ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তিসহ ২১ দফা দাবি জবি ছাত্রদলের

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তিসহ ২১ দফা দাবি জবি ছাত্রদলের
ছবি: খবরের কাগজ

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের তালিকা আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর)  বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। 
সংগঠনটির পক্ষ থেকে ২১ দফা দাবি রাখা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সুজন মোল্লা এবং লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর রেজাউল করিমের নিকট স্মারকলিপিও দেন তারা। 

২১ দফায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে দুটি প্রো-ভিসি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের তালিকা আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত সকলের তালিকা ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করে তাদের নিয়োগ বাতিল এবং চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। 

দ্রুততম সময়ে ক্যাফেটেরিয়ার কাজ শেষ করা এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ফুড কোর্ট স্থাপন, ক্যাম্পাস ও ছাত্রী হলের ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি, সমবায় ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে আধুনিক টিএসসি নির্মাণ এবং ক্যাম্পাসে ব্রান্ডিংয়ে রায় সাহেব বাজার, বাংলাবাজার ও পাটুয়াটুলিতে তিনটি গেট স্থাপনের দাবি জানানো হয়। 

ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জানানো অন্য দাবিগুলো হলো- ই-লাইব্রেরির আধুনিকায়ন ও একাডেমিক ওয়েবসাইট নির্মাণ, ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবরেশন, ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান ও শিক্ষার্থী কাউন্সিল গঠন, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি ও রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগের দাবি জানানো হয়। 

এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু বরাদ্দ বৃদ্ধি, গণঅভ্যুত্থানে নিহত, আহত ও গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের স্মৃতি রক্ষায় স্মৃতিফলক নির্মাণ, প্রধান ফটকের ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা, দূরত্ব ও মেধার ভিত্তিতে ছাত্রী হলের সিট বরাদ্দ, মেডিকেল সেন্টারের উন্নয়ন, মশা নিধন ও ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহায়তার নিশ্চয়তা প্রদানের দাবি জানানো হয়।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র সহ সভাপতি মেহেদী হাসান হিমেল, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম কবির মিঠুসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি চর্চার প্রকৃতি নির্ধারণে ঢাবিতে ‘পরামর্শ বক্স’

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম
রাজনীতি চর্চার প্রকৃতি নির্ধারণে ঢাবিতে ‘পরামর্শ বক্স’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) রাজনীতি চর্চার প্রকৃতি ও ধরন বিষয়ে মতামত নেওয়ার জন্য এবং অংশীজনদের পরামর্শ গ্রহণের লক্ষ্যে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে একটি পরামর্শ বক্স স্থাপন করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এছাড়াও অনলাইনে পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি ই-মেইল খোলা হয়েছে। 

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চার প্রকৃতি ও ধরন বিষয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব অংশীজনের পরামর্শ গ্রহণের লক্ষ্যে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে একটি পরামর্শ বক্স স্থাপন করা হয়েছে এবং [email protected] নামে একটি ইমেইল খোলা হয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘পরামর্শ বক্স ও ইমেইল ঠিকানায় ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চার প্রকৃতি ও ধরন বিষয়ে সুচিন্তিত মতামত প্রদানের জন্য সব অংশীজনের প্রতি অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’

আরিফ জাওয়াদ/সুমন/

সীমান্তহত্যা ও গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
সীমান্তহত্যা ও গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
সীমান্তহত্যা ও গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: খবরের কাগজ

পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহতের ঘটনায় এবং ভরতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে পরিকল্পিত গুজব প্রচারের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা।’

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করা হয়।

সমাবেশে ঢাকা কলেজের ছাত্র নেতা ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘ভারত একজন নিরীহ কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা রক্ত দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছি কোন দেশের আনুগত্য করার জন্য নয়। ভারত যদি আমাদের ভূখন্ডে কোন রাজনৈতিক আগ্রাসন চালায় তাহলে আমরা ভারতকে খণ্ড-বিখণ্ড করে দেব। আমরা কিন্তু ভারতের বুকের মধ্যে রয়েছি। প্রয়োজনে আমরা ছাত্র-জনতা সামরিক প্রশিক্ষণ নেব।’

ভারতীয় গণমাধ্যম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতের একটি মলম পার্টি গণমাধ্যম বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চায়। আমরা বলতে চাই, আপনারা কখনোই এদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে পারবেন না।’

বিগত ১৬ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১ হাজারের বেশি সীমান্ত হত্যা করেছে বিএসএফ উল্লেখ করে ইমরান আল নাজির নামের এক ছাত্রনেতা বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে ভারত ১ হাজার ১০০ জনেরর বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। এর আগে লাশের বিনিময়ে যে সরকার ইলিশ পাঠিয়েছে, সেই সরকার এখন আর নেই। ভারতের সঙ্গে আমরা চোখে, চোখ রেখে কথা বলতে চাই। দিল্লি যদি বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে, তাহলে ভারতেও অস্থিরতা শুরু হবে।’

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র নেতা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। এ সময় ‘সীমান্তে হত্যা-কেন, দিল্লি তুই জবাব দে’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন-রুখে দাও জনগণ’, ‘মোদির আগ্রাসন-রুখে দাও, জনগণ’সহ নানা স্লোগান দেয়।

আরিফ জাওয়াদ/নাবিল/এমএ/

চবিতে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
চবিতে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চর্তুথ বর্ষের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটলে ওই দিন বিকেল পাচঁটায় সিন্ডিকেট সভা ডেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীন, সদস্য আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন শিক্ষক নিয়োগ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হাছান মিয়া।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী বলেন, 'প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় একটি কোর্সের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।'

এর আগে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উড়োচিঠি দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করেছিলেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। পরে অজ্ঞাত ব্যক্তির দেওয়া প্রশ্নপত্র নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার তার প্রশাসন নিয়ে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে আসেন। তিনি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে চিঠিতে দেওয়া প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পান।

এরপর প্রশাসনের নির্দেশে পরীক্ষা কমিটি পরীক্ষা স্থগিত করার আদেশ দেয়।

মাহফুজ শুভ্র/সুমন/এমএ/

শহিদ পরিবারের শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ লিডিং ইউনিভার্সিটিতে

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
শহিদ পরিবারের শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ লিডিং ইউনিভার্সিটিতে
জুলাই বিপ্লবে শহিদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। ছবি : খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ পরিবারের শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রাগীব আলী এ ঘোষণা দেন।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বেসরকারি এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে অনুষ্ঠিত স্মরণসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সৈয়দ রাগীব আলী জুলাই বিপ্লবে শহিদ পরিবারের জন্য এ ঘোষণা দেন।

ড. রাগীব আলী বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। লিডিং ইউনিভার্সিটিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের জন্য বিনা বেতনে পড়ার যেমন সুযোগ রয়েছে, তেমনি জুলাই বিপ্লবে শহিদ পরিবারের শিক্ষার্থীরাও বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পাবেন।’

গতকাল সকালে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় শহিদ পরিবারের সদস্য, আহত এবং কারা নির্যাতিত শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। সভার শুরুতে জুলাই আন্দোলনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম। পরে জুলাই বিপ্লবের স্মৃতিচারণে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

নাবিল/সালমান/

কুবিতে সব সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
কুবিতে সব সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর সব সাংগঠনিক কার্যক্রম ও অনুষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অনিবার্য কারণবশত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সব সাংগঠনিক কার্যক্রম ও অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে কোনো অনুষ্ঠান না করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘প্রক্টরিয়াল বডির জরুরি মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, কার্যক্রমটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এই বিষয়ে অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ইভা বলেন, ‘প্রক্টর স্যারের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জেনেছি। তবে এখনো প্রোগ্রাম বন্ধের কোনো সরাসরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’

কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।

আতিকুর/নাইমুর/পপি/