ১১ জন শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। 

বহিষ্কৃতরা সবাই পুরকৌশল বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিন কমিটির ২৭৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। 

কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ২৩তম ব্যাচের (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) কয়েকজন শিক্ষার্থীকে চুয়েটের প্রধান গেটের বাইরে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়। পরে তাদের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ৬ মাস আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবেন না। তবে তারা চাইলে ১৫ দিনের মধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবর আপিল করতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘র‍্যাগিংয়ের দায়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শুনানি শেষে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে।’

সালমান/

চবিতে ডোপ টেস্ট শুরু, পজিটিভ হলে সিট বাতিল

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম
চবিতে ডোপ টেস্ট শুরু, পজিটিভ হলে সিট বাতিল
ডোপ টেস্টের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। ছবি: খবরের কাগজ

শিক্ষার্থীদের মাদকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য ডোপ টেস্ট কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মাত্র ৩৫০ টাকা খরচ করেই করা যাবে বাধ্যতামূলক এ ডোপ টেস্ট, ফলাফল পজিটিভ আসলে আবাসিক হলের আসন বাতিল হবে শিক্ষার্থীদের। আর অতিরিক্ত মাদকাসক্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে করা হবে কাউন্সিলিং।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ডোপ টেস্টের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ৯৫০ টাকা খরচে ডোপ টেস্টের কথা বলা হলেও শিক্ষার্থীদের সুবিধা ও খরচ বিবেচনা করে চবি মেডিকেল সেন্টারেই ডোপ টেস্টে কার্যক্রম চালু করে কর্তৃপক্ষ। 

প্রথম দিনের এ টেস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োক্যামিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ল্যাবেই পরীক্ষা করা হবে নমুনা।

উদ্বোধনের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে এসে মূত্রের নমুনা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। হল অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের দিতে হবে নমুনা। পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীসহ কর্মচারীদেরও ডোপ টেস্টের আওতাভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, আমরা যদি মাদকের ব্যবহার কমিয়ে দিতে পারি তাহলে সাপ্লাই অটোমেটিকলি কমে যাবে। সম্ভবত এটি দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। আমরা মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস যদি গড়তে পারি তাহলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও তা অনুকরণীয় হবে। এই উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও অত্যন্ত খুশি।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা যতগুলো কাজ করেছি তার মধ্যে এই কাজটিতে সবচেয়ে বেশি সাধুবাদ পেয়েছি। আমরা মাদকাসক্ত চিহ্নিত করার থেকে তাদেরকে সংশোধনের কথা বেশি চিন্তা করছি। আমরা এক্ষেত্রে তাদের ডেটাগুলোর গোপনীয়তা রক্ষা করবো।

মাহফুজ শুভ্র/মাহফুজ/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });