বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুলের ওপর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুষ্কৃতকারীদের হেনস্থা ও দেড় দশক ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনকারী নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।
রবিবার (১০ নভেম্বর) পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে শুরু হয়। এরপর দোয়েল চত্বর, রাজু ভাস্কর্য, কেন্দ্রীয় মসজিদ, মধুর ক্যান্টিন, ক্যাম্পাস ঘুরে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। পরে ভাস্কর্যের পাদদেশে বেলা আড়াইটায় শেষ হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘শিক্ষার পরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে রাজনীতি করে ছাত্রদল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মেধা, মনন ও সৃজনশীলতাকে ধারণ করে সামনের রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ করে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় নিজস্ব শক্তিতে বলিয়ান। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় নিজেই ডিসিশন নেয় এবং শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে তাদের কর্মপরিকল্পনা, কর্মসূচি নির্ধারণ করে রাজনীতি কার্যক্রম পরিচালনা করে। ছাত্রদল সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করে রাজনীতি করবে। শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার বিরক্তি হয়, পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে, চাল-চলনে আঘাতপ্রাপ্ত হয়, এমন কোনো রাজনীতি ছাত্রদল অতীতেও করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।’
ছাত্রদলের ইমেজকে সংকটে ফেলার জন্য উঠে পড়ে লাগা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ঢাবির হলগুলোতে ফ্যাসিবাদের দোসররা ছাত্রদলের ইমেজকে সংকটে ফেলার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সে ফাঁদে আপনারা চাল-চলন ও আচার-আচরণ অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করবেন ৷ কোনভাবেই ফ্যাসিবাদের দোসরদের সুযোগ দেওয়া যাবে না।’
সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ‘বিগত দশকে যারা বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল এবং একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর যে অধিকার, একজন নাগরিকের যে অধিকার সেই অধিকার হরণ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ আজ এক হয়েছে। বাংলাদেশে, এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে আর কোন ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম হবে না। ছাত্রদল অঙ্গীকারবদ্ধ, বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর কোনো টর্চার সেল হবে না, গণরুম সংস্কৃতি তৈরি হবে না। ক্যাম্পাসে হবে মেধা ও জ্ঞানের চর্চা।’
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন শাওন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আক্তার শুভ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আলম ভূঁইয়া ইমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরিফ জাওয়াদ/এমএ/