ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চবি শিক্ষার্থীকে মারধর, মূল ফটকে তালা

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
চবি শিক্ষার্থীকে মারধর, মূল ফটকে তালা
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীকে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম নুরুল করিম সাদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের সামনে থেকে মুখ বেঁধে ওই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায় মুখোশধরী দুর্বৃত্তরা। পরে জীববিজ্ঞান অনুষদের পেছনের নির্জন এলাকায় নিয়ে মারধর করা হয়। প্রক্টরিয়াল বডি জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চবি মেডিকেলে নেয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় জিরো পয়েন্টের মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে কর্তৃপক্ষের বিচারের আশ্বাসে ফটক খুলে দেন তারা।

এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চবি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী হিসেবে সোহরাওয়ার্দী হলে থাকতেন বলে জানা গেছে। তবে ছাত্রদলের নেতারা সাদকে তাদের কর্মী বলে দাবি করেছেন। আগে ছাত্রলীগ করার জেরে তাকে মারধর হয়েছে বলেও অনেকে দাবি। তবে হামলাকারীদের শনাক্ত না করতে পারায় বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। 

এ বিষয়ে চবি মেডিকেলের দায়িত্বরত চিকিৎসক কেএম আতাউল গনি বলেন, ওই ছাত্রকে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চবি মেডিকেল সেন্টারে আনা হয়েছিল। ডান পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া পিঠে ফুলে যাওয়া একটা আঘাতের চিহ্ন ছিল। মাথা বা বুকে কোনো আঘাত ছিল না, তিনি নিজেই বলেছিলেন। পায়ে এক্স-রে করার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চবি ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন বলেন, সাদ ছাত্রদলের কর্মী। তবে, তারচেয়ে বড় পরিচয় সে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সন্ত্রাসীরা একজন শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে মারধর করাটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, রাতে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার শিকার সাদ। যে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে দোষীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ পিছপা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে সবার একযোগে কাজ করার বিকল্প নেই। ইতোমধ্যেই ফ্যাসিবাদের সময় নষ্ট করে ফেলা সিসিটিভি মেরামত ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংযোজনের কাজ শুরু হয়েছে। সিসিটিভি মেরামত, প্রতিস্থাপন ও সংযোজন প্রক্রিয়া শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি আরও নিরাপদ হবে।

মাহফুজ শুভ্র/জোবাইদা/অমিয়/

ঢাবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১২ পিএম
ঢাবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ
খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে ভাঙচুর চালিয়েছে ২০-৩০ জন দুর্বৃত্ত। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।

তিনি বলেন, 'শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ২০-৩০ জন বহিরাগত ক্লাবের ম্যানেজারকে  হুমকি-ধমকি দিয়ে জোর করে শিক্ষক সমিতির অফিসে প্রবেশ করে। পরে তারা সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ফেলে দিয়ে বোর্ড থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম মুছে দেয়। 

এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শ্রদ্ধার ফুল রাখা ছিল। সেগুলো ভেঙেচুরে ফেলে দেয়া হয় যেন আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে না পারি। এমন ঘটনা পাকিস্তান আমলেও ঘটেনি। তাছাড়া শিক্ষক সমিতি তো কোন ব্যক্তি বা দলের না, এটি সকল শিক্ষকের প্রতিনিধিত্ব করে। এমন ঘটনা ১৪ ডিসেম্বরের কিছুটা আগ মুহুর্তে ঘটা শহীদদের প্রতি অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হলো এটা অচিন্তনীয়।’

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে উপাচার্যকে চিঠিও দেওয়ার কথা জানান অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর উপাচার্যসহ শিক্ষক সমিতি পরিদর্শন করেছি। ওনারা (শিক্ষক সমিতি) দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করতে পারেনি। আমরা শিক্ষক সমিতির সভাপতি, ক্লাবের সেক্রেটারি, ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কারা কিভাবে এ ঘটনাটা ঘটিয়েছি সেটার খোঁজ নিচ্ছি। অবশ্যই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এদিকে ঘটনার পর শনিবার শিক্ষক সমিতির অফিস পরিদর্শন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

এ ঘটনায় একাধিকবার উপাচার্যের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।

আরিফ জাওয়াদ/মেহেদী

ক্যাম্পাসে শহিদদের কবর চিহ্নিত করতে সহযোগিতা চান ঢাবি উপাচার্য

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ পিএম
ক্যাম্পাসে শহিদদের কবর চিহ্নিত করতে সহযোগিতা চান ঢাবি উপাচার্য
শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। ছবি: খবরের কাগজ

যথাযথ মর্যাদায় দিনব্যাপী নানা আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। এদিকে ঢাবি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহিদদের কবর চিহ্নিত করতে সহযোগিতা কামনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এই সহযোগিতা কামনা করেন। 

তিনি বলেন, ‘যে কয়েকটি বড় ঘটনা আমাদের জাতীয়তাবাদ ও জাতিসত্তার পরিচায়ক, এর মধ্যে অন্যতম শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশ স্বাধীন না হলে আমরা কোনো পদ-পদবী, মর্যাদা কিছুই পেতাম না। কী পরিমাণ আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি দেশ পেয়েছি, জাতি হিসেবে তা সকলের জানা প্রয়োজন। শহিদ পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের প্রতিনিয়ত অন্তরের রক্তক্ষরণ হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে। ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য বুঝার জন্য ঐতিহাসিক এসব ঘটনা পরম্পরা জানা দরকার। সকল অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা সোচ্চার থেকেছে। দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে এই প্রতিষ্ঠান জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিক এসব ঘটনা পরম্পরার তাৎপর্য অনুধাবন করে এবিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহিদদের কবরসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, শহিদ গিয়াস উদ্দিন আহমদের ছোট বোন অধ্যাপক সাজেদা বানু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

দিবসটি ঘিরে ঢাবি উপাচার্যের ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণের স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়েরবাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয় এবং বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

অন্যদিকে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী। এসময় অনুষদের ডিনগণ, বিভাগীয় প্রধানরা, রেজিস্ট্রার, প্রভোস্ট, অফিস প্রধান, ইনস্টিটিউট ও সেন্টার এর পরিচালকরাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ/এমএ/

 

জাপানের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন নোবিপ্রবির শিক্ষক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
জাপানের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন নোবিপ্রবির শিক্ষক
ড. মো. শিবলুর রহমান

বিজ্ঞান ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য জাপানের জিচি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘দ্য মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শিবলুর রহমান।

কেমোস্ফিয়ার জার্নালে প্রকাশিত তার গবেষণাপত্রটির জন্য এ অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। 

গবেষণাপত্রটি ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয় এবং যাচাই-বাছাই শেষে ২০২৪ সালে এসে ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে মনোনীত হয়।

গবেষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু ছিল- কিভাবে স্বল্প ঘনমাত্রার আর্সেনিক এক্সপোজার উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্তর্নিহিত আণবিক প্রক্রিয়াগুলোকে প্ররোচিত করে এবং সেল লাইন ও অ্যানিমেল মডেল উভয় ব্যবহার করে আণবিক প্রক্রিয়াকে চিহ্নিতকরণ।

ড. শিবলুরকে জিচি মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য একটি সার্টিফিকেট এবং পাঁচ লাখ জাপানি ইয়েন সম্মানী দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতি বছর বিজ্ঞান ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে।

এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হওয়ার পর ড. শিবলুর অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জিচি মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এবং আমার পোস্টডক্টরাল সুপারভাইজার প্রফেসর ড. ইছিহারার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই অ্যাওয়ার্ডটি আমাকে আগামীতে আরও ভালো গবেষণা করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করছি।’

অধ্যাপক শিবলুর বলেন, ‘আমি বর্তমানে আমেরিকার স্যাম হিউস্টন স্টেট ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টে গবেষণা করছি। এখানে আমার গবেষণার বিষয় হচ্ছে- কিভাবে আর্সেনিক, সিসা, ক্যাডমিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো বিষাক্ত ধাতুর মিশ্রণগুলো বাংলাদেশি গ্রামীণ শিশুদের শৈশব শুরুর দিকে এবং শেষের দিকে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।’


তিনি আশা ব্যক্ত করেন, তাদের এ গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বাংলাদেশে পরিববেশগত নিউরোটক্সিসিটি সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

ড. শিবলু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের স্যাম হিউস্টন স্টেট ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টে ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) অর্থায়িত একটি গবেষণা প্রকল্পের গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে নোবিপ্রবির পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত (বর্তমানে ছুটিতে আমেরিকায় অবস্থান করছেন)।

তিনি জাপানিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ এমইএক্সটির অধীনে জাপানের হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটি থেকে ২০২০ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি জাপানের মর্যাদাপূর্ণ জেএসপিএস পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ নিয়ে জিচি মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে পোস্টডক্টরাল গবেষণা সফলভাবে সম্পন্ন করেন।

ড. রহমান আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য বিভিন্ন জার্নালে ৩০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন এবং আর্থ সিস্টেম অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এবং এনভায়রনমেন্টাল জিওকেমিস্ট্রি অ্যান্ড হেলথ জার্নালের সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।

তিনি বেশ কয়েকটি একাডেমিক সোসাইটির সদস্য এবং বিএমসি পাবলিক হেলথ, ডিসকভার অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেসসহ বেশকিছু স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক জার্নালের সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।

কাউসার/তাওফিক/পপি/ 

ঢাবিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যান চলাচল সীমিত

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ পিএম
ঢাবিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যান চলাচল সীমিত
ছবি: খবরের কাগজ

বহিরাগত ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাত প্রবেশমুখে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে ঢাবি ক্যাম্পাসে সীমিত হয়েছে বাইরের যানবাহন চলাচল।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, পলাশীর মোড়, নীলক্ষেত মোড়, শহীদ মিনার, শাহবাগ, শহীদুল্লাহ হল, হাইকোর্ট মোড় এবং শিববাড়ি মোড়ে তল্লাসী চৌকি বসানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সাত প্রবেশমুখে বাইরের যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার ক্যাম্পাসের স্টিারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্যকোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু জরুরি সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের ভেতরে প্রবেশ করা অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার ক্যাম্পাসে যানবাহন চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে আমরা এই কাজ করছি। প্রাথমিকভাবে অনেকের কষ্ট হবে, এ জন্য আমরা দুঃখিত। জরুরি কাজে আসলে যাচাই-বাছাই শেষে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে পলাশী মোড়ে নিরাপত্তা ও নজরদারি বক্স উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান। উদ্বোধনের পর শুক্রবার থেকে শুধু বকশীবাজার থেকে জগন্নাথ হল ক্রসিং হয়ে পলাশী দিয়ে বের হওয়ার রাস্তা খোলা রেখে ক্যাম্পাসের সাতটি প্রবেশপথে চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ক্যাম্পাসে স্টিকারবিহীন গাড়ি, গণপরিবহন ও ভারি যানবাহন চলাচল এবং বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এসব বেরিয়ার এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্স স্থাপন করা হয়েছে।

আরিফ জাওয়াদ/সুমন/এমএ/

বেরোবিতে জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ পিএম
বেরোবিতে জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড
বেরোবিতে গণিত অলিম্পিয়াড উদ্বোধন করেন ‍বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ছবি: খবরের কাগজ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) রংপুর অঞ্চলের স্নাতক পর্যায়ে ১৫তম জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর গণিত বিভাগে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, গণিত হচ্ছে মাদার অব সায়েন্স। শুধু বিজ্ঞান নয়, অর্থনীতি ও ব্যবসার ভাষাও গণিত।  

তিনি বলেন, গণিতের ব্যবহার দেশে-বিদেশে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় অনেক সাফল্য নিয়ে আসতে পেরেছে। গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রমেও সাফল্যের স্বাক্ষর ধরে রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপাচার্য।

সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে বেরোবিসহ রংপুর অঞ্চলের ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি র‌্যালি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গণিত অলিম্পিয়াডের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ গণিত সমিতির তত্ত্বাবধানে ও এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বেরোবি গণিত বিভাগ আয়োজিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় সেরা ১০ জন প্রতিযোগিকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউস্ট) এর শিক্ষার্থী আদিত্য বনিক, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন বেরোবি শিক্ষার্থী সঞ্জীব চন্দ্র দেব এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন বাউস্ট এর শিক্ষার্থী মো. নূর এ আলম।

বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৪ এর রংপুর অঞ্চলে আহ্বায়ক ও বেরোবি গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেরোবি উপাচার্য।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কে এম আরিফুল কবির ও প্রভাষক মো. সাদ্দাম হোসেন।

আয়োজনে রংপুর কারমাইকেল কলেজের গণিত বিভাগের প্রফেসর মো. আশরাফুল আলমসহ অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আজম/নাবিল/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });