ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আলোহীন চোখে এক বুক স্বপ্ন যার

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম
আলোহীন চোখে এক বুক স্বপ্ন যার
শাহীন আলম। ছবি: সংগৃহীত

তীব্র ইচ্ছেশক্তিই যেন দৃষ্টিশক্তিহীন মো. শাহীন আলমের এগিয়ে চলার মূলমন্ত্র। জীবনে যার প্রতিবন্ধকতা রয়েছে বহু, তবু পর্বত জয় করতে তিনি মরিয়া। আলোহীন চোখ নিয়ে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। করেছেন ভালো ফলাফলও। পরিতৃপ্তির দিক হলো, তিনি লিখতে পারেন। বেশ দক্ষতার সঙ্গে কম্পিউটারের নানাবিধ কাজ করেন ঝিনাইদহের এই মেধাবী মুখ। স্ক্রিন রিডার সফটওয়্যার ব্যবহার করে তিনি কম্পিউটারের সব কাজ করেন। নিজের মতো অন্য যারা প্রতিবন্ধকতার জীবন পার করেছেন তাদের জন্যও যেন তিনি আশীর্বাদ। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে পারদর্শী করে তুলেছেন। চোখের আলো নেই, এমন প্রায় অর্ধশত দেশি-বিদেশি মানুষ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তার কাছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের এই গ্র্যাজুয়েট বর্তমানে নিজস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান শুরু করার চেষ্টায় আছেন। কথা বলেছেন খবরের কাগজের সঙ্গে। 

জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে শাহীন বলেন, ‘আমারও তো ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া শেষ করে সম্মান নিয়ে বাঁচার, ভালো একটা চেয়ারে বসার। কিন্তু আমি তা পারিনি। জীবনের কঠিনতম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়েছি। রাষ্ট্র আমাকে তুলে নেয়নি। সুযোগ দেয়নি উঠে দাঁড়ানোর। আমাদের অধিকার কি শুধু এতটুকুই? নিজ যোগ্যতাবলেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। কিন্তু কোনো বিশেষ সুবিধা না থাকায় আমার পরবর্তী গন্তব্য অচেনা, দুরূহ।’

বেদনা কাতর স্মৃতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমিও অনেক অভিজ্ঞতার সনদ অর্জন করেছি। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া, কল সেন্টারে কাজ করা, কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ, বেসরকারি সংস্থায় ইন্টার্নশিপের অভিজ্ঞতা অন্যতম। কিন্তু এখন এসব দক্ষতা শুধু অর্জন করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। প্রায়োগিক ক্ষেত্র খুঁজে পাইনি।’

এই মেধাবী মুখ জন্মলগ্ন থেকেই দৃষ্টিহীন ছিলেন না। বরং পঞ্চম শ্রেণিতে থাকাকালীন ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় চিরতরে তার চোখের আলো নিভে যায়। দৃষ্টি হারানোর সেই বেদনাদায়ক স্মৃতি হাতড়িয়ে তিনি জানান, ‘আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় মাত্র ১২ বছর বয়সে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় দৃষ্টিহীন হয়ে পড়ি। অনেক চেষ্টার পর দৃষ্টিহীনদের বিদ্যালয় খুঁজে পেতে সক্ষম হই। এটি চুয়াডাঙ্গা জেলায় অবস্থিত। সেখান থেকে ২০১৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হই। এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় দশম শ্রেণিতে থাকাকালীন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি।’

শাহীন আলম মাধ্যমিক শেষ করার পরই মুখোমুখি হন জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার। পরিবার থেকে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে একাই চালিয়ে নেন নিজের পড়ার সব ব্যয়ভার। 

শাহীন বলেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকে যাওয়ার পরিকল্পনা করার সঙ্গে সঙ্গেই যেন জীবনটাকে গুমোট বাঁধা অন্ধকার গুহার মধ্যে ঠেলে দিলাম। বাবা তখন প্রবাসে থাকতেন। উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ার বিষয়ে বাবাকে জানালে খরচ সম্পর্কে জেনে কোনো কিছু চিন্তা না করে আমাকে স্রেফ জানিয়ে দেওয়া হলো, ‘তোমার পড়াশোনা করার দরকার নেই। তুমি পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে কী করবে? বাবাকে কোনোভাবেই বোঝাতে না পেরে সিদ্ধান্ত নিলাম, যত ঝড়ই আসুক, পড়াশোনা আমি করবই। বাবার কাছ থেকেও কোনো খরচ নেব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যেই ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষা উপবৃত্তির জন্য মনোনীত হলাম। তবু প্রতি মাসে আমার শিক্ষা উপবৃত্তির ২ হাজার টাকা দিয়ে কলেজে যাওয়া-আসার যানবাহন ভাড়া মেটানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাছাড়া ব্রেইল উপকরণ কেনা, বই কেনা, রেকর্ডিং খরচ, টিউশন ফি দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। পরে ঢাকায় চলে এসে ছোট একটা কাজের পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে নিই। সঙ্গে মাঝে মধ্যে সুযোগ করে পাশাপাশি কম্পিউটার চালানো ও টিউশনি করতে থাকি। এতে যা উপার্জন হতো তা দিয়ে আমার লেখাপড়ার খরচ, বাসা ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য খরচ কোনোরকম মেটাতাম।'

উচ্চশিক্ষার স্তরেও কষ্টের স্মৃতি তার নিত্যকার সঙ্গী ছিল। নিজের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে শাহীন বলেন, ‘অনেক কষ্টের পর ২০১৫-১৬ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। আবার ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির জন্য মনোনীত হলাম। সেই শিক্ষা উপবৃত্তির ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে প্রতি মাসে কোনো রকমে টেনেটুনে চলে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবন।’

তিনি যোগ করে বলেন, ‘তবে স্বল্প শিক্ষাবৃত্তির অর্থ দিয়ে চলা কষ্ট হওয়ায় সেখানেও মাস্টারদা সূর্যসেন নিজের কক্ষে প্রিন্টিং ও মোবাইল অ্যাক্সেসরিজের ব্যবসা শুরু করেছিলাম। মাঝে মধ্যে হকারের বেশে মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ নিয়ে মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ফটোকপি দোকানের পাশে বিক্রি করতে বসতাম। এতে যা উপার্জন হতো তা দিয়েই আমার লেখাপড়া ও অন্যান্য খরচ মেটাতাম।’

শাহীন আলম আরও বলেন, ‘এক পৃথিবী স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে অনার্স এবং ২০২৩ সালে মাস্টার্স শেষ করলাম। কিন্তু আমার যে স্বপ্ন তা অঙ্কুরেই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ২০১৮ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সব কোটা বাতিলের ঘোষণা দিলে প্রতিবন্ধী কোটাও বাতিল হয়ে যায়।’

সরকারি চাকরিতে সুযোগ না পেলেও বসে থাকেননি তিনি। দৃষ্টিহীনদের জন্য নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্র। নিজের অবদানের কথা উল্লেখ করে শাহীন বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত বাংলাদেশের এবং ভারতের ৩৫০ দৃষ্টিহীন মানুষকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে ৪৫ জন বাংলাদেশি এবং ভারতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। কম্পিউটার পরিচিতি ও ইতিহাস, স্ক্রিন রিডার সফটওয়্যার ব্যবহারবিধি, অফিস প্রোগ্রাম পরিচিতি, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল, মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট, ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের বেসিক বিষয়গুলো আমরা প্রাথমিকভাবে শিখিয়ে দিই।’

শাহীন বর্তমানে যে কম্পিউটারের মাধ্যমে অন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তা অনেক পুরোনো, ভালোভাবে কাজ করতেও অসুবিধা হয়। এ ছাড়া রয়েছে অন্যান্য সরঞ্জামেরও অভাব। রাষ্ট্র ও সমাজের কাছে দৃষ্টিহীন মানুষের জন্য আবেদন জানিয়ে শাহীন বলেন, ‘আমাদের মৌলিক অধিকারটুকু নিশ্চিতে নজর দিতে হবে। এ ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দুর্বল ও অবহেলিত শ্রেণির মানুষের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুবই জরুরি।’ নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা করে শাহীন বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা রাখি, বাংলাদেশের একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আসবে। দেশের সব মানুষ মিলে কাজ করলে আমরা আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’

হাসান

চবির চারুকলা স্থানান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২১ পিএম
চবির চারুকলা স্থানান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
চবি মূল ক্যাম্পাসে চারুকলা ইনস্টিটিউট স্থানান্তরের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্য দূর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ক্যাম্পাসে চারুকলা ইনস্টিটিউট স্থানান্তরের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় চারুকলা ইনস্টিটিউটসংলগ্ন চট্টগ্রাম মহানগরের মেহেদীবাগের বাদশা মিয়া সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

চারুকলা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম খবরের কাগজকে বলেন, আমাদের ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের সদিচ্ছার অভাবে চারুকলা ইনস্টিটিউট মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা যাচ্ছে না। কিন্তু আমরা শিক্ষার্থীরা এই শহর ছেড়ে মূল ক্যাম্পাসে ফিরতে চাই। মূল ক্যাম্পাসে না যাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে কারও দ্বিমত নেই। কিন্তু এটা বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ। আমরা বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। 

এর আগে এই দাবিতে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্দোলন শুরু করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এদিন ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন তারা। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও জানান তারা। 

চারুকলা ইনস্টিটিউট মূলত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম মহানগরের মেহেদীবাগে অবস্থিত।

তারেক মাহমুদ/তাওফিক/অমিয়/

গুচ্ছ থেকে বের হতে কুবি উপাচার্যকে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
গুচ্ছ থেকে বের হতে কুবি উপাচার্যকে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি
ছবি: খবরের কাগজ

গুচ্ছের সমন্বিত ভর্তি পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্যের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতা-কর্মীরা স্মারকলিপি প্রদান করে। 

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘গুচ্ছ একটি জটিল, অস্বচ্ছ এবং বৈষম্যমূলক পদ্ধতি। এ পদ্ধতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের স্বকীয়তা হারাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতকরণে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় নিজস্ব প্রশ্ন কাঠামোতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না বলে মেধাবী শিক্ষার্থীদের যাচাইয়ের সুযোগ কমে যাচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈচিত্র্য কমছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত প্রতিটি ব্যাচে সিট ফাঁকা থাকছে, যার হার পূর্ববর্তী যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।’

বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গুচ্ছের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমগুলো অবনতির দিকে যাচ্ছে তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মানও কমছে। এই দিকগুলো বিবেচনা করে আমাদের মনে হয়েছে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে শুরুতে গুচ্ছতে না থাকার বিষয়ে মতামত জানিয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অন্তত এইবছর যেন গুচ্ছতেই থাকি। আমাদের আসলে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বে যাওয়ার সুযোগ নেই। এবছর অন্তত গুচ্ছেই থাকছি। তারপরও আমাদের উপাচার্যদের একটা মিটিং রয়েছে। আমি সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর কথা জানাব। তারপর ফাইনালি সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’

আতিকুর রহমান তনয়/মাহফুজ/এমএ/

 

ইতিহাস থেকে নারীদের হারাতে দেওয়া যাবে না: সেমিনারে বক্তারা

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম
ইতিহাস থেকে নারীদের হারাতে দেওয়া যাবে না: সেমিনারে বক্তারা
বেগম রোকেয়ার স্মরণে নারীমুক্তি কেন্দ্রের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে নারী ও নারীমুক্তি প্রসঙ্গ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ছবি: খবরের কাগজ

‘নারী যেন ইতিহাস থেকে হারিয়ে না যায়। প্রয়োজনে নতুন করে ইতিহাস লিখতে হবে। একই সঙ্গে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীদের উপস্থিতি বাড়াতে হবে।’

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার অডিটোরিয়ামে বেগম রোকেয়ার স্মরণে নারীমুক্তি কেন্দ্রের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে নারী ও নারীমুক্তি প্রসঙ্গ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ থেকে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু ইতিহাস বিনির্মাণে নারীরা হারিয়ে যান। অনেক সময় নাটক-সিনেমাতেও নারীদের ভূমিকা ছোট করা হয়।’

সেমিনারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় এবং বেঁচে যাওয়ার পেছনে নারীর অবদান রয়েছে। একইভাবে গণ-অভ্যুত্থানেও নারীদের কিন্তু ভূমিকা রয়েছে। নানানভাবে এই গণ-অভ্যুত্থানে সামনে এবং পেছন থেকে লড়াই করেছেন নারীরা। নারীর শক্তি থেকেই কিন্তু আমরা গণ-অভ্যুত্থানে শক্তি পাই। তাই এই শক্তিকে আমরা কোনোভাবেই দুর্বল করতে পারি না। প্রয়োজনে এই নারীশক্তিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।’

রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে দলগুলোতে সংস্কার আনতে হবে এমন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতি, শ্রেণি, ধর্ম ও লিঙ্গবৈষম্য রয়েছে। এখানে যেকোনো একটি থেকে বৈষম্য বাদ দিলে বৈষম্য শেষ হবে না। রাজনৈতিক দলে সংস্কার করে সেখানে সব জাতি, শ্রেণি, ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গের লোকদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তা হলেই সেটি জাতীয়ভাবে রাজনৈতিক দল হয়ে উঠবে।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ‘ইতিহাস সব সময়ই প্রাসঙ্গিক। ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের এবং মুক্তিযুদ্ধের কয়জন নারীর কথা আমাদের স্মরণে রয়েছে। অনেক অনেক দশক পর কিন্তু আমরা বীরাঙ্গনাদের খোঁজ পেয়েছি। তাদের বেশ কয়েকজন বেঁচেও রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কিন্তু আমরা একটি দেশ পেয়েছি।’

ইতিহাস রচনায় নারীদের গুরুত্ব দিতে হবে- এমন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সংগীতশিল্পী বীথি ঘোষ বলেন, ‘ইতিহাসে একটা দেশে যুদ্ধ দিয়ে শুরু এবং যুদ্ধ দিয়েই কি শেষ হয়! যদি ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস লেখা হয়, হয়তো ইতিহাস লেখার ধারাবাহিকতায় নারীরা বাদ পড়ে যাবেন। তাই আমাদের উচিত হবে ইতিহাস লেখার পুরুষকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে মানুষকেন্দ্রিক ইতিহাস লেখার দিকে অগ্রসর হওয়া।’

এ সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ডা. তাসনূভা জাবীন, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য জয়দীপ ভট্টাচার্য, নাট্যকর্মী ও শিক্ষক মহসিনা আক্তার ও স্থপতি ফারহানা শারমিন ইমু প্রমুখ। 

আরিফ জাওয়াদ/সুমন/অমিয়/

রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ: এক দশকেও মেলেনি নিজস্ব ক্যাম্পাস

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ এএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২০ এএম
রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ: এক দশকেও মেলেনি নিজস্ব ক্যাম্পাস
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের পাঁচতলা ভবন ভাড়া করে গত ১০ বছর ধরে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক উচ্চশিক্ষা গ্রহণের প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ। ২০১৪ সালে স্থাপিত হলেও নানা বাধাবিপত্তি পেরিয়ে কলেজটি ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে।

শুরু হয় ইন্টার্নশিপসহ স্নাতক পর্যায়ের পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস শিক্ষাক্রম। অথচ এক দশক পার হলেও প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব ক্যাম্পাস পায়নি। ভাড়া করা ক্যাম্পাসেই তাদের শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীদের আবাসন সংকটসহ শ্রেণিকক্ষ, ল্যাব, লাইব্রেরির কর্মকাণ্ডে সবাইকে বেগ পেতে হচ্ছে। আগে প্রতিবছর ৫০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। এখন ৭৫ জন করে ভর্তি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সংকট কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।
 
তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশন হয়ে একনেকে পাস হলেই আলোর মুখ দেখবে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস। কাটবে নানা সংকটও।শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা অগ্রাধিকার বিবেচনায় প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদনে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের পাঁচতলা ভবন ভাড়া করে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে গত ১০ বছর ধরে চালানো হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। এতে বহুমুখী সংকটে আছেন ৮০ জন শিক্ষক আর পাঁচটি ব্যাচের ২৭৮ শিক্ষার্থীসহ ৩১ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক। বিশেষ করে পর্যাপ্ত টিউটোরিয়াল ও লেকচার ক্লাস, শিক্ষকদের বসার স্থান, ল্যাব, সরঞ্জাম, টেকনিশিয়ান ও লাইব্রেরি না থাকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় পড়ছেন। ভাড়া করা পুরোনো বাড়িতে শিক্ষার্থীদের দুটি ছাত্রীনিবাস ও তিনটি ছাত্রাবাস থাকলেও অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারীদের আবাসিক কোয়ার্টার নেই। নেই নিজস্ব ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থাও। এসব নানামুখী সংকটে প্রতিযোগিতামূলক ও মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী আফিফা আক্তার বলেন, ‘আমাদের ৫০ শিক্ষার্থীর জন্যই আগে সবকিছু পর্যাপ্ত ছিল না। এখন ৭৫ জন করে ভর্তি হওয়ায় সংকট আরও বেড়ে গেছে। আমাদের টেকনিশিয়ান নেই। যন্ত্রপাতি অনেক কম। এ কারণে অন্য মেডিকেলে যেভাবে শিক্ষার্থীরা প্র্যাকটিক্যাল প্র্যাকটিস করতে পারছেন বা ওই জিনিসটাতে ওরা নিজেদের স্কিল ডেভেলপ করেছেন, আমরা সেভাবে পারছি না।’
 
চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অর্নব চাকমা বলেন, ‘আমাদের এখন ক্লাসরুমের জন্য অনেক সময় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা লাগে। আমাদের কনফারেন্স রুমকে ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহার করতে হয়। যদি কোনো প্রোগ্রাম থাকে তাহলে আমাদের লাইব্রেরিতে বসে ক্লাস করতে হয়।’

সপ্তম ব্যাচের তানভীর হোসাইন বলেন, ‘প্রথমবর্ষে খুব একটা সমস্যা নেই। তবে দ্বিতীয় বর্ষের ক্ষেত্রে ফরেনসিক মেডিসিনের সাবজেক্টওয়াইজ কোনো টিচার নেই। তৃতীয় বর্ষের ক্ষেত্রে আমাদের ফার্মাকোলজির মাত্র একজন টিচার। আমাদের ছাত্রছাত্রীদের আবাসনের সংকট রয়েছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত ডরমেটরি নেই। আমাদের কোনো অডিটোরিয়াম নেই।’

অষ্টম ব্যাচের তাসনিয়া আহমেদ ঋদিকা বলেন, ‘শিক্ষার্থী ৫০ জন থেকে ৭৫ হলেও লাইব্রেরিতে সিট বাড়ানো হয়নি। আমাদের প্রফেশনাল পরীক্ষার সময় সব ব্যাচকে একসঙ্গে পড়তে হয়। কিন্তু সেখানে জায়গা হয় না। পড়ার জন্যও উপযুক্ত জায়গা পাওয়া যায় না।’

জানা গেছে, অস্থায়ী ক্যাম্পাসের অদূরেই প্রায় ২৬ একর জমির অধিগ্রহণসহ মাস্টারপ্ল্যান ও ডিপিপি নিয়ে ২০১৭ সাল থেকেই স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তর ও রাঙামাটি গণপূর্তের মধ্যে শুরু হয় চিঠি চালাচালি। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ভবন নির্মাণকাজ বিলম্ব হওয়ায় প্রথমবার ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পাঁচ বছর আগের সেই আশ্বাসের বাস্তবায়ন না হওয়ায় চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ফের রাজপথে নামেন শিক্ষার্থীরা। তবে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, ঘেরাও আর অবস্থান কর্মসূচির পর গণপূর্তের সেই পুরোনো আশ্বাসের ফুলঝুরি নিয়েই ক্যাম্পাসে ফেরেন তারা।

নানামুখী এই সংকটের জন্য নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মিত না হওয়াকে দুষছেন রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. প্রীতি প্রসূন বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘প্রথমত সমস্যা হচ্ছে ক্লাসরুম, দ্বিতীয় সমস্যা আমাদের শিক্ষকদের বসার জায়গা নেই। ছাত্রছাত্রীদের হোস্টেল না থাকাতে এখন তাদের পুরোনো কয়েকটি ভবনে রাখতে হচ্ছে। শিক্ষকদেরও থাকার জন্য কোয়ার্টার নেই। এসব মিলিয়ে আসলে অনেক রকম সমস্যা।’
 
এর আগে ডিপিপি পাঠানো হলেও কিছু সংশোধনী থাকায় তা ফেরত পাঠায় প্রাক-প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি। ফলে নতুন করে মন্ত্রণালয়ে সংশোধিত চূড়ান্ত ডিপিপি পাঠানো হয়েছে বলে জানান রাঙামাটি গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী শর্মি চাকমা। তিনি বলেন, ‘রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং কলেজ স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের ডিপিপি সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। সেখান থেকে পরিকল্পনা কমিশন হয়ে একনেকে পাস হলেই আলোর মুখ দেখবে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস।

২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী নিহত: নাছির

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী নিহত: নাছির
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন। ছবি: খবরের কাগজ

২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১০০ এর অধিক নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।

তিনি বলেন, দুনিয়া কাঁপানো ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে অন্য কোনো সংগঠনের এত নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে কেউ দেখাতে পারেনি। জাতীয়তাবাদ ছাত্রদলের প্রথম শহিদ ওয়াসিমকে আমরা ভুলে যাইনি। ৫ হাজারের অধিক নেতা-কর্মীকে সেসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বিশ্বাস করে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে সে আন্দোলন গত ৫ আগস্ট তার প্রাথমিক ফলাফল পেয়েছে। ৫ আগস্টের পূর্বে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত সংগঠন ছিল ছাত্রদল। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আয়োজিত এক মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন নেতা-কর্মী এখন পর্যন্ত গুম রয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিবেশের সূচনা হয়েছে। ২১ শতক উপযোগী হিসেবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে জাতীয়তাবাদ ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারেক রহমান। এ লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর সব চাপিয়ে দিতো। এখন শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভবিষ্যতে ছাত্রদলের রাজনীতি পরিচালিত হবে। 

এসময় নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমরা দাবি জানাতে চাই, খুনী ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সকল নেতা-কর্মীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেত, সহসভাপতি আজিমুল হাসান চৌধুরী, সহসভাপতি ইব্রাহিম কবির মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্লত পাটোয়ারী, মেহেদী হাসান হিমেল, মো. মাহমুদুল হাসান খান, সুমন সর্দার, জাফর আহম্মেদ, নজরুল ইসলাম মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আরেফিন, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, দপ্তর সম্পাদক সাখাওয়াতুল ইসলাম খান পরাগসহ শাখা ছাত্রদলের অসংখ্য নেতা-কর্মী।

মাহফুজ/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });