ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম কেন ?

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম
সরকারি চাকরিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম কেন ?
নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীই পড়াশোনা শেষে উন্নত এক জীবনের স্বপ্ন দেখেন। যে স্বপ্ন বাবা-মা ও নিজের ভবিষ্যৎকে ঘিরে আবর্তিত হয়। এজন্য সবারই ইচ্ছে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পাট চুকিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর, উন্নত জীবনযাপনের। সে লক্ষ্যে কেউ কেউ হয়তো বিদেশে পাড়ি জমান, কেউ হন উদ্যোক্তা আর একটি বড় অংশ যোগ দেন চাকরিতে। এর মধ্যে আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই স্নাতক বা স্নাতকোত্তর শেষে চাকরির বাজারে ঢোকেন। এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কাছে সোনার হরিণ সরকারি চাকরি। প্রতি বছর বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত চাকরির আশায় নিজেদের প্রস্তুত করতে লাখ লাখ তরুণ-তরুণী পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ স্নাতক পড়ার সময়ই সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে আদা-জল খেয়ে নেমে পড়েন। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। পাবলিক বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরকারি চাকরির যে আকাঙ্ক্ষাটা লক্ষ্য করা যায়, সেটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে অনেক কম দেখা যায়। 

এর কারণ হিসেবে বেশকিছু বিষয় বলা যেতে পারে। 

এই অনীহার অন্যতম কারণ সরকারি চাকরিতে ধীরগতির নিয়োগ প্রক্রিয়া। অনেকের কাছে আবার এসব চাকরিতে নিয়োগের যে পরীক্ষা সেটাও গতানুগতিক বলে মনে হয়। তার ওপর নির্দিষ্ট সাবজেক্টে পড়া শেষে সরকারি চাকরি পাওয়াটাও বর্তমান বাজারে অনেক কঠিন। অন্যদিকে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগদানও তুলনামূলক সহজতর ও দ্রুততর। ফলে এখন পর্যন্ত দেশে শতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া লাখ লাখ শিক্ষার্থীর কাছে এখনো সরকারি চাকরি খুব বেশি আগ্রহের জায়গা তৈরি করতে পারেনি। এর ওপর পদের তুলনায় অত্যধিক প্রতিযোগীর ভিড়ে চাকরিপ্রাপ্তির নিশ্চয়তাও থাকে না। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়া শেষ করে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বেকার বসে থাকতেও চান না। ফলে করপোরেট সেক্টরের দিকেই তাদের মনোনিবেশ থাকে বেশি। 

এ প্রসঙ্গে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া রহমান অনি বলেন, ‘সরকারি চাকরিযুদ্ধে অনীহা রয়েছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। এর কারণ, বরাবরের মতোই চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ার ধীরগতি। তাছাড়া, সরকারিতে তাদের নির্দিষ্ট সাবজেক্টের মধ্যে কোনো চাকরি পাওয়া যেমন কঠিন, তেমনি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্লেসমেন্টের কোনো নিশ্চয়তা নেই। অন্যদিকে, বেসরকারি খাতে দেখা হয় যে, প্রার্থী শহর বা ঢাকা অঞ্চলে থাকতে পারবেন কিনা কিংবা আপডেটেড প্রযুক্তি যেমন ‘এআই’ টুল-এর যথাযথ ব্যবহার রয়েছে কিনা। যেখানে, একজন স্টার্টআপ মার্কেটারও তার স্বল্পদিনের অভিজ্ঞতার জন্য বেসরকারি চাকরি বাছাই করবেন। এক কথায়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারির তুলনায় দ্রুত যোগদান, সুগঠিত ক্যারিয়ার ও উন্নত কাজের পরিবেশ পাওয়া যায়, যা তরুণদের কাছে বেশি আকর্ষণীয়।’ 

এই কম আগ্রহের আরেকটি কারণ হিসেবে বলা যায়, শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের আর্থসামাজিক অবস্থান। বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত সব পরিবারের ছেলেমেয়েরাই পড়াশোনা করে থাকে। তবে এর মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী আসে উচ্চমধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে। ফলে তাদের কর্মজীবনে পা রেখেই আর্থিক অনটন বা স্থিতিশীল কোনো চাকরি না পাওয়ার শঙ্কা কাজ করে না। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থান ভালো হওয়ায় এবং আর্থিক চাপ না থাকায় এসব শিক্ষার্থীর করপোরেট সেক্টর, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি কিংবা উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতি বেশি ঝোঁক থাকে। এসব বেসরকারি সেক্টরের বেতনও সরকারি চাকরির থেকে বেশি হয়ে থাকে। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্তত দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি সুযোগ পান। ফলে প্রাইভেট সেক্টরে চাকরি পেতে তাদের বেশি কাঠখড়ও পোড়াতে হয় না। 

এ বিষয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রকিবুল ইসলাম মনে করেন, ‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দক্ষতা বিকাশের প্রচুর সুযোগ থাকে। ফলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্কিলে দক্ষ হয়ে ওঠেন। তাই তারা বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই কাজের ভালো সুযোগ পান অর্থাৎ চাকরি পেতে সমস্যা হয় না। 

এ ছাড়া অনেকেই মনে করেন, সরকারি চাকরির গ্রেড অনুযায়ী এখনো কর্মকর্তারা যে বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি পেয়ে থাকেন সেটা প্রযোজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। তাই অবস্থাসম্পন্ন অনেকেই উচ্চশিক্ষা বা আরও উন্নত জীবনযাত্রার আশায় বিদেশে পাড়ি জমান। এমনকি লাখ লাখ তরুণের স্বপ্নের চাকরি বিসিএস-এর মতো প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিও তাদের আকৃষ্ট করতে পারে না। অবশ্য এ ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ধীরগতিরও যেমন কিছুটা দায় রয়েছে, তেমনি চাকরিপ্রত্যাশীদের তুলনায় পদের অপ্রতুলতাও ভীষণরকম দায়ী।

সে হিসেবে স্থায়িত্বের ঝুঁকি থাকলেও প্রাইভেট সেক্টর থেকে আরও বড় অঙ্কের বেতন পাওয়া যায়। সরকারি চাকরিতে নিজেদের অনীহার কারণ সম্পর্কে ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইমরান নাজির বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে কম আগ্রহের পেছনে অন্যতম একটি কারণ হলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত আধুনিক শিক্ষাক্রম, উন্নত প্রযুক্তিগত ও যোগাযোগ দক্ষতা এবং বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমের ওপর জোর দেয়; যা তাদের দেশের বিভিন্ন বেসরকারি সেক্টরে চাকরির জন্য উপযুক্ত করে তোলে। সেখানে এরকম দক্ষতাসম্পন্ন প্রার্থীর চাহিদা বেশি থাকায় অল্প সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা কর্মজীবনে প্রবেশ করতে সক্ষম হন। উপরন্তু, সরকারি চাকরির গতানুগতিক নিয়োগ পরীক্ষা এবং দীর্ঘ নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায়ই তাদের এই সেক্টরে আগ্রহী হতে নিরুৎসাহিত করে।’ 

১৯৯৩ সালে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত ধরে দেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। তার পর থেকে এখন পর্যন্ত সারা দেশে মোট শতাধিক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে লাখ লাখ তরুণ-তরুণী উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করলেও দেশের সরকারি চাকরির বাজারে তাদের অংশগ্রহণ আশানুরূপ নয়। যদিও আগের চেয়ে কিছুটা হলেও চিত্র বদলাতে শুরু করেছে। এখন বিসিএসের মতো সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও প্রতিযোগিতায় নামছে। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সরকারি নানা সেক্টরে যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সবচেয়ে বেশি নিয়োগপ্রাপ্তি অর্জন করেছে তার মধ্যে এই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়টি অন্যতম। এভাবে কম হলেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীরা সরকারি চাকরিতেও নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতার ছাপ রাখতে শুরু করেছে।

হাসান

ক্যাম্পাসে শহিদদের কবর চিহ্নিত করতে সহযোগিতা চান ঢাবি উপাচার্য

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ পিএম
ক্যাম্পাসে শহিদদের কবর চিহ্নিত করতে সহযোগিতা চান ঢাবি উপাচার্য
শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। ছবি: খবরের কাগজ

যথাযথ মর্যাদায় দিনব্যাপী নানা আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। এদিকে ঢাবি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহিদদের কবর চিহ্নিত করতে সহযোগিতা কামনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এই সহযোগিতা কামনা করেন। 

তিনি বলেন, ‘যে কয়েকটি বড় ঘটনা আমাদের জাতীয়তাবাদ ও জাতিসত্তার পরিচায়ক, এর মধ্যে অন্যতম শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশ স্বাধীন না হলে আমরা কোনো পদ-পদবী, মর্যাদা কিছুই পেতাম না। কী পরিমাণ আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি দেশ পেয়েছি, জাতি হিসেবে তা সকলের জানা প্রয়োজন। শহিদ পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের প্রতিনিয়ত অন্তরের রক্তক্ষরণ হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে। ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য বুঝার জন্য ঐতিহাসিক এসব ঘটনা পরম্পরা জানা দরকার। সকল অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা সোচ্চার থেকেছে। দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে এই প্রতিষ্ঠান জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিক এসব ঘটনা পরম্পরার তাৎপর্য অনুধাবন করে এবিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহিদদের কবরসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, শহিদ গিয়াস উদ্দিন আহমদের ছোট বোন অধ্যাপক সাজেদা বানু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

দিবসটি ঘিরে ঢাবি উপাচার্যের ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণের স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়েরবাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয় এবং বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

অন্যদিকে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী। এসময় অনুষদের ডিনগণ, বিভাগীয় প্রধানরা, রেজিস্ট্রার, প্রভোস্ট, অফিস প্রধান, ইনস্টিটিউট ও সেন্টার এর পরিচালকরাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ/এমএ/

 

জাপানের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন নোবিপ্রবির শিক্ষক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
জাপানের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন নোবিপ্রবির শিক্ষক
ড. মো. শিবলুর রহমান

বিজ্ঞান ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য জাপানের জিচি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘দ্য মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শিবলুর রহমান।

কেমোস্ফিয়ার জার্নালে প্রকাশিত তার গবেষণাপত্রটির জন্য এ অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। 

গবেষণাপত্রটি ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয় এবং যাচাই-বাছাই শেষে ২০২৪ সালে এসে ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে মনোনীত হয়।

গবেষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু ছিল- কিভাবে স্বল্প ঘনমাত্রার আর্সেনিক এক্সপোজার উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্তর্নিহিত আণবিক প্রক্রিয়াগুলোকে প্ররোচিত করে এবং সেল লাইন ও অ্যানিমেল মডেল উভয় ব্যবহার করে আণবিক প্রক্রিয়াকে চিহ্নিতকরণ।

ড. শিবলুরকে জিচি মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য একটি সার্টিফিকেট এবং পাঁচ লাখ জাপানি ইয়েন সম্মানী দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতি বছর বিজ্ঞান ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে।

এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হওয়ার পর ড. শিবলুর অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জিচি মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এবং আমার পোস্টডক্টরাল সুপারভাইজার প্রফেসর ড. ইছিহারার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই অ্যাওয়ার্ডটি আমাকে আগামীতে আরও ভালো গবেষণা করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করছি।’

অধ্যাপক শিবলুর বলেন, ‘আমি বর্তমানে আমেরিকার স্যাম হিউস্টন স্টেট ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টে গবেষণা করছি। এখানে আমার গবেষণার বিষয় হচ্ছে- কিভাবে আর্সেনিক, সিসা, ক্যাডমিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো বিষাক্ত ধাতুর মিশ্রণগুলো বাংলাদেশি গ্রামীণ শিশুদের শৈশব শুরুর দিকে এবং শেষের দিকে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।’


তিনি আশা ব্যক্ত করেন, তাদের এ গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বাংলাদেশে পরিববেশগত নিউরোটক্সিসিটি সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

ড. শিবলু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের স্যাম হিউস্টন স্টেট ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টে ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) অর্থায়িত একটি গবেষণা প্রকল্পের গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে নোবিপ্রবির পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত (বর্তমানে ছুটিতে আমেরিকায় অবস্থান করছেন)।

তিনি জাপানিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ এমইএক্সটির অধীনে জাপানের হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটি থেকে ২০২০ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি জাপানের মর্যাদাপূর্ণ জেএসপিএস পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ নিয়ে জিচি মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে পোস্টডক্টরাল গবেষণা সফলভাবে সম্পন্ন করেন।

ড. রহমান আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য বিভিন্ন জার্নালে ৩০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন এবং আর্থ সিস্টেম অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এবং এনভায়রনমেন্টাল জিওকেমিস্ট্রি অ্যান্ড হেলথ জার্নালের সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।

তিনি বেশ কয়েকটি একাডেমিক সোসাইটির সদস্য এবং বিএমসি পাবলিক হেলথ, ডিসকভার অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেসসহ বেশকিছু স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক জার্নালের সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।

কাউসার/তাওফিক/পপি/ 

ঢাবিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যান চলাচল সীমিত

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ পিএম
ঢাবিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যান চলাচল সীমিত
ছবি: খবরের কাগজ

বহিরাগত ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাত প্রবেশমুখে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে ঢাবি ক্যাম্পাসে সীমিত হয়েছে বাইরের যানবাহন চলাচল।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, পলাশীর মোড়, নীলক্ষেত মোড়, শহীদ মিনার, শাহবাগ, শহীদুল্লাহ হল, হাইকোর্ট মোড় এবং শিববাড়ি মোড়ে তল্লাসী চৌকি বসানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সাত প্রবেশমুখে বাইরের যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার ক্যাম্পাসের স্টিারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্যকোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু জরুরি সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের ভেতরে প্রবেশ করা অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার ক্যাম্পাসে যানবাহন চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে আমরা এই কাজ করছি। প্রাথমিকভাবে অনেকের কষ্ট হবে, এ জন্য আমরা দুঃখিত। জরুরি কাজে আসলে যাচাই-বাছাই শেষে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে পলাশী মোড়ে নিরাপত্তা ও নজরদারি বক্স উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান। উদ্বোধনের পর শুক্রবার থেকে শুধু বকশীবাজার থেকে জগন্নাথ হল ক্রসিং হয়ে পলাশী দিয়ে বের হওয়ার রাস্তা খোলা রেখে ক্যাম্পাসের সাতটি প্রবেশপথে চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ক্যাম্পাসে স্টিকারবিহীন গাড়ি, গণপরিবহন ও ভারি যানবাহন চলাচল এবং বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এসব বেরিয়ার এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্স স্থাপন করা হয়েছে।

আরিফ জাওয়াদ/সুমন/এমএ/

বেরোবিতে জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ পিএম
বেরোবিতে জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড
বেরোবিতে গণিত অলিম্পিয়াড উদ্বোধন করেন ‍বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ছবি: খবরের কাগজ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) রংপুর অঞ্চলের স্নাতক পর্যায়ে ১৫তম জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর গণিত বিভাগে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, গণিত হচ্ছে মাদার অব সায়েন্স। শুধু বিজ্ঞান নয়, অর্থনীতি ও ব্যবসার ভাষাও গণিত।  

তিনি বলেন, গণিতের ব্যবহার দেশে-বিদেশে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় অনেক সাফল্য নিয়ে আসতে পেরেছে। গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রমেও সাফল্যের স্বাক্ষর ধরে রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপাচার্য।

সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে বেরোবিসহ রংপুর অঞ্চলের ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি র‌্যালি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গণিত অলিম্পিয়াডের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ গণিত সমিতির তত্ত্বাবধানে ও এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বেরোবি গণিত বিভাগ আয়োজিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় সেরা ১০ জন প্রতিযোগিকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউস্ট) এর শিক্ষার্থী আদিত্য বনিক, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন বেরোবি শিক্ষার্থী সঞ্জীব চন্দ্র দেব এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন বাউস্ট এর শিক্ষার্থী মো. নূর এ আলম।

বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৪ এর রংপুর অঞ্চলে আহ্বায়ক ও বেরোবি গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেরোবি উপাচার্য।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কে এম আরিফুল কবির ও প্রভাষক মো. সাদ্দাম হোসেন।

আয়োজনে রংপুর কারমাইকেল কলেজের গণিত বিভাগের প্রফেসর মো. আশরাফুল আলমসহ অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আজম/নাবিল/এমএ/

ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১ এএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ওই শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর হিজরত নিয়ে মানহানিকর এবং ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের শহিদদের নিয়ে উপহাসের অভিযোগে ঢাবির আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য্য এবং গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার সহযোগিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ সব ফ্যাসিবাদীর দোসর শিক্ষকের বিচারের দাবি তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এই দাবি জানান তারা।

এতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জোবায়ের বলেন, ‘কোনো শিক্ষক যখন ধর্ম অবমাননা করে, তখন তাকে আমরা শিক্ষক না বলে কুলাঙ্গার বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। শিশির ভট্টাচার্য্য এমনটি করার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। আমরা তার পদত্যাগ এবং বিচার দাবি করছি।’

তিনি আরও বলেন, ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে নীল দলের শিক্ষকরা নিজামুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, তারা এখনো ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন এবং ক্লাসেও অংশ নিচ্ছেন। যেখানে আমরা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি, সেখানে এই দালাল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা এই শিক্ষকদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের একপর্যায়ে উপস্থিত হন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো ব্যক্তি বা ধর্মীয় বিষয়ে কথা বলার আগে সবাইকে অবশ্যই আরও সচেতন হতে হবে। এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়, যা নিয়ে আমাদের কোনো বিরূপ মন্তব্য করা উচিত নয়। তাকে চাকরিচ্যুত বা শাস্তির আওতায় আনতে হলে সেটা আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে যেতে হবে। তা ছাড়া, অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।’

এদিকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক মোসাদ্দেক আলী বলেন, ‘শিগগিরই তিন দফা দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। এ ছাড়া আগামী দুই দিন এই দাবির পক্ষে গণসংযোগ চালিয়ে জনমত গঠন করা হবে।’

তিন দফা দাবিগুলো হলো- বিশ্বনবীকে অপমান ও ’২৪-এর শহিদদের অবমাননার জন্য শিশির ভট্টাচার্য্যকে চাকরিচ্যুত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা; যেসব শিক্ষক গণহত্যায় মদদ দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বডিকে দ্রুত ভেঙে দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সিন্ডিকেট গঠন; অতিদ্রুত ডাকসুর রূপরেখা প্রণয়ন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত সমাবেশ থেকে শিশির ভট্টাচার্যে্যর শিক্ষক পদ বাতিল ও তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি তুলে মানববন্ধন কর্মসূচি করে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।

আরিফ জাওয়াদ/জোবাইদা/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });